ওয়েব সিরিজ রিভিউ: দুর্গ রহস্য ( পর্ব ৩ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'দুর্গ রহস্য' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "হেয়ালীর মোহনলাল"। গত পর্বে লাস্ট দেখেছিলাম যে দুর্গে যে খুনটা হয়েছিল সেটি নিয়ে পুলিশ এবং ব্যোমকেশ এর মনে একটা সন্দেহ তৈরি হয়। আজকের পর্বে সেই ঘটনার সূত্রপাত কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
শুরুতে একটা ঘটনা ঘটে রামকিশোর নামের একটি পরিবারের অর্থাৎ তাদের পরিবারের থেকে তার ছেলে-বউ মিলে একটি জঙ্গলের পাশে পিকনিক এর জন্য যায় এবং জঙ্গলের চারিপাশে তাদের কর্মচারীরা বন্দুক নিয়ে পাহারা দিতে থাকে, কিন্তু হঠাৎ করে জঙ্গলের ভিতরে একটি মহিলা যাওয়ার সাথে সাথে সাপের কামড়ে মারা যায়। তবে এই ঘটনাটা অনেক আগে ঘটেছিলো যেটার আংশিক তুলে ধরেছে। আর তার পরেই রামকিশোর বাবুর দুর্গে একজনের সাপে কাটে আর তার মৃত্যুকে ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হয়, যেটা পুলিশ আর ব্যোমকেশ খুঁজে বের করার দায়িত্ব নিয়ে থাকে। এখানে এই সাপে কাটাকে কেউ ইচ্ছা করেই ঘটিয়েছে সেটা সন্দেহ করছে ব্যোমকেশ।
তবে এই দুর্গে যত লোকজন আছে এই মৃত্যুকে ঘিরে প্রশ্ন করলে কেউ যে সঠিক উত্তর দিতে চাচ্ছে না বা দিতে চাচ্ছে না সেটা ভালো করেই তারা বুঝতে পারে। আর এইজন্য ব্যোমকেশ পান্ডে নামের সেই পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলে এই দুর্গে থাকার চিন্তাভাবনা করে, কারণ আসল রহস্য খুঁজে পেতে হলে এই দুর্গে থেকে সবার মাঝে চলাফেরা করতে হবে, নাহলে কারো ভাবগতি বুঝে ওঠা যাবে না। এর পরে ব্যোমকেশ কলকাতায় বাড়িতে ফিরে যায় এবং রামকিশোর বাবুর সাথে কথা বলে তাদের সেখানে থাকার জন্য এই রুম এর ব্যবস্থা করে দিতে বলে। এর পরে তারা একদিন আগে এসে সেই পুলিশ অফিসার পান্ডের বাড়িতে অবস্থান করে এবং সেই রাতেই ব্যোমকেশের রুমে কেউ একজন এসে গোখরো সাপ ছেড়ে দিয়ে যায়, যার বিষ ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে আর কামড় দিলেই সেখানে শেষ।
এরপর তাড়াহুড়ো না করে ব্যোমকেশ সাপটাকে চালাকির সাথে ধরে নেয় আর একটি ব্যাগে ভরে দেয়। তবে এই সাপটা সেখানে একা একা এসেছে সেটা কিন্তু না আর ব্যোমকেশ এটা ভালোই বুঝেছে যে এটা অন্য কারো কাজ আর সে এখানেই আশেপাশে আছে। অফিসার পান্ডেকে জিজ্ঞাসা করতেই বলে একজন পাঁচিল টপকে চলে গেলো, কিন্তু লোকটা বাঙালি না সেটা তাকে দেখে বুঝলো। ওখানে বেশিরভাগই নন বাঙালি লোকজনের আনাগোনা আর এটা সেই দুর্গেরই কেউ একজন হতে পারে। আর এই বিষয়গুলোর সমাধান সেখানে গিয়ে ছাড়া হবে না। তারা দুর্গে পৌঁছিয়ে যায় পরেরদিন, তবে একটা বিষয় জানতে পারে যে রামকিশোর বাবুর দুই ছেলে আছে যাদের এই সম্পত্তির উপর লোভ আছে আর এইসব সম্পত্তি ধংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এখন তাদের দুই ছেলেও এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করে।
এই কাহিনীতে এখনো একটা জায়গায় আটকিয়ে আছে অর্থাৎ রহস্যটা বেড়েই চলেছে। এখানে পর পর অনেক কিছু বিষয় সামনে চলে আসছে যেটা পুরোনো কিছু ইতিহাস বিস্তারিত জানার পরে বোঝা যাবে। তবে এখানে মোহনলাল নামের একটি ব্যক্তির বিষয় সামনে এসেছে,কিন্তু এই মোহনলাল ব্যাক্তিটা কে সেটা তাদের কাছেও এখনো অপরিষ্কার। এই দুর্গে এসে তারা আরো একটি বিষয় জানতে পারে যে ঈশান নামের একজন অধ্যাপক সেখানে কিছু বিষয় লিখে গিয়েছে যেটা কিছুটা সাংকেতিক অর্থেও বুঝিয়েছে। প্রথমে যে বলেছিলাম কিছু ইংরেজ বাহিনী এই দুর্গে গুপ্তধনের উদ্দেশ্য এসেছিলো, আসলে এই কাহিনীটা ছিল অনেক আগের। তখন সেই হিসেবে এই গোপন রহস্য তাদের বলেনি আর তারাও খুঁজে পায়নি, তবে তাদের পূর্বপুরুষ এই গুপ্তধন এর বিষয়ে কিছু বিষয় একটি পাথরের গায়ে ফারসি ভাষায় সাংকেতিক অর্থে লিখে যায় যেটা কেউ বুঝতে পারেনি, তবে ঈশান নামের এই অধ্যাপক এই বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলো আর তখনি এই পাথরটা উল্টো করে এই দুর্গের একটি জায়গায় পেতে দেয়। আর এইটা ব্যোমকেশের চোখে পড়ে যায়। এখন এইটা নিয়ে কি প্ল্যান তাদের আছে সেটা পরের পর্বে হয়তো বোঝা যাবে।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৭.৮/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে আজকেও ওয়েব সিরিজ এর রিভিউ পোস্ট করেছেন। দুর্গ রহস্য ওয়েব সিরিজটির প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব পড়া হয়েছিল আমার। আর আজকে এই ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব পড়তে পেরে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। হেয়ালির মোহনলাল এই পর্বতের নাম ছিল। এখানে তো দেখছি রহস্যটা আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম ওই মৃত্যুর রহস্যটা এই পর্বের মাধ্যমে জানতে পারবো, কিন্তু এখন দেখছি রহস্য আরো বেশি বেড়ে চলেছে। ঈশান নামের ওই অধ্যাপক দেখছি বিষয়টা বুঝতে পেরেছিল। এবং পাথরটা উল্টে দিয়ে দুর্গের একটা পথ পেতে দেয় সে। আর এই ব্যাপারটা আবার ব্যোমকেশের চোখে পড়েছিল। এখন এটা নিয়ে তাদের কি প্ল্যান এটা আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে স্পষ্ট হবে এবং আমরা জানতে পারবো। দাদা আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর সুন্দর ওয়েব সিরিজের রিভিউ তুলে ধরে থাকেন যেগুলো আমি পড়ার চেষ্টা করি। তেমনি আজকের শেয়ার করা ওয়েব সিরিজের এই পর্বটা ও ভালো লেগেছে পড়তে। দাদা আশা করছি আস্তে আস্তে অন্য পর্ব গুলোর মাধ্যমে সব রহস্য বেরিয়ে আসবে। ধন্যবাদ দাদা এই পর্বটার রিভিউ এত সুন্দর করে লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
দাদা আপনি প্রতি সপ্তাহে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে ওয়েব সিরিজ শেয়ার করে থাকেন, যেগুলো আমি পড়ার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত। দুর্গ রহস্য ওয়েব সিরিজটা আমার কাছে কিন্তু খুব ভালোই লাগতেছে। এই ওয়েব সিরিজটা অনেক বেশি রহস্যজনক যা শুরু থেকে পড়েই আমি বুঝতে পেরেছি। আর আস্তে আস্তে দেখছি এটার কাহিনী আরও বেশি রহস্যের মধ্যে দিয়ে চলে যাচ্ছে। এখানে তো দেখছি এখন আবার মোহনলাল নামের একটা ব্যক্তির বিষয় ও সামনে চলে এসেছে। পাথর উল্টো করে দুর্গের একটি জায়গায় পেতে দিয়েছিল এবং ব্যোমকেশে চোখে পড়ে গিয়েছিল ব্যাপারটা, এখন দেখা যাক তাদের প্ল্যানটা কি হয় এই বিষয়টা নিয়ে। আশা করছি সব কিছু পরবর্তী পর্বগুলোতে ক্লিয়ার হবে। আপনি খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন আশা করছি।
দাদা এখানে একটা পর একটা সরস্য রয়ে যাচ্ছে। প্রথম ব্যাক্তিকে কিভাবে সাপে কাটলো আবার মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেলো রহস্য রয়ে গেল। আবার রামকিশোরে পরিবার তথা তার ছেলে-বউ মিলে জঙ্গলের পাশে পিকনিক এর জন্য যায় এবং জঙ্গলের চারিপাশে তাদের কর্মচারীরা বন্দুক নিয়ে পাহারা দেওয়া সত্বেও হঠাৎ করে জঙ্গলের ভিতরে একটি মহিলা যাওয়ার সাথে সাথে সাপের কামড়ে মারা যায়। এখানে এই সাপে কাটাকে কেউ ইচ্ছা করেই ঘটিয়েছে সেটা সন্দেহ করছে ব্যোমকেশ। পরে ব্যোমকেশ কলকাতায় বাড়িতে ফিরে যায় এবং রামকিশোর বাবুর সাথে কথা বলে তাদের সেখানে থাকার জন্য এই রুম এর ব্যবস্থা করে দিতে বলে। এর পরে তারা একদিন আগে এসে সেই পুলিশ অফিসার পান্ডের বাড়িতে অবস্থান করে এবং সেই রাতেই ব্যোমকেশের রুমে কেউ একজন এসে গোখরো সাপ ছেড়ে দিয়ে যায়, যার বিষ ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে আর কামড় দিলেই সেখানে শেষ। ব্যোমকেশ সাপটাকে চালাকির সাথে ধরে নেয় আর একটি ব্যাগে ভরে দেয়। তবে এই সাপটা সেখানে একা একা এসেছে সেটা কিন্তু না আর ব্যোমকেশ এটা ভালোই বুঝেছে যে এটা অন্য কারো কাজ আর সে এখানেই আশেপাশে আছে। তবে এখানে মোহনলাল নামের একটি ব্যক্তির বিষয় সামনে এসেছে,কিন্তু এই মোহনলাল ব্যাক্তিটা কে সেটা তাদের কাছেও এখনো অপরিষ্কার। আবার যে ঈশান নামের একজন অধ্যাপক সেখানে পাথরে ফার্সি ভাষায় কিছু বিষয় লিখে গিয়েছে যেটা কিছুটা সাংকেতিক অর্থেও বুঝিয়েছে। এই সমস্ত রহস্য কিভাবে সামনে আসবে সেই অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ দাদা।
'দুর্গ রহস্য' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। এই ওয়েব সিরিজটি একেবারে রহস্যে ঘেরা। একদিকে সাপের কামড়ে মৃত্যু অন্যদিকে সেই দুর্গে বিভিন্ন রকমের রহস্য সবমিলিয়ে এই ওয়েব সিরিজটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এই পর্বে অনেক পুরনো ইতিহাস সামনে চলে এসেছে। আর সেই ইতিহাসগুলো অনেক ধরনের গুপ্তধনের নির্দেশনা দিচ্ছে। মোহনলাল নামক ব্যক্তিটির পরিচয় এখনো রহস্যের মধ্যেই আছে। উনার সম্পর্কে খুব একটা জানা যাচ্ছে না। অন্যদিকে ঈশান নামের একজন অধ্যাপক সংকেতিক বিভিন্ন ভাষা বুঝতে পেরেছিলেন। আসলে এখানে অনেক কিছু নির্দেশনা আছে। যেটা সাধারণ মানুষ দেখে খুব সহজে বুঝতে পারেনি। হয়তো গুপ্তধনের ব্যাপারে এখানে অনেক কিছু আছে। যেহেতু ফারসি ভাষায় সাংকেতিক চিহ্ন লিখা ছিল তাই তো সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেনি। কিন্তু অধ্যাপক সাহেব সবটা বুঝতে পেরেও পাথরটা উল্টো করে রেখেছিলেন। হয়তো এটার পেছনে অন্য কোন গল্প লুকিয়ে আছে। ব্যোমকেশের চোখে যেহেতু এই বিষয়টা ধরা পড়েছে আশা করছি রহস্যের জট ধীরে ধীরে খুলতে থাকবে। দারুন একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।