RE: ওয়েব সিরিজ রিভিউ: দুর্গ রহস্য ( পর্ব ৩ )
দাদা এখানে একটা পর একটা সরস্য রয়ে যাচ্ছে। প্রথম ব্যাক্তিকে কিভাবে সাপে কাটলো আবার মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেলো রহস্য রয়ে গেল। আবার রামকিশোরে পরিবার তথা তার ছেলে-বউ মিলে জঙ্গলের পাশে পিকনিক এর জন্য যায় এবং জঙ্গলের চারিপাশে তাদের কর্মচারীরা বন্দুক নিয়ে পাহারা দেওয়া সত্বেও হঠাৎ করে জঙ্গলের ভিতরে একটি মহিলা যাওয়ার সাথে সাথে সাপের কামড়ে মারা যায়। এখানে এই সাপে কাটাকে কেউ ইচ্ছা করেই ঘটিয়েছে সেটা সন্দেহ করছে ব্যোমকেশ। পরে ব্যোমকেশ কলকাতায় বাড়িতে ফিরে যায় এবং রামকিশোর বাবুর সাথে কথা বলে তাদের সেখানে থাকার জন্য এই রুম এর ব্যবস্থা করে দিতে বলে। এর পরে তারা একদিন আগে এসে সেই পুলিশ অফিসার পান্ডের বাড়িতে অবস্থান করে এবং সেই রাতেই ব্যোমকেশের রুমে কেউ একজন এসে গোখরো সাপ ছেড়ে দিয়ে যায়, যার বিষ ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে আর কামড় দিলেই সেখানে শেষ। ব্যোমকেশ সাপটাকে চালাকির সাথে ধরে নেয় আর একটি ব্যাগে ভরে দেয়। তবে এই সাপটা সেখানে একা একা এসেছে সেটা কিন্তু না আর ব্যোমকেশ এটা ভালোই বুঝেছে যে এটা অন্য কারো কাজ আর সে এখানেই আশেপাশে আছে। তবে এখানে মোহনলাল নামের একটি ব্যক্তির বিষয় সামনে এসেছে,কিন্তু এই মোহনলাল ব্যাক্তিটা কে সেটা তাদের কাছেও এখনো অপরিষ্কার। আবার যে ঈশান নামের একজন অধ্যাপক সেখানে পাথরে ফার্সি ভাষায় কিছু বিষয় লিখে গিয়েছে যেটা কিছুটা সাংকেতিক অর্থেও বুঝিয়েছে। এই সমস্ত রহস্য কিভাবে সামনে আসবে সেই অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ দাদা।