কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( পর্ব ১৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। গত পর্বে ছোট একটি স্থানের থেকে কিছু সৌন্দর্যময় আলোকচিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। আজকের আলোকচিত্রগুলিও আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই প্যান্ডেলটি মোটামুটি বেশ বড়ো ছিল আর দেখতেও অসাধারণ ছিল। তবে এই প্যান্ডেলের ভিতরে যাওয়ার জন্য যে গেটটি ছিল, সেটা দেখলে মনে হবে কোনো বিয়ে বাড়ির গেট সাজিয়েছে। আমি আসলে সত্যি বলতে প্রথমে সেটাই ভেবে বসেছিলাম যে এইটা বিয়ে বাড়ির গেট নাকি হা হা। তবে গেটটা সাজিয়েছে দারুন, সমস্তটাই ফুল দিয়ে সাজিয়েছে আর প্রতিটা শেপ একটা সার্কেল রাউন্ড করা, ফলে আরো বেশি সৌন্দর্যপূর্ণ লাগছিলো সবকিছু। সাথে লাইট ইফেক্টটাও দারুন ছিল।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
যাইহোক, ওখানে দাঁড়িয়ে খানিক্ষন ছবি তোলার পরে চলে গিয়েছিলাম প্যান্ডেলের দিকে। প্যান্ডেলটি শুধু দেখার মতো ছিল, মানে এতটাই দৃষ্টিনন্দন ছিল, যে মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো। ডিজাইনটাও যেমন অসাধারণ ছিল, তেমন কালারটাও খুবই সুন্দর লাগছিলো। প্যান্ডেলের গায়ে যেগুলো বেনীর মতো পাকানো দেখা যাচ্ছে, এইগুলো আসলে সাদা একধরণের কাপড়ের মাধ্যমে তৈরি করেছে। তবে এদের "অগ্রগামী সংঘের" এতো সুন্দর ডিজাইন সম্বন্ধিত প্যান্ডেলের থিমটাই যে কি ছিল, সেটাই জানার অনেক ইচ্ছা ছিল, কিন্তু জানতে পারেনি। এই প্যান্ডেলের আরো একটি সৌন্দর্য্যের কারণ হলো মুখোশ, মুখোশের ডিজাইনটাও বেশ মনোমুগ্ধকর ছিল।
PHoto by @winkles
এই প্যান্ডেলের গায়ে আরো বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন ছিল, যেমন- পাখির ডিজাইন তৈরি করা ছিল। এই ডিজাইনগুলো দেখলে মনে হবে যেন পাখিগুলো কোনো সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা। আর ব্ল্যাক কালারের মাধ্যমে দেখতেও অনেক সুন্দর ছিল। এইগুলো দেখে একটা বিষয় মনে হবে যে, পাখিগুলো যেন উড়ে এসে বসেছে, সমস্ত প্যান্ডেলের চারিদিকে এই ডিজাইনটা ফুটিয়ে তুলেছিল। তাছাড়া আরো অন্যান্য ডিজাইন ছিল, যেগুলোও পরিবেশের সৌন্দর্যটাকে আরো বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছিল।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এছাড়া প্যান্ডেলের গায়ে কিন্তু আরো একটা সৌন্দর্য্য দেখতে পাবেন, সেটা হলো একটি ঘোড়ার নিদর্শনও তুলে ধরেছিলো। ঘোড়াটা যেন তার নির্দিষ্ট গতিবেগে ছুটছে, এইরকমই একটা দৃশ্য এখানে তুলে ধরেছিলো। কারুকার্যগুলো অসাধারণ ছিল তাদের। এছাড়া প্যান্ডেলের ভিতরে আবারো গিয়ে কিছু মুখোশের ছবি দেখলাম, এই মুখোশগুলো আবার সাজিয়েছে কাপড়ের মাধ্যমে। মানে মাথার চারিপাশ দিয়ে একটা সার্কেল করে তৈরি করা আর আরো একটা বিষয় হলো যে, মুখের দুই সাইডে ফুলের ডিজাইন মতো করা ছিল, যেটা অনেক সুন্দর ছিল। এছাড়া ভিতরে আরো কিছু নিদর্শন ছিল যেগুলো আসলেই দেখতে মনোমুগ্ধকর ছিল, কিছু কিছু ডিজাইনে লাইট ইফেক্ট এর কারণে আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
প্যান্ডেলের ভিতরে একপাশে একটা হরিনের ছবি দেখতে পেয়েছিলাম, হরিনের যে দৃশ্যটা এখানে তৈরি করেছিল, সেটা দূর থেকে দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। যদিও এটি দূর থেকে তোলা, তাই এই হরিণটি মূলত কি দিয়ে তৈরি করা ছিল সেটা জানি না। এরপরে মায়ের মূর্তির সামনে চলে গিয়েছিলাম। দুই ধরণের লাইট ইফেক্ট-এ মূর্তিগুলো দেখতে ভালো লাগছিলো আর ব্যাকগ্রাউন্ড সহ ডিজাইনগুলো অনেক সুন্দর ছিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম |
তারিখ | ১৪ নভেম্বর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ দাদা কালী পুজোর দরুণ কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনি না শেয়ার করলে হয়তো আমাদের দেখা হতো না।অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন।
প্যান্ডেল টি দেখতে চমৎকার লাগছে দাদা।একদম চোখ ধাঁধানো সুন্দর যাকে বলে।আজকের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেস্ট ছিল।আমাদের দেশে এধরনের প্যান্ডেল খুব একটা দেখা যায়না।বেশ ব্যায় বহুল একটি ডেকোরেশন ছিল এটা।শিল্পীদের গুণের তারিফ করতে হয় আসলেই।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দাদা গত পর্বে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছিল। যাইহোক প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করার গেইট দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। একেবারে বিয়ে বাড়ির গেইট এর মতোই লাগছে। তবে প্যান্ডেলটি দেখে তো জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম দাদা। এমন দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল দেখে আসলেই চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। অগ্রগামী সংঘ এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে কালী পূজা উপলক্ষে। তাদের থিম কি ছিলো সেটা জানতে না পারলেও, ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। মুখোশের ডিজাইনটাও জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। প্যান্ডেলের গায়ে পাখি এবং ঘোড়ার নিদর্শন দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে দাদা। তাছাড়া ফুলের ডিজাইন এবং হরিণের দৃশ্যও চমৎকার লাগছে দেখতে। সবকিছু কতো নিখুঁতভাবে তৈরি করেছে। লাইটিং ইফেক্ট সবকিছুর সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এই পুজো প্যান্ডেলটা বেশ জাঁকজমক ভাবে সাজানো ৷ দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ৷ বিশেষ করে মণ্ডপের ভিতর নিদর্শন কারুকার্যগুলো আরো বেশি আর্কষনীয় লাগছে ৷ আর মায়ের প্রতিমা তো এক কথায় অসাধারণ হয়েছে ৷ ভীষণ ভালো ভালো আলোকচিত্র গুলো দেখে ৷ ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর অনুভূতি এবং আলোকচিত্র গুলো শেয়ার করার জন্য ৷ আপনার মাধ্যমে আরো একটি মায়ের মূর্তি এবং মণ্ডপের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পেরে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ
কালী পুজোর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো দাদা। গেটের অংশটি দেখতে সত্যি বিয়ে বাড়ির মত মনে হয়েছে। দাদা আপনিও নিজ দায়িত্তে বরযাত্রী হিসেবে ঢুকে পড়তেন। তাহলে একটা অন্যরকমের ফিলিংস আসতো। তবে দাদা যাই বলুননা কেন গেটের ডেকোরেশন দেখতে যেমন সুন্দর লাগছে তেমনি আকর্ষণীয় লাগছে। আর বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য গুলোও অনেক সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে ঘোড়ার প্রতিচ্ছবি, মুখোশ এগুলো দেখতে অসাধারণ লাগছে। প্যান্ডেলটি খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। লাইটিং আর ডেকোরেশন সব মিলিয়ে যেন একেবারে অন্যরকমের প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে পুজো প্যান্ডেল যদি একটু ভিন্ন রকমের হয় তাহলে দেখতে অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। দারুন সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অগ্রগামী সংঘের পুজো আয়োজন ছিল এক কথায় দারুন। সেই গেট থেকে শুরু করে একদম ভিতরের সব রকম কারুকাজ করেছে, তারা একদম চোখ ধাঁধানো। দারুন উপভোগ করলাম ছবিগুলো।
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে কালীপুজোর ১৪ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে, আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এই পর্বটা। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আপনার এই পোস্টগুলো। দেখতে দেখতে কালীপুজোর ১৪ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে দাদা। আর কালীপুজোর প্রত্যেকটা পর্ব আমি দেখেছি। প্রত্যেকটা পর্বের মাধ্যমে আপনি ভিন্ন ভিন্ন জায়গার প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করেছেন যেগুলো এক কথায় অসাধারণ ছিল। দাদা এই প্যান্ডেলটা দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ হয়েছি। সত্যি কথা বলতে আমি প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম আপনি হয়তো কারো বিয়েতে গিয়েছেন, সেই অনুভূতি শেয়ার করবেন। কিন্তু পরে টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছি, আপনি কালীপুজোর আরেকটা পর্ব শেয়ার করেছেন। গেট এত সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে যে, আসলেই বিয়ের গেটের মত লাগছিল দাদা। অনেক রকমের দৃশ্য দেখলাম আরো, যেগুলো ও অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। দাদা আপনি সবকিছু ফটোগ্রাফি এত সুন্দর ভাবে করেছেন দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কালীপুজোর অন্য পর্বগুলো আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।