দূর্গা পুজো ২০২৩ ( অন্তিম পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। আর এইটা ২০২৩ সালের মতো দূর্গা পুজোর শেষ আলোকচিত্র। এই শেষ আলোকচিত্রটিতে সব থেকে আকর্ষণীয় আর ভিন্নধর্মী একটি প্যান্ডেলের নিদর্শন তুলে ধরবো। এই প্যান্ডেলটি বেশ ভালো ইউনিক ছিল বনগাঁয় আমি যতগুলো দেখেছি সেগুলোর মধ্যে , এটা জাস্ট আমার কাছে মনে হয়েছে। আর এইটা বনগাঁর মুস্তাফি পাড়া নামক ভিতরের একটি স্থানে তৈরি করেছিল। আর এবারের থিমটাও ছিল যেমন আকর্ষণীয় আবার একটু ভয়ের বিষয়ও ছিল, বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য। এইবার যে থিমটা ছিল সেটা হলো "বালাগড়ের মহাশশান"।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
নামটাই শুনতে ভয় লাগার মতো পরিস্থিতি। আসলে বিষয়গুলো খুব অল্প পরিসরে হলেও সাজিয়েছিল বেশ মনোমুগ্ধকর লাগার মতো। মহাশশানের মতোই সমস্ত বিষয়গুলো সাজিয়ে তুলেছিল এখানে, দেখে যেন বাস্তবের মতোই লাগছিলো লাইট এফেক্টগুলো দেখে। প্রথমে দেখে সামনের থেকে ভেবেছিলাম যেন ইট দিয়ে তৈরি কোনো ক্লাব বা পুরানো কোনো বাড়ি হবে। আর সাউন্ড ইফেক্ট এতো ছিল যে ভয় পেয়ে যাওয়ার মতো, আমি নিজেই ভয় পেয়ে যাচ্ছিলাম অতো রাতে। সাউন্ডটা অনেক বেশ দিয়েছিলো। আর প্যান্ডেলটা সাজিয়েছে দেখে মনে হচ্ছে কোনো সত্যিকারের শশানঘাটে চলে এসেছি।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আসলে চারিপাশে পরিবেশটা এমন ছিল যে সেইরকম মনে হচ্ছিলো। আমি হয়তো অতটা লিখে বুঝাতে পারছিনা, কিন্তু সরাসরি যেন একটা এডভেঞ্চার বিষয় অনুভব হচ্ছিলো। সামনে, পিছনে, বামে, ডানে যেখানেই তাকানো হোক না কেন ভূতের মতো সব সেজে দাঁড়িয়ে আছে বা বসে আছে। ভূত সেজে সব যেমনটা করে তেমনই বিষয়টা উপস্থাপন করা। ভিতরে কিছু কিছু জায়গায় অর্থাৎ মণ্ডপের আশেপাশে একজনকে ভূতের মতো কালার করে সাজিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, আসলে এইগুলো শশানে গেলে যেমনটা অনেকসময় আমরা দেখি। পাশে একটু গাছপালা দিয়ে জঙ্গল মতো তুলে ধরেছিলো।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
তারপর কেউ শশানে দাঁড়িয়ে পাগল সেজে ভিক্ষা চাওয়ার মতো দাঁড়িয়ে আছে আর অন্যরা পাশে কাঠে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। কেউ আবার গলায় মাথার খুলি পড়ে তান্ত্রিক সেজে যজ্ঞ করছে ইত্যাদি এইরকম অনেক কিছুর চিত্র তুলে ধরেছে এই প্যান্ডেলের মাধ্যমে। এইসব দৃশ্যগুলো অনেক্ষন দেখার পরে মণ্ডপের দিকে চলে গিয়েছিলাম আর মায়ের মূর্তিগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছিলো, দর্শন করে পরে বেরিয়ে চলে এসেছিলাম। এই ছিল মোটামুটি এই প্যান্ডেলের স্বল্প কিছু আলোকচিত্র আর এই বছরের মতো শেষ দূর্গা পুজো দেখা ছিল এইটা।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | বনগাঁ |
তারিখ | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দূর্গা পুজা -২০২৩ নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন মন্ডপের ছবি ও বর্ননার শেষ পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। আপনার মাধ্যমে বিভিন্ন পুজা মন্ডপের অসাধারণ সব দৃশ্য দেখেছি। অসাধারণ সব থিম নিয়ে মন্ডপ গুলো তৈরি করা হয়। আজকেও শ্মশানের আদলে মন্ডপটি অসাধারণ লেগেছে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
দাদা ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর শেষ পর্ব টা দেখছি অনেক বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে। বিশেষ করে এই পুজোর থিমের নামটা শুনেই অনেক ভয় লেগেছে। আপনারও তো ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া সব কিছুকে এমন ভূতের মত সাজানো হয়েছে সত্যিই সরাসরি দেখতে তো ভয় লাগারই কথা। তবে পুরো থিমটা কিন্তু বেশ সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। আমার কাছে তো মনে হয়েছে এগুলো সাজাতেও অনেকদিন সময় লেগেছে। দাদা আপনাদের পুজো উপলক্ষে এত বিশাল আয়োজন গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আমি কিন্তু গতবারে আপনাদের একটা পুজো মণ্ডপে গিয়েছিলাম। তখন সেখানে এরকম বিভিন্ন ধরনের থিমস গুলো দেখতে পেয়েছি। সত্যি চারপাশে যদি এরকম ভূতের মত সাজানো থাকে তাহলে তো দেখতেও অদ্ভুত লাগে। যাইহোক আপনি কিন্তু অনেক বেশি উপভোগ করেছেন বিষয়গুলো। তাছাড়া ভয়ংকর থিমস হলেও কিন্তু আমার কাছে দেখতে ভালই লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে পুরো বিষয়গুলো আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আর আমরাও সবকিছুই উপভোগ করতে পারলাম।
দাদা আপনাদের দুর্গাপুজোর আলোকচিত্র গুলো আমার কাছে দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এক একটা পুজোর থিমস একেক ভাবে সাজানো হয়। তবে এই এই পুজো টার থিমস "বালাগড়ের মহাশশান"এই নামটা দেওয়াতে খুবই ভয় লেগেছে। আসলে শ্মশানের কথা শুনলে তো ভয় লাগবেই। তার উপরে আবার প্রত্যেকটা সাজানো হয়েছে একেবারে ভূতের মতো। তবে দাদা বিষয়গুলো ভূতের মত হলেও আমার মনে হচ্ছে এগুলো সাজাতে প্রায় অনেক দিন সময় লেগেছে। প্রত্যেকটা মূর্তি যেন সত্যিকারে দাঁড়িয়ে আছে। এই ধরনের আলোচিত সামনাসামনি দেখলে মনে হয় আরো বেশি ভয় মনে হবে। আপনিও তো দেখছি কিছুটা ভয় পেয়েছেন। তবে এইসব বিষয়গুলো কিন্তু আবার উপভোগ করতে ভীষণ ভালোই লাগে। যাক ২০২৩ সালের পুজোর শেষ পর্বটা কিন্তু ভীষণ ভালোভাবে উপভোগ করেছি। আপনাদের নতুন বছরের পুজোর পর্বগুলো নিশ্চয়ই দেখতে পারব। অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটা আলোকচিত্র তুলে ধরার জন্য।
দূর্গা পুজো ২০২৩ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু পূজো মন্ডোপের ফটোগ্রাফি ও বিভিন্ন তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি ও বিবরন পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।আজকের পূজো মন্ডোপ শ্মশানের আদলে করা। যা সত্যিই আকর্ষনীয় লেগেছে। আর খুব অন্য রকম লেগেছে।কিছুটা ভয় ভয় তো ছিলই।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এতো গুলো পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা ২০২৩ সালের দূর্গা পূজায়, অনেকগুলো ক্লাব এবং জায়গার প্যান্ডেলে ঘুরাঘুরি করে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তাইতো আমরা এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ পেলাম। যাইহোক "বালাগড়ের মহাশশান" নামক থিমের সাথে তাদের আয়োজন একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো ভয় লাগছে। বাচ্চারা আসলেই ভয় পেয়েছে মনে হচ্ছে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম দাদা। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি দাদা ২০২৩ সালের দুর্গা পূজার বেশ কিছু পর্ব শেয়ার করেছিলেন। তবে এইবারের পর্বটি সত্যি ভিন্ন ধরনের ছিল। যেহেতু সব গুলো ভূতের আলোকচিত্র এখানে আপনি শেয়ার করলেন। সত্যি তো দেখে আমি নিজেও ভয় পাচ্ছিলাম দাদা। বাচ্চারা তো ভয় পাওয়ার কথা। তবে ভিন্ন ধরনের কিছু বিষয় দেখতে পেলাম আপনার মাধ্যমে। এইবারের আলোচিত্র গুলো দারুন ছিল। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জী দাদা আপনার দূর্গা পুজো ২০২৩ এর অন্তিম পর্ব টি সত্যিই দারুন ছিল। যত গুলো পর্ব অতিক্রম হয়েছে এর মধ্যে এই পর্বটি ছিল সব থেকে সেরা। এই বছর দূর্গা পুজোতে বনগাঁর মুস্তাফি পাড়ার মানুষ ইউনিক একটি বিষয় নির্ধারন করেছিল। যার থিম ছিল বালাগড়ের মহাশশান। প্রথমে দেখায় মনে হয়ে ইট বালু দিয়ে বা পুরাতন কোন বাড়ির ভিতরে প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে। গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই কেমন ভয় ভয় লাগছিলো। যেমন থিম দিয়েছে তেমন লাইটিং তেমন সাউন্ড দিয়েছিল। গেইটের উপরে ও গেইটের মাঝ খানে দুইটি মমি দেখা যায়। তারপর ভিতরে বিভিন্ন জাগায় বিভিন্ন মানুষের মমি দেখতে পেলাম। আর মমি গুলো এমন ভাবে বানিয়ে সেটিং করা হয়েছে,যে দেখবে সেই ভয় পাবে। আপনিও ভয় পেয়েছেন,হে হে হে। প্যান্ডেলের ভিতরে উপরে কালো কাপড় পড়া মমিটা বেশি ভয়ানক ছিল। তারপর একজন তাত্রিককে দেখলাম অনেক গুলো মাথার খুলি নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে মন্ত্র পড়ছে। কেউ ভিক্ষে করছে,কেউ দাড়িয়ে আছে, কেউ মন্ত্র পড়ছে। নামের সাথে তাদের কর্মে মিল আছে। তারা প্যান্ডেলটা এমন ভাবে সাজিয়েছে যে সত্যিকারের শশানঘাট বুঝা যায়। প্রত্যেকটা মুভির শেষে যেমন চমক থাকে আপনি ২০২৩ দূর্গা পুজোর অন্তিম পর্বে সবাইকে চমকে দিলেন। ধন্যবাদ দাদা।
আমি নিজের কাছে বেশ কৃতজ্ঞ যে, আপনার শেয়ার করা এবার পুজো পরিক্রমার যতগুলো পর্ব ছিল সবগুলোই দেখার সুযোগ পেয়েছি। এবারের পর্বটিও বেশ ভালো উপভোগ করলাম। সব মিলিয়ে দারুণ ছিল দাদা।
"বালাগড়ের মহাশশান" থিমটা কিন্তু সত্যি একেবারে ব্যতিক্রম ছিল। পুজো প্যান্ডেলের অন্যান্য থিমগুলোর থেকে এই থিমটি একেবারে আলাদা ছিল। তবে অনেকটা ভয়ঙ্কর লাগছিল। ভিন্নতা থাকলেও সবকিছুর মাঝে আলাদা রকমের সৌন্দর্য ছিল। আর হঠাৎ করে বাচ্চারা দেখলে ভয় পাবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে এরকম দৃশ্যগুলো দেখলে সত্যিই অনেক ভয় লাগে। বনগাঁর মুস্তাফি পাড়া নামক ভিতরের একটি স্থানে সত্যি একটি ভিন্ন ধরনের পুজো প্যান্ডেলের আয়োজন করা হয়েছে। আসলে এরকম ভিন্নতা থাকলে অনেক ভালো লাগে।তবে এরকম আয়োজন সত্যি একেবারে হাতেগোনা খুবই সামান্য দেখা যায়। আসলে এদের আইডিয়া এবং থিম সবকিছু একেবারে নতুন ছিল। সাধারণত পুজো প্যান্ডেল গুলোর লাইটিং গুলো আর ডেকোরেশন গুলো আমাদেরকে আকর্ষিত করে। কিন্তু এরকম ভিন্ন ধরনের থিম ভাবতেই অনেক অবাক লাগছে দাদা। তবে যাই বলুন না কেন সবাই পুরো ব্যাপারটা অনেক উপভোগ করেছে বোঝাই যাচ্ছে। একেবারে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছে উনারা। শিল্পীর হাতের ছোঁয়া আর সবার দক্ষতা সত্যি ভিন্নতা এনে দিয়েছে। ডেকোরেশনটা দারুন লেগেছে দাদা। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।