ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ২: পর্ব ৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির সিজন ২ এর ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ক্যাট এন্ড মাউস"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, পৃথ্বীর ওয়াইফ সাবাকে মুখ্যমন্ত্রী চালাকি করে তার গলায় ছুরি ধরে বসে। এরপরে কি ঘটনা ঘটে সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
তো পৃথ্বীর ওয়াইফ সাবা যখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়, তখন মুখ্যমন্ত্রী ভালো ভালো কথা বলে তার মন নরম করে ফেলে। আর সে আবেগে পড়ে একপ্রকার তার বাঁধন খুলে দেয়। আর এই সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে বেরোনোর জন্য এই প্ল্যান করে। আর এদিকে পৃথ্বী সেই টানেলের ভিতর দেখতে চলে যায় যে, সেখান দিয়ে বেরোনোর অন্য কোনো সুড়ঙ্গের সাথে মিলিত আছে কিনা। এদিকে তার শালা আর সেই ওয়ার্ড বয় তাকে ছাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু দরজা কোনোমতে সে খুলতে চায় না, কারণ তার দাবি একটাই যে, সে বাইরে পুলিশের সাথে কথা বলতে চায় এবং সাবাকে তার সাথে নিয়ে যেতে চায়। এখন পথ একটাই খোলা ছিল যে সুপ্রিম্যানকে বন্দি করে রেখেছিলো, সে হেল্প করতে চায়। কারণ মুখ্যমন্ত্রী জানে না যে, সুপ্রিম্যানকে তারা ধরে রেখেছে, সে আগের মতো স্যুট কোট পড়ে চলে যায় আর দরজা খুলতে বলে।
এরপর অনেক বুঝানোর পরে দরজা খুলে বাইরে আসে এবং তখন সবাই মিলে তাকে আবার ধরে নেয়। ফাঁদে ফেলানো ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না তাদের হাতে। এরপর পৃথ্বী আসলে এইসব দেখলে রেগে যায় আর দেয় দুই থাপ্পড় বসিয়ে হা হা। তবে পৃথ্বী যে টানেলের ভিতর দিয়ে গিয়েছিলো সেটা বহু বছরের পুরোনো, বলা যায় ইংরেজ আমলের। তো টানেলের শেষ প্রান্তে গিয়ে দেখে আটকানো। এখন ওখানে একটা ছিদ্র মতো ছিল, তো সেটা ভেঙে পরের সুড়ঙ্গে যাওয়া যাবে আর তাই সে সেই সুড়ঙ্গ ভেঙে ফেলে। এখন এর পরে যে সুড়ঙ্গের বিষয়টা আসছে, সেটা অনেক গুপ্ত একটা রাস্তা। মানে এখান থেকে লুকিয়ে আগে যেমন যুদ্ধের সময়ে সবাই গুপ্ত মার্গ ধরে পালিয়ে যেত, তেমনটা। তো তাদের কাছে একটা এইরকমই ইংরেজ আমলের নকশা খুঁজে পায় যেটা দিয়ে বেরোনোর পথ আছে। এখন তার শেষ প্রান্তে কি অবস্থা সেটা জানা তাদের দরকার।
আর তাই সেই নার্সকে জায়গাটার নাম বলে দিলে সেখানে ছদ্দবেশে যায় এবং গিয়ে দেখে বাইরে অনেক পুরোনো একটি তালা ঝোলানো আছে। এখন এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বাইরে পুলিশ অফিসাররাও ওই একই নকশা ধরে ভিতরে যাওয়ার প্ল্যান করে। আর পৃথ্বীর বন্ধু একাই যায় ওখানে ওই সুড়ঙ্গের খোঁজ করতে অর্থাৎ সেটা কোথায় যাচ্ছে। এদিকে ভিতর দিয়ে যেমন পৃথ্বী বাইরে আসার জন্য চেষ্টা করছে আবার তেমনি অন্যদিক থেকে তার বন্ধুও তালা ভেঙে ভিতরে চলে যায়। এদিকে পৃথ্বীর সাথে সেই যখন ডক্টরের বাড়িতে হামলা করেছিল সেই সাইকো এই পর্বে হঠাৎ বের হয় আর তাকে সেই একটা ভিডিও অর্থাৎ যেটা মুখ্যমন্ত্রীর কুকীর্তির বিষয় রেকর্ড আছে। আর সেটা একজন সাংবাদিকের কাছে বিক্রি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে, কারণ এই ধরণের নিউজ দেওয়ার সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে যাবে।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
এই পর্বের নামটা দেখে বুঝতে পেরেছেন হয়তো, আসলে বিষয়টা এখন একটা বিড়াল- ইঁদুরের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিড়াল যেমন ইঁদুর শিকার করার জন্য তার পিছে পিছে দৌড়িয়ে বেড়ায়। এখানে পুলিশের সাথে পৃথ্বীর কাহিনীটাও কিছুটা এইরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পর্বে। এদিকে আবার শিখা নামের একজন ইনভেস্টিগেশন অফিসার পৃথ্বীকে ফোন করে তার সাথে দেখা করতে বলে। কারণ সে কিছু ফোন রেকর্ড আর মার্ডারের কেসের প্রমান পেয়েছে যেটা তার সাথে ডিসকাস করতে চায়। এখানে আবার তার ফাদার ইন ল এর সাথে জড়িত আছে। যেহেতু সে মারা গিয়েছে। এখন পৃথ্বী সেখান থেকে না বেরোলে কিছুই করতে পারছে না। এখন বিষয় হচ্ছে সুড়ঙ্গের ঠিক একদম মাঝখানে দুই বন্ধু চলে আসে। এখন দুইজনেই পথ খুঁজছিলো সেখানে অর্থাৎ একজন বেরোনোর এবং অন্যজন ভিতরে যাওয়ার। এখন হঠাৎ করে দুইজনেই মুখোমুখি হয়ে যায়। পৃথ্বী তো তাকে চিনে ফেলে কারণ তার মুখে কিছুই ছিল না, কিন্তু পৃথ্বীকে চিনতে পারেনি, কারণ তার মুখে মুখোশ পড়া আছে। এখন পৃথ্বী তার পরিচয় তার সামনে খুলে দেবে না কি করবে সেটা দেখার বিষয়। বিষয়টা এখানে বেশ জমে উঠেছে বলতে গেলে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৯/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দেখতে দেখতে হোস্টেজেস ওয়েব সিরিজটার প্রথম সিজন শেষ হয়ে দ্বিতীয় সিজনের ছয়টা পর্ব শেষ হয়ে গেলো। দাদা এই ওয়েব সিরিজের বেশ কয়েকটা পর্বে রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। তবে এই পর্বের আগের কয়েকটা পর্ব দেখা হয়নি। এই পর্বের নামটা কিন্তু পর্বের সাথে ভালোভাবেই মিলেছে। পৃথ্বী মুখোশ পড়ে থাকার কারণে ওই লোকটা দেখছি তাকে চিনতে পারিনি। কিন্তু পৃথ্বী তো তাকে বেশ ভালোভাবেই চিনে গিয়েছে। যেহেতু তার মুখে কোনো কিছু ছিল না এজন্য। তার সামনে কি পৃথ্বী নিজের পরিচয়টা দিবে নাকি দিবে না, এটা জানার জন্য অনেক আগ্রহ জন্মেছে। দাদা আশা করছি আপনি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে পরবর্তী পর্বটা শেয়ার করে নিবেন। কি হয় তা আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে ভালোভাবেই বুঝতে পারবো। ধন্যবাদ এই পর্বটার রিভিউ সুন্দর ভাবে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
দাদা আপনি প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করে যাচ্ছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ওয়েব সিরিজ যদিও দেখা হয় না, তবে আপনার রিভিউর মাধ্যমে আমি পড়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। হোস্টেজেস ওয়েব সিরিজটার অনেকগুলো পর্বের রিভিউ পড়েছি আমি। পুলিশের এবং পৃথ্বীর কাহিনীটা বুঝতে পারছি একেবারে বিড়াল এবং ইঁদুরের মতোই হয়েছে এখন। এখন দেখছি পৃথ্বী এবং ঐ লোকটা একে অপরের সম্মুখীন হয়েছে। পৃথ্বীর মুখে যেহেতু মুখোশ ছিল তাই অন্যজন তাকে চিনতে পারিনি, কিন্তু সে তো চিনে নিয়েছে ওকে। আমি তো এটা ভাবছি পৃথ্বী নিজের পরিচয় সামনে নিয়ে আসবে কিনা। আশা করছি তা জানতে পারবো পরবর্তী পর্বে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
এই পর্বটা তো আসলেই বেশ জমে উঠেছে দাদা। তবে পৃথ্বী তো অনেক বেশি চালাক,তাই তাকে মনে হচ্ছে না পুলিশ ধরতে পারবে। পৃথ্বী সুরঙ্গ দিয়ে ঠিকই বের হয়ে যাবে এবং শিখা নামের সেই ইনভেস্টিগেশন অফিসারের সাথে দেখা করবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।