ওয়েব সিরিজ রিভিউ: জাতিস্মর- দ্যা ফাইনাল ব্লো ( পর্ব ৬ )

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'জাতিস্মর' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা ফাইনাল ব্লো"। গত পর্বের লাস্ট দেখেছিলাম যে রূপকথা মেয়েটির ছোটবেলায় কিভাবে কে মেরেছিলো সেটার সত্যতা বেরিয়ে এসেছিলো। আজকে দেখবো এর পরের কাহিনী কোন দিকে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
জাতিস্মর
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
দ্যা ফাইনাল ব্লো
পরিচালকের নাম
সানি ঘোষ রায়
অভিনয়
মধুমিতা সরকার, রোহান ভট্টাচার্য, কৌশিক চক্রবর্তী, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, অনন্যা সেনগুপ্ত, মনোজ ওঝা ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২১ এপ্রিল ২০২৩ ( ইন্ডিয়া )
সময়
১৯ মিনিট ( ষষ্ঠ পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☬মূল কাহিনী:☬


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

রূপকথাকে মারার এইসব ঘটনাবলী তাদের গুরু মায়ের সামনে বলতে থাকে এবং এক্ষেত্রে অরণীর বাবা পরে তার ভুলটা বুঝতে পেরেছিলো, যে সে কত বড়ো ভুল এবং পাপ কাজ করেছে ওইটুকু একটা ছোট মেয়েকে মনের অজান্তে মেরে। সে ভুলটা বোঝার পরে এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে বা প্রাশ্চিত্ত করার জন্য পুলিশের কাছে নিজে থেকে ধরা দিতে চেয়েছিলো, কিন্তু অরণীর মা সেটা করতে দেয়নি, বারবার বাধা দিয়েছিলো এটা করতে। কারণ তার এই সিদ্ধান্তের জন্য সবকিছু ভেসে যাবে সংসারের, আর অরনীও সেই সময় অনেকটা ছোট ছিল, ফলে তার দায়িত্বও নেওয়ার ছিল। আর সব থেকে এতো বড়ো ব্যবসা সে না থাকলে ধংস হয়ে যেত। এক্ষেত্রে সবকিছু শুনে তাদের গুরুমাও বলে যে সে একদমই ঠিক করেছে, কারণ সংসার এর দিকেও তোমার অনেক বড়ো গুরুদায়িত্ব ছিল সেই সময়। এখন এই রূপকথার চালচলন দেখে তাদের গুরুমা পুরোপুরি শিওর যে এই জাতিস্মর হয়ে ফিরে এসেছে। আর এখন আবার এই রূপকথাও এই বাড়ির থেকে চলে যেতে চায় কলকাতার দিকে, কারণ এখানে বাড়িতে যতদিন থাকবে তার সাথে এই ঘটনাগুলো বা স্মৃতিগুলো বারবার মনে পড়তে থাকবে। তাই গ্রামের সেই ভাঙাগড়া মন্দির থেকে তার বাকি থাকা আরো কয়েকটা ছবি তুলে একেবারে ট্রেন ধরে বেরিয়ে যাবে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এদিকে গুরুমা সনাতনকে ডেকে এনে আরেকটা প্ল্যান করে যে এই রূপকথা যখন মন্দিরের দিকে যাবে তখন তাকে ফ্লো করতে এবং আবারো তোমাকে একটা কাজ করতে হবে অর্থাৎ তাকে আবারো মারতে হবে। সনাতন তো এমনিতেই ভয়ে আছে এইসব বিষয় নিয়ে। আর এতে অরণীর বাবা সম্মতি ঠিকঠাক না দিলেও তার মা সম্মতি দিয়ে দেয়। বাড়িতে একদিকে তারা পুজোর আয়োজন শুরু করে আর যজ্ঞাদি করতে থাকে। আর এদিকে রূপকথা বাড়ির থেকে একা একা একটা টোটো ধরে বেরিয়ে চলে যায়। এরপর সে যখন মন্দিরে পৌঁছিয়ে ছবি তুলতে থাকে তখন সনাতনও লুকিয়ে সুযোগ বুঝে তার গলা চেপে ধরে আর অনেক্ষন চেপে ধরার কারণে অলরেডি হাফ মরার মতো করে ফেলে এবং পরে আবার তাকে পলিথিন মুড়িয়ে বাকি নিস্বাশটুকুও শেষ করে দিতে চায়, তবে আসলে তাকে মারতে পেরেছে কিনা সঠিক জানা যায়নি। তবে সনাতন বাড়িতে অরণীর বাবা-কে ফোন করে বলে কাজ হয়ে গেছে আর তাকে সেখানে একা যেতে বলে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এরপর যজ্ঞের অনুষ্ঠান ছেড়ে একা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় আর সেই সাথে অরনীও রূপকথাকে ফোন করে পাচ্ছে না বলে সেও মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আর এই কথা শোনার পরে অরণীর মা এবং তার কাকা-কাকিমাও দ্রুত সেখানে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। অলরেডি অরণীর বাবা সেখানে পৌঁছিয়ে যায় এবং যেতে যেতে সন্ধ্যাও হয়ে যায় আর সনাতনকে ফিস ফিস করে সরু গলায় ডাকতে থাকে কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পায় না তার কাছ থেকে। কিছুক্ষন পরে পিছন থেকে রূপকথা যেন একটা ঘোস্ট এর ভাবমূর্তি নিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ায় আর তাকে দেখে তো তার মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা। এরপরে রূপকথা তার মুখের উপরে গিয়ে বলতে থাকে আমাকে মারলে কেনো। এই কথাটা বারবার বলতে থাকে।


☬ব্যক্তিগত মতামত:☬

কাহিনী আসলে অলরেডি শেষের পর্যায়ে এসে গেছে, গত পর্বে তো মোটামুটি রহস্যের গোড়া উন্মোচন হয়ে গেছে আর আজকে সেই ঘটনাকে আবার পুনরায় ঘটতে গেছে। যে ভুলটা করেছিল তাকে ছোট বেলায় মেরে আবারো এতো বছর পরে এসে তাকে মারার সেই ভুলটা পুনরায় করতে গেলো। তবে সম্ভবত মারতে পারলেও কিছু করতে পারবে না, কারণ রূপকথা মেয়েটি যদি সত্যিই জাতিস্মর হয়ে ফিরে আসে, তাহলে তাকে মারা আর না মারা কি। সে বারবারই জাতিস্মর হয়ে সামনে আসবে। এই ঘটনার শেষ পরিণতি এসে গেছে, এখন তারা যে তাকে মেরেছিলো তার জন্য তাদের কি হবে সেইটা দেখার পালা, হয়তো যে কেসটা বন্ধ হয়ে গেছিলো, সেটি আবার ওপেন করে তাদের শাস্তি দিতে পারে কিংবা রূপকথাই তাদের শাস্তি দিতে পারে। বাকি ইতিহাস পরিবারের বাকিরা সেখানে পৌঁছালে জানা যাবে কি হতে চলেছে, কারণ এই ঘটনাগুলো অরণীর মা ছাড়া আর বাড়ির কেউ জানতো না, ফলে বাকিদের রিএকশন ভয়ঙ্কর হতেও পারে, বিশেষ করে অরণীর।


☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৯/১০


☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দাদা আজকে আপনি জাতিস্বর মুভিটির ষষ্ঠতম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর এই মুভিটির এই পর্বের নাম ছিল দ্যা ফাইনাল ব্লো। এই পর্বটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এখানে তো দেখছি তারা আবার রূপকথাকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে। যেহেতু সে জাতিস্বর হয়ে ফিরে এসেছে তাই তাকে মারলেও যা না মারলেও কিছু হবে না। এখানে তো দেখছি অরণীর বাবা মন্দিরে আসার পরে রূপকথা তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু সনাতন তাকে ফোন করে বলেছিল কাজ হয়ে গেছে তাই রূপকথা ওনার সামনে আসার পর তিনি অনেকটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন মনে হয়। এখন তো পরিবারের অন্যদের রিএকশন দেখার জন্য আমারও অনেক বেশি উৎসাহ হচ্ছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন দাদা।

 last year 

দাদা এই ওয়েব সিরিজ টির পর্বগুলো যত পড়ছি ততই রহস্যময় হচ্ছে। তবে এই পর্বে অনেক কিছুই খোলাসা হয়ে পড়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম রূপকথাকে আবারো মারার জন্য তারা প্ল্যান করেছে এবং মেরে ফেলেছে সনাতন। রূপকথা কে না মারলেও কিছু হবে না, আবার মারলেও কিছু হবে না কারণ সে তো জাতিস্মর হয়ে ফিরে এসেছে। এখন যদি থাকে এভাবে বারবার মারা হয় আমি মনে করি সে সব সময় জাতিস্মর হয়ে ফিরে আসবে যতটুকু বুঝলাম। পরিবারের বাকিরা তো মন্দিরে পৌঁছানোর আগেই পর্বটা শেষ হয়ে গেল। এখন তো ভাবছি পরিবারের সবাই যখন পৌঁছাবে তখন কি হবে। বিশেষ করে অরণীর অবস্থা কিরকম হবে এটাই ভাবছি। আমি তো ভাবছি রূপকথা কি তাদেরকে শাস্তি দেবে নাকি, পুরনো কেসটা আবারও ওপেন করে তাদেরকে পুলিশকে দিয়ে শাস্তি দেবে। অনেক বেশি আগ্রহী কিন্তু আমি পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য। এমনিতে আমি অবশ্যই চেষ্টা করব এই ওয়েব সিরিজটা দেখার জন্য। যাই হোক দাদা আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম।

 last year 

এই ওয়েব সিরিজের কথা পর্বে দেখলাম সবকিছু জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখন ছোট্ট মেয়েটা কে মেরে ফেলেছিল এখন আবারও দেখছি রূপকথাকে মেরে ফেলতে চাইলো। বলতে গেলে দ্বিতীয় বার মেরে ফেললো রূপকথাকে। এতে দেখছি গুরু মা সনাতনকে ডেকে রূপকথা কে মারার কথা বলল। তবে যতই মেরে ফেলতে চাক না কেন সে যেহেতু জাতিস্মর হয়ে ফিরে এসেছে কোনভাবেই মরবে না। তবে আবারো রূপকথা কে দেখে অরনির বাবা চমকে গেল। পরবর্তী পর্বে কি এই খুনের শাস্তি পাবে? এটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

ঠিকই ধরেছি আসলে রূপকথা জাতিস্মর হয়ে ফিরে এসেছে। তাকে যতই মারার চেষ্টা কর কোন লাভ হবে না। যে মেয়েটা ছোটবেলায় মেরে ফেলার পরেও ফিরে এসেছে তাকে এখন আবার মেরে ফেললেও সে কিন্তু মারা যাবে না। আর এখানে অবাক লাগলো গরু মা নিজে আবারও সনাতন কে ডেকে রূপকথা কে মেরে ফেলতে বলল। আর রূপকথাকে আবারও সনাতন গলা টিপে মেরে ফেলল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখছি অরণীর বাবার সামনে আবারও রূপকথা এসে দাঁড়ালো। বিষয়টা কিন্তু সত্যিই আশ্চর্যকর। তবে এই রিভিউটা করে ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বে কি হবে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

দাদা গল্পটা মোটামুটি শেষের দিকে চলে এসেছে। পরের পর্বে হয়তো কাহিনীটা কিভাবে মিল দিবে সেটা দেখা যাবে। গল্পে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো রূপকথা মেয়েটি এমনি মৃত। তাকে আবার মারতে গিয়েছে,হি হি হি। যায়হোক হত্যা করার শাস্তি কি হয় বা অরণীর মার কি হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। হয়েতো পরের পর্বে সেট সম্পূর্ণটা জানা যাবে। ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

ওয়েব সিরিজ রিভিউ পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। এই ওয়েব সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যদিও গত পর্ব পড়ে জেনেছিলাম সবকিছুই সবার সামনে চলে এসেছে। সেই ছোট্ট মেয়েটির মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। অরণীর বাবা এই খুনের জন্য দায়ী ছিল। কিন্তু অবনীর মায়ের অনুরোধে তিনি সবকিছুই লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরবর্তীতে আবারও রূপকথাকে মারতে চেয়েছিল এটা সত্যি একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তবে যদি রূপকথাকে মারা হত তবুও রূপকথা বারবার ফিরে আসতো। কারণ সত্য মোচন করার জন্য এবং সবকিছু সবার সামনে আনার জন্য জাতিস্মর হয়ে ফিরে এসেছে সে। দেখা যাক পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এই বিষয়টি নিয়ে কি রকম সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66914.48
ETH 3341.32
USDT 1.00
SBD 2.72