কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( অন্তিম পর্ব )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্ব অন্তিম পর্ব। এই পর্বে ভালো একটি জাকজমকপূর্ণ প্যান্ডেলের আলোকচিত্র তুলে ধরবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই পুজোটা মধ্যমগ্রামের একদম শেষ দেখা ছিল আর এইটা রাত মানে ভোর ৪ টায় শেষ করে ফিরেছিলাম। এই প্যান্ডেলটি আমার কাছে সত্যি বলতে এক দেখাতেই অসাধারণ লেগেছিলো, লাইটিং কালারটা এক কোথায় অসাধারণ ছিল। এই প্যান্ডেলটি মূলত সাজিয়েছিল আদিবাসীদের নিয়ে। এই প্যান্ডেলটি কিন্তু আদিবাসীদের কাবিলা মতো দেখতেই তৈরি করেছিল। এইটা দেখলে আপনারাও বুঝতে পারবেন। প্যান্ডেলের আকারে মূলত এই বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। প্যান্ডেলটির উচ্চতাও ছিল কিন্তু ভালোই, সবথেকে প্যান্ডেলটি যেভাবে ডিজাইন করেছে এইটা ছিল মূল আকর্ষণের আর মুগ্ধ করার মতো একটা বিষয়। প্যান্ডেলের উপরে একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, একজন আদিবাসীর মতো দেখতে বসিয়ে দিয়েছে। এইটা অনেক সুন্দর ছিল।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপরে দেখেছিলাম এক সাইডে একজন আদিবাসী লোক একটা শিশুকে কোলে করে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই আদিবাসীদের এই বিষয়গুলো এখানে স্পষ্টভাবে কিন্তু তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। এরপরে আরো একজন আদিবাসীকে দেখেছিলাম এখানে শিকার করছে এমন একটা বিষয় এখানে তুলে ধরেছে। মূর্তিগুলো একদম পারফেক্ট হয়েছে বলতে গেলে। আর একজন আদিবাসী যেভাবে শিকার করে থাকে বন-জঙ্গলে একদম তীরধনুক নিয়ে সেইভাবে যেন প্রস্তুত নিয়ে আছে সামনের দিকে। এরপরে আরো একটা আদিবাসীকে দেখতে পাচ্ছেন বসে আছে, এটা কিন্তু তাদের কাবিলার সরদার, আদিবাসীদের কাবিলাতে সরদার এইভাবে বসে থাকে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপরে দেখতে পাবেন যে, এখানে সারিবদ্ধভাবে কিছু আদিবাসী নারী এবং পুরুষ একসাথে দাঁড়িয়ে আছে, চলছে এবং কেউ শিকার করার জন্য তীরধনুক নিয়ে প্রস্তুত নিচ্ছে। এরপরে প্যান্ডেলের ভিতরের দিকে যাওয়ার সময়ে আদিবাসীদের মতো দেখতে কিছু নকশার ডিজাইন তুলে ধরেছিলো। ডিজাইনগুলো যেন দেখতে অনেকটা আদিম কালের মতো ছিল। এরপরে আরো একটা বিষয় তুলে ধরেছিলো যে, আদিবাসীরা জঙ্গলে গিয়ে যে প্রাণী শিকার করে এনেছিল সেটা সবাই একসাথে দলবদ্ধ হয়ে আগুনে ঝলসাচ্ছে এবং পরে সেটি সবাই খাবে তার প্রস্তুতও নিচ্ছে। এইরকম একটা বিষয় এখানে তুলে ধরেছিলো। এইটা আমার কাছে দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লেগেছিলো, বিশেষ করে লাইটিং ইফেক্টটা পারফেক্ট ছিল এখানে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপরে একদম প্যান্ডেলের ভিতরে চলে গিয়েছিলাম, আর এখানে উপরে একটা ঝাড়বাতির মতো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। সব থেকে ভালো লাগার মতো বিষয়গুলো ছিল ওর ভিতরে। আসলে ভিতরে লাইটিংটা এতটাই পাওয়ারফুল ছিল যে ফোনের ক্যামেরা দিয়ে তুললে শুধু বিষয়গুলো বাদে কালারটাই উঠবে। বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল। এরপরে দেয়ালের গায়ে আদিবাসীদের আরো কিছু ছোট ছোট ডিজাইন ছিল, যেগুলো দেখলে শুধু কাঁচা মাটি দিয়েই তৈরি করেছে। তবে এটা ভাবলেও ভুল হবে না, কারণ এইরকমটাই ছিল, এখানে কালার ছাড়াই অনেক কিছু তুলে ধরেছিলো একটা অন্যরকম ভাবে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
যাইহোক, এরপর সব শেষে মায়ের মূর্তির কাছে চলে গিয়েছিলাম। এখানে তারা বিষয়টা অন্যরকম ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল, একটা আলাদা আকর্ষণ লাগার মতো বিষয় ছিল এখানে। এখানে মূর্তিগুলো বা পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড এর কথাই যদি বলি, তাহলে বলবো, অন্যান্য যত কালার করা মূর্তি দেখেছি, এইটা অন্যরকম দেখে একটা আলাদা ফিলিংস কাজ করছিলো মনের ভিতরে। মায়ের মূর্তি বা পাশে আরো যেসব মূর্তি তৈরি করেছে এই শুধু মাটির উপরেই ডিজাইনটা ভালো লাগছিলো। তবে যাইহোক, শেষ পুজোটা বেশ ভালো লেগেছিলো সবকিছু দেখে আর আদিবাসীদের অনেক কিছুই এখানে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম |
তারিখ | ১৪ নভেম্বর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
দাদা দেখতে দেখতে কালীপুজোর অন্তিম পর্ব চলে আসলো। প্রত্যেকটা পর্ব আমার দেখা হয়েছে সত্যি অনেক ভালো লাগতেছে এখন। ভোর চারটায় শেষ প্যান্ডেলটা দেখে বাড়ি ফিরেছিলেন। এই প্যান্ডেলটা ছিল সবথেকে বেশি অসাধারণ এবং মনোমুগ্ধকর। এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্র গুলো দেখেই তো আমি চোখ ফেরাতে পারছিলাম না দাদা। আদিবাসীদের নিয়েই প্যান্ডেলটা করা হয়েছে। আদিবাসীদের মতো করে অনেকগুলো মূর্তি তৈরি করেছে দেখছি। মূর্তিগুলো দেখতে কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর লাগতেছে। বিভিন্নভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বসে থাকা অবস্থায় আদিবাসীদের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। আর আপনি ভিন্ন ভিন্নভাবে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে দাদা এটা কিন্তু সত্যি প্রত্যেকটা মূর্তি একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। আর আপনি এত সুন্দর করে এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্র গুলো শেয়ার করেছেন দেখেই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্র গুলো সবার মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কালী পুজো নিয়ে আপনি, যে সিরিজ ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন দাদা, তা অনেক ভালো লেগেছে। নান্দনিক সব আইডিয়া ও থিমের প্যান্ডেল দেখতে পেয়েছি আপনার মাধ্যমে। আদিবাসীদের উপর থিম করে আজকের শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি গুলোও নান্দনিক। আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে প্যান্ডেলটিতে। আশাকরি আগামীতেও আপনার কাছ থেকে এধরণের ফটোগ্রাফি পাবো। আপনার জন্য শুভ কামনা। ফটোগ্রাফি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
প্রিয় দাদা, আপনি কালী পূজার অন্তিম পর্বের অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কালীপুজোর সব কয়টি ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। চমৎকার একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ্! প্যান্ডেলটি তো দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগছে দাদা। লাইটিং কালারও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। আদিবাসীদের মূর্তি গুলো এতোটা নিখুঁতভাবে তৈরি করেছে, দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। দেখে মনে হচ্ছে তারা সত্যি সত্যিই তীর-ধনুক দিয়ে প্রাণী শিকার করছে। তারপর দলবদ্ধ হয়ে বসে শিকার করা প্রাণী আগুনে ঝলসিয়ে খাবে। থিমটা দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি দাদা। তাছাড়া প্রতিটি জিনিস একেবারে পারফেক্ট ভাবে করেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি বরাবরের মতোই চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। দেখতে দেখতে এই সিরিজের শেষ পর্ব শেয়ার করে ফেলেছেন আমাদের সাথে। সম্পূর্ণ সিরিজটি বেশ উপভোগ করেছি। যাইহোক সবসময় এতো সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।
কালী পূজার প্যান্ডেলের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো আসলে। এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। আদিবাসীরা তাদের ছেলেমেয়েদের কোলে নিয়ে বসে আছে সেই দৃশ্যগুলো ফুটে উঠেছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন আর বর্ণনা করে। অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। প্যান্ডেল গুলো এতো সুন্দর ভাবে সাজানো হয় যা দেখে সবারই ভালো লাগবে।
দেখতে দেখতে কালী পূজার আলোচিত্রের অন্তিম পর্ব চলে আসলাম আমরা। এখানে আদিবাসীদের বিষয়গুলি দারুণভাবে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। বিশেষ করে লাইটিং গুলো ছিল একদম অসাধারণ। আর পূজা প্যান্ডেলে দেখছি আপনি দারুন মজা করেছেন। আর সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন যেগুলো আমাদের মাঝেও শেয়ার করেছেন। দাদা সুন্দর কিছু অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কালী পূজার বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে এত ভালো লাগলো। যা বলার মতন না।আসলে দাদা আপনি খুবই দক্ষতার সাথে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আর এত সুন্দর ভাবে এই প্যান্ডেল গুলো সাজিয়েছে যা দেখে যেন চোখ ফেরাতে যায় না। আদিবাসীদের জীবন কাহিনী এই দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তুলেছে দেখে ভালো লাগলো।
দেখে তো মনে হচ্ছেই বেশ ভালইভাবে ইনজয় করলেন আপনি। যেহেতু একেবারেই ভোর চারটার দিকে ফিরছিলেন পূজার প্যান্ডেল থেকে। আদিবাসী স্টাইলের পুজোর প্যান্ডেল দেখতে অসাধারণ হয়েছে দাদা। কাবিলা স্টাইলের এমন সুন্দর কিছু দৃশ্য বেশ ভালই উপভোগ করলেন। বিশেষ করে লাইটিং গুলো অসাধারণ ছিল। এত সুন্দর প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি শেয়ার করলেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখতে দেখতে সবগুলো পর্বই বেশ ভালোভাবে উপভোগ করলাম দাদা, একদম ভোররাতে গিয়েও যে সেখানে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন, তা কিন্তু আপনার সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলোর মাঝেই দেখতে পাচ্ছি।
শুভেচ্ছা রইল।