শিম, বেগুন, আলু দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি টেংরা মাছের তরকারি রান্না করেছি, তবে আজকের রান্নাটি ৩ রকমের সবজি মিক্সারে করেছি। এই টেংরা মাছগুলো ছোট ছোট আর এইগুলো নদীর টেংরা মাছ। আর সবার জানা আছে আসলে নদীর টেংরা মাছের স্বাদ কেমন সে ছোট হোক বা বড় হোক। বরং এই ছোট টেংড়াগুলো খেতে আরো বেশি মজা কারণ ছোট টেংড়াগুলো ভাজা করলে খেয়ে বেশি মজা পাওয়া যায়। আর এই সবজি হিসেবে আমি শিম, বেগুন আর আলু দিয়ে তৈরি করেছিলাম। শিম খুবই মজাদার একটা তরকারি, শিম অন্য দুই তরকারির মতো বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। শিম আমার কাছে ভর্তা, ভাজা করে খেতে বেশি ভালো লাগে। তরকারীতেও লাগে কিন্তু খুবই কম খাওয়া হয়ে থাকে। শিম এর একটা জিনিস খেতে বেশি টেস্ট লাগে সেটা হলো বীজ, তরকারিতে যেমন টেস্ট আবার শুকনো বা কাঁচা অবস্থায় ভাজা করে খেতে সেই টেস্ট লাগে। শিম এর বীজ আমি খুব ভালোবাসি খেতে। আর এখন এই তিনরকম সবজি দিয়ে তরকারিটা এতো মজার হয়েছিল তা সেটা বলে বোঝাতে পারবো না, আসলে না খেলে বলে বোঝানো যায় না স্বাদের বিষয়টা, খুবই টেস্টি হয়েছিল। যাইহোক এখন এই মজাদার রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
♨প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:♨
☛এখন রেসিপিটি যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆
➤টেংরা মাছগুলোকে ভালো করে কেটে নিতে হবে ( কেনার সময় একেবারে কাটিয়ে নিয়েছিলাম ) এবং পরে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিচ করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤বেগুনটিকে কেটে পিচ তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর শিমগুলোকে কেটে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কুচি করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা টেংরা মাছের গায়ে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤টেংড়াগুলোকে ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলোকেও ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।
➤বেগুনের পিচগুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর কেটে রাখা শিম ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দিয়ে দেওয়ার পরে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম। পেঁয়াজ কুচি একটু ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ কুচি ভাজা হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা শিম আর বেগুন দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤সব ভাজা উপাদান দেওয়ার পরে তাতে লবন, হলুদ আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। একসাথে নেড়েচেড়ে সব মিশিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
➤জল দেওয়ার পরে তরকারিটা কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম তরকারিগুলো সেদ্ধ মতো হয়ে আসার জন্য। এরপর তাতে ভাজা টেংরা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিটা পুরোপুরি হয়ে আশা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।
➤দেরি করার পরে তিন রকম সবজি দিয়ে মজাদার একটা রেসিপি পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেছিলো এবং আমি তখন তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। আর এই সুস্বাদু রেসিপিটা এখন পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে। আপনারাও বাড়িতে এইভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। এই তরকারির স্বাদটা যেন একবার খাওয়ার পরেও এখনো ভুলতে পারছি না, খুবই মজাদার।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
প্রিয় দাদা♥
আপনার শিম, বেগুন, আলু দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি দেখে আমি অভিভূত হলাম।খুবই সুন্দর করে আপনি টেংরা মাছের সাথে সবজিগুলো দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে বরাবরের মতই।বাবার কাছে গল্প শুনেছিলাম টেংরা মাছ নাকি অনেক বেশি স্বাদের হয়ে থাকে। এবং এটি সত্যিই সুস্বাদু একটি মাছ।
আমার মা যখন টেংরা মাছ রান্না করতো এবং পরিবেশন করত তখন এর কালার টা এত সুন্দর দেখাতো যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না সত্যিই খুবই চমৎকার একটি কালার হয়।এবং এই মাছটি যথেষ্ট স্বাস্থ্যসম্মত।এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রিয় দাদা♥
টেংরা মাছ অনেক মজার একটি মাছ। বিশেষ করে সবজি দিয়ে টেংরা মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। বাজারে এখন মাছের অনেক দাম। বিশেষ করে রমজান মাসের জন্য মাছের বাজারে আগুন জ্বলে। তবে বাজারে যে চাষের টেংরা পাওয়া যায় সেগুলোর চেয়ে নদীর টেংরার আলাদা স্বাদ।
দাদা, আপনি অসাধারণ ভাবে আলু বেগুন ও শিম দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করেছেন। আপনি ঠিকই বলছেন দাদা শিমের মধ্যে শিমের বিচি অসাধারণ লাগে। বিচিতে কামুর দিলেই আলাদা একটা মজা পাওয়া যায়। আলু বেগুন শিম টেংরা মাছের রেসিপিকে একদম মজিয়ে ফেলেছে। দেখতে অনেক আকর্ষনীয় লাগছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা, এই অসাধারণ রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য। 💞
ওয়াও ভাইয়া👌 অসাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজকে। টেংরা মাছ শিম বেগুন আলু দিয়ে খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি করেছেন। টেংরা মাছের তরকারি সত্যি খুব সুস্বাদু হয়। রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। কারণ দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোট টেংরা মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। নদীর টেংরা মাছ হলে তো কথাই নেই। নদীর যে কোন মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ভাইয়া আপনার রেসিপি গুলো খুবই সুস্বাদু হয় কারণ আপনি সবগুলো সবজি ও মাছ ভেজে রান্না করেন। এইজন্য সবার থেকে আপনার রেসিপি গুলো আলাদা হয় এবং কালার টা খুব সুন্দর হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ঠিক বলেছেন দাদা👍,আমি ও শিমের দানা ভেঁজে খেতে খুব পছন্দ করি।এই টেংরা মাছ ছোট হলেও ভারী টেস্টি খেতে।সত্যি বলতে সবথেকে স্বাদের মাছ টেংরা মাছ।আর এই মাছ আমাদের বাড়িতে আনলে আমি খুবই মজা করে খাই।এই মাছের ডিমের উপর আমার আলাদা একটা অধিকার আছে।অনেক সবজির সমন্বয়ে রেসিপিটি তৈরি করেছেন দাদা তাই এটি খুবই পুষ্টিকরী।আপনার রেসিপিটি খুবই সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে👌👌।দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে, ধন্যবাদ দাদা।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
দাদা নদীর ছোট ছোট মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর যদি হয় নদীর টেংরা মাছ তাহলে খেতে অসাধারণ লাগে। কারণ আমরা নদীর মাছের স্বাদ সকলেই জানি। আসলে নদীর মাছ ছোট হোক বা বড় মাছ হোক খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। আমি নদীর মাছ খেতে অনেক পছন্দ করি। আর নদীর মাছ যদি টেংরা মাছ হয় তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে। শিম, বেগুন, আলু দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি অসাধারণ হয়েছে দাদা। আপনার তৈরি করা এই মজার রেসিপি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। বিভিন্ন প্রকারের সবজি দিয়ে এভাবে যদি টেংরা মাছ রান্না করা হয় তাহলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতা সবসময়ই আমার কাছে ভালো লাগে। কারণ আপনি একজন সেরা রন্ধনশিল্পী এটা আমরা সকলেই জানি। আর আপনার রন্ধনশিল্পের দক্ষতা বরাবরই অনেক ভালো। তেমনি আজকেও আপনি আপনার রন্ধনশিল্পের দক্ষতায় মজার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️
ছোট টেংড়াগুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে দাদা। কারণ এই ছোট টেংরা মাছ গুলো ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি যদি সবজি দিয়ে রান্না করা হয় তাহলেও খেতে ভালো লাগে। নদীর ছোট মাছগুলো আমার কাছে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমরা বাঙালিরা নদীর মাছ খেতে বেশি পছন্দ করি। কারন নদীর মাছের প্রতি আমাদের আলাদা ভালো লাগে রয়েছে। বাঙালির মাছের প্রতি আলাদা এক রকমের লোভ রয়েছে। আর যদি হয় নদীর ছোট মাছ বা টেংরা মাছ তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে খেতে। তেমনি আজকে আপনার তৈরি করা টেংরা মাছ ও বিভিন্ন প্রকার সবজির রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে দাদা। অনেকদিন হয়ে গেল টেংরা মাছ খাওয়া হয় না। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে আমারও ইচ্ছে করছে টেংরা মাছ খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা অনেক মজার একটি রেসিপি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। 😍😍😍😍😍😍
মাছের মধ্যে টেংরা মাছ আমার খুব ফেভারিট।এই মাছটা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। শিম বেগুন আলু দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে টেংরা মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে ।।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি অনেক মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। টেংরা মাছ বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লাগে আর এই টেংরা মাছ যদি সিম আলু ও বেগুন দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আপনার এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ইউনিক লেগেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেকে মাছের সাথে সবজি,তরকারি এসব খুব একটা পছন্দ করেনা।তবে আমার আবার বেশ ভালো লাগে এভাবে করে একসাথে বেশ কিছু সবজি দিলে।
আমি আজকে টেংরা দিয়ে ধুন্দুলের রেসিপি খেয়েছি।আমার ফুফি এনেছে নদীর মাছ,সেই স্বাদ।দাদা আপনার বেগুন,শিম দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি খেতে অনেক দারুন হয়েছে।কালারটা বেশ দারুন এসেছে।এভাবে একদিন তিনধরনের সবজি দিয়ে খেয়ে দেখতে হবে।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো।