ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কারাগার ( সিজন ২ - পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির সিজন ২ এর চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা ফাদার"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, ডেভিড দ্রুত টানেলের মাধ্যমে সেখান থেকে বেরোনোর কোনো উপায় খুঁজতে লাগে রাজুর সাথে পরামর্শ করে। এই পর্বে দেখা যাক কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
মূলত এই পর্বে দেখানো হয় কিছুটা ব্যাকডেটেড বিষয়। যেমন, এখানে একদিন ডেভিড আর তার বন্ধু আলফ্রেড একটি গ্রামে যায় তার মায়ের খোঁজ করতে আর তার মায়ের নাম জানতে পেরেছিলো যে, সুফিয়া কামাল। এখন যে গ্রামে থাকার সন্ধান পেয়েছিলো তারা সেখানে গিয়ে একজনের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলে সেখানে আর থাকে না। এরপরে যে কাহিনীটা সামনে আসে যে, ডেভিড মূলত যে লোকটাকে বের করার জন্য এই জেলে ঢুকেছিলো সেই লোকটার উকিল তাকে কোনো উপায়ে সেখান থেকে বের করতে পারছে না। এই লোকটা মূলত বাইরের থেকে বাংলাদেশে ঢোকার সময়ে জাল পাসপোর্টে ধরা খায়। এখন এই লোকটাকে মূলত ছাড়ানোর জন্য অনেক বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো ডেটেই তার কেস সুরাহ হয় না।
এক্ষেত্রে তার উকিলের সাথে আবার বলে দেয় যে, তাকে ছাড়ানোর জন্য একজন জেলের ভিতরে এসেছে। উকিলটাও বলে যে হ্যা, তারাই আপনাকে ওখান থেকে বের করবে। এতে বোঝা যায় যে, ডেভিডেরই লোক এই উকিলটা। এখন এই কথা শুনে লোকটার মুখে হাসি ফোটে, কারণ বহু বছর পরে তার মনে হয়েছে না যে এইবার বাইরের আলো হয়তো দেখতে পাবো। এখন তাকে তাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে বলে। এখন ডেভিড মূলত মাঝে মাঝে এই জেল থেকে বেরিয়ে তার মাকে দেখতে যেতে চায়, কারো সে অসুস্থ। তবে তালা খোলার জন্য যে তার ছিল সেটাতো তারা নিয়ে নিয়েছে আর এখন আবার একটা ম্যানেজ করতে হবে। তবে রাজু ছাড়া এই কাজটা এখন কেউ করে দিতে পারবে না, কিন্তু রাজুও ম্যানেজ করতে পারছে না এই বিষয়ে, পাহারা একটু কড়া করে দিয়েছে।
এরপরে দেখা যায় যে, সেই মাহাকে আবার ডেকে নিয়ে আসে মোস্তাক তার সাথে কথা বলার জন্য। কিন্তু মাহা তার সাথে একা কথা বলতে চায়, ডেভিডও গোঁ ধরে বসে যে, মাহার সাথে সে একাই কথা বলবে। এদিকে আবার সেই মুহূর্তে মোস্তাকের বন্ধু এসে হাজির হয়ে যায় সেখানে। মোস্তাক তাদের একা কথা বলতে দিয়ে চলে যায় তার বন্ধুর সাথে দেখা করতে। এই ফাঁকে ডেভিড মাহাকে বলে যে সে যেন আলফ্রেডকে বলে যে এখানে টানেল দিয়ে বের হতে গেলে বাইরের থেকে খোদাই করা লাগবে, আর সে কখন কিভাবে বের হবে সেটা পরে ডেভিডকে জানিয়ে দেবে। কিন্তু মাহা তাতে রাজি হয় না, গোঁ ধরে বসে যে তাকে এখুনি বলতে হবে। কিন্তু আতাউরকে এখানে সাবধানে ব্যবহার করতে বলে, কারণ তার উপর জেলারের নজর রয়েছে আর তার তাছাড়া নিজের ছেলেকেও অন্য জেলে ট্রান্সফার করার সময় এসে গিয়েছে। তবে ডেভিড বলে আমি যার জন্য এখানে এসেছি তাকে না নিয়ে বেরোতে পারছে না।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
এই ফাদার পর্বের একটা বিষয় সামনে এসেছে যে, ডেভিড মূলত যে লোকটাকে বের করার জন্য জেলে গিয়েছিলো সে আর অন্য কেউ নয়। ওটা ডেভিডের বাবাই ছিল। তবে এই বিষয়টা এখনো পর্যন্ত সবার কাছে একটা গোপনীয় বিষয় হয়ে আছে। আর এটা একমাত্র তাদের টিমই জানতো। আর যে উকিলটা ছিল সেটাও তাদের বন্ধু। আর এই পরিকল্পনা তারা একসাথেই করেছিল। মূলত সেই সময়ে তার এই উকিল বন্ধুটা কোনো পরিকল্পনা করেও বের করতে পারছিলো না। তখন ডেভিড পরিকল্পনা করেছিল যে, হয় তুই বের করবি আর না হলে আমিই বের করবো। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এখন এইটা করছে। এখন দেখা যাক এই কথাটাও মাহাকে জানিয়েই দিয়েছে। এরপরে ঘটনাটা কি হয় অর্থাৎ তার বাবাকে কিভাবে বের করছে। ডেভিডের বাবার কাছে এখনো অজানা যে ডেভিড তার ছেলে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৯/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার দেখা বেস্ট ওয়েব সিরিজের মধ্যে অন্যতম কারাগার-২। চঞ্চল চৌধুরী যে রহস্য মানবের অভিনয় করেছেন, তা অনেকদিন মনে থাকবে। সিরিজের ৪র্থ পর্ব "দ্যা ফাদার" এর খুব সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা।আপনার রিভিউ অনেক ভালো লেগেছে। এই পর্বে মাহা চরিত্রের তাসনিয়া ফারিনের অভিনয় ছিল সাবলিল। সিরিজটি আবার দেখার ইচ্ছে আছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে আজকে কারাগার ওয়েব সিরিজটার সিজন ২ এর চতুর্থ নম্বর পর্ব রিভিউ শেয়ার করেছেন। যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে পড়তে। দাদা এই পর্বতে আরো একটা বিষয় জানতে পেরেছি। ওই লোকটাই ডেবিটের বাবা এটা জানলাম এই পর্বের মাধ্যমে যেটা আগে জানা ছিল না। কিন্তু তার বাবা তো দেখছি জানেনা ডেভিড যে তার ছেলে। তবে যাই হোক এখানে তো দেখলাম উকিলও তাদের বন্ধু। আর সবাই একসাথে প্ল্যান করেই এসেছে এখানে। এখন উকিল ডেভিডের বাবাকে বের করতে পারে নাকি, ডেবিট শেষ পর্যন্ত নিজেই তার বাবাকে বের করবে এটাই দেখতে হবে। আর দেখছি এখানে ডেবিট তার মায়ের নাম জানতে পেরেছে। আস্তে আস্তে অনেক কিছুই সামনে আসতেছে এখন। এই পর্বের নাম ছিল দ্যা ফাদার। দাদা এখন অপেক্ষায় থাকলাম সিজন ২ এর পঞ্চম তম পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য। আশা করছি পঞ্চম পর্বের রিভিউ খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে ভাগ করে নিবেন দাদা। আর এর পরবর্তী পর্বের মাধ্যমে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো আশা করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এটা এত সুন্দর করে লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
হ্যা ঐ অপরাধী টা ডেভিডের বাবা। যাকে নিতে সে কারাগারে এসেছে। আর প্রথমে দেখানো দৃশ্যগুলো প্রথম দিকের যখন ডেভিড কানাডা থেকে তার বাবা মা কে খুজতে বাংলাদেশে এসেছিল। এবং মাহা এখানে খুবই বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে কথা বলার জন্য। বেশ দারুণ ছিল এই পর্বটা।
দাদা বরাবরের মতো আজকেও এই পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। এই পর্বের রিভিউ পড়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানতে পারলাম। তাহলে জেলের ভিতরে থাকা বয়স্ক লোকটা ডেভিডের বাবা। ডেভিড নিজের বাবার জন্যই এতো ঝুঁকি নিয়ে টানেলের ভিতর দিয়ে জেলে ঢুকেছে তাহলে। মাহা যত তাড়াতাড়ি আলফ্রেডকে বলবে টানেল খোদাই করার কথা,তত তাড়াতাড়ি টানেল খোদাই করার কাজ শুরু করতে পারবে। কারণ তাদের হাতে যেহেতু সময় কম রয়েছে, সবকিছু তাড়াতাড়ি করতে হবে। নয়তো যেকোনো সময় ট্রান্সফার করে তাদেরকে অন্য জেলে নিয়ে যেতে পারে। আমার কাছে এই পর্বের রিভিউ সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। যাইহোক এতো সুন্দর একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা অন্যান্য সব পর্ব গুলোর মতো এই পর্বটার রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই ওই সিরিজের মূল পর্বগুলো এখন দেখতে পাচ্ছি দাদা। আস্তে আস্তে অনেক কিছুই কিন্তু সামনে এসেছে। এতদিন ধরে ভাবছিলাম ডেভিড কেন ঐ লোকটাকে বের করার জন্য এত চেষ্টা করতেছে। আর আজকে এটা বুঝলাম, যে লোকটাকে সে বের করার চেষ্টা করতেছে ওটা তার বাবা। এতদিন ধরে সে তার মায়ের সম্পর্কে কোন কিছুই জানতো না। এমনকি নিজের মায়ের নামটাও জানতো না। কিন্তু এই পর্বে সে তার মায়ের নাম জানতে পেরেছে। ডেভিডের বাবা তো জানে না ডেবিট তার ছেলে। এখন ডেভিড কি ওই টানেল দিয়ে বাহিরে বের হবে, নাকি তার উকিল বন্ধু তাকে আর তার বাবাকে বাইরে বের করবে। অন্য জেলে যদি ছেলেকে ট্রান্সফার করে দেয় তাহলে তাদের প্ল্যান সাকসেস হবে না। এখন তারা কি বের হতে পারবে কিনা এটাই মূল বিষয়। আর এটা জানার জন্য আমি তো অধীর অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব টা দেখব।