ভেটকি মাছের ঝোল রেসিপি ।। বাঙালি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। গতকাল রাত থেকে শরীরটা বেশ খারাপ ছিল, হঠাৎ করে গ্যাসের ব্যাথা উঠেছিল। ফলে আজকে রেসিপি তৈরি করতে পারবো কিনা সেটাই ভাবছিলাম কিন্তু রাতে ঔষধ খেয়েছিলাম এবং রাতের মধ্যেই ঠিক হয়ে গেছিলো। যাইহোক সকালে উঠে দেখি বাড়িতে একটা বড়ো ভেটকি মাছ কিনেছে আর মা আঁশ ছাড়িয়ে কেটে রেখেছিলো। এরপর আমি তরকারিগুলো কেটে রান্নাটা সেরে উঠলাম। ভেটকি মাছ অনেকদিন বাদে খেলাম এবং খেলাম আমার সেই পছন্দের কচুরমুখী দিয়ে। তবে আজকে কচুরমুখী কম দিয়েছিলাম কারণ বাড়িতে আজকে আমি ছাড়া খাওয়ার লোক নেই। ভেটকি মাছ যারা যারা খেয়েছেন তারা অবশ্যই জানবেন যে খেতে খুব মজাদার হয়ে থাকে। কচুরমুখীটা আঠালো আঠালো হওয়ায় তরকারিগুলো বেশ দারুন লাগে খেতে। বড়ো ভেটকি মাছের পেটলির দিকটা ভেজে খেতে বেশ লাগে কারণ বড়োগুলোর একটু তেল মতো হয়ে থাকে এইসব জায়গায়। আর এই মাছটিরও তেল হয়েছিল কিন্তু কম । যাইহোক আমি এখন এই ভেটকি মাছের রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫
❣এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
➤ভেটকি মাছটিকে প্রথমে ভালো করে আঁশ ছাড়িয়ে কেটে পিচ পিচ করে নিতে হবে এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ( মা এই কাজটি করে রেখেছিলো )। এরপর আমি কচুরমুখীগুলোর খোসা ফটাফট ছালিয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤ভেটকি মাছের পিচগুলোতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে ভালো করে মাখিয়ে দিয়েছিলাম।
➤ভেটকি মাছের পিচগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর কেটে রাখা কচুরমুখীগুলো ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে সরিষার তেল দেওয়ার পরে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে রসুনের কোয়াগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সব একসাথে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤ভাজা মতো হয়ে আসলে তাতে অন্য ভেজে রাখা উপাদান কচুরমুখী আর কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর স্বাদ অনুযায়ী লবন, হলুদ আর কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। সমস্ত উপাদানগুলো নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
➤মেশানো হয়ে গেলে তাতে জল ঢেলে দিয়েছিলাম। আর তরকারিটা বেশ কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।
➤তরকারি ফুটিয়ে নেওয়ার পরে তাতে ভাজা ভেটকি মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পুরোপুরি হওয়ার জন্য দেরি করছিলাম।
➤তরকারি হওয়ার পথে টগবগিয়ে ফুটন্ত অবস্থায় সেখান থেকে খানিকটা কচুরমুখী একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম। আর সেটি গলিয়ে বেশ মোলায়েম আর আঠালো মতো করে আবার সেই ফুটন্ত তরকারিতে দিয়ে দিয়েছিলাম। এটি সব থেকে ভালো হয় যদি তরকারি সম্পন্ন হওয়ার একটু আগে দেওয়া যায়।
➤যাইহোক তরকারিটা কিছুক্ষন পরে সম্পন্ন হয়ে গেলে আমি তাতে অল্প করে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। আর এটি পরিবেশনের জন্য একটি প্লেটে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমাদের এদিকেও ভেটকি মাছ বাজারে বেশ ভালই পাওয়া যায় এবং ভেটকি মাছ।পেঁয়াজ মশলা দিয়ে ভুনা করলেও নাকি অনেক বেশি টেস্টি হয় সেটা আমার মায়ের কাছে শুনেছি।আমি তো কখনো মাছ খাই না তাই মাছের স্বাদ ও বুঝিনা।তবে আপনার রেসিপি বরাবরই অনেক সুন্দর হয় এবং আমি আপনার রেসিপির একজন চরম ভক্ত।
দাদা আপনার ভেটকি মাছের রেসিপি এত চমৎকার করে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি সত্যিই অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আপনি তুলে ধরেছেন।কচুর মুখি দিয়ে এভাবে মাছের রেসিপি আমি এর আগে তেমন দেখিনি আপনার এই রেসিপিটা আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে এবং দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রিয় দাদা এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ভালো থাকবেন সবসময়♥♥
ভেটকি মাছ অত্যান্ত মজার একটি মাছ। আমি এই মাছ খেয়েছিলাম অনেক দিন আগে। তবে আমি খেয়েছিলাম আলু বেগুন দিয়ে। এই মাছ স্বাদে গুনে অতুলনীয়। আমার বাসা ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ৫ কি.মি দূরে। সেই সুবাদে নদীর মাছগুলো কম দামেই কেনা যায়।
আপনি কচুর মুখি দিয়ে ভেটকি মাছ রান্না করেছেন। সত্যি বলতে মুখির তরকারি অনেক আঠালো টাইপের হয়। এজন্য তরকারি আরো বেশি মজা হয়। আপনি রান্না আগে মুখি ভেজে নিয়েছেন। তবে এটা প্রথমে সিদ্ধ করে নিলেও মজা হয়। তবে ভেজে নিলে বেশি মজা হয়। আপনার রেসিপিটি সর্বোপরী অনেক ভালো ছিলো।
দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তী আকর্ষনের অপেক্ষায় রইলাম।
ওয়াও ভাইয়া আপনি খুব মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। কচুর মুখি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর করে ভেটকি মাছ দিয়ে কচুর মুখির মজাদার একটি রেসিপি করেছেন। দেখে আর লোভ সামলাতে পারছিনা ইচ্ছে করছে এখান থেকে একটু নিয়ে খেয়ে ফেলি। ভেটকি মাছ খুব মজার একটি মাছ। তবে আমি কখনো ভেটকি মাছ দিয়ে কচুর মুখি রান্না করে খেয়ে দেখিনি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে খুবই লোভনীয়। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব। আর আপনি এত সুন্দর করে রেসিপির প্রত্যেকটা ধাপ দেন যে সবাই খুব সহজেই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ঠিক বলেছেন দাদা👍,তাছাড়া আপনার রেসিপির কম্বিনেশনগুলো আমাদের সঙ্গে মিলে যায় তাই সত্যিই খুব ভালো লাগে।এই ভেটকি মাছের কাঁটা খুবই কম ও ভারী টেস্টি খেতে।সত্যি বলতে আমার সবথেকে এই মাছের মাথা খেতে ও কাঁটা চিবাতে 😊😊বেশি ভালো লাগে। এই মাছ আমাদের বাড়িতে আনলে আমি মাথা ছাড়ি না, খুবই টেস্ট খেতে।সবদিকেই এই মাছ খুবই চলে, অনেকে এটি পছন্দ করেন।তবে এটি বেশি তেলযুক্ত হয় কোনো কোনোটাই।তেলযুক্ত ভেটকি মাছের স্বাদই আলাদা হয়।এছাড়া ভেটকি মাছগুলি খুবই পুরু মতো তাই একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে।এই মাছ আমাদের বাড়িতে আনলেই বাবা ওল বা কচুরমুখী দিয়ে রান্না করতে বলেন।খুবই ভালো লাগে খেতে কচুরমুখীর সঙ্গে,আমাদের বাড়িতে সবাই এই মাছ খায় তবে আমি কম পছন্দ করি।আপনার রেসিপিটি খুবই সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে👌👌।দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে, ধন্যবাদ দাদা।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
কচুরমুখী আমার খুবই প্রিয় সবজি। দাদা আপনি কচুরমুখী দিয়ে ভেটকি মাছ রান্না করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রান্না সবসময়ই সেরা হয়। কারণ আপনি একজন সেরা রন্ধনশিল্পী। দাদা আপনার রন্ধনশিল্পের দক্ষতা ও নিপুণতা বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে। আজকেও আপনি অনেক সুন্দর করে আমার খুবই প্রিয় সবজি কচুরমুখী দিয়ে ভেটকি মাছের ঝোল করেছেন। গরম ভাতের সাথে ভেটকি মাছের এই মজার রেসিপি খেতে অসাধারণ লাগবে দাদা। মজাদার রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আমাদেরকে শেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❣️❣️❣️❣️
ভেটকি মাছ আমাদের এদিকেও বেশ ভালোই পাওয়া যায়।তবে খুব একটা আনা হয়না বলেই খাওয়া হয়না।কচুরমুখী দিয়ে যে আঠালো ভাবটা হয় তা আমার সবসময় তেমন ভালো না লাগলেও খারাপ যে লাগে তা না।মাছে তেল থাকলেই আমার ভালো লাগে বেশি।খেতে স্বাদ হয় খুব।
আমি শুনেছি ভেটকি মাছ খেতে খুব মজা।যদিও আমি খাই নি।আসলেই কচুর মুখী আঠালো ভাবের কারনে আমার খেতে ভালোই লাগে।দাদা আপনার আজকের রেসিপি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো হয়েছে।তবে দাদা কচুর মুখী খেলে কিন্তুু গ্যাসের সম্যাসা বাড়বে,তাই গ্যাসের ঔষধ খেয়ে নিয়েন।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো।
ভেটকি মাছের নাম আমি অনেক শুনেছি তবে দেখি নাই স্বচোখে। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখে নিলাম। দাদা পানি বেশি খাবেন তাহলে গ্যাসের সমস্যা তেমন হবে না। আর আন্টি মাছের আঁশ ছাড়িয়ে রাখায় আপনার একটু ইজি হয়েছে। যাই হোক দাদা সব সময় আপনার উপস্থাপনা বেস্ট হয় এটা কিন্তু মানতেই হবে।
দাদা প্রথমেই খুবই ভালো লাগলো আপনার সুস্থতার কথা শুনে। আপনি রাতে ওষুধ খাওয়ার পরে সুস্থহয়ে গেছেন। আসলে আপনার সুস্থতা কামনা করতে ছিলাম। সুস্থতা বড় একটি নিয়ামত। যাইহোক আপনি সুস্থ হয়েছেন সেটা জানি খুবই ভাল লাগল এবং আপনি ঘুম থেকে উঠে দেখতে পেলেন বাড়িতে একটি বড় ভেটকি মাছ কিনে এনেছে। আসলে অনেকদিন পর ভেটকি মাছের রেসিপি তৈরি করলেন। খেতে অবশ্যই স্বাদ হয়েছিল দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে আপনি ছাড়া বাড়িতে খাওয়ার লোক নেই। সেজন্য অল্প করে রান্না করেছেন। দাদা আপনার বাড়িতে লোক নেই তাই আমাদের দাওয়াত দিন। আমরা গিয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া করব।কচুমুখী দিয়ে ভেটকি মাছের রেসিপি দেখে খুবি সুস্বাদু লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
বাহ্ দাদা আপনার ভেটকি মাছের ঝোল রেসিপি টা বেশ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। যা দেখে জিভে জল এসে গেল আমার। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।