প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার সাথে ভারতের একটা চ্যালেঞ্জিং জিত
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গতকাল একটা খুবই বড়ো ম্যাচ ছিল আর সেটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল উভয় পক্ষের জন্য। গতকাল আসলে সব দিক থেকেই প্লেয়ারদের উপর প্রেসার ছিল, কারণ চেন্নাই এর পিচ খুবই খারাপ অর্থাৎ খুবই ধীর গতিতে রান ওঠে। এক কোথায় বলা যায় যে, সম্পূর্ণ বোলিং পিচ। আর তার উপর তো অতিরিক্ত গরম, হালুয়া টাইট হয়ে গেছে সবার হা হা। তবে যাই হোক, খেলা এই দুই টিম মানে, তাদের মধ্যে সবসময় একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার থাকে সে যে রানই হোক না কেন বা যে ধরণের বোলিং হোক না কেন। সবসময় ফেস করতে প্রস্তুত থাকে। আর চেন্নাইতে খেলা মানে টসের ব্যাপারটা অনেক বেশি ডিপেন্ড করে, কারণ এই পিচে ফয়সালা ঠিকঠাক না নিতে পারলে অনেকটা প্রেসারের সম্মুখীন হওয়া লাগে। এই পিচে কখনোই ভালো রান ওঠে না, সেটা বিগত সময়ের ম্যাচ গুলোতে দেখা গিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া কাল টসে জিতে সিদ্ধান্ত ঠিকঠাকই নিয়েছিল, কারণ এই পিচে একটা ব্যাপার থাকে যে, প্রথমে ব্যাট করে যদি ২৫০ রানের একটা জায়গায় পৌঁছানো যায় তাহলে উইন হওয়ার চাঞ্জ বেশি থেকে যায়। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং করতে নামলেও বুমরাহ এর বোলিং লেন্থ ফেস করতে বেশ চাপে পড়ে যায় এবং ১ টি উইকেট দ্রুত পড়েও যায়। তবে ওয়ার্নার যার কথা না বললেই নয়, এ এক মারপিটও ব্যাটসম্যান, একবার সেট হয়ে গেলে বিপদ। প্রথম ২০ ওভার পর্যন্ত এই ওয়ার্নার এর জন্য রান ভালোই ছিল, কিন্তু ভারতীয় বোলাররা রান রেট ৪ এই বেঁধে রেখেছিলো। মোটামোটি একটা চাপেই রেখেছিলো যে, রান রেট বাড়তে দেওয়া যাবে না সে উইকেট পড়ুক আর নাই পড়ুক। ফাস্ট বলে তেমন একটা কাজ না করতে পারলেও কুলদীপ আর জাদেজা বাজিমাত করে দেয়।
২০ ওভারের পরের থেকে লাস্ট ১০ ওভারে একটাও বাউন্ডারি মারতে পারেনি এবং তার পরের ১০ ওভারেও ১ টির বেশি বাউন্ডারি লাগাতে পারেনি, ফলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা একটা হিউজ চাপের মধ্যে পড়ে যায়। আর সত্যি বলতে এই পিচে বাউন্ডারি লাগানো খুবই কষ্টের ব্যাপার, একমাত্র সিঙ্গেলের উপরেই রান নির্ভর। মোটামুটি এই পিচে যে ২০০ রানের টার্গেট দিয়েছে, এটা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জের থেকেও কম কিছু না। কারণ অস্ট্রেলিয়ানদের যে প্রেসার বোলিং আছে কয়েকজন, তাদের বোলিং লেন্থ খুবই হার্ড। আর সেটা এই ম্যাচে দেখিয়েছেও। তবে ভারতের গতকাল বোলিং আর ফিল্ডিং প্রশংসনীয় ছিল, ফিল্ডিং এর ক্ষেত্রে দেখা যায় তো, ঈশান বেশ কিছু বাউন্ডারির ৪ বাঁচিয়েছে আর ক্যাচগুলোও বেশ ভালো ছিল। যাইহোক, এখন ইন্ডিয়ার ব্যাটিং পর্যায়ে এসে প্রথমেই বিশাল বড়ো ধাক্কা, ৩ ওভারেই ৩ জন শূন্য রানে আউট। আর তাদের হাতে ব্যাটসম্যান বিরাট আর রাহুল ছাড়া তেমন কেউ ছিল না যে ধরে খেলতে পারবে।
তাদের দুইজনের উপর হেভি একটা প্রেসার ছিল এই রানের চেজ করা। প্রথম ১০ ওভারে রান রেট আড়াই, তাহলে কতটা প্রেসার দিয়েছে বোলাররা। তাদের হেজেলেহুড একজনেই প্রথম থেকে প্রেসার তৈরি করে রেখেছিলো যার কারণেই অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বিরাট আর রাহুলের এখানেই এই ধরণের পার্টনারশিপের খুবই প্রয়োজন ছিল, নাহলে এই ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যেত। লাস্ট ৪০ ওভার পর্যন্ত তাদের এই সুন্দর পার্টনারশীপ জয়ের মুখে নিয়ে যায়। তবে এখানে এই পর্যায়ে আসতেও সমস্যা হয়ে যেত, কারণ কোহলির যে ক্যাচ উঠেছিল প্রথমে, এটা ধরে দিলে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। ৪০ ওভার পর্যন্তও তাদের ম্যাক্সিমাম রান সিঙ্গেলের উপর নির্ভর করে তুলতে হয়েছে, কারণ তাদেরও বাউন্ডারি বের করা কষ্টকর ছিল। যাইহোক, প্রথম ম্যাচে একটা জিত পাওয়া মানে সেই টিমের জন্য পয়েন্ট তালিকা আরো ভালো মজবুত হওয়া, ফলে ভারত পয়েন্ট তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচটি আমি দেখেছি। প্রথমদিকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাট করা দেখে মনে হয়েছিল রান ৩০০ হবে। কিন্তু তারা দুইশত রানের আগেই আটকে গেল। এই রান দেখে বলেই ফেললাম ভারত সর্বোচ্চ ৩০ ওভার খেলবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিকে নাটকীয়তা শুরু করে দিল। দুই ওভারের ব্যবধানে ৩ উইকেট। পরে রাহুল এবং বিরাটের ব্যাটিং দক্ষতা জয় লাভ করে। যাক সব মিলে ম্যাচটি ভালো উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। ভারত টিমের জন্য শুভকামনা রইলো।
ভারতের পেসাররা প্রথম থেকেই অস্ট্রেলিয়ার রান রেট একদম চাপিয়ে রেখেছিল। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া রান রেট বাড়াতে গিয়ে একের পর এক ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়। কুলদীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজা দারুণ বোলিং করেছে। শেষের দিকে মিচেল স্টার্ক ২৮ রান না করতে পারলে, আরো আগেই অস্ট্রেলিয়া অল আউট হয়ে যেতো। তবে ২০০ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ভারত প্রথমেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তখন টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। মিচেল মার্শ বিরাট কোহলির ক্যাচটা মিস না করলে, অবস্থা মনে হয় খারাপ হয়ে যেতো। যাইহোক কোহলি এবং রাহুল এককথায় দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। মাত্র ৩ রানের জন্য রাহুলের সেঞ্চুরি মিস হয়ে গেল। যদিও অপরাজিত ছিলো এবং ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছে। তবে লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ ছিলো। অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং মারাত্মক। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অস্ট্রেলিয়ার সাথে ভারতের ম্যাচ সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। দুই দলের মাঝে বেশ লড়াই হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ানদের বোলিং বেশ ভালো।তাইতো ভারতের প্লেয়ারদের অনেক চাপের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। তবে ইন্ডিয়ান টিম কিন্তু বেশ দারুন খেলেছে। তারাও কিন্তু কোন অংশে পিছিয়ে নেই। ভারতের প্লেয়ারদের বোলিং আর ফিল্ডিং দুটোই অনেক প্রশংসনীয় ছিল। অন্যদিকে বিপক্ষের দল ২০ ওভারের পর থেকে লাস্ট ১০ ওভারে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেনি এটা সেই টিমের প্লেয়ারদের জন্য সত্যি অনেক চাপে ছিল। ফলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে এবং চাপের মুখে পরেছিল। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান ইউজাররা অনেক ভালো খেলছিল। বিরাট আর রাহুলের পার্টনারশিপ সত্যি দারুন ছিল। তাই তো শেষ পর্যন্ত বিজয় অর্জন করতে পেরেছে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই স্পোর্টস রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সে সাথে ভারত টিমের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি।
প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপ মিশনের উড়ন্ত সূচনা করে। যা ভেবেছিলাম তার বিপরীত হয়েছে। গত কাল অস্ট্রেলিয়া টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বুমরার বলে প্রথমেই চাপে পড়ে। আর দ্বিতীয় অভারে মিশেল মার্শ আউট হয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম এখানে ওয়ার্নার ভালো একটি ভূমিকা পালন করবে। কারন ওয়ার্নার খুবই বিশ্বস্ত একজন খেলোয়ার। তবে সে ভারতীয় বলিং এর তান্ডবে হাত খুলে খেলতে পারছিলো না। সিংগেল রান করেই এগিয়ে যাচ্ছিলো। তবে বেশি দূর যেত পারেনি। ৪১ রান করেই আউট হয়ে যায়। স্টিভেন স্মিথ ৭১ বলে ৪৬ রান করে। তারপরে আর কেউ দাড়াতে পারেনি। ১৯৯ রানে অল আউট হয়ে যায়। অপর পাশে ইন্ডিয়াও শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। আমি ভেবেছিলাম ইন্ডিয়াও আবার অস্ট্রেলিয়ার মত হয় যায় না কি। তবে কোহেলি আর একে এল রাহুলের নিয়ন্ত্রীত ব্যাটিং এ জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। এখানে একটি কথা হলো যে কোন পর্যায়ে দায়িত্ব নিয়ে খেলার নাম হলো খেলোয়ার। ধন্যবাদ দাদা।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয় দেখেই বুঝেছিলাম ভারতেরও বেশ অসুবিধা হবে ব্যাট করতে। আর সেটাই হলো। প্রথম তিনজন ব্যাটসম্যান শূণ্য করে আউট। আর ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল কোহলির ঐ ক্যাচটা। যেটা মিস করে অস্ট্রেলিয়া তার খেসারত ম্যাচ হেরে দিতে হয়েছে। আর বাকিটা কাজ কোহলি এবং রাহুল করে নিয়েছে। তবে রাহুল এর শতক টা না হওয়াই বেশ খারাপ লেগেছে আমার কাছে। ভারত বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা জয় ছিনিয়ে নিয়েছে গতকাল।।
দাদা প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার সাথে ভারতের একটা চ্যালেঞ্জিং জিত যেতে দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যে খেলার মধ্যে এরকম চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার থাকে, তখন সেই ম্যাচটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ভারত পয়েন্ট তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে দেখে অনেক ভালো লেগেছে। দাদা আপনি সবসময় চেষ্টা করেন খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো আমাদের মাঝে ভাগ করে না আমার আর এই বিষয়টা আমার খুবই পছন্দের। ইন্ডিয়ার প্রত্যেকটা খেলোয়াড় কিন্তু বেশ ভালোভাবে খেলেছে। দুইদলের মাঝে অনেক সুন্দর লড়াই হয়েছে, আর এর কারণে খেলাটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আসলে আমি খেলা দেখি না কারণ খেলা দেখার অভ্যাস আমার নেই। কিন্তু আমার কাছে আপনার পোস্টগুলো পড়তে সব সময় খুবই ভালো লাগে। জাস্ট অসাধারণ ছিল সম্পূর্ণটা এটাই বলতে হয়।
দাদা আমার কাছে তো অসম্ভব ভালো লেগেছে আপনার লেখা এই খেলা বিষয়ক পোস্টটা। খুবই সুন্দর করে আপনি অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের খেলাটার রিভিউ করেছেন। ছেলেটার মধ্যে চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার ছিল, আর এই ব্যাপারটার কারণে খেলাটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছিল নিশ্চয়ই। ইন্ডিয়ার প্রত্যেকটা খেলোয়াড় দেখছি দারুণভাবে খেলেছিল, আর খেলাটাও বেশ জমজমাট হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে একটা জিত হয়েছে, যার কারণে তাদের পয়েন্ট তালিকা আরও মজবুত হয়েছে। আর তারা আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে পয়েন্ট তালিকায়। এভাবে যদি খেলতে থাকে তাহলে অনেক ভালো একটা স্থান অর্জন করতে পারবে। ইন্ডিয়ার খেলা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে আগে প্রচুর পরিমাণে খেলা দেখা হতো, তবে এখন খেলা দেখা হয় না ব্যস্ততার কারণে। তবে আপনার খেলা বিষয়ক পোস্ট গুলো পড়ে থাকি সব সময়, যেন খেলা সম্পর্কে আরো অনেক ধারণা পাই। দাদা আপনার পরবর্তী খেলা বিষয়ক পোস্টটা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে থাকলাম।
নিঃসন্দেহে প্রথম ম্যাচে ভারত অত্যন্ত দাপটের সাথে বিশ্বকাপের প্রথম জয় অর্জন করেছে। ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল এর অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল প্রিয় টিম ইন্ডিয়ার জন্য।