টমেটো দিয়ে কাতলা মাছের সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি কাতলা মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। কাতলা মাছের রেসিপিটা আলু এবং টমেটো দিয়ে করেছিলাম। কাতলা মাছ খেতে অনেক স্বাদের হয়ে থাকে, আর আলু দিয়ে একটু গাঢ় ঝোলে খেতে খুবই মজাদার হয়ে থাকে। এখন তো অনেক গরমও পড়ছে, ফলে তরকারিতে টমেটো দিলে আরো ভালো হয়। টমেটোর একটু টক টক ফ্লেভারটা তরকারিতে স্বাদের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। কাতলা মাছ ভাজায় খেতেও অনেক ভালো লাগে, আমি বরাবরই খেয়ে থাকি পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে কড়া মতো ভাজা করে। অনেকের কড়া ভাজি করে খেতে নাও ভালো লাগতে পারে, কিন্তু আমার কাছে মাছ ভাজাটা নরমাল ভাজির থেকে কড়া করে ভাজি করলে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক, কাতলা মাছের এই তরকারিটা আলুর সাথে খেতে অনেক মজাদার ছিল। এখন আমি এই রেসিপিটার মূল প্রসেস এর দিকে চলে যাবো।
✠প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:✠
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☬প্রস্তুত প্রণালী:☬
❖কাতলা মাছের পিসগুলো প্রথমে একবার ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়ার পরে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর টমেটো দুটিকে ফালি করে কেটে নিয়ে রেখেছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর সব গোটা আলুকে কেটে পিস পিস করে নিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে কোয়া থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে কেটে রেখেছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলোকে কেটে নিয়েছিলাম।
❖কাতলা মাছের পিসগুলোতে ২ চামচ করে লবন এবং হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পিসগুলোর সব অংশে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে তেল দিয়ে দেওয়ার পরে তাতে মাছের পিস দুই ধাপে দিয়ে দিয়ে সব ভাজা করে তুলে নিয়েছিলাম।
❖মাছ ভাজার সময় আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর লাল মতো ভাজা হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ এবং রসুনের কোয়া দিয়ে দিয়েছিলাম। হালকা করে ভাজা করে নিয়েছিলাম পেঁয়াজ-রসুন।
❖পেঁয়াজ-রসুন ভাজা হয়ে আসলে তাতে কেটে রাখা টমেটো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে হাফ চামচ একটু লবন দিয়েছিলাম। এরপর জিরা এবং পেঁয়াজ-রসুনের সাথে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
❖কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে টমেটো পেঁয়াজ-রসুনের সাথে একটু কষিয়ে নিয়েছিলাম।
❖কষা মতো হয়ে আসলে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে ২.৫ চামচ লবন এবং ২ চামচ হলুদ আর সাথে চামচখানিক লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলো সব মশলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
❖মেশানোর পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম কিছুক্ষন।
❖কিছুক্ষন ফুটানোর পরে সেদ্ধ হয়ে যাওয়া আলুর পিস তুলে নিয়েছিলাম এবং চেপে ভালোভাবে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলু গলিয়ে রাখার পরে জ্বাল কমিয়ে দিয়ে ভেজে রাখা কাতলা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছুক্ষন ফুটিয়ে নেওয়ার পরে গলিয়ে রাখা আলু দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পরে ১ চামচ জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।
❖তরকারির ঝোল গাঢ় হয়ে আসলে আমি চুলা নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিতে আরো এক চামচের মতো জিরা গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য মাছের তরকারি একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
টমেটো দিয়ে মজাদার কাতল মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা,দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আমি কিছুদিন আগেই কাতল মাছ কিনে ছিলাম। আর কাতল মাছের রেসিপি খেতে খুবই মজা লাগে। তবে আমি কাতল মাছ আলু, বেগুন দিয়ে তৈরি করেছিলাম।এভাবে টমেটো দিয়ে তৈরি করা হয়নি।টমেটোর স্বাদে রেসিপি গুলো খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার টমেটো দিয়ে কাতল মাছের রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে দাদা। আপনার রেসিপি গুলো খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন। আজকের এই রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ঠিকই বলেছেন গরমের সময় তরকারিতে টমেটো দিলে ভীষণ ভালো লাগে। আসলে টমেটোর একটু টক টক ফ্লেভারটা তরকারির স্বাদ আরো বাড়িয়ে দেয়। রোজার সময় তাও দিনের বেলায় আপনার এরকম মজাদার একটা রেসিপি দেখে খুবই লোভ লেগে গিয়েছে আমার। রোজার সময় দিনের বেলায় রেসিপি দেখলে শুধু খেতে ইচ্ছে করে। আমিও আপনার মত সাধারণ ভাজার থেকে কড়া করে মাছ ভাজা খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আপনি আজকে টমেটো দিয়ে কাতলা মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন আমার কাছে কিন্তু দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। রেসিপির কালার কম্বিনেশন সত্যিই জাস্ট অসাধারণ ছিল বলতে হচ্ছে। আমার জন্য পাঠিয়ে দিয়েন আমি ইফতারের পরে খাবো। যাইহোক আপনার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর ভাবে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। যা দেখে যে কেউ খুব সহজে এই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবে।
কাতলা মাছ আমাদের সবার কাছেই প্রিয়। বাঙালির পছন্দের তালিকায় কাতলা মাছ রয়েছে। আসলে বাঙ্গালি রান্না মানেই মাছের ঝোল। আর মাছের কোন রেসিপিতে আলু এবং টমেটো দিলে মাছের ঝোল খেতে দারুন লাগে। ঠিক বলেছেন দাদা টমেটোর হালকা টক টক ফ্লেভার তরকারিতে স্বাদের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কাতলা মাছ ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি এভাবে ঝোল করলেও খেতে ভালো লাগে। পেঁয়াজ দিয়ে মাছ ভাজা খেয়েছি তবে পেঁয়াজ আর রসুন দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। রসুন দিয়ে মাছ ভেজে একদিন খেয়ে দেখতে হবে দাদা। কাতলা মাছের ঝোল আর এক পিস মাছ হলে নিমিষেই দারুণভাবে এক প্লেট ভাত খেয়ে ফেলা যায়। আসলে আমরা মাছ খেতে সব সময় পছন্দ করি। মাছের প্রতি আমাদের ভালোলাগা আছে। আর সেই ভালোলাগা থেকে আপনিও সব সময় বিভিন্ন রকমের মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন দেখে অনেক ভালো লাগে দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা কাতলা মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দাদা গরমের সময় তরকারিতে টমেটো দিলে খেতে অনেক ভালো লাগে। টমেটো দিয়ে কাতলা মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখে অনেক লোমনীয় লাগছে দাদা। রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপি ধাপ গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল
টমেটো দিয়ে কাতলা মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে,আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে।ধাপে ধাপে উপস্থাপন দেখে শিখতে পারলাম।
কাতলা মাছ আমার খুবই পছন্দের। আমি ছোটবেলা থেকেই কাতলা মাছ খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আমার কাছেও কড়া করে মাজা ভাজা খেতে ভালো লাগে ঠিক আপনারই মতো। আমি বাড়িতে মাঝে মাঝে পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কড়া করে মাছ ভাজা করে থাকি। টমেটো দিয়ে এভাবে কাতলা মাছ রান্না করলে খুবই সুস্বাদু হয়। এটা কিন্তু আপনি ঠিকই বলেছেন গরমের সময় তরকারিতে টমেটো ব্যবহার করলে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আর রেসিপিটা ও খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়। আলু দিয়ে এবং টমেটো দিয়ে খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। ভাগ্যিস দিনের বেলায় রেসিপিটি দেখি নাই। রোজা রাখার পর যদি এরকম রেসিপি দেখতাম তাহলে জানিনা এরকম অবস্থা হতো। আপনার রেসিপিগুলো আমার কাছে এমনিতেই ভালো লাগে। আপনি সব সময় খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে থাকেন। আজকের রেসিপিটাও জাস্ট অসাধারণ ছিল বলতে হয়।
কিছুদিন আগে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখনই অনেক বড় কাতলা মাছ রান্না করেছিল। ভীষণ সুস্বাদু করে খেয়েছিলাম। আপনার আজকে কাতলা মাছের রেসিপি দেখে একদম মনে পড়ে গেল। আমি আবার কাতলা মাছটা একটু বড় সাইজের হলে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া আপনি ঠিক বলেছেন কাতল মাছের সাথে একটু টমেটো দিয়ে রান্না করলে খেতে ভালই লাগে। আর ঝোলটা একটু ঘন হলে বেশি ভালো লাগে। আপনিও তো দেখছি আমার মত আলু দিয়ে রান্না করলে পছন্দ করেন। আমি যে কোন রান্নাতে আলু দিলে খুবই পছন্দ করি। আমার কাছে ভীষণ ভালোই লেগেছে খেতে। আপনার রেসিপি দেখেও মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে।
এরকম যে কোন রেসিপি দেখলে ইচ্ছে করে তৈরি করে খেতে। যদিও আমি সচরাচর রান্নাবান্না করি না।যখন কোন কনটেস্টের আয়োজন করা হয় অথবা কোন রেসিপি পোস্ট করা হয় তখনই চেষ্টা করি তৈরি করার। তবে দাদা আপনার তৈরি করা সবগুলো রেসিপি খুবই ভালো লাগে আর লোভনীয় হয়। বিশেষ করে আজকের এই কাতলা মাছের রেসিপিতে টমেটো এবং আলুর ঘনত্বটাই অনেক বেশি সুস্বাদু হবে। মাছের সাথে আলু না দিলে কেমন যেন স্বাদ লাগে না। কিন্তু এই মাছ কড়া ভাজি করে খেতে ভালো লাগে। আমি তো কাঁটাওয়ালা মাছগুলো তেমন একটা খাই না। তবে যেকোনো কড়া ভাজি করা মাছ আমার কাছে এমনিতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। কারণ কাটাগুলোও তখন মুচমুচে হয়ে যায়, চিবিয়ে খাওয়া যায়। তাই মাছ খেলে আমি কড়া ভাজি মাছটাই খাই। নাইলে কম কাটাওয়ালা মাছ খেতে পছন্দ করি।তবে আজকের কাতলা মাছের রেসিপিতে টমেটোর যে ফ্লেভারটা থাকে এটাই তো মাছের স্বাদ অনেক বাড়িয়ে দেয় এজন্য খেতে ভালো লাগে খুব।
কাতল মাছ খুব মজার নাছ। আমার খুব পছন্দের মাছ।আপনি আলু,টমেটো দিয়ে দারুন মজা করে রান্না করলেন। আমিও এভাবেই রান্না করি। আবার অনেক সময় সব মসলা দিয়ে সয়াসস, কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে মচমচে করে ফ্রাই করেও পছন্দ করি খেতে।প্রিয় পছন্দের মাছ যেমন হোক তেমনি আসলে খেতে ভাল লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন মাছে এসময় টমেটোর টক টক স্বাদ এই গরমে খুব ভাল লাগে খেতে।রান্নার কালার দেখে খুব লোভনীয় লাগছে।খেতেও বেশ দারুন হয়েছে। আপনার করা রেসিপির উপস্থাপনা খাওয়ার আগ্রহ আরো দ্বিগুণ করে দেয়।অনেক ধন্যবাদ দাদা মজার এই কাতল মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।