কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( পর্ব ১১ )

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার। করবো অনেকদিন করা হয়না, তাই আজকে আরেকটি পর্বের মাধ্যমে কিছু দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

Photo by @winkles

এই পুজোটা রাত দুটোর দিকে দেখতে গিয়েছিলাম, আর এই পুজোটাও মধ্যমগ্রামের পুজো। এই ক্লাব এর নাম হলো চন্ডীগড় ইউনাইটেড এথেলেটিক ক্লাব। এই ক্লাব এর পুজোর থিম কি সেটা জানি না, মূল কথা হলো মধ্যমগ্রামের কোনো পুজোর থিমই আমি জানি না। যাইহোক, অনেক রাতের দিকে এই ক্লাবটিতে যখন গিয়েছিলাম তখন প্রায় লোকজন হাতে গোনা কিছু ছিল, কারণ অতো রাতে আর এইসব ভিতরের দিকে বেশি দেখতে যায় না। প্রথমেই দেখলাম সুন্দর করে একটা প্যান্ডেল তৈরি করেছে, প্যান্ডেলটি যে ডিজাইনে তৈরি করেছে সেটি অনেক ইউনিক আর আকর্ষণীয় ছিল। বিশেষ করে প্যান্ডেলের গায়ে যে গিটারের থিমগুলো তুলে ধরেছে এটা অনেক সুন্দর ছিল।

Photo by @winkles

যাইহোক, এরপর আমরা ভিতরের দিকে গিয়ে দেখতে পেলাম রাধা-কৃষ্ণের সেই দোলযাত্রার সময়ের লাঠি খেলার একটা দৃশ্য তুলে ধরেছে। এই সুন্দর নিদর্শনগুলো সামনের থেকে দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। মূর্তিগুলো এমনভাবে তৈরি করেছে আর বিশেষ করে যে ভিন্ন ভিন্ন কালারের লাইটিং সাজিয়েছে, সেটি অনেক দৃষ্টিনন্দন ছিল। আসলে এইসব প্যান্ডেলে যে বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করুক না কেন, যদি লাইটিং এর কাজগুলো ঠিকভাবে করতে পারে, তাহলে সেটি দেখতে অনেক ভালো লাগে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপরে যেটা দেখলাম মণ্ডপের ভিতরের যে ঝাড়বাতির দৃশ্য সেটা আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন যে, আসলে কেমন আকর্ষণীয় ছিল। মনোমুগ্ধকর ছিল পুরো ডিজাইনটা। উপরের থেকে যেভাবে সাজিয়েছে সেটা তাতে কালার আর লাইটিং এর কালার পুরোটাই পারফেক্ট ম্যাচিং ছিল। এরপরে কৃষ্ণের একটা বদের দৃশ্য তুলে ধরেছে। এটা আসলে লাইট ইফেক্টটা এমন ছিল যে, দেখতে অনেকটা এল-আঁধার এমনটা দৃশ্য। তবে দৃশ্যটা দেখতে অনেক ভালো লেগেছিলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপরে যে দৃশ্যটা দেখেছিলাম সেটা হলো, কৃষ্ণের জন্মের পর তার পিতা বসুদেব কারাগার থেকে বেরিয়ে গোকুলে লুকিয়ে আসতে যাচ্ছিলো। এখানে বিষয়টা আসলে সেইভাবেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। তাছাড়া আরো একটা দৃশ্য দেখেছিলাম সেই সাথে কারাগারের। এই মথুরার কারাগারে কংস বসুদেব আর দেবকীকে বন্দি করে রেখেছিলো সেই প্রতিচ্ছবিটা এখানে ফুটিয়ে তুলেছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

কৃষ্ণ কালিয়া সাপের মাথার উপরে উঠে যে নৃত্য করেছিল তার একটা দৃশ্য এখানে তুলে ধরেছিলো। এছাড়া এখানে আরো একটি দৃশ্য তুলে ধরেছিলো সেটি হলো, কৃষ্ণের ছোটবেলায় মাখন চুরি করে খাওয়ার দৃশ্য। তবে এখানে তার মা যশোদা কৃষ্ণকে তার এই চুরি করে খাওয়ার জন্য লাঠি দিয়ে হাতে মারছিলো তার একটা দৃশ্য সাধারণত এখানে তুলে ধরেছিলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

যাইহোক, এরপর সর্বশেষ মায়ের দর্শনে চলে গিয়েছিলাম। এখানে মায়ের মূর্তিটা সাজিয়েছে কিন্তু মূলত রাধা-কৃষ্ণের প্রতিমূর্তি স্বরূপ। এখানে শুধু যে মায়ের রূপটাকে কৃষ্ণের মতো দিয়েছে তা না, একই সাথে রাধার প্রতিমূর্তিও দিয়েছে। তবে কোথাও কোথাও একইসাথে মিক্সার করে দিয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ড সহ সবকিছুতে মোটামুটি ভালোই সাজিয়েছিল মুগ্ধ করার মতো। আসলে মোটামুটি ছোট জায়গায় হলেও অনেককিছু সাজিয়েছে আর চিন্তাধারাও বেশ বড়ো, সেটা দেখেই বোঝা যায়।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনমধ্যমগ্রাম
তারিখ১৪ নভেম্বর ২০২৩


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 4 months ago (edited)

দাদা আপনি আজকে খুব সুন্দর করে চন্ডীগড় ইউনাইটেড এথেলেটিক ক্লাব এর প্যান্ডেলের অনেক সুন্দর কিছু আলোকচিত্র সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। এই প্যান্ডেলের সৌন্দর্য দেখে আমিতো জাস্ট মুগ্ধ হয়েছি দাদা। যদিও এটার থিম আপনার জানা নেই, তবে আপনি চেষ্টা করেছেন সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করার যেটা দেখে ভালো লেগেছে। অনেকগুলো মূর্তির ফটোগ্রাফিও করেছেন। আসলেই দাদা এই প্যান্ডেলের ডিজাইন একেবারে ইউনিক এবং আকর্ষণীয় ছিল। এবং কি দেখতেও খুবই সুন্দর লাগতেছে। আমার কাছে ঝাড়বাতির দৃশ্যটা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে, ঝাড়বাতিটা সত্যি খুব সুন্দর লাগছিল। এটা একেবারে আকর্ষণীয় ছিল এটা কিন্তু সত্যি বলতে হচ্ছে। দাদা আপনি সবকিছুকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আমি সবগুলো ফটোগ্রাফি ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই প্যান্ডেলের এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে সবার মাঝে এগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

দাদা আপনি কালীপুজো দেখতে রাত দুটোর দিকে গিয়েছিলেন । আসলেই আপনার কালীপুজো দেখার আগ্রহ অনেক। সেজন্য রাত দুটোর দিকে কালীপুজো দেখতে গিয়েছিলেন আসলেই এত সুন্দর আলোকচিত্র না দেখতে গেলে হয়তো মিছ করতেন। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর আলোকচিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

দাদা দেখতে দেখতে কালীপুজোর ১১ তম পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। কালীপুজোর প্রত্যেকটা পর্ব আমার দেখা হয়েছে। প্রত্যেকটা পর্বের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের সুন্দর সুন্দর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখতে পেয়েছি। দাদা আপনি আজকে ১১ তম পর্বের মাধ্যমে চন্ডীগড় ইউনাইটেড এথেলেটিক ক্লাব এর অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু আলোকচিত্র সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। মধ্যমগ্রাম থেকে তোলা এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই একেবারে আকর্ষণীয় ছিল। এটার সাজানোর থিম ছিল অনেক বেশি সুন্দর যদিও থিমের নামটা জানি না। কিন্তু ফটোগ্রাফি এবং সাজানো দেখে অনুমান করলাম। রাতের বেলায় দেখছি অনেক কম মানুষ ছিল। আর এটার মধ্যে গিটারের থিমগুলোকে সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। আর দাদা আপনাদের মায়ের মূর্তি সহ অন্য সব সকল মূর্তিগুলোকেও সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, দেখে আমার কাছে মূর্তির ফটোগ্রাফি দেখতেও অসম্ভব ভালো লেগেছে। লাইটিং টাও কিন্তু অনেক সুন্দরভাবে করেছে। মূর্তিগুলোর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন কালার দিয়েছে। সব মিলিয়ে দাদা আপনার আজকের এই পোস্টটা আমি যত দেখছিলাম, আমার কাছে ততই খুব ভালো লাগছিল। সুন্দর ভাবে সবগুলো ফটোগ্রাফি করে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। আর ১২ তম পর্বের জন্য তো অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।

 4 months ago 

দাদা এই সিরিজের আগের পর্বগুলোর মতো এই পর্বটিও দারুণ লেগেছে। রাত দুইটার দিকে মানুষের আনাগোনা কম থাকাটা স্বাভাবিক। তবে মানুষের ভিড় কম থাকলে প্যান্ডেলে ঢুকতেও ঝামেলা হয় না। তাছাড়া খুব ভালোভাবে ঘুরাঘুরি করা যায় এবং ফটোগ্রাফি করা যায়। যাইহোক চন্ডীগড় ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব কালী পূজা উপলক্ষে এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে দাদা। তাদের থিমের নাম না জানলেও, আয়োজন দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ উপভোগ করেছেন। প্যান্ডেলের গায়ের গিটারের থিমগুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। তাছাড়া এতো চমৎকার লাইটিং দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। এমন চোখ ধাঁধানো আয়োজন কয়েক ঘন্টা ঘুরাঘুরি করে দেখলেও মন ভরে না। পূজা মন্ডপ দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

পূজার প্যান্ডেল আসলেই অনেক সুন্দর দাদা।তবে রাত দুইটায় আপনি পূজা দেখতে গিয়েছেন,আপনি তো অনেক সাহসী।ছোট জায়গা হলেও ডেকোরেশন সুন্দর ছিল প্যান্ডেলের ।অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

অনেক রাত পর্যন্ত তাহলে ঘোরাঘুরি করেছেন দাদা ৷ তবে চন্ডীগড় ইউনাইটেড এথেলেটিক ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল এবং থিম গুলো কিছু সত্যিই অসাধারণ ৷ কৃষ্ণ লীলার অনেক প্রতিচ্ছিবি থিমের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে ৷ এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার ৷ তবে কালী মায়ের মূর্তিটাও কিন্তু অসাধারণ ৷ অনেক সুন্দর হয়েছে সবটা , সব মিলিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা ৷ আপনার সুন্দর অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ৷

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

চমৎকার পুজো প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপনি আজকে। চন্ডিগড় ইউনাইটেড এথেলেটিক ক্লাবের পুজার দৃশ্য গুলো অসাধারণ ছিল। আপনি দেখতে দেখতে ১১ তম পর্ব শেয়ার করলেন। একটা কথাই বলব সেটা হচ্ছে ভারতবর্ষের পুজার উৎসব গুলো চমৎকার হয়। এতই বেশি জাঁকজমক পরিবেশ তৈরি হয়ে যায় পূজার সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

এই পুজো প্যান্ডেলের গেটের ডেকোরেশন এর কাজ ছিল এক কথায় দারুন। তাছাড়া ভিতরের আলোকসজ্জা ছিল অনেকটাই চোখ ধাঁধানো, সব মিলিয়ে দারুন উপভোগ করলাম ছবিগুলো। শুভেচ্ছা রইল ভাই।

 4 months ago 

দাদা দেখতে দেখতে আপনার কালী পুজোর ১১ তম পর্ব দেখে ফেললাম। আর এই পর্বে এসে দেখলাম চন্ডীগড় ইউনাইটেড এথেলেটিক ক্লাবের ফটোগ্রাফি। সেই সাথে সাবলীল ভাষায় বর্ণনা ছিল। আমাদের কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয়নি। রাত দুটোর সময় সেখানে পুজো দেখতে গেছেন,সেটাই চিন্তা করছি। এত রাতেও মানুষ সজাগ থেকে পুজো দেখে। দুর থেকে তাদের মন্ডপটা আদি বাসিদের বাড়ি বা এলাকার মত লাগছিলো। ভিতরে দারুন লাইটিং ও ডিজাইন করেছে। সেখানে কৃষ্ণের ছোটবেলায় মাখন চুরি করে খাওয়ার দৃশ্যটা দেখলাম। সেই সাথে আরো রয়েছে কৃষ্ণ কালিয়া সাপের মাথার উপরে উঠে যে নৃত্য করার দৃশ্য। সবশেষে এসে দেখলাম রাধা-কৃষ্ণকে। তাদেরকে পদ্ম ফুলের মধ্যে দাড় করিয়ে রেখেছে। মন্ডপের ডিজাইন,আলোকসজ্জ ও লাইটিং সহ সব কিছু দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58802.33
ETH 3158.99
USDT 1.00
SBD 2.42