হাঁসের ডিম দিয়ে পাতলা ঝোলের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি ডিমের তরকারি রান্না করেছি। এই ডিমগুলো হলো পাতি হাঁসের ডিম। দেশি হাঁসের ডিম খেতে দারুন লাগে। দেশি ডিমগুলো তরকারিতে বেশি ভালো লাগে, বিশেষ করে লাল লাল কুসুমগুলো আর আঠালো মতো হয়। তবে এখন দেশি হাঁসের ডিম বা দেশি মুরগির ডিম্ পাওয়া খুব মুশকিলের। দোকানে পোল্ট্রির ডিম ছাড়া পাওয়া যায় না, পোল্ট্রির ডিম ভাজা করে খাওয়ার ক্ষেত্রে ঠিক আছে কিন্তু দেশি ডিমগুলো তরকারি করে খেলে বেশি ভালো লাগে। আমি সাধারণত দেশি মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম ভাজা করে খাইনি এখনো, যা খেয়েছি তরকারি করে। আজকে শুধু আলু দিয়ে ডিমের পাতলা ঝোল মতো করেছিলাম। খেতে বেশ ভালোই লেগেছিলো। ডিমের তরকারি মোটামুটি আমার যেকোনোভাবে খেতে ভালো লাগে, আর আমি তরকারিতে খাওয়ার সময় প্রায় কুসুমটা তরকারি আর ভাতের সাথে মিশিয়ে খাই, এইভাবে খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। যাইহোক এখন আমি এই রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।
ꕥপ্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:ꕥ
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆
❖সব কয়টা হাঁসের ডিম প্রথমে ভালো করে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম এবং নামিয়ে নিয়ে ভালো করে ডিমের খোলা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং কেটে পিচ পিচ করে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ দুটির খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কুচি করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। রসুন দুটিরও কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো সব কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
❖খোলা ছাড়িয়ে রাখা ডিমগুলোতে ১.৫ চামচ লবন আর ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖প্যানে অল্প তেল দিয়ে লবন, হলুদ মাখানো ডিমগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖অন্য কড়াইতে একটু তেল দিয়ে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং লাল মতো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖আলুভাজার পরে অবশিষ্ট তেল দিয়ে পেঁয়াজ আর রসুনের কোয়াগুলোও ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖সব ভাজার পর্ব শেষ হয়ে গেলে আমি কড়াইতে আবার তেল দিয়ে তাতে পরিমাণমতো গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। জিরাটা হালকা ভাজা মতো হলে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖আলুর ভাজা পিচগুলো দিয়ে দেওয়ার পরে তাতে ভাজা পেঁয়াজ-রসুন এবং ধুয়ে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো ২.৫ চামচ লবন, ২ চামচ হলুদ এবং ১ চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖সব মশাগুলো ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
❖একদম ফুল আঁচে দিয়ে তরকারিটা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে আলুর পিচগুলো সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে আমি ভেজে রাখা হাঁসের ডিমের পিচগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖ডিম্ দেওয়ার পরে তরকারির থেকে হাতা দিয়ে আলুর কিছু পিচ তুলে নিয়েছিলাম এবং চেপে চেপে গলিয়ে আঠালো মতো করে নিয়েছিলাম।
❖তরকারি ফুটন্ত অবস্থায় তাতে গলানো আলুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা হয়ে আসার জন্য আর সামান্য কিছুক্ষন ফুল আঁচে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।
❖দেশি হাঁসের ডিমের পাতলা ঝোলের তরকারি তৈরি হয়ে গেলে আমি তাতে ১ চামচ জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনার রেসিপিতে সব সময় নতুনত্ব থাকে। কেননা হাঁসের ডিম দিয়ে পাতলা ঝোলের যে রেসিপি তৈরি করেছেন, তাতে আপনি আলুগুলোকে ভেজে রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার মনে হয় এভাবে আলু ভেজে যেকোনো রেসিপিতে দিলে সেই রেসিপির স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। হাঁসের ডিম খেতে আমার কাছে ভীষণ রকম ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো আলু ভেজে হাসের ডিমের পাতলা ঝোল রেসিপি খাওয়া হয়নি। তাই আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। হাঁসের ডিম দিয়ে পাতলা ঝোলের রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দাদা আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন।আসলে হাঁসের ডিমের পাতলা ঝোল রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। হাঁসের ডিম খুব একটা পাওয়া যায় না। আসলে গ্রামাঞ্চলে হাঁসের ডিম পাওয়া যায়। আর আমাদের গ্রামে আসলে হাঁসের ডিম কিনে থাকি। হাঁসের ডিম আমার খুবই প্রিয়। হাঁসের ডিমে অনেক উপকারিতা আছে। যাই হোক আজকে আপনি পাতি হাঁসের মজাদার ডিমের পাতরা ঝোল রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। সত্যিই ডিমের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে ডিমের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে আলু দিয়ে এভাবে ডিমের রেসিপি খেতে খুব মজা লাগে। এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই রেসিপি তৈরি করার আগে আমাকে একটু দাওয়াত দিলেই পারতেন দাদা 🤪🤪। হাঁসের ডিম আমার ভীষণ প্রিয়। হাঁসের মাংস খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি হাঁসের ডিম খেতেও ভালো লাগে। তবে দেশি মুরগির ডিম খেতেও কিন্তু বেশ ভালো লাগে। বর্তমানে বাজারে হাঁসের ডিম কিংবা দেশি মুরগির ডিম খুব একটা পাওয়া যায় না। হাঁসের ডিম কিংবা দেশি মুরগির ডিম যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে ভালো লাগে। আলু দিয়ে হাঁসের ডিমের পাতলা ঝোল করলে খেতে দারুন লাগে। আপনি সুন্দর ভাবে আলুগুলো ভেজে নিয়ে এরপর হাঁসের ডিম দিয়ে রান্না করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে আমি অবশ্য ভিন্নভাবে রান্না করি। আলুগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে এরপর হালকাভাবে গলিয়ে নেই। এরপর হাঁসের ডিম দিয়ে পাতলা ঝোল করলে খেতে দারুন লাগে। আজকে আপনার কাছে এই রেসিপি শিখে খুবই ভালো লাগলো দাদা।
দাদা আপনার আজকের রান্নাটা দেখেই মনে হচ্ছে দারুন সুস্বাদু হয়েছে। আপনার মত আমিও ডিমের কুসুমগুলোকে ভাত আর ঝোলের সাথে মেখে খাই। কারণ এমনি আলাদাভাবে খেতে কেমন আটা আটা মনে হয়। কিন্তু মেখে খেতে ভালই লাগে।তবে পোল্ট্রির মুরগির ডিম সিদ্ধ খেতে ভালো লাগে না। দেশি মুরগির ডিম এবং দেশি হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে খেতে ভালো লাগে। কিন্তু এগুলোকে ভাজি করে খেতে ভালো লাগে না। এক্ষেত্রে সিদ্ধ করে রান্না করলে বেশি মজা হয়। আর আজকে আপনার তরকারির রান্নার ধাপগুলো দেখে আমার বেশ ভালো লাগলো। কারণ এত সুন্দর করে আপনি গুছিয়ে রান্না করেন। আর কালারটা দেখেও মনে হয় যে খুব সুস্বাদু হয়েছে। রান্না যত্ন নিয়ে করলে সুস্বাদু হয়, আর আপনার রেসিপিগুলো দেখে আমার মনে হয় আপনি খুব যত্ন নিয়েই সময় দিয়ে রান্না করেন। ভালো লাগলো আজকের রেসিপিটি, একদিন ট্রাই করব।
আলু দিয়ে দেশি হাঁসের ডিম এর পাতলা ঝোল রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল দাদা।আপনি ধাপগুলো বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দাদা দেশি হাঁস কিংবা মুরগীর ডিম রান্না করে খাওয়ার স্বাদই আলাদা।এখন পাওয়াই মুসকিল দেশী জিনিসপএ।যাই হোক এভাবে আলু দিয়ে ডিম দিয়ে পাতলা ঝোল করেলে আর কোন কিছুই লাগে না।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
দাদা আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি। আসলে দেশি হাঁস কিংবা দেশি মুরগির ডিম গুলো খেতে অতুলনীয় স্বাদ এর হয়। তবে পোল্ট্রি মুরগির ডিম ভেজে খাওয়ার জন্য পার্ফেক্ট। তরকারিতে তেমন একটা মজা লাগেনা।হাঁসের ডিম ও আলু দিয়ে পাতলা ঝোলের রেসিপি, খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন নিখুঁতভাবে। আসলে ডিমের তরকারি যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন? আপনার অনেক পছন্দের। ঠিক তেমনি আমিও কিন্তু ডিম খেতে ভীষণ পছন্দ করি।এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এবং ভালবাসা অবিরাম।♥♥
আসলে দাদা ডিম আমার বেশ প্রিয় ৷ ডিমের তরকারি হোক আর ডিমের ভাজি হোক , যাই হোক খেতে বেশ ভালো লাগে ৷ তবে আপনি ঠিক বলেছেন দেশি ডিমের তরকারি একটু বেশিই স্বাদের হয় ৷ আপনি বেশ ভালোই একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ এভাবে মাঝে মাঝে আমার বাড়িতেও ডিমের তরকারি তৈরি হয় ৷ খেতে বেশ ভালোই লাগে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
এলার্জীর জন্যে আমি হাঁসের ডিম খুব কম ই খাই।তবে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়, তাই আমার তো ভালোই লাগে এভাবে ঝাল ঝাল করে খেতে।
দেশি হাঁস কিংবা মুরগির ডিম খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে অনেকদিন হলো দেশি হাঁস মুরগির ডিম খাওয়া হয় না। এগুলো দোকানে খুব একটা পাওয়াও যায় না। কুসুম কিছুটা লাল এবং আঠালো হাওয়ায় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে এই ডিম গুলো। ডিম হালকা ঝোল দিয়ে ভুনা করে খাওয়া হয়েছে কিন্তু এভাবে আলু দিয়ে পাতলা ঝোল কখনো তৈরি করা হয়নি। আলু গুলো আঠালো করে নেওয়ার বিষয় টা ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা, সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।