ফুলকপি দিয়ে ভেটকি মাছের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি ফুলকপির রেসিপি তৈরি করেছি। আর এই রেসিপিটা ভেটকি মাছ দিয়ে করেছি। শীতকাল মানেই হলো ফুলকপি, এইটা সবজিগুলোর মধ্যে সেরা আমার কাছে। ফুলকপি একটি সুস্বাদু সবজির মধ্যে অন্যতম। আচ্ছা ফুলকপি খেতে গেলে কি সবসময় মাছেরও প্রয়োজন হয়? আমার তো মনে হয় ফুলকপি মাছ ছাড়াও অনেক সুস্বাদু লাগে খেতে, যারা সবসময় নিরামিষভোজী তারাই বলতে পারবে কেমন লাগে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এই ফুলকপিটা নিরামিষেও। আমাদের বাড়িতেও অনেক সময় নিরামিষে এই সবজিটা রাখা হয় আর শুধু আলুর সাথে ফুলকপি নিরামিষ অনেক টেস্ট হয়ে থাকে। আমি অটো এই সপ্তাহে ফুলকপি খেতেই আছি, তবে বেশিরভাগ ভাজা করে খেয়েছি। বরাবরই ভাজা আমার কাছে ভালো লাগে, আর এইটা আমি রাতে রুটির সাথে খেতে বেশি পছন্দ করি। এই কয়দিন ধরে রাতে রুটি খাচ্ছি আর এই ভাজাই চলছে আমার। ফুলকপি ভাজা থাকলে রুটি কখন যে ৭ টা ওভার হয়ে যায় টেরই পাইনা হা হা। যাইহোক, আজকে ভাবলাম ফুলকপি দিয়ে একটা তরকারি করি, তাই ভেটকি মাছ নিয়ে শুরু করে দিলাম। সকালবেলা ঠান্ডায় খুব জ্বালা একভাবে জলে হাত দেওয়া, মনে হয় হাত যেন অবস হয়ে গেলো গেলো। যাইহোক এখন রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
❆প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❆
❦এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☀প্রস্তুত প্রণালী:☀
❖ভেটকি মাছ দুটি আজকেই কাটিয়ে এনে রাখা ছিল এবং আমি পরে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছিলাম। এরপর ফুলকপি দুটিকে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলো পিচ পিচ করে কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ এর খোসা ছালানোর পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং সাথে রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে খোসা ছালিয়ে একসাথে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো সব ভালোভাবে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖কাটাকুটি এবং ধোয়ার পর্ব শেষ হয়ে গেলে ভেটকি মাছের পিচগুলোতে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖একটি প্যানে তেল দিয়ে ভেটকি মাছের পিচগুলো ছেড়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নেওয়ার পরে তুলে রেখেছিলাম।
❖মাছ ভাজতে ভাজতে পাশের আরেকটি কড়াইতে জল দিয়ে ফুলকপি দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম অল্প কিছুসময় ধরে।
❖ফুটানোর পরে ফুলকপিগুলো জলের থেকে তুলে নিয়েছিলাম এবং কড়াইতে একটু তেল দিয়ে তাতে ফুলকপিগুলো ভাজার জন্য দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভাজা মতো হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
❖অন্যদিকে মাছ ভাজা হয়ে গেলে ওই কড়াইতে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং আলুগুলো লাল লাল করে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভাজার পরে পেঁয়াজ-রসুন একবারে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖জিরাটা একটু ভাজা হয়ে আসলে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা ফুলকপিগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖ফুলকপি দেওয়ার পরে তাতে কাঁচা লঙ্কাগুলো ধুয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন, হলুদ আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖মশলাগুলো ভাজা সবজির সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
❖জল দেওয়ার পরে খানিক্ষন ধরে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম সবজিগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
❖আলুগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে কিছু আলুর পিচ তুলে নিয়েছিলাম এবং হাতা দিয়ে চেপে ভালোভাবে গলিয়ে সফ্ট করে নিয়েছিলাম।
❖আলু গলানোর পরে তরকারিতে মাছের ভাজা পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ-রসুনটা তরকারির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পরে তাতে আলুর গলানো অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিয়ে তরকারিটা পরিপূর্ণ হয়ে আসার জন্য আরো কিছুক্ষন দেরি করেছিলাম।
❖তরকারির ঝোল অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিলাম এবং রান্নাটা কমপ্লিট হয়ে গেলে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাছের তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আহারে দাদা আমাদের খেতেই পারেনা। মুখে একদম রুচি নেই🤭🤭। মাত্র সাতটা রুটি খায়। দুই হালা মিল করলে কিন্তু বেশ ভালো হবে। যাইহোক দাদা ফুলকপি আমারও খুবই পছন্দের সবজি। তবে ফুলকপি ভাজা খাওয়া হয়নি কখনো। নিরামিষ ফুলকপি খেয়েছিলাম ডাল দিয়ে। মসুর ডাল দিয়ে ফুলকপি রান্না করলেও খেতে বেশ ভালো লাগে। আর রাতে মাছের সাথে ফুলকপি রান্না করে রাখলে সকাল বেলায় খেতে বেশি ভালো লাগে। তাহলে আর সকাল বেলায় কষ্ট করে পানি ধরতে হবে না। শুধু কষ্ট করে একটু হাতটা ধুয়ে নিয়ে খাওয়া শুরু করলেই হবে আর কি। আর যদি হাত ধুতেও না চান তাহলে হালকা করে টিস্যু দিয়ে মুছে নিয়েন😅। যাইহোক দাদা ফুলকপি, আলু দিয়ে ভেটকি মাছের রেসিপি দারুন ছিল। আমাদেরকে একটু দাওয়াত দিয়েন আমরাও খেয়ে দেখব কেমন হয়েছে।
আসলে দাদা শীতকাল মানেই ফুলকপির এবং নানা রকমের সবজির আয়োজন। শীতকালে অনেক রকমের সবজি পাওয়া যায়। আর এই শীতের সবজি গুলো দিয়ে রেসিপি রান্না করলে খুবই মজাদার হয়। আজকে আপনি ফুলকপি দিয়ে ভেটকি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে বোঝাই যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর ফুলকপি দিয়ে মজাদার ভেটকি মাছের রেসিপি মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনাকে দাদা।নতুন বছরটি অনেক বেশি প্রানবন্ত ও ভাল কাটুক এমনটাই আশাকরি।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন, ফুলকপি এমন একটা সবজি এটা মাছ ছাড়াও খেতে ভাল লাগে।আমিতো ভাজা খুব পছন্দ করি আলু আর ধনিয়া পাতা দিয়ে। ধনিয়া পাতা আমার খুব প্রিয়। ধনিয়া পাতা ভাত দিয়ে ও যদি রান্না করা যেত আমি হয়ত তাই ই করতাম,হিহিহি।
ভেটকি মাছ নামটা শুনতে কেমন যেন আমার ভাল লাগে না দাদা, 😃আমরা এই মাছটিকে কোরাল মাছ বলি। এই মাছ খুব টেস্ট খেতে। আপনি মজার ফুলকপি দিয়ে খুব মজা করেই মাছটি রান্না করলেন।আপনি আলু চাক চাক করে কিছু ভেজে পেস্ট করে দিলেন, যাতে ঝোলটা ঘন হয়।আপনি জিরা গুড়া দেয়ার পর আপনার মাছের লুকটাই চেঞ্জ হয়ে গেলো। এখন বেশ লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
মাছ ছাড়া ও ভালো লাগে,ফুলকপি দিয়ে ভাজি করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে।তাছাড়া ফুলকপির চপও বেশ ভালো লাগে আমার কাছে।বেশি ভালো লাগে ফুলকপির বাসি তরকারি।৭ রুটি খেয়েও টের পান না🤣,তাই তো বলি কেন এতো আটার দাম বাড়লো।বেশি বেশি রুটি আর আঠা খেয়ে সব কিছুর দাম বাড়িয়ে ফেলছে।যাই হোক ফুলকপি দিয়ে ভেটকি মাছের রেসিপির বেশ দারুন হয়েছে মনে হচ্ছে।কালার টাও বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছেও শীতের সবজি গুলোর মধ্যে ফুলকপি বেস্ট। যেভাবে রান্না করা হোক না কেন বেশ ভালো লাগে খেতে। তবে নিরামিষ খাবে ফুলকপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি ভেটকি মাছ দিয়ে খুব সুস্বাদু ভাবে ফুলকপি রান্না করেছেন দাদা। তবে আমি কখনো ফুলকপি রান্নার মধ্যে জিরা ব্যবহার করেনি। জিরার ফ্লেভারটা নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগে খেতে। কালার টা বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে ফুলকপি আমার বেশ পছন্দের। এটি সবজি মাছ দিয়ে রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে ।আপনি খুব সুন্দর করে ফুলকপি দিয়ে ভেটকি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে ভেটকি মাছটি আমি চিনতে পারলাম না দাদা ।হয়তোবা আমার কোন পরিচিত মাছ নাম চিনছি না ।যাই হোক আপনাকে ধন্যবাদ মজাদার এই রেসিপি জন্য ।
দাদা আমার পছন্দের সবজি গুলোর মাঝে ফুলকপি অন্যতম। ফুলকপির মৌসুম আসলে আমি প্রায় সময় মাছ দিয়ে এবং ভাজি করে ফুলকপি খেয়ে থাকি। দাদা ফুলকপি ভাজি থাকলে আমিও আপনার মত ছয় সাতটা রুটি অনায়েশে মেরে দিতে পারি, হি,হি,হি। আর আপনি আজকে ভিটামিন যুক্ত সুস্বাদু ভেটকি মাছ দিয়ে ফুলকপি রান্না করেছেন,আহ স্বাদই অন্যরকম। ধন্যবাদ দাদা।
আমি ভেটকি মাছের নাম শুনেছি কিন্তু কখনো দেখা হয়নি। আমার শ্বশুর বাড়ি এই মাছ অনেক খাওয়া হয়। শীতের এই সিজনে যেকোনো মাছ দিয়ে ফুলকপি রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমি আবার ফুলকপি খেতে অনেক পছন্দ করি। রাতে রান্না করে সকালে গরম করে ফুলকপির তরকারি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বুঝতে পারছি খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ দাদা মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি তো সবসময় ফুলকপি ভাজি করেই খাই, মাছের মধ্যে দেয়ার কথা মনেই থাকে না। তাছাড়া দাদা রাতে রুটি কেন খাচ্ছেন ওজন কমানোর জন্য? মজায় মজায় সাতটা রুটি খাওয়ার থেকে তো ভাত খাওয়াই মনে হয় ভালো। তাছাড়া দাদা কতজনের জন্য একসঙ্গে রান্না করেছেন যে আস্ত দুইটি ফুলকপি দিয়ে দিয়েছেন। আর আপনার মরিচ দেখলে মাথা ঘুরে যায়।১৯টি মরিচ তার সঙ্গে আবার এক চামচ মরিচের গুঁড়া। দাদা ফুলকপি গুলোকে আগে কেন ভাপিয়ে নিলেন একবারে ভেজে রান্না করলেই তো খেতে মনে হয় বেশি ভালো লাগতো। তাছাড়া আপনি ফুলকপি কেউ ছাড়েননি একেও ভেজে ফেলেছেন। ভাজা ছাড়া কোন তরকারিই দেখি রান্না করেন না। আমার তো ভাজা ভাজি করতে অনেক বেশি আলসেমি লাগে। যাইহোক ভেজে রান্না করলে অবশ্য তরকারির স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর আপনার রেসিপি আমার কাছে খুবই লোভনীয় লাগে সবসময়। ভেটকি মাছ দিয়ে ফুলকপির রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।
রুটির সঙ্গে ফুলকপি ভাজি দারুণ মজার তো।আমার কাছে ফুলকপি ভাজি খুবই ভালো লাগে।ভেটকি মাছ অতটা পছন্দ না হলে ও মাথা খেতে বেশ মজা লাগে ।আপনার ভেটকি মাছগুলি বেশি বড়ো নয় মনে হচ্ছে।
দাদা আমি তো 3 টির বেশি রুটি খেতেই পারি না আর আপনি ৭ টা রুটি খেয়ে নেন দারুণ মজার।বোঝা যাচ্ছে আপনি বেশ খাদ্যরসিক।রেসিপিটা সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।