স্পোর্টস :- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও বরিশাল ফরচুনের ফাইনাল টি-টোয়েন্টি।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি খেলাধুলা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।
দুই দলের মধ্যে টস।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এই ম্যাচ অন্যদিনের থেকে একটু আলাদা। কারণ আজকের শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচ। ইনিংসের শুরুতেই তারা বড় একটা ধাক্কা খায় সুনীল নারিন মাত্র কিছু রানের মধ্যে তিনি আউট হয়ে যান। আসলে ক্রিকেট খেলা এমন একটা খেলা যে খেলায় যদি ওপেনিং পার্টনারশিপ ভালো না করতে পারে, তাহলে বেশি রান করার আশা করা যায় না। তারপরও টি-টোয়েন্টি খেলা যে কোন সময় রানের চাকা ঘুরতে পারে। বরিশালে বোলিং বেশ ভালো তাই তাদের একটু দেখেশুনে খেলতে হবে সামনের দিকটা।
প্রথমের দিকে তারা উইকেট হারিয়ে ফেলে। আর এরপরে রান মোটামুটি ধারাবিকতা বজায় রাখলেও তারা উইকেট ধরে রাখতে পারে নাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান জনসন চার্চ এইমাত্র আউট হয়ে যান। আর এতে অল্প নামের মধ্যে চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলেন কুমিল্লা। আর এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে তারা বেশি দূরে আগাতে পারবে না। তার আউট হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে মঈনা আলি আউট হয়ে যায়। তাতে করেই তাদের খেলার অনেকটা ১২০ রানের মধ্যে আটকে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এর জন্য সর্বসময় আশীর্বাদ হয়ে এসেছে আন্দ্রে রাসেল। এর আগেও তার একটা ম্যাচ দেখেছিলাম তিনি অল্প বলে ফিফটি রান করেন এবং তাদের জয়ের প্রান্তে ফিরিয়ে দেন। আজকে তার ব্যাটিংয়ে ছিল তাণ্ডব। তার ব্যাটিং এর উপর ভর করে তারা একটা পুঁজি তৈরি করে। আন্দ্রে রাসেলের বিধংসী ব্যাটিং সব সময় বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করা যায়। তারে খেলাটি বলে দেয় যে এটা হল টি-টোয়েন্টি খেলা।
যাইহোক শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বরিশাল ফরচুন কে মাত্র ১৫৫ রানে টার্গেট দেয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলায় ১৫৫ রান ১২০ বলে ১০ উইকেট হাতে রেখে এই খেলাটা জিতার জন্য তাদের বেশকি কষ্ট করতে হবে না। তবে হ্যাঁ যদি ভালো বল করতে পারে হয়তো বা একটা ফাইটিং ম্যাচ হতে পারে। তবে এই ম্যাচে বরিশাল কে আমি এগিয়ে রেখেছিলাম। কারণ আমি প্রথম দিক থেকে তাদের সাপোর্ট করছিলাম। শুধু তিন পান্ডবের জন্য।
ফরচুন বরিশাল।
বরিশালের ওপেনিং জুটেতে আসে তামিম ইকবাল এবং মেহেদী। কেউ ভাবতেই পারেনি অন্য দিনের থেকেও আজকে তারা একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি জুটি তৈরি করবে। আসলে জুটি বলতে তারা এত সুন্দর খেলেছে ফাইনাল ম্যাচে এভাবে ওপেনিং জুটি ভালো করবে এটা কারো ধারণা ছিল না। কিন্তু তারা সেটা করে দেখিয়েছে। তামিম ইকবাল অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছেন। যেটা ওপেনিং জুটির জন্য খুবই কার্যকর।
ঠিক মাঝখানের একটু আগেই তামিম ইকবাল আউট হয়ে যায় মঈন আলী এর বলে। অবশ্য ওই ওভারে অলরেডি ১৫ রান করে ফেলেছে। তিনি বোল্ড আউট হয়ে যান। এরপর পরে মেহেদী মিরাজ আউট হয়ে যান। পরপর দুইটি উইকেট হারানোর পরে মনে হয়েছিল বরিশাল একটু ব্যাকফুটে পড়বে কিন্তু তার কোন প্রভাবই পড়তে দেয়নি কাইল মায়ার্স। মেহেদী হাসান মিরাজ ও বেশ ভালো করেছে আজকের এই ম্যাচটাই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দানবীয় ব্যাটিং প্রথমের দিকে মোটামুটি খেলে শেষের দিকে বিধ্বংস হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ভালো একটা কার্যকরী ইনিংস খেলেন। বল হাতে যেমন একটি উইকেট নিয়েছেন ব্যাটিং হতেও দেখেছেন তান্ডব। আর এতে করে তিনি যখন আউট হয়ে যান তখন বরিশালের জেতার পথ একেবারেই সহজ হয়ে যায়। ওঠার পরে অবশ্য মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে যায়। তাতেও তাদের জয়ের জন্য কোন বাধা ছিল না। শেষ কাজটা ডেভিড মিলার এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করে আসেন। আর এতেই তারা ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। তাতেই এবারের আসরের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
প্রথমের দিকে একটা কথা বলেছিল নাফিসা কামাল, তিনি বলেছিল মুরুব্বিদের নিয়ে কোন কাজ নয়। কিন্তু বরিশালের যিনি ওনার ছিলেন তিনি তাদের উপরে নির্ভর করেছিলেন এবং তাদের উপরে আস্থা তৈরি হয়েছিল তার। সে আস্থা রেখেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার। আসলে অনেক সময় পুরনো চাল ভাতে বাড়ে তার প্রমাণ তারা দিয়ে গেল আজকের এই বিপিএল ফাইনালে। ফুল টিম আনন্দে ভাসছিল।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | poco M2 |
স্ক্রিনশট সোর্স | YouTube |
লোকেশন | মেহেরপুর |
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1764225935400903050?t=g99LIqNJL-s1COeRt50Sqw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খেলাটা আমি দেখেছিলাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়াস তাদের নিজেদের ভুলের কারণে এই খেলাটা হেরে গিয়েছে। তারা যদি রাসেলকে আগে থেকে খেলাতে ব্যাট করতে নামাতো তাহলে হয়তো বা জিতে যেত। যাই হোক তামিম ইকবাল প্রথম বারের মতো বরিশালকে জয়লাভ করাতে পারল এটা দেখে ভালো লেগেছে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে এই জয়টা বরিশালের প্রাপ্য ছিল। প্রথমদিকে ভালো না করলেও শেষের দিকে প্রত্যেকটা ম্যাচ বরিশাল ভালো খেলেছে। আর তার ফলশ্রুতিতে তারা ফাইনালে জিতল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝেই ক্রিকেট খেলার রিভিউ পড়তে ভালোই লাগে।যদিও ক্রিকেট খেলা তেমন দেখা হয় না।ফাইনাল টি-টোয়েন্টিতে বরিশাল জিতে গেছে জেনে ভালো লাগলো।খেলা সবসময় আনন্দের ও বিনোদনের।আপনি সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন খেলার,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার সাথে আমি একমত আপু খেলা মানেই বিনোদন খেলা মানে আনন্দ। আপনি না বুঝলেও তারপরও যে ভূত কিছুটা বুঝতে পেরেছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ম্যাচটি আমি দেখেছিলাম আমার ভীষণ খারাপ লাগতেছে যে এবার ইমরুল কায়েসকে অনেক অবহেলা করা হয়েছে। যারা বিদেশি প্লেয়ার নিয়েছিল সুনীল নারাইন ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারে নাই। তারপর অংকন আছে তারপর জাকের আলী আছে, জাকের আলী দুর্দান্ত খেলছে কিন্তু মাহিদুল ইসলাম ভাল খেলে নাই।লিটন দাস ইমরুল কায়েসের উপর অবিচার করছে এবং রাসেলকে আগে নামাই নি কারণে তারা রান করতে পারে নাই, তাদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভালো প্লেয়ার দিয়েই খেলা হয় না, খেলা হয় বুদ্ধি ও আত্মবিশ্বাস ও শক্তি ও মেধা দিয়ে।
ইমরুল কায়েসকে অবহেলিত করেছে বলেই কুমিল্লাকে আমার ঘৃণা লেগেছে ভাই। প্রথমদিকে কুমিল্লা সাপোর্ট করলেও যেদিন থেকে ইমরুলকে বাদ দিয়েছে সেদিন থেকে কুমিল্লা কে সাপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছি। বরিশাল জিতেছে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
আমার কাছে মনে হয়েছে এবারের বিপিএলে কুমিল্লার হেরে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ হলো ইমরুল কায়েস কে অবহেলা করা।
যাহোক তারপরেও বরিশাল প্রথমবারের মতো কাপ পেয়েছে।
সেই সাথে তো পছন্দের খেলোয়াড় গুলো সবই ছিল বরিশাল দলে।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ম্যাচটি রিভিউ করেছেন খুবই ভালো লাগলো।
আপনার সাথে আমি সহমত ইমরুলকে বাদ দেয়ার কারণে তারা হেরেছে। আর সত্যি বলতে তারা হেরেছে বলে আমি খুবই খুশি হয়েছি। তাদের এইটা পাওনা ছিল। বরিশালের জন্য আনন্দের বিষয় ম্যাচটা তারা জিতেছে।