ক্রিয়েটিভ রাইটিং:- পরিশ্রম না করে ভাগ্যকে দোষায়।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আর তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি তা হল পরিশ্রম না করে ভাগ্যকে দোষায়। সমাজে বিভিন্ন প্রকারের মানুষ বসবাস করে। এসব মানুষের মধ্যে কর্মঠ অকর্মঠ অনেক মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু মানুষ রয়েছে যারা পরিশ্রম করে না দিনশেষে নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে। আজকে ঠিক এমন একটা বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু লিখতে যাচ্ছি। আর তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ....।
মানুষ জন্ম লগ্ন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের চাওয়া পাওয়ার কোন শেষ নেই। জীবনে অনেক স্বপ্ন দেখে মানুষ আর এইসব স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে হলে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যে টার্গেট নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন সেই টার্গেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এখন আপনার ইচ্ছা আছে টার্গেট আছে কিন্তু আপনি কাজ করবেন না, তাহলে কি আপনি সেটাই সফল হবেন, কখনোই না। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের ইচ্ছা আছে কিন্তু ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে না। আবার পরবর্তীতে সে বলে ভাগ্যই ছিল না তাই হয়নি। এই কথাটির কতটুকু যুক্তি আছে। আপনি কাজ করবেন না, আপনি পরিশ্রম করবেন না, আপনি ভাগ্যের উপরে যদি ছেড়ে দেন তাহলে কি কোন কাজে আপনি সফলতা অর্জন করবেন? না কখনোই না। আপনি সেই অনুযায়ী সামনের দিকে না এগোতে পারলে কখনোই আপনার ভাগ্যের সফলতা আসবে না। তাই ভাগ্যকে না দোষে সেই অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে।
আমাদের সমাজে এমন মানুষ অনেক রয়েছে যারা নিজের কর্ম করে না কিন্তু ভাগ্যকে দোষায়। জি,হা আমি ভাগ্যকে বিশ্বাস করি। কারণ যে ভাগ্যকে বিশ্বাস করে না সে মুনাফিক। প্রতিটা মানুষের জীবনে নির্দিষ্ট কিছু সংরক্ষিত রয়েছে। অর্থাৎ মানুষকে সৃষ্টি করার পর মানুষের কিছু জিনিস নির্ধারিত করা হয়েছে। এই নির্ধারিত জিনিসের বাইরে কোন মানুষ কোন কিছুই পাবে না। আপনার ভাগ্যে যদি থাকে বিল ক্লিনটনের সাথে দেখা করার তাহলে আপনি যেকোনো ভাবেই সেখানে পৌঁছাতে পারবেন। আবার একটা কথাও রয়েছে আপনি যদি সেখানে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা না করেন আপনি বাড়ি যদি বসে থাকেন তাহলে কিন্তু কখনোই যেতে পারবেন না। একজন সাইকেল চালিয়ে যদি পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে চাই কিন্তু সে যদি বসে থাকে তাহলে কি সেই পথ অতিক্রম করতে পারবে। সে কখনোই পারবেনা। এই বলে সে যদি তার নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে যে, আমার ভাগ্য ছিল না তাই আমি যেতে পারি নাই। তাহলে তো হবে না। প্রথমত অবশ্যই ভাগ্যে থাকতে হবে এরপরে আপনাকে কর্ম করতে হবে অর্থাৎ সেই অনুযায়ী পরিশ্রম করতে হবে । তাহলে আপনার গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে পারবেন।
তবে কিছু বিষয়গুলো নিজের মধ্যে রয়েছে। যেমন ধরেন আপনি মিষ্টি খাওয়ার জন্য বাজারে যাবেন, এখন আপনার ইচ্ছা হয়েছে মিষ্টি খাওয়ার অথচ আপনি বাড়ি বসে রয়েছেন সেটা কখনোই খেতে পারবেন না। তাহলে সেটা খেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সেই বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। আর বাজার পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য আপনাকে যা করা দরকার তাই করতে হবে। আর এটাই হলো আপনার কর্ম। এখন ওই মিষ্টি যদি খাওয়া আপনার কপালে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি খেতে পারবেন। আপনি কর্ম করে বাজার পর্যন্ত পৌঁছেছেন কিন্তু যদি ওইটা যদি আপনার ভাগ্যে লেখা না থাকে তাহলে আপনি কখনোই খেতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনার ওই পর্যন্ত হয়তো বা ভাগ্যে লেখা ছিল তাই আপনি ওই পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন কিন্তু খেতে পারেন নাই। এক্ষেত্রে বলতে পারেন আপনার ভাগ্যে ছিল না। অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনার কপালে মিষ্টি খাওয়ার পর্যন্ত সময় রাখে নাই তাই আপনি পারেন নাই। এক্ষেত্রে আপনি বা সবাই ভাগ্যকে দোষারোপ করবে যে ভাগ্যে ছিল না তাই তিনি পারেন নাই।
ভাগ্যকে দোষায় এমন লোকের অভাব নেই। যেমন আমি আমাদের গ্রামের কিছু মানুষের দিয়ে উদাহরণ দেয়, অনেক মানুষ হয়েছে যারা কর্ম করে না সারাদিন মাচালে বসে থাকে এবং দিনশেষে তারা নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে। এরা হলো অকর্ম ঢেঁকি মূর্খ। এরা কাজ করবে না, অথচ এদের চাওয়া থাকবে আকাশচুম্বি। আর এই মানুষগুলোর দিনশেষে মানুষের কাছে বলবে আমার ভাগ্যেরটাই খারাপ। আবার এমন সফল ব্যক্তি রয়েছে যারা যাদের সন্তানকে সফলতা আনতে পারে না। তারাও নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে কিন্তু তাদের পেছনের দিকে একটু তাকিয়ে দেখলে বোঝা যায় তাদের কর্মের ভুল ছিল। অর্থাৎ তাদের সন্তানকে সেভাবে মানুষ করতে পারে নাই। যেভাবে একটা সন্তান মানুষ হইলে ভালো পথ দেখতে পারে ভালো জায়গায় যেতে পারে নিজের ভয় ভীতিকে দূরে রেখে নিজেকে উন্নতি করতে পারে এমন সময় বা এমন সুযোগ তাকে দেয়া হয়নি। আর এই কারণেই সে কিছু করতে পারে নাই অথচ তার পিতা-মাতা তার বলে আমাদের ভাগ্যে ছিল না তাই আমরা তো আমার সন্তানকে মানুষ করতে পারি নাই। কিন্তু আমার নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমি বলব অবশ্যই সন্তান পালন করার মধ্যে অনেক ভুল ত্রুটি ছিল। আর এই কারণে সে কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছাতে পারে নাই।
আমাদের উচিত নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ না করে নিজের চাওয়া পাওয়াকে পূরণ করার জন্য সেই অনুযায়ী কাজ করা। নিজেকে সব সময় সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। জি,হা, মত মানুষের ভাগ্য নির্দিষ্ট এর বাইরে কেউ কিছু পাবে না। তবে তাই বলে বসে থাকলে হবে না আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কিছু ভাগ্যে লেখা থাকা সত্ত্বেও আপনি পরিশ্রমের মধ্যে দ্বারা তার পরিবর্তন ঘটে। তাই আমাদের এই বিভ্রান্তি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের পরিশ্রম করতে হবে ভাগ্যে যেটা থাকবে সেটা অবশ্যই আপনার সামনে আসবে। আপনি যেমন কর্ম করবেন তেমন পারিশ্রমিক পাবেন। তাই আমি বলব ভাগ্যকে দোষায়েন না কাজ করেন সামনের দিকে এগিয়ে যান। পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1824624776683589804?t=R75o5fysJ-W3GV2Sb0pwoQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভাইয়া খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। কথায় বলে পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। আল্লাহ বলেছেন তুমি চেষ্টা করো আমি আছি। যে তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে চায় না আল্লাহ তাআলা তাকে পছন্দ করে না। কিছু কিছু মানুষ পরিশ্রম না করে শুধু বলে আমার ভাগ্যে এটা ছিল। আর এ ধরনের মানুষগুলো জীবনে কোন সফলতা অর্জন করতে পারে না।
সফলতার আরেক নাম পরিশ্রম। আপনি খুবই চমৎকার মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই চমৎকার কিছু কথা লিখেছেন। মানুষ এমনটাই করে। ভাবটা এমন যে, তিনি সাধনা করবেন আর আপনা আপনিই সব হয়ে যাবে। কিন্তু যখন দেখে হয়নি, তখন সাধনা নিয়া প্রশ্ন তুলে। খুবই ভালো লাগলো। বাস্তব কথা তুলে ধরলেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে চমৎকার একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ঠিক বলেছেন আপনি আসলে আমাদের সমাজে কিছু মানুষ পরিশ্রম না করে ভাগ্যকে দোষায়। পরিশ্রম হচ্ছে সফলতার চাবিকাঠি। একজন মানুষকে সফল হতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উদাহরণের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পরিশ্রম না করে নিজের ভাগ্যকে দোষানো লোকের অভাব নেই। তবে এরা মূর্খ এরা বোঝে না তাই এটা করে থাকে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যে পরিশ্রম না করেই নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করবে আমি তো তাকে পাগলের লিস্টে ফেলে দিব। ভাগ্য কে সত্যি বদলানো যায় কিনা সেটা আমি ঠিক জানিনা তবে আমার কাছে মনে হয় নিজের ভাগ্য আমরা নিজেই তৈরি করি। আমরা যদি পরিশ্রমী না করি তাহলে আমাদের সামনের ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে কিভাবে। তাই আমরা যখন পরিশ্রম করব এবং সফলতা না পাবো তখন আমরা ভাববো হয়তো বা এটা আমার ভাগ্যই ছিল না।। তবে সব থেকে বড় কথা হচ্ছে পরিশ্রম। পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা পাওয়া যাবে। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
আরে শেষ পর্যন্ত পাগলের লিস্টে ফেলে দিলেন। তবে কথাটা সত্য যারা কাজ না করে নিজের ভাগ্যকে দোষায় তারা আসলেই পাগল। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিই তাই পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না।ভাগ্য কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। পরিশ্রম তো আমাদের করতেই হবে সফলতা অর্জন করতে হলে।চমৎকার লিখেছেন এই বিষয়টিকে নিয়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।