দেখতে গেলাম ফেনী নদীর নির্মিত কাঠের ব্রিজ, দেখে চোখ কপালে উঠলো!
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমি নতুনত্ব ব্লগ লিখতে পছন্দ করে। ট্রাবেলিং হচ্ছে আমার প্রিয় শখ। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
https://w3w.co/boarding.grids.hardware
দীর্ঘদিন যাবত পরিকল্পনা করছি কোথাও ঘুরতে যাব বলে। কিন্তু কোথায় যাবো সেটা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। অবশেষে সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম ফেনী ছোট নদীর উপর নির্মিত কাঠের সেতু পরিদর্শনে যাব। ফেনী জেলার আলোচিত নদী হচ্ছে ফেনীর ছোট নদী। এই নদীর উপর ভিত্তি করেই ফেনী জেলার নামকরণ করা হয়েছে। তাহলে বুঝতে পারছেন এই নদীর গুরুত্ব ফেনী জেলাবাসির জন্য কেমন? প্রথমত আপনাদেরকে ফেনী জেলার ছোট নদী সম্পর্কে একটু ধারণ দিচ্ছি- ফেনী নদী বাংলাদেশের একটি আঞ্চলিক নদী। এই নদীকে ঘিরে রয়েছে নানান বিতর্ক। তবে এ নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৩ কিলোমিটার, গড প্রস্থ ১৫৯ মিটার।
ফেনী নদীকে নিয়ে বিতর্ক:
ফেনী নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশ নাকি ভারতের তা নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। তবে বাংলাদেশের মতে ফেনী নদীর উৎপত্তি খাগড়াছড়িতে। অন্যদিকে বাংলাপিডিয়ার তথ্যানুসারে এর উৎপত্তি ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত পর্বতের শ্রেণীতে। তবে গবেষকদের মতে মাটিরাঙ্গা অঞ্চলের পাহাড় থেকে কয়েকটি ঝরনার সমন্বয়ে এ নদীটি গঠিত হয়েছে। এককথা বলতে গেলে ফেনী নদী নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক।
যাইহোক, কথা না বাড়িয়ে মূল কথা যাওয়া যাক, আজকে হঠাৎ সিদ্ধান্তেই গেলাম ফেনী ছোট নদীতে কাঠের ব্রিজ দেখতে। আমার সাথে ছিল শ্রদ্ধেয়ের বড় ভাই নিবলু ভাই, রকি ভাই, বাহাদুর ভাই। মোটরসাইকেল দুটা নিয়েই রওনা হলাম ফেনী ছোটনদীর উদ্দেশ্যে। যাওয়ার পথে কয়েকবার নাস্তা বিরতি হলো। পথিমধ্যে অনেক বেশি মজা হল। মজার ছলে ছলে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম ফেনীর ছোট নদীর দিকে। উদ্দেশ্য একটাই ফেনীর ছোট নদীর নির্মিত কাঠের ব্রিজ দেখব বলে। যখনই ফেনী ছোট নদীতে পৌঁছলাম চারপাশের দৃশ্য এতই সুন্দর যে, যেটা বর্ণনাতীত। মোটরসাইকেল থামিয়ে কয়েকটা ফেনীর ছোট নদীর ফটোগ্রাফি করলাম। যাইহোক অবশেষে পৌঁছলাম ফেনী নদীর নির্মিত কাঠের ব্রিজে।
এত আলোচিত ব্রিজ যেটা দেখে চোখ কপালে উঠলো। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম কাঠের ব্রিজের দিকে। যেটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৪,১২,০০০ টাকা। অথচ বর্তমান ব্রিজের অস্তিত্ব পেতেও কষ্টকর। কাঠের ব্রিজের দুই মাথা দুটি অংশই শুধু বিদ্যমান রয়েছে। মাঝখানে কাঠের ব্রিজের অস্তিত্বও নেই। সেখানে দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিয়ে অবশেষে সন্ধ্যে নামার আগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যাইহোক বলা যায় আনন্দময় এক ভ্রমণ ছিল।
আশা করি ফেনী নদী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানে শেষ করছি।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
https://twitter.com/titaherul/status/1788260861393641831?t=fUGis_e_uT3CiqlWHIG3nQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সর্বপ্রথম যখন আপনাদের ফেনী নদীর উপরে কাঠের বিরিজ হয়েছিল, তখন কার পোস্টে যেন আমি দেখেছিলাম। সর্বপ্রথম এই কাঠের ব্রিজ টি তৈরি করার পরে অনেক মানুষ সেটাকে দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু এখন যা অবস্থা দেখলাম তাতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা। যত টাকা দিয়ে কাঠের সেতু তৈরি করা হয়েছিল তখন যদি আরো কিছু অর্থ ব্যয় করে লোহার অথবা ইট সিমেন্টের ব্রিজ তৈরি করে ফেলতো তাহলে হয়তো এতগুলো টাকা নষ্ট হতো না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাইজান আপনার মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। আপনার সাথে আমি শতভাগ একমত, যে টাকা দিয়ে কাঠের সে দুটি নির্মিত হয়েছে, তার সাথে কিছু টাকা এড করলে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে সেতু তৈরি করা যেত। একটি নদীর উপর দিয়ে কাঠের ব্রিজ দেওয়া সেটা সত্যি অবাক করা বিষয়। কথায় আছে না, টাকা জলে ফেলে দেওয়া, এখানে তার বাস্তব প্রমাণ। এতগুলো টাকা জেনে, শুনে, বুঝে জলে ফেলে দিল।
বড়ই দুঃখজনক একটা বিষয়। মানুষ দীর্ঘদিন আশায় থাকে তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, হয়তো কাজ বের হয়েছে এতে আশা পূরণ হবে কিন্তু তখন যদি হতাশার মত কাজ দেখে সত্যি খুবই খারাপ লাগে। যেখানে ৪ লক্ষ টাকার বেশি বাজেট আর সেই জায়গায় ব্রিজের কোন নাম গন্ধ নেই। হয়তো সে চার লক্ষ টাকায় কাঠের নয় রড দিয়ে ভাল রকমের লোহার ব্রিজ তৈরি করা যায়। তবে হারাম খাওয়া মানুষরা কখনোই দেশের উন্নয়নের কাজ করে না। যাই হোক বেশ তথ্য শেয়ার করেছেন আপনি। দূর হোক আমাদের দেশে দুর্নীতি পরাণ মানুষ।
শুকরিয়া ভাইজান, খুব সুন্দর একটা মতামত উপস্থাপন করেছেন আপনি। এই কাঠের ব্রিজটি মানুষ একমাসও ইউজ করতে পারেনি। বর্তমান মানুষের যাতায়াত খুব কষ্টকর সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বুঝতে পারলাম। এখন মানুষ নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে, তাও লং টাইম দাঁড়িয়ে থাকতে হয় নৌকাভর্তি হওয়ার জন্য । একেবারেই আর কিছু টাকা সংযুক্ত করে একটি লোহার ব্রিজ নির্মাণ করলে সেটাই হতো সবচেয়ে ভালো। যা লজিক্যালি আপনি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেনী নদী নিয়ে বিতর্কের কথা আগে জানতাম না। আজকে প্রথম বার জানতে পারলাম ভাইয়া। যাই হোক অনেক সময় কাঠের ব্রিজ গুলো দেখতে সুন্দর লাগে আবার অনেক সময় দেখে ভয় লেগে যায়। আপনি সবার সাথে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি পড়েন আপনার মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। তবে ফেনী নদী নিয়ে অসংখ্যা বিতর্ক রয়েছে যা সংক্ষেপে এখানে আলোচনা করলাম। তবে কাঠের ব্রিজ দেখতে সুন্দর হলেও একটি নদীর উপর তা মানায় না। তবে সেখানে গেলে দেখবেন মানুষের মানুষের ভোগান্তি। যাই হোক, ভ্রমনটি অনেক উপভোগ্য ছিল।