বাঙালি রেসিপি " চুষি চালের পায়েস"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকের সকালটা মিষ্টি দিয়ে শুরু করা যাক।তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো "চুষি চালের পায়েস"। এটি অনেক মজাদার একটি খাবার। এই চুষি চাল আমি অনেক আগে পৌষ পার্বণ মেলা থেকে কিনেছিলাম । আমার দেবর চালের পায়েস পছন্দ করেন না তাই ওর জন্য বেশি করে কিনে রেখেছিলাম। আমি মাঝে মধ্যে রান্না করি। আর পায়েস আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। আর আমি মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করি। আমি ঝাল খেতে পারি না। তাই যখন খেতে ইচ্ছা করে তখনই পায়েস রান্না করি। আর পায়েস বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় তৈরি করা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় খাবার। পায়েস পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাহলে চলুন আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।
উপকরণঃ
১. চুষি চাল - ২ কাপ
২. চিনি - ২কাপ
৩. তরল দুধ - ১ লিটার
৪. কাজু বাদাম - ১ চামচ
৫. কিশমিশ - ১ চামচ
চুষি চাল
চিনি
কাজু বাদাম ও কিশমিশ
দুধ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে এই চুষি চাল জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চুলার উপর কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। করাইতে এক লিটার দুধ দিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে।
২দুধ ১৫ মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর চুষি চাল গুলো দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকতে হবে। যাতে কড়াইর নিচে যেনো না লেগে যায়। চাল সেদ্ধ হয়ে এলে হাপ্ কাপের মতো কনডেন্স মিল্ক দিয়ে দিতে হবে এবং সাথে ২ কাপের মতো চিনি দিয়ে দিতে হবে। সেই সাথে এক চামচ কাজু বাদাম ও অল্প কিছু কিশমিশ দিতে হবে।
৩. এবার পায়েস ভালো করে নাড়তে থাকতে হবে। যখন দেখবেন পায়েস হালকা গাঢ় হয়ে হয়ে গেছে সেই পর্যায়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। পায়েস নামানোর পর উপরে কিছু কিসমিস ছড়িয়ে দিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও মজাদার " চুষি চালের পায়েস"। চাইলে আপনারা ও বাড়ীতে তৈরি করতে পারবেন।
বউদি আমার কাছে একেবারেই নতুন এই রেসিপিটি ।চুষি চাল দেখছি কখন ও খাওয়া হয়নি। তবে আপনার পায়েসটি ইউনিক হয়েছে একেবারে ।দেখতে এতো লোভনীয় মনে হচ্ছে দাওয়াত নিয়ে নেই বউদি।আমি অবশ্যই চুষি চাল খুজে আপনার মতো বানাবো বউদি ।ধন্যবাদ বউদি এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
প্রথমে তো চুষি চালের পায়েস নামটা শুনে আমি অনেকটা অবাক হয়ে গিয়েছি। চুষি নামে এরকম কোন চাল আছে তা আমি জানতাম না। কিন্তু পরবর্তীতে চালগুলো দেখে চিনতে পেরেছি।
আসলে আমি যদি ভুল না করি তাহলে চুষি এটি চাল না বরং এটিকে সেমাই বা পিঠা বলা চলে। এগুলো চালের গুড়া দিয়ে বানানো হয়। আমাদের এদিকে এই পিঠাটির নাম হচ্ছে চুটকি । তবে এই পিঠাগুলোর পায়েস অসম্ভব মজা। আমি অনেকবার খেয়েছি এগুলো।
আর আপনার পায়েস গুলো দেখেতে খুব লোভনীয় লাগছে। ঘন করে বাদাম, কিসমিস দিয়ে জব্বর বানিয়েছেন বৌদি।
আমাদের এখানে চুষি চাল বলে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি মিষ্টি খাবার খুবই কম খাই। কিন্তু পায়েস দেখলে এক চামচ না খেয়ে থাকতে পারিনা । মুখের মধ্যে নিলে তুলার মতো নরম ,মধুর মতো মিষ্টি একটা অনুভূতি হয়। খুবই দারুন লাগে।
পায়েস খাওয়ার সময় আমার আরও একটি জিনিস খুবই দারুন লাগে সেটি হচ্ছে কিসমিস । কিসমিস গুলো খুঁটে খুঁটে আগেই খেয়ে ফেলি।
বৌদি।
যে সকল উপকরণ গুলো ব্যবহার করেছেন তার সবগুলোই আমি চিনি। কিন্তু কি যেন একটা চাল ব্যবহার করেছেন এটি সম্পর্কে আমি সত্যিই জানি না।
আজকে এই চাল এর নাম প্রথম শুনলাম। তবে আপনি যেভাবে পায়েস তৈরি করেছেন দেখে লোভ লেগে গেলো।
তবে উপকরণ সংগ্রহ করা হবে এটি তৈরি করতে ব্যর্থ।
সুন্দর হয়েছে উপস্থাপনা সহ পুরো বিষয়টি
দিদি পায়েস রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। দিদি,আপনার পায়েস রেসিপি লোভনীয় এবং সুস্বাদু লাগছে। চুষি চালের পায়েস সচরাচর তেমন খাওয়া হয় না।তবে অনেক আগে আমার মায়ের হাতে রান্না করা খেয়েছিলাম খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। কিন্তু মা এভাবে রান্না করে না একটু অন্যরকম ভাবে রান্না করে। কিন্তু দিদি,আপনার রান্না করার রেসিপি গুলো আলাদা হয় একদম ইউনিক। দিদি, আপনি চুষি চালের পায়েস এত রকম জিনিস দিয়ে রান্না করেছেন দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। দিদি,একটু যদি খেতে পারতাম আপনার হাতের চালের পায়েস😔
ধন্যবাদ দিদি, এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
পায়েশ মানেই দুধের ঘনত্বে ভরপুর মিষ্টান্ন। খুব ভালো লাগে পায়েশ খেতে। দিদি, যেটা চুষি চাল হিসেবে আপনাদের পরিচিত আমাদের এখানে এটি চুটকি পিঠা হিসেবে পরিচিত। এটি রান্না করলে অনেক মজা হয়। আপনার রান্না সত্যিই অসাধারণ। পায়েশ দেখেই খাওয়ার লোভ লাগতেছে। যদিও একটু আগে আমি দুধ- সাবুদানা রান্না করে খেলাম। পায়েশ দেখে খুব ভালো লেগেছে।
বৌদি আপনার পায়েস দেখে তো জিভে জল আটকানো যাচ্ছে না। আপনি এতো সুন্দর করে পায়েস রান্না করেছেন যে না খাবে তার ও জিভে জল পড়বে। আপনি জাল পছন্দ করেন না মিষ্টি পছন্দ করেন তাই আপনি অনেক সুন্দর করে চুষি চাউল দিয়ে পায়েস রান্না করেছেন এবং কি পায়েস এর উপকরণ গুলো খুব সুন্দর ছিল। যেখানে ছিল কিসমিস এবং কাজুবাদাম। কিসমিস এবং কাজুবাদাম আমার প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। আমি প্রতিদিন সকাল বেলায় এগুলো খেতে পছন্দ করি। আপনার চুষি চাউল আমাদের গ্রাম্য ভাষায় গুলোকে চুটকি পিঠা বলে এগুলো হাতে বানায় আর আপনি যেগুলো বাজার থেকে সংগ্রহ করেছেন ওগুলো বেশি প্রযুক্তিগত মেশিনে বানায় আমার যতটুকু ধারনা। সকাল সকাল আমাদেরকে এত সুন্দর একটা মিষ্টি পায়েস এর উপহার দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এবং ভালোবাসা অবিরাম রইল বৌদি।
চুষি চালের পায়েস দেখে মনে হচ্ছে এখনই পায়েস রান্না করি। সত্যি বৌদি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম দারুন দারুন রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেন আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। এর সাথে আপনি দারুণভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেন যা আমার অনেক ভালো লাগে। পায়েস আমি খুবই পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝেই বাসায় পায়েস তৈরি করি। তবে আপনার মত করে এত সুন্দর গুছিয়ে পায়েস তৈরি করতে পারিনা। দারুন হয়েছে আপনার পায়েস রেসিপি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পায়েস দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।আমি বাসায় মাঝে মাঝেই পায়েস খাই।আমার মায়ের হাতে তৈরি করা পায়েস আমার অনেক প্রিয়। বৌদি আপনার তৈরি করা পায়েস দেখে লোভ লেগে গেল। উপস্থাপনা দারুন হয়েছে। আমিও এভাবে পায়েস রান্না করবো।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আমি মিষ্টি খুব একটা খাইনা। মিষ্টি খাই না বলতে দোকানের কেনা মিষ্টিগুলো খেতে খুব একটা ভালো লাগে না আমার। তবে পায়েসটা আমার খুব বেশি পছন্দের। আর আপনার রান্নার প্রতি তো আমার আলাদাই আকর্ষণ থাকে।যা সুন্দর করে রান্না করেন না বৌদি!কি আর বলবো।কখন যে খেতে পারবো কে জানে!!
চলে আসুন কোলকাতা আপু আমি নিজে রান্না করে খাওয়াবো আপু। আর আপনি আসলে আমাদের খুব ভালো লাগবে।