"মুচমুচে গরম গরম ফুলকফির পকোড়া"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। অনেক দিন হয়েছে তেমন কোন রেসিপি শেয়ার করতে পারছি না। তাই আজ আপনাদের সাথে সন্ধ্যার মুখরোচক খাবার গরম গরম ফুলকফির পকোড়া।এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে ফুলকফি পাওয়া যায়। আর শীতকালীন সবজি ফুলকফি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এটা কমবেশি সবাই খুব পছন্দ করেন। ফুলকপি দিয়ে অনেক ধরনের রান্না করা যায়। আজ আমি সবারই পরিচিত খাবার ফুলকফির পকোড়ার রেসিপি নিয়ে চলে আসছি। শীতকালে সন্ধ্যায় এক কাপ চা এর সাথে যদি ফুলকফির পকোড়া হয় তাহলে তো কথাই নেই। আমি নিজেও ফুলকফির পকোড়া খুবই পছন্দ করি। আর এখনতো বিয়ে বাড়ীতে ও ফুলকফির পকোড়া দেয়। তাই হটাৎ করেই মনে হলো বেশ কিছুদিন হলো কোনো প্রকার খাবার তৈরি করা হয় না। ঘরে ফুলকফি ও রয়েছে বেশ কয়েকটা। তাই ভাবলাম ফুলকফির পকোড়া তৈরি করা যাক। আপনারা তো এই ফুলকফির পকোড়া কতটা স্বাদের হয়। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. ফুলকফি -২টি
২. বেসন - পরিমান মতো
৩.কাচা মরিচ কুচি - ২ চামচ
৪. লবুন - পরিমান মতো
৫. হলুদ - হাপ্ চামচ
৬. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
৭. জিরা গুঁড়া - হাপ্ চামচ
৮. সাদা তেল - পরিমান মতো
ফুলকপি
লবণ, হলুদ, জিরা গুড়া, কাচা মরিচ কুচি ও শুকনো মরিচ গুঁড়া
বেসন
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে ফুলকফি গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
২. এবার চুলার উপর কড়াইতে কিছুটা জলে ফুলকফির টুকরো গুলো হালকা সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করার সময় সামান্য একটু লবণ দিয়ে দিতে হবে।
৩. ফুলকপি গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিতে হবে।
৪.এরপর একটা পাত্রে পরিমান মতো বেসন নিতে হবে। এর ভিতরে একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া,কাচা মরিচ কুচি ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। এবার অল্প অল্প জল দিয়ে একটা গাঢ় বেটার তৈরি করে নিতে হবে।
৫. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে একটু বেশি করে তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে একটা একটা করে ফুলকফির টুকরো গুলো গাঢ় বেটারে চুবিয়ে গরম তেলের ভিতর ছেড়ে দিতে হবে। এ পর্যায়ে চুলার আঁচ মিডিয়ামে রাখতে হবে।
৬. এবার ফুলকফি গুলো হালকা বাদামি রঙের করে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু মুচমুচে ফুলকফির পকোড়া। ফুলকফির পকোড়ার সাথে টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। আশা করি, আমার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ এই পর্যন্তই আগামী দিন আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।
শীতকাল আর ফুলকপির পাকোড়া হবে না তা কি হয়। খুব মজার একটি পাকোড়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতকালীন সবজি হিসাবে ফুলকপি আমার সব থেকে প্রিয়। বৌদি আপনি দেখছি মুচমুচে গরম গরম ফুলকপির পকোড়া তৈরি করেছেন। দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। আমাদের বাসায় ও মাঝে মধ্যেই তৈরি করে। খেতে অনেক মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ দিদি, সন্ধ্যার দিকে ফুলকপির পাকোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার এই রেসিপিটি বেশ চমৎকার হয়েছে। ফুলকপির পাকোড়ার সাথে টমেটোর সস্ হলে তো খুবই সুন্দর হয়। সুন্দর ব্লগিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।
বাধাকপির পাকোড়া অনেক খেয়েছি তবে ফুলকপি দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি।দেখে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো।খেতেও মনে হয় ভালোই স্বাদের ছিল।
খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন বৌদি।শুভ কামনা রইলো।
শীতের সকালে মুচমুচে ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এই মুচমুচে ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
শীতকালীন সবজি ফুলকপি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম আছে। ফুলকপির পাকোড়া খেতে দারুন লাগে। গরম গরম ফুলকপির পাকোড়া আর সাথে টমেটো সস একেবারে জমে যায়। আর যদি হয় এক কাপ চা তাহলে তো কথাই নেই। অনেকদিন পর আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। দারুন ছিল আজকের রেসিপি।
ফুলকপির পাকোড়া দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো বৌদি।যেভাবে পরিবেশন করেছেন একদম সস দিয়ে।খেতে তো খুব ভালো ছিল বোঝাই যাচ্ছে একদম মুচমুচে।আমিও শীতের সময় প্রায় পাকোড়া বানাই পাতাকফির।এবার দেখি ফুলকপির বানাবো।ধন্যবাদ বৌদি রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
উফফ! শীতকালে মুচমুচে ফুলকপির পকোড়া খেতে মজাই আলাদা।আমিও কিছুদিন আগে ফুলকপির পাকোড়া বানিয়েছিলাম।তবে পোস্ট করা হয়নি।কিন্তু আপনার পাকোড়া দেখে জিহ্বে জল এসেই পড়ল।আর শীতকালে ফুলকপির পাকোড়া পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে।এত সুন্দর একটি পাকোড়া রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
বর্তমান শীতের সময়ে বাজারে ফুলকপি খুবই বেশি পাওয়া যায় আর এই ফুলকপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। সন্ধ্যাবেলার নাস্তা হিসেবে ফুলকপি অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়ে থাকে সেই সাথে যদি সাথে এক কাপ চা হয় তাহলে তার কোন কথাই নেই। মজাদার এবং লোভনীয় একটি ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বৌদি।