দুধ পুলির রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে একটি মজাদার রেসিপি শেয়ার করবো। তা হল দুধ পুলি। আমি আগে কখনো বানায়নি এই পিঠা। বেশ কয়েকবার খেয়েছি কিন্তু কখনো নিজে বানানোর সাহস হয়নি। কিন্তু এই পিঠাটি খুবই মজা লাগে খেতে। তাই এবার সাহস করে আমিও বানাতে বসে গেলাম। যদিও কাজের খালা বেশ সাহায্য করেছে। তা না হলে আমার একার পক্ষে বানানো সম্ভব ছিল না। পিঠা বানানো আমার কাছে অনেক ঝামেলার মনে হয়। এজন্য খুব একটা পিঠা আমি বানাই না। পিঠা না বানালে কি হবে পিঠার সিজনে কোনো না কোনোভাবে পিঠা খাওয়া হয়ে যায়। এই পুলি পিঠাগুলোকে আবার ভাপে সিদ্ধ করে অথবা তেলে ভেজেও খাওয়া যায়। সেভাবে খেলেও খুব মজা লাগে। কিন্তু আজকে দুধপুলি পিঠা খেতে ইচ্ছা করছিলো। এজন্যই এই পিঠা তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছেও রেসিপিটি ভালো লাগবে।
দুধ
চালের গুড়া
চিনি
লবণ
এলাচ
দারুচিনি
কালোজিরা
চলুন দেখে আসি পিঠা কিভাবে তৈরি করেছি।
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে এলাচ এবং দারচিনি দিয়েছি। তারপর চিনি দিয়েছি।
চিনি গলে গেলে কুড়ানো নারকেলগুলো দিয়ে দিয়েছি। এভাবে অনবরত বেশ কিছুক্ষণ নেড়ে নারকেল যখন লাল কালার হয়ে গিয়েছে তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন চুলায় পানি,লবন এবং কালোজিরা দিয়েছি। তারপর তার মধ্যে পরিমাণ মতো চালের গুঁড়ি দিয়ে ডো তৈরি করে নিয়েছি।
ডো তৈরি হয়ে গেলে হাত দিয়ে ভালো মতো ডলে নিয়ে ছোট ছোট রুটির মত তৈরি করেছি।
এখন একটি রুটি নিয়ে তার ভিতরে নারকেলের নাড়ু দিয়ে দিয়েছি। তারপর মুখ বন্ধ করে কিছু ডিজাইন করে নিয়েছি।
তারপর চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে দুধ দিয়ে দিয়েছি। দুধ গরম হলে এলাচ, চিনি দিয়েছি।
দুধগুলো ভালোমতো ফুটতে শুরু করলে বানিয়ে রাখা পিঠাগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর বেশ কিছুক্ষণ রান্না করেছি।
কিছুক্ষণ রান্নার পর পিঠাগুলো যখন সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে এবং দুধ ঘন হয়ে গিয়েছে তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেল। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন । পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
হায় হায় এটা কি তৈরি করেছেন আপু? পিঠার মধ্যে সবথেকে আমার প্রিয় পিঠা হল দুধ পুলি পিঠা। তবে একটা বিষয় এই পিঠা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। আর আপনি ঠিক বলেছেন একার পক্ষে এই পিঠা তৈরি করা একটু অসম্ভব। তবে বলে না খেতে যেটা স্বাদ বেশি কষ্টটাও একটু বেশি। এই পিঠার ক্ষেত্রে ঠিক তেমনি। তবে একা খাওয়াটা ঠিক হয়নি একটু পার্সেল করতে পারতেন 😃।
এই পিঠা খেতে আসলেই অনেক মজাদা এ জন্যই সবার খুব পছন্দের একটি পিঠা। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ আপু আপনিও দুধগুলি পিঠা তৈরি করেছেন। দেখে তো বেশ ভালো লাগলো। কমিউনিটিতে অনেকেই দেখি এই পিঠা তৈরি করে ।তবে এই পিঠাটি আমার এখন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি ।আপনার রেসিপি দেখে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই বারই প্রথম এই পিঠা তৈরি করেছিলাম। আসলেই খুব মজা হয়েছিল আপু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এত মজাদার ভাবে আজকে আমার পছন্দের পিঠা তৈরি করেছেন দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। দুধ পুলি পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই রেসিপিটা যেমন সুস্বাদু তেমনি অনেক বেশি লোভনীয়। আমি তো মাঝে মাঝেই এই ধরনের পিঠাগুলো তৈরি করে থাকি। কারণ আমার মত আমার পরিবারের সবাই ও এগুলো খেতে পছন্দ করে। আপনার এই পিঠা তৈরিতে কাজের খালা অনেক বেশি সাহায্য করেছে কথাটা শুনে খুব ভালো লাগলো। আসলে এরকমটা সব সময় হয় নিজেরা পিঠা না তৈরি করলেও, পিঠার সিজনে যেকোনোভাবেই হোক না কেন পিঠা খাওয়া হয়ে যায়।
এই পিঠা আপনার পছন্দের জন্য খুশি হলাম আপু। খালা সাহায্য না করলে একা বানানোর সম্ভব ছিল না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দুধ পুলি আমার অনেক পছন্দের পিঠা। যদিও এটা শীতের পিঠা। শীতেও খাওয়া হয়। কিন্তু এই গরমে কেমন লাগবে সেটা দেখার বিষয়। তবে এক্ষেত্রে এটা ফ্রিজে রেখে খাওয়া যেতে পারে। দারুণ তৈরি করেছেন দুধ পুলি পিঠা টা আপু। দেখেই লোভনীয় লাগছে। এবং চমৎকার উপস্থাপন করেছেন প্রতিটা ধাপ। ধন্যবাদ আপনাকে।।
এই পিঠাটি শীতকালেই তৈরি করেছিলাম ভাইয়া। শেয়ার করার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। তাই এখন শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ দেখে তো বেশ ভালো লাগলো আপু দুধ পুলি। বেশ পছন্দের এবং প্রিয় একটি খাবার। পিঠা পুলি খেতে খুবই ভালো লাগে। আগে অনেক বেশি তৈরি করা হতো কিন্তু এখন বাচ্চাদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তেমন একটা তৈরি করা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে সময় সুযোগ পেলেই তৈরি করে নিই আপনার মত। খুবই মজাদার একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করলেন। যদি দাওয়াত দিতেন তাহলে চলে আসতাম আপু😋।
আমি অবশ্য এ বারই প্রথম তৈরি করেছিলাম। এর আগে কখনো তৈরি করা হয়নি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দারুন একটি রেসিপি হয়েছে আপু। দুধপুলি পিঠাটা দেখে দারুন লাগছে। কামড়ে কামড়ে দুধের সাথে নারকেলের নাড়ুর মজা অনুভব হবে। একবার বাসায় বানিয়ে খেতে হবে। রেসিপিটা আমার কাছে পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দুধের সাথে নারকেলের স্বাদ পাওয়া যায়। এজন্য আরো বেশি ভালো লাগে খেতে।
দুধ পুলির রেসিপি কিছুদিন আগেও আমাদের বাড়িতে এই পিঠা তৈরি হয়েছিল। এই পিঠা খেতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছ থেকে। আপনার এই দুধ পুলির রেসিপি, দেখে বেশ সুস্বাদু এবং টেস্টি মনে হচ্ছে। প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে পরিবেশন করেছেন পর্যায়ক্রমে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাহলে তো কিছুদিন আগে এই পিঠার স্বাদ আপনি পেয়ে গিয়েছেন। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অসময়ে দুধপুলি পিঠা দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে আপু।😋দুধপুলি পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করি, শীতকালে প্রায়ই বাসায় দুধপুলি বানানো হয়।আপনার রেসিপি সবসময়ই লোভনীয় হয় আপু এবং পরিবেশনও বেশ চমৎকার লাগে আমার কাছে সবমিলিয়ে অসম্ভব রকমের সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু।❤️
এই পিঠা কিন্তু শীতকালই তৈরি করা হয়েছিল। অসময়ে দেখে আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার কথা আর কি বলবো। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।