গুঁড়ের পায়েসের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে গুড়ের পায়েসের রেসিপি শেয়ার করবো। পায়েস খেতে কিন্তু সবারই কমবেশি খুব ভালো লাগে। দেখতে পায়েস রান্না করা খুব সহজ মনে হলেও অনেক সময় লাগে পায়েস রান্না করতে। কারণ খুব কম জ্বালে অনেক সময় নিয়ে পায়েস রান্না করতে হয়। তা না হলে জ্বাল বাড়িয়ে দিলে দুধ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর ক্রমাগত নাড়তে হয়। তা না হলে নিচে পুড়ে যেতে পারে। এজন্য সময় বেশি লাগে। চিনির পায়েসের সাথে যদি সামান্য একটু গুড় দেওয়া যায় তাহলে খুব সুন্দর একটি ফ্লেভার আসে। যার জন্য খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। সম্পূর্ণ পায়েস গুড দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে ততটা ভালো লাগে না। যদি চিনি আর গুড় মিক্স করে রান্না করা হয় তাহলে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আশা করি আজকের পায়েসের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
চাল
চিনি
লবণ
গুড়
এলাচ
প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে দুধ দিয়েছি। তারপর এলাচ দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
দুধ গরম হতে হতে এই ফাঁকে গুড় নিয়ে তার মধ্যে গরম পানি দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল করে নিয়ে গুড়গুলো গলিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
দুধ গরম হয়ে ফুটতে শুরু করলে চাল দিয়ে দিয়েছি। তারপর বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
অনেকক্ষণ জ্বাল করার পর চালগুলো প্রায় সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এ পর্যায়ে প্রথমে চিনি এবং পরে গুড় দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
আবারও বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল করে সামান্য একটু লবণ দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর অনবরত নাড়তে নাড়তে যখন ঘন হয়ে গিয়েছে তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এভাবে আমার গুড়ের পায়েস তৈরি হয়ে গেল। এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
গুড়ের পায়েস খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর আপনি এত মজারভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখে আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে খাওয়ার জন্য। এই রেসিপিটা যে দেখবে তারই কিন্তু অনেক লোভ লেগে যাবে। আপনার কাছ থেকে আজকে খুব সহজেই গুড়ের পায়েস তৈরি শিখে নিলাম। আমি তো ভাবতেছি এটা একবার আমি নিজেও তৈরি করার চেষ্টা করবো। এটাতো এমনিতেই অনেক সুস্বাদু। আশা করছি এভাবে তৈরি করলে আরো সুস্বাদু হবে।
আমার গুড়ের পায়েস তৈরি দেখে আপনিও শিখে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গুঁড়ের পায়েসের রেসিপি দেখেই খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে গুড়ের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপির পরিবেশনে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গুড়ের পায়েসে খেতে বেশ মজা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
গুড়ের পায়েস রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া পায়েস খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার তৈরি গুড়ের পায়েস দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
পায়েস আপনার কাছে খেতে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন চুলার জ্বাল মিডিয়াম রেখে অনবরত নেড়ে পায়েশ রান্না করলে সেটা খেতে ভালো হয় নিচে পোড়া লাগে না যার কারণে খেতে টেস্টি হয় । আপনার পায়েস দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে । অল্প গুড় দিয়ে রান্না করলে সেটা খেতে ভালই লাগে । আপনার পায়েসটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে ।
নিচে পোড়া লেগে গেলে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। এজন্যই সময় নিয়ে রান্না করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গুঁড়ের পায়েসের রেসিপি খেতে অনেক মজা লাগে। আমিও এই পায়েস খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার গুঁড়ের পায়েস রেসিপি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গুড়ের পায়েস খেতে অন্যরকম একটা টেস্ট। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গুড়ের পায়েস চমৎকার একটি রেসিপি আপু। খেজুরের গুড় হলে তো আরো বেশি মজা লাগে খেতে।আপনার গুড়ের পায়েস রেসিপিটি ভীষণ সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে পায়েস করার পদ্ধতি ও ফটোগ্রাফি তে পায়েসের কালার দেখে।ধাপে ধাপে সুন্দর করে আমাদের সাথে পায়েস রেসিপিটি করেছেন এবং তা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু গুড়ের পায়েস রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এগুলো খেজুরের গুড় দিয়েই তৈরি করেছিলাম। অন্যরকম একটা ঘ্রাণ হয় খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করলে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বরাবরি আমি মিষ্টি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আর পায়েশ আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। তবে এটি রান্না করাটা বেশ কষ্টসাধ্য। রান্না করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকা লাগে একটু এদিক ওদিক হলে নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ আমি নিজেই পায়েশ রান্না করেছি। তবে আপু নারিকেল দিলে মনে হয় পায়েসের স্বাদ আরেকটু বেড়ে যায়। তবে আপনার পায়েস রান্নাটাও অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে।
আপনি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। তাহলে তো এই পায়েস আপনার খুবই মজা লাগবে খেতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাহ আপনার গুড়ের পায়েস দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে ।অনেক দিন এরকম গুরের পায়েস খাওয়া হয় না ।খেতে নিশ্চয়ই খুবই মজার হয়েছিল। দেখে তো তাই মনে হচ্ছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে গুড়ের পায়েস রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজ আমাদের মাঝে গুঁড়ের পায়েসের রেসিপি, পায়েস খেতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। আর আপনি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে বেশ পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞতা শহিত শেয়ার করেছেন। আশা করি এভাবে তৈরি করে খাবো একদিন ধন্যবাদ।
পায়েস রান্নার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। যাতে যে কেউ দেখে তৈরি করতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।