যা-তা অবস্থা
২৮ তারিখ মহাসমাবেশ হওয়ার আগের দিন থেকেই মূলত ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না। শুনেছিলাম ডাটা সেন্টারের হেড অফিসে নাকি আগুন লেগেছিল। যদিও ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় পেতে বেশ ভালই সময় লেগেছিল। সেদিন বেশ কষ্ট করেই সাপ্তাহিক হ্যাংআউট শো করেছিলাম।
পরের দিনের তো ঘটনা সকলেই জানেন, মহাসমাবেশ হলো অনেক বিশৃঙ্খলাও হয়ে গেল, মাঝে ঝরে গেল কিছু তরতাজা প্রাণ বা আহত হলো অনেকেই। তারপরে তো আবারো হরতাল হলো। জনজীবনে ইতিমধ্যেই ভোগান্তি নেমে পড়েছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিক কার্যক্রম থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
এর মাঝে আবার দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ ছিল না, এদিক থেকেও এক প্রকার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাছাড়া এটা মূলত এখানকার রোজকার সমস্যা। যেহেতু বড় রাস্তার পাশেই আমার বাসা, তাই মূলত হরতালের দিনটায় বাহিরে বের হয়নি বললেই চলে। প্রতিনিয়ত পুলিশ বাঁশি বাজাচ্ছিল আর একটু পরপরই জোরে জোরে সাইরেন বাজিয়ে পুলিশের গাড়ি ছোটাছুটি করছিল আর ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছিল জমাট বাঁধা লোকজনদের কে। বড় রাস্তায় যানবাহন খুব একটা চলেনি, তবে বাইরের লোকজনের ভিতরে ভীষণ উত্তেজনা কাজ করছিল।
আজকে আবার হরতাল ছিল না। এক রাতের ভিতরেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় বেশ ভালই যানবাহন দেখা গিয়েছে। যেহেতু আজকে বাহিরে গিয়েছিলাম মূলত কাঁচা বাজার করার জন্য, তাই গিয়ে দেখি বাজারে আবার সবজির দাম অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। তারা বলছে, আজ থেকে আবার টানা তিন দিন অবরোধ থাকবে। ব্যবসা ঠিক মতো করতে পারব কিনা সন্দেহ। আমি বুঝতে পারলাম যে, আসলে ঘটনাটা কোন দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ এ যাত্রায় আবারো অসহায়। কোন রকমে কাঁচা বাজার করে বাসায় ফিরে এসে যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে নিউজ দেখার চেষ্টা করলাম, তখন অবরোধের ব্যাপারটি নিশ্চিত হলাম এবং সঙ্গে আবারো জানতে পারলাম টানা ২০ ঘন্টা নাকি ইন্টারনেট সংযোগ খুব একটা ভালোভাবে থাকবে না। মানে কয়েকদিন থেকে ঝুট ঝামেলা যেন কোন ভাবেই কমছে না।
এমনিতেই সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন বেশ তিক্ততায় ভরে গিয়েছে, তার ভিতরে যদি এরকম ক্রমাগত অবরোধ থাকে আবার ঠিকঠাক মতো মানুষ কর্মও করতে না পারে, তাহলে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘোলাটে হয়ে যায় সাধারণ মানুষের জন্য। যদিও রাজনৈতিক বিষয়গুলো আমি খুব একটা ভালো বুঝিনা বা নতুন করে বুঝতেও চাই না। তবে যা কিছুই হোক না কেন, তা যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য হয়, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। কারণ এইরকম যা-তা অবস্থা চলতে থাকলে, একরকম মানসিক দুশ্চিন্তার ভিতরে থাকতে হয়, যা একদম অসহ্যকর।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1719249939686129693?t=LY3xuhGorEiXxb7wtUg8bQ&s=19
জি ভাইয়া। সেদিন বেশ কষ্ট করেই হ্যাংআউট শুনছিলাম। কথা আসছে আবার কথা হারায় যাচ্ছে। দেশের যে কি পরিস্থিতি হবে আমরা কিছুই বুঝতে পারতেছি না। সামনে নির্বাচন। আমরা চাই আমরা যেন সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করতে পারি। যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন যেন মানুষকে ভালো রাখে। সবথেকে খারাপ লাগলো পুলিশ কে যেভাবে মারা হচ্ছে। তাদেরও তো পরিবার আছে। তাদেরও তো জীবন।দেশের জন্য তাদের জীবন চলে যাচ্ছে অনায়াসে। সত্যি এটা দেখে অনেক খারাপ লাগছিল। একজন বাস চালক কি কান্নাকাটি না করছিল? সে তো কোন দোষ করে নাই। তার বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে।আহারে জীবন,🥺সমস্যা চারিদিকে ভাইয়া। বিদ্যুৎ লাইন আমাদের এধারাও ছিল না। অনেক সমস্যা আর হরতাল তো আছেই। সাধারণ মানুষ পথ দিয়ে হেটে গেলেও তাদের উপরও আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা খুবই খারাপ লাগার একটা বিষয়। মানুষ যদি কর্ম করতে না পারে তাহলে ভাইয়া অনেকটাই পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাবে। আমরা এরকম পরিস্থিতি চাই না। আমরা একটু সুখ শান্তি চাই। জানি না সামনে কি আশা করছে আমাদের জন্য 🥺
শান্তি ফিরে আসুক এমনটাই তো সবার প্রত্যাশা ।
আসলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দেখার সময় কারোরই নেই। এমনিতেই দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন একেবারে অতিষ্ঠ। এরমধ্যে হরতাল, অবরোধ এর কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে একেবারে আগুন। ১১০ টাকা কেজি পেঁয়াজ এবং ৬০ টাকা কেজি আলু কিনতে হলো। রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে মানুষজন কাজ কর্মে যেতে পারছে না ঠিকমতো। সবমিলিয়ে খুবই বাজে পরিস্থিতির মধ্যে আছি আমরা। সামনে মনে হচ্ছে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে হবে আমাদেরকে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এমন চলতে থাকলে আসলেই সামনে ভয়াবহ কিছুর আন্দাজ করা যাচ্ছে ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা এখন বোবা, বধির এবং অন্ধ, আর পরিস্থিতির চাপে পিষ্ট হওয়া মানুষ। এখন যতক্ষন প্রান আছে হয়তো এভাবেই আমাদের বাঁচতে হবে, তবে সবকিছুর শেষ আছে। ইনশাআল্লাহ পরিস্থিতি একদিন ভালো হবে। আমরাও ঠিক আপনার মতোই যা-তা অবস্থায় রয়েছি ভাই।
সব কিছু স্বাভাবিক হোক, সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকুক, এমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
আসলে ভাইয়া কয়দিনে যা চলছে তাতে করে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব করছে কাঁচাবাজার গুলোতে ।যাইহোক কিছু করার নেই। সাধারণ মানুষকেই যত ভোগান্তি পোহাতে হবে। বেশ ভাল ছিল আপনার লেখাটি ।ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁচা বাজারের কথা আর বলিয়েন না আপু, ওখানে দামে ভয়াবহ আগুন লেগেছে।
বলতে গেলে সারা দেশেই খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এক দশক পরে মনে হয় হরতাল দেখলাম। বিপদে পরছে এদিকে সাধারণ পাবলিক। অবরোধও দেয়া হয়েছে, সব মিলিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে সাবধানে। তবে এমন পরিস্থিতি আমরা কখনোই চাই না। আমরা সাধারণ চাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি, যেন জনজীবন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে।
স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক এমনটাই তো কামনা।
মানুষের জীবনে ভোগান্তির শেষ নেই।আর এইসব অবরোধমূলক কর্মকান্ডের জন্য সাধারণ মানুষেরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।দ্রব্যমূল্য এর দাম এমনিতেই বেশি থাকে তার উপরে এইসব কারনে আরো বৃদ্ধি পায় বলে মনে হয় আমার।যাইহোক সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক সেটাই প্রত্যাশা করি,ধন্যবাদ ভাইয়া।