খেলার মাঠের বড্ড অভাব
আমাদের এই মফস্বল শহরে দুটো খেলার মাঠ আছে, তবে দুটো মাঠই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া ছেলেদের দখলে থাকে। বলতে গেলে ওরাই সব সময় মাঠে খেলাধুলা করে। তাছাড়া এটা নিতান্তই স্বাভাবিক, কেননা উঠতি বয়সী ছেলেদের স্কুল ওদের মাঠে ওরাই তো খেলবে।
আমার আসলে বাবুকে নিয়ে প্রতিনিয়ত রিক্সায় চড়ে ঘুরে বেড়ানো অভ্যাস। একপ্রকার বাধ্য হয়েই ঘুরে বেড়াই। আমার বাবুর আসলে খেলার মাঠ নেই। হয়তো যারা নগর পরিকল্পনার দায়িত্বে আছে তাদের হয়তো এমনটা চিন্তাভাবনা কখনো আসেনি। তারা হয়তো চিন্তা করেছে খেলাধুলা হয়তো শুধুমাত্র উঠতি বয়সী ছেলেদের জন্য।
একটা যদি পার্ক থাকতো কিংবা ছোটদের নির্দিষ্ট খেলার মাঠ তাহলে হয়তো আমি এই দুশ্চিন্তা করতাম না। কেননা তাহলে আমার বাচ্চার জন্য খুব সহজেই খেলার মাঠের ব্যবস্থা হয়ে যেত। সত্যি বলতে কি আমার বাচ্চা অনেকটা জেলখানার মতো অবস্থায় থেকে বড় হচ্ছে। সে আসলে দিন দিন আসক্তি তে ভুগছে, ডিজিটাল ডিভাইসের। আমি অনেকটা বাধ্য হয়েই কিনে দিয়েছি।
ঐ যে বললাম আমার হাত পা বাধা, আমি আসলে ওর জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করে দিতে পারিনি। তাছাড়া, ঐ মাধ্যমিক পড়ুয়া স্কুলের ছেলেদের মাঝে যখন ওকে খেলতে নিয়ে যাই , তখন বড্ড ভীতি কাজ করে, কেননা হুট করে যদি ভারী বল নিজের বাচ্চার শরীরে লেগে যায় এই চিন্তা থেকেই যায়। তাই মাঠে স্বাচ্ছন্দে বাবুকে নিয়ে গিয়ে খেলতে পারি না।
আমাদের সময় হয়তো এমনটা সমস্যা হয়নি, তবে যত দিন গড়িয়ে গিয়েছে প্রতিনিয়ত ততই এতো পরিমাণে আবাসস্থল গড়ে উঠেছে যে, বাচ্চাদের জন্য পার্ক কিংবা খেলার মাঠ যে তৈরি করা দরকার, সেই চিন্তাভাবনা কেউ যেন করে নি। যার কারণে প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগী হচ্ছি, আমাদের মত অভিভাবকরা।
এ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাই, শুধুমাত্র বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ করার লক্ষ্যে, তাকে খেলাধুলাতে ব্যস্ত রাখার জন্য, তবে দিনশেষে আফসোস থেকেই যায় খেলার মাঠের অভাবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1750108881479675984?t=IVZVCR9A16dXuE8nfvs8NA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের জন্য খেলা ধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু শহরের শিশুরা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ শিশুদের খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠের অভাব সর্বত্র। আপনি আজ অতি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। লেখাটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই বর্তমানে খেলার মাঠ খুঁজেই পাওয়া যায় না। আমরা তো সারাদিন ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন এবং আরো কতো ধরনের খেলা খেলতাম, কিন্তু এখনকার বাচ্চাদের সেই সুযোগ একেবারেই নেই। আসলে আমাদের দেশে পরিকল্পিত কাজ খুবই কম করা হয়ে থাকে। তাইতো বাধ্য হয়ে বাচ্চাদেরকে বাসায় আটকে রাখতে হয়। আর তখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে একেবারে ভিন্ন চিত্র। সাউথ কোরিয়াতে আমি যে বিল্ডিংয়ে থাকতাম, আমার বাসা থেকে হেঁটে গেলে মাত্র ৪/৫ মিনিট দূরত্বের মধ্যেই দুই তিনটা বিশাল বড় বড় পার্ক। পার্কের মধ্যে ফুটবল খেলার বিশাল মাঠ,একপাশে ব্যায়াম করার জন্য কিছু ইন্সট্রুমেন্টস,এক পাশে ঝর্ণা, আরও বিশাল জায়গা ছিলো। সবাই হাঁটাহাঁটি করতো, খেলাধুলা করতো, সবমিলিয়ে চমৎকার ব্যবস্থা। আসলে আমরা উন্নত দেশের মতো, আমাদের দেশে এতোটা আশা করি না। কারণ সেটা আশা করাও এক ধরনের বোকামি। তবে নূন্যতম যদি কোনো সুযোগ সুবিধা আমরা পেতাম, তাহলে কিন্তু আমরা উন্নত দেশের সাথে তুলনা করতাম না। আসলে দিনশেষে কিছুই করার নেই আমাদের। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে শহরে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশটা এখন হয় না। এক প্রকার ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্তি হচ্ছে। আর বাবা মারও কোনো উপায় নেই, হাতে বাধ্য হয়েই স্মার্টফোন তুলে দিতে হচ্ছে। আমাদের সময় যে মাঠ ছিল এখন আর সেরকম মাঠ চোখে পড়ে না। সব এখন ফিল আপ হয়ে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্ম হয়তো খেলাধুলা কি জিনিস সেটা ভুলে যাবে!
এটা সত্যি কথা দাদা বর্তমানে খেলার মাঠের বড্ড অভাব। আমাদের সময় যেগুলো ছিল এখন তো তাও নেই। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য কোন ব্যবস্থাই এখন তেমন একটা দেখা যায় না। তাদেরকে বাধ্য হতে হচ্ছে ঘরে আবদ্ধ থেকে জেলখানার মতো বড় হতে। এই কারণেই তারা ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। যত দিন যাবে এই খেলার মাঠের অভাব আরও বেশি দেখা যাবে। আর এই আফসোসটা আমাদের সব সময় থেকে যাবে দাদা।