অকৃতজ্ঞ
সেদিন সন্ধ্যেতে যখন বাহির থেকে বাসায় ফিরছিলাম, তখন মুহূর্তেই এক প্রতিবেশীর বিপদগ্রস্তের খবর শুনে, নিজের থেকেই এগিয়ে গিয়েছিলাম। এটা একপ্রকার বদ অভ্যাস আমার, কারো বিপদের কথা শুনলে পিছপা হতে পারি না।
মুহূর্তেই হসপিটালে চলে গিয়েছিলাম, সেই স্থানীয় হসপিটালে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে, রোগীর অবস্থা শুনে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ম্যানেজ করে, আবারও অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে, তা সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবহার করানো বা রোগীকে আশ্বস্ত করানো কিংবা পরবর্তীতে মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে ঝামেলাহীন ভাবে পাঠানো, এই বিষয়গুলো কিছুটা এতটাই দ্রুত করতে হয়েছে, যা আরকি যত সহজে লিখে ফেললাম, বাস্তব প্রেক্ষাপট তার চেয়েও কয়েক হাজার গুণ বেশি জটিলতা সম্পন্ন ছিল।
কেননা বিপদের সময় কোন কিছুই ঠিকঠাক মত হাতের কাছে পাওয়া যায় না। যদিও পরবর্তীতে সেই প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম নিজের থেকেই, অনেকটা ভিন্নভাবে মানে অন্য প্রতিবেশীর মাধ্যমে। শুনেছিলাম, সেই বিপদগ্রস্ত প্রতিবেশীর বিপদ অনেকটাই কেটে গিয়েছে এবং সে এখন ভালই আছে। খবরটা শুনে বেশ ভালোই লেগেছিল, কেননা তার সেই কঠিন সময়ে নিজেকে তার পাশে নিয়োজিত করতে পেরেছিলাম, এটা ভেবে।
নিজের জায়গা থেকে কোন কিছুই তেমনটা প্রত্যাশা করি না। কেননা আমি বুঝে গিয়েছি , চতুর্দিকে সব স্বার্থপর লোকদের আনাগোনা। এখানে আসলে প্রত্যাশা-প্রাপ্তি করাটা নিতান্তই বোকামি। একটা ধন্যবাদ কথাটা বলার মতো মানসিকতাও অনেকের থাকে না।
বিপদ কেটে গেলেই, সবাই যেন সব ভুলে যায়। ভুলে যায়, যারা বিপদের সময় বিনা স্বার্থে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, তাদের কথা। অনেকটা তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই কথাটা বললাম। দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছে, আশেপাশের মানুষের আসল চেহারা গুলো যেন ততই ভেসে উঠছে চোখের সামনে।
নিজের মনকে বারবার সান্ত্বনা দেই, প্রত্যাশা-প্রাপ্তি খুবই কম রাখতে হবে। নিজের জায়গা থেকে যতটুকু করণীয়, ততটুকু করেছি বা করার চেষ্টা করি কিংবা ভবিষ্যতেও করবো, এতোটুকুই ভাবি। পক্ষান্তরে কি পেলাম বা কি পেলাম না, এসব ভাবনা-চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসাই শ্রেয়। তাতে আর যাইহোক, অকৃতজ্ঞদের আচরণে ভবিষ্যতে খারাপ লাগবে না।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1725010950611456490?t=prnH9jXUSgnux6TlS2nKsQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি বলতে কি আমাদের এই একটিই সমস্যা উপকার করলে তার প্রতিদানে আমরা কৃতজ্ঞতা না পেয়ে অনেক সময় তিরস্কার পাই। মানুষ আসলে বেশ স্বার্থপর। শুধু নিজেদের কে নিয়ে ভাবে। ভুলে যায় উপকারের কথা। কিন্তু তাতে কি যায় আর আসে যার অভ্যাস উপকার করার সে তো বসে থাকতে পারে না। যতই তিরস্কার পাক না কেন সে ছুটে যাবেই উপকার করার জন্য।
ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য।
বদ অভ্যাস বলতে ভাইয়া এটা আপনার সব থেকে ভাল একটি গুন। যে কারোর বিপদে কথা শুনলে আপনি ঘরে বসে থাকতে পারেন না।
মানুষ মানুষের জন্য। জি ভাইয়া বিপদের সময় কোন কিছু ঠিকঠাক মতো হাতের কাছে পাওয়া যায় না। আপনি নিজের জায়গা থেকে তাদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছেন এবং তারা এখন ভালো আছে শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া। প্রত্যাশা করা নিতান্তই বোকামি। আসলে নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও প্রতিটা মানুষ কিন্তু সেটার প্রতিদান দিতে জানে না। প্রতিটা মানুষ বিপদ কেটে গেলে ভুলে যায় । যেন তাকে কোনদিন কোন সাহায্য করা হয় নাই।মানুষ এমনই ভাইয়া । দিন যত যাবে মানুষের আসল চেহারা গুলি ততই সামনে ফুটে উঠবে। জীবনকে সুন্দরভাবে চালাতে হলে ভাইয়া নিজেদের প্রত্যাশা প্রাপ্তি খুবই কম রাখতে হবে তাহলে জীবন সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে
প্রত্যাশা যত কম, জীবন ততই সুন্দর।
এতো কিছু করার পর আমি মনে করি আপনি একটা ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখেন! কিন্তু আমরা মানুষ, নিজের স্বার্থ পুরিয়ে গেলেই শেষ। সবাই যেন স্বার্থ নিয়েই পরে আছে। তবে বিপদে এগিয়ে আসার অভ্যাসটা এটা খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। যদিও আপনি চিনেন বা না চিনেন। তবে আমার মনে হয় না অকৃতজ্ঞের আচরণে ভবিষ্যৎ এ খারাপ লাগবে।
আর খারাপ লাগে না ভাই, সব সহ্য হয়ে গিয়েছে।
সত্যি তাই কারো বিপদে কি পেলাম আর কি না পেলাম এটা আশা না করাই উচিত।তবে মানবিক দিক থাকলেই কৃতজ্ঞতা স্বিকার করে মানুষ। আসলে বিপদে পড়লে মানুষ নিঃস্বার্থ ভাবেই এগিয়ে যায় এবং যাওয়া উচিত।তবে বিনিময়ে ধন্যবাদটা অন্তত আশা করে মানুষ। ভালো লাগলো জেনে যে আপনি বিপদে এগিয়ে গেছেন। আসলে এটাই ভালো মানুষের বৈশিষ্ট্য আর আপনার মতো ভালো মানুষ গুলো আছে বলই বিপদ গ্রস্ত মানুষ সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার যে অভ্যাস এটা খুব ভালো। তবে স্বার্থপর মানুষগুলোর জন্য মাঝে মাঝে খারাপ লাগে আসলে।তবে দিনশেষে একটি কথা থেকেই যায়।আপনি যা কিছুই করেন তা কোন না কোন ভাবে আল্লাহ ফেরত দেন।হয়তো ভিন্ন মানুষের দ্বারা। আর অকৃতজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে কিছু না আশা করাই ভালো।
এটা একদম ঠিক বলেছেন, অকৃতজ্ঞ মানুষের কাছে কোন কিছু প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়।
দুই বছর আগে আমি যখন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে আসছিলাম, তখন আমাকে বিদায় জানাতে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন এয়ারপোর্টে বেশ কয়েকজন ভাই ব্রাদার এসেছিল। এর মধ্য থেকে সিনিয়র এক ভাই আমাকে বললো,কারো কাছে যেন কোনো কিছু প্রত্যাশা না করি। তাহলেই কষ্ট পেতে হবে। আমি যেহেতু বাংলাদেশে চলে আসছিলাম, আর সেজন্যই আমাকে এই কথাটি বলেছিলেন তিনি। আসলেই আমাদের দেশের মানুষ দিনদিন প্রচুর স্বার্থপর এবং বিবেকহীন হয়ে যাচ্ছে। কেউ উপকার করলে কৃতজ্ঞতাবোধ পর্যন্ত স্বীকার করে না। আর সেজন্য উপকার শব্দটা এখন খুব কম শোনা যায়। কেউ কারো বিপদে সহজে এগিয়ে যেতে চায় না বা উপকার করতে চায় না। যাইহোক সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার ব্যাপারটা জেনেও বেশ খুশি হলাম ভাই। বেশ ভালোই বলেছেন। শুভেচ্ছা রইল।