মুক্ত হাওয়ায় কিছুক্ষণ
প্যাঁচের দুনিয়ায় কার ভিতরে কোন প্যাঁচ লুকানো আছে, তা মানুষ কে বাইরে থেকে দেখে কোনভাবেই বোঝা যায় না। থাক সেসব কথা, তবে একটাই চাওয়া প্যাঁচমুক্ত হোক পৃথিবী। মানুষ হোক মানুষের জন্য, মানবিকতা ও সহযোগিতা বজায় থাকুক সর্বদা ও সর্বত্র।
এবার গ্রামে এসে খানিকটা ইচ্ছে করেই পরিবার নিয়ে খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরে ভ্যানে করে ঘুরে ছিলাম। বেশ ভালোই লেগেছিল সেই সময়টায়, নবনির্মিত গ্রামীণ পাকা রাস্তা ধরে দুপাশের সবুজ ফসলের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যে অনেকটা পথ অতিক্রম করে গিয়েছিলাম তা যেন বুঝতেই পারিনি।
যদিও যাত্রার শুরুতে হালকা মিষ্টি রোদ ছিল, তবে যখন ভ্রমণ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে আসছিলাম, সেই সময় পড়ন্ত বেলার সৌন্দর্যটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম। তখন হালকা হিমশীতল বাতাস ছিল এবং দূরে দেখছিলাম কুয়াশা পড়া পড়া ভাব।
সন্ধ্যের আগেই গ্রামের বাজারে এসে নেমে খানিকটা কেনাকাটা করে নিয়েছিলাম। যদিও এদিকটাতে শাক-সবজির দাম কিছুটা তুলনামূলক কম। তাছাড়াও একদম তরতাজা ও সতেজ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, রাস্তার উপরে যে লোকজনগুলো বসে আছে শাকসবজি নিয়ে, তারা মূলত এখানকার স্থানীয়। এই শাক-সবজি গুলো তাদের নিজেদের জমিতেই চাষ করা। তাই কিছুটা স্বল্প দামে কিনতে পেরেছি। এভাবে বাজার করার মাঝে, একপ্রকার প্রশান্তিও কাজ করে। কেননা টাকাটা সরাসরি কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া যায়।
জায়গা ভেদে জীবনগুলো সত্যিই বেশ অদ্ভুত। শহর অঞ্চলের যান্ত্রিক জীবনে, যান্ত্রিকতায় যেমন পিষে যাচ্ছি তেমনটা আবার গ্রাম অঞ্চলে আসলে অনেকটাই যেন মুক্ত হওয়ার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি। জীবনের এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুবই জরুরী। তা না হলে, বেঁচে থাকাটা যেন অনেকটা অনর্থক মনে হয়।
এই যে গ্রামে এসে, সেদিন পরিবার নিয়ে দীর্ঘ সময় ভ্যানে চড়ে ঘোরাঘুরি করলাম, চেষ্টা করেছিলাম গ্রামীন মানুষজনের ভিতরে খানিকটা সময়ের জন্য মিশে যাওয়ার জন্য এবং তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল, এখানকার মানুষজনের চাহিদা অতি সামান্য। আর এই সামান্য চাহিদাই তাদের সুখের মূল কারণ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আজকাল মানুষ চেনা বড় টাফ।উপর থেকে বোঝার উপায় নেই এই মানুষগুলোকে।ভেজালে ভরা।তবে আপনি গ্রামের মুক্ত হাওয়ায় কিছুটা সময় কাটিয়েছেন এতে কোন ভেজাল নেই।আপনি কিন্তু দারুন ফটোগ্রাফি করেন।এর আগেও আপনার তোলা গ্রামীণ পরিবেশের ফটোগ্রাফি আমি দেখেছিলাম মুগ্ধ হয়ে।এরপর শীতের সবজি কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল। এতে একটা তৃপ্তি কাজ করলো।কারন সরাসরি টাকাটা কৃষক পেলো।আপনারা খোলা ভ্যানে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য আমাদের আসলে গতদিনের সময়টা বেশ ভালই কেটেছে মুক্ত পরিবেশে ।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1722163959598567912?t=Z3npxi0FjQM8dJFwkj0u1A&s=19
এমন অনেক মানুষ আছে ওপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট। মানুষকে বাহির থেকে বোঝা যায় না। তার আসল রূপ। আমাদেরও একটাই চাওয়া প্যাঁচমুক্ত হোক পৃথিবী। মানুষ মানুষের জন্য এমন ভাবে সর্বদা বজায় থাকুক কিন্তু ভাইয়া আপনার প্রথম ফটোগ্রাফি টা দেখে আমি তো পুরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে। এরকম পিকচার একটা হাফিজুল্লাহ ভাইয়া পোস্ট করেছিল তারপরে দেখছিলাম সেটা ডাউনলোড করা একটা পিকচার কিন্তু আপনি যে এত সুন্দর একটি পিকচার আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই পিকচারের জন্য আপনি আসলেই ভাইয়া প্রশংসার দাবিদার। হালকা মিষ্টি রোদ যেহেতু পড়েছে তাই অনেক সুন্দর লাগছিল। গ্রাম অঞ্চলে তরতাজা ও সতেজ সবজি পাওয়া যায় এই দিকটা থেকে ভীষণ ভালো লাগে। গ্রামীণ পরিবেশে ভাইয়া একটা ভ্যানে চড়ে ঘোরাঘুরি করা সব থেকে সুন্দর একটি মুহূর্ত। প্রতিটা মানুষ দিন যায় চাহিদা বাড়তে থাকে। আমাদের উচিত চাহিদা কমানো যত চাহিদা কমানো যায় জীবন তত সুন্দর।
আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয়, যার যত চাহিদা কম
সে ততটাই সুখী।
গ্রামে পড়ন্ত বিকেলে ঘুরাঘুরি করতে আসলে অনেক মজা লাগে। ধানের ক্ষেতে মাঝ দিয়ে রাস্তা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। জি ভাইয়া সন্ধ্যা নামার মুহূর্তে গ্রামে কিছুটা শীতের আবহাওয়া দেখা যায়।
আপনারা নিজেরাও তো এবার গ্রামে গিয়ে বেশ ভালই সময় কাটাচ্ছেন, আপনাদের সাময়িক ব্লগ ও ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তা আমি বুঝতে পেরেছি। শুভেচ্ছা রইল ভাই।
শহরের জীবন যাপন যতই আধুনিক হোক না কেন গ্রামের মতন এত মুক্ত পরিবেশ পাওয়াটা অনেক কঠিন। লেখাপড়া জীবনে শহরে থেকেছি কিন্তু কখনো কি সুখ পায়নি। গ্রামে প্রকৃতি সবসময় মনোরম এবং সুন্দর। আর গ্রামে বসবাস করেও অনেক আরাম। ভাই প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু আমার কাছে দারুন লেগেছে। জীবনের সুখটাকে সেটা গ্রামে বসবাস করলে বোঝা যায়। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
আসলেই জীবনের প্রকৃত সুখ হয়তো গ্রামে বসবাস করেই পাওয়া যায় ভাই, এ কথার সঙ্গে আমি সহমত পোষণ করছি।
প্যাচের দুনিয়ায় কখনোই একটা মানুষকে উপর থেকে বুঝা যায়! তার সাথে মিশলে, কথা বললে হয়তো বুঝা যেতে পারে কত রকমের প্যাচঁ লুকিয়ে আছে তার ভিতরে! যাক, গ্রামের পরিবেশ বরাবরই আমার ভালো লেগে। যেহেতু আমি একজন গ্রামেরই ছেলে এজন্য গ্রামের পরিবেশ আমাকে ভালোভাবেই টানে। পড়ন্ত বেলার সূর্যের ফটোগ্রাফি ভালো ছিল ভাইয়া। ভ্যানগাড়িতে করে ঘুরে বেড়ানোর মজাই অন্যরকম।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া জায়গা ভিত্তিক জীবন যাত্রা ভিন্ন ধরনের। তবে গ্রামে শাক সবজির দাম কম হলেও জিনিস গুলো টাটকা পাওয়া যায়। আসলে গ্রামে মুক্ত হওয়া সবারই কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি মুক্ত হওয়ায় বেশ ভালো একটা কাজের কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
যানজটযুক্ত যান্ত্রিক শহরের জীবন গুলো আসলেই কেমন কেমন।তবে গ্রামের জীবন যাপন একদমই ভিন্ন।গ্রামে যেমন তরতাজা শাকসবজি পাওয়া যায়। তেমনি আবহাওয়াও বিশুদ্ধ পাওয়া যায়, যেটা শহরে মোটেই পাওয়া যায় না।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখার মত ছিল। চারিদিকে ধান খেত আর সূর্যের উঁকি বেশ ভালোই লাগলো।যাইহোক খুব চমৎকার কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই ।
হি হি হি । ভাইয়া আপনার কথা শুনে কিন্তু আমি না হেসে পারলাম না। কিন্তু আফসোস হলো দুনিয়ার মানুষের মনের প্যাচ কোন দিন দূর হবে না। সে যাই হোক ভাইয়া এত সুন্দর গ্রাম এটা কোথায়? দারুন লাগছে আমার কাছে। এক কথায় অসাধারন। তবে হ্যাঁ জায়গা ভেদে মানুষের চাহিদার পরিবর্তন তো অবশ্যই আছে। এই যেমন ওখান কার মানুষ গুলোর চাহিদা অনেক কম।
আমার গ্রাম বলতে, আপনার ভাবির বাড়ির গ্রাম কেই বোঝানো হয়েছে। আজকাল ওখানে গেলেই একটু তৃপ্তি পাই মানসিকভাবে।