বোঝার চেষ্টা করছি || @shy-fox 10% beneficiary
সেদিন রাতেও যখন হ্যাংআউটে উপস্থাপনা করছিলাম । হুট করে মনে হচ্ছিলো শরীরের এক পাশটা অবশ হয়ে আসছিল । শরীরের ভিতর কেমন জানি ঝিমঝিম করছিল । তাৎক্ষণিক খুব একটা গুরুত্ব দেইনি । ভেবেছিলাম হয়তো রক্তচাপ একটু এদিক-সেদিক করছে । এটা তো আর নতুন কিছু না । দীর্ঘ প্রায় আট থেকে নয় বছর আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও অস্থিরতায় ভুগছি ।
এখন আপনি হুট করেই বলতে পারেন, এই বয়সেই উচ্চ রক্তচাপ । আসলে রক্তচাপ সবারই আছে, শুধু কম আর বেশি আর তাছাড়াও অসুখ-বিসুখ তো আর বয়স দেখে হয় না । যদিও কদিন আগে থেকেই ভাবছিলাম , যেহেতু আমার কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন হয়েছে এবং কাজের ধারাবাহিকতাও আগের থেকে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে এবং সঙ্গে জীবনযাত্রার মান । তাই ভাবলাম, হয়তো রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে । তাই হয়তো আজকাল শরীরটা এমন লাগে ।
যেহেতু আজ শুক্রবার, হাতে মোটামুটি বেশ ভালই সময় আছে । তাছাড়াও অন্যান্য দিনের থেকে আজ কাজের চাপ নেই বললেই চলে । তাই বিকেলবেলার দিকে কষ্ট করে আমার সিনিয়র কলিগের সঙ্গে দেখা করার মনস্থির করলাম ।
এ হাসপাতালে আসলে আমার যাতায়াত বহু আগে থেকেই । হয়তো বিগত সময় আমি সেগুলো বলার চেষ্টা করেছি । সেই যখন ইন্টার্ন জীবন শেষ করেছিলাম, তারপরে টুকটাক ক্লিনিক্যাল কাজের হাতটা পরিপক্ক করার জন্যই এখানে আসতাম ।
যেহেতু আগে থেকেই আমার কলিগের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছিল । তাই মোটামুটি এসেই এখানকার প্যাথলজিস্ট আপেল কে বললাম, ভাই আমার রক্তের সুগারটা একটু পরিমাপ করতে হবে । অতঃপর আপেল কে স্যাম্পল দিয়ে , তারপর অপেক্ষা করছিলাম রিপোর্ট পাওয়ার জন্য ।
অতঃপর কলিগের রুমের দিকে চলে গেলাম । কলিগ মোটামুটি বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন । যেহেতু তার আজকে ছুটির দিন, তাই মোটামুটি চেম্বারে অন্যান্য দিনের থেকে আজ একটু তার রোগীর চাপ বেশি । খানিক বাদেই তার যখন একটু চাপ কমে এসেছিল । তারপর প্রায় দীর্ঘ সময় খোশগল্পে মেতে উঠেছিলাম । দীর্ঘদিন পরে এসেছি, অনেক রকম কথা হয়ে গেল । অতঃপর হুট করে সিস্টার রিপোর্ট নিয়ে হাজির ।
রিপোর্টটি আগে আমিই দেখার চেষ্টা করলাম । দেখলাম সবকিছু এভারেজ আছে । যেহেতু রেনডমলি পরিমাপ করেছি । তাই মোটামুটি যে পরিমাপটা এসেছে, সেটাকে এভারেজ বলা যায় ।
অতঃপর আমার কলিগ রিপোর্টি আবারো বেশ কয়েকবার দেখে, আমার ঘটনা শুনে আমাকে বলছে, শুভ তুমি যেভাবে তোমার সমস্যার কথা বলছো তারসঙ্গে তো হিসেব ঠিকমতো মিলছে না । হয়তো অন্য কোন জায়গায় ঝামেলা আছে । এরপর তিনি নিজের থেকেই আবার আমার রক্তচাপ মাপার চেষ্টা করলেন এবং আমার ওজনটা দেখলেন । যেহেতু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিনিয়ত ঔষধ খাই , তাই মোটামুটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে । তবে আমার ওজনটা দেখে একটু বিস্মিত হয়ে গিয়েছে ।
এই ছেলে তোমার শারীরিক ওজন এত বেশি কেন । তোমার তো ষাট কেজির ভিতর নিজের ওজন রাখা লাগবে । সেখানে তো তোমার সত্তর কেজির উপরে ওজন হয়ে গিয়েছে । হঠাৎ এত ওজন বাড়লো কিভাবে । শরীরের প্রতি একটু যত্ন নাও নাকি বাহিরের খাবার বেশি খাচ্ছো । এই ভাবে তো চলতে থাকলে শরীরে বিভিন্ন রোগ-বালাই বাসা বাঁধবে । চেষ্টা করো যেভাবে ওজন বেড়েছে, তার বিকল্প পদ্ধতিতে শরীরের ওজন কমানোর জন্য । প্রচুর পরিমাণে কায়িক পরিশ্রম করো, যেভাবে পারো অতিরিক্ত চর্বি গুলো কমিয়ে ফেলো নতুবা সামনে কিন্তু আরও বড় ঝামেলা হতে পারে ।
কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনছিলাম । আমাকে বলেই ফেলল, নতুন করে আর কোন ঔষধ গ্রহন করার প্রয়োজন নেই । তবে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন এবং কায়িক পরিশ্রম করতে হবে । বিশেষ করে চেষ্টা করো, শারীরিক ব্যায়াম ও একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য ।
যদিও এই সকল নিয়মকানুন আমি নিজেই বুঝি । তবে সময় করে উঠতে পারি না । শরীরের দিকে যে একটু নজর দেবো, সেটা আর হয়েই উঠছে না । তবে এখন একটু বেশ ভালই যত্নশীল হতে হবে । আর কোন উপায় নেই।
অতঃপর সবকিছু ঠিকঠাক মত বুঝে নিয়ে কলিগ কে বললাম, আবারও দেখা হবে হয়তো কোন একদিন । হয়তো সেদিন নিজের শারীরিক সমস্যার কথা দিয়ে নয় হয়তো এমনিতেই মুক্তভাবে একটু কথা বলব দুজন মিলে । কত কথাই তো জমে আছে, খালি সময়ই হচ্ছে না বলার ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
শরীর সুস্থ রাখার জন্য কায়িক পরিশ্রম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সবই বুঝি তবে সময় বের করাটাই মূখ্য বিষয়। আমার নিজের ও অনেক ওজন বেড়ে যাচ্ছে। শুধু মনে মনেই বলি সকালে হাঁটতে বের হবো কিন্ত আর হয় না।
তবে যাইহোক, যেহেতু আপনার আগে থেকেই কিছু প্রোবলেম আছে সেহেতু আপনার ডাক্তার বন্ধুর কথা শুনে হলেও ওজন কমিয়ে ফেলুন। আপনার সুস্থ্য থাকা অনেক জরুরী কারণ শায়ান এখনো অনেক ছোট। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
সেটাই চেষ্টা করছি ভাই এখন। দেখি কি করা যায়, ভাবছি প্রতিনিয়ত ও শরীরচর্চা করা শুরু করে দেবো ।
ভাইয়া আপনার অসুস্থতার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আসলে প্রিয় মানুষগুলো যদি অসুস্থ হয় তাহলে খুবই খারাপ লাগে। আশা করছি আপনি আপনার নিজের প্রতি যত্নশীল হবেন। আসলে আমরা সবাই ব্যস্ত জীবন পার করছি। কাজের জন্য সবাই হয়তো নিয়মের মধ্যে থাকতে পারছিনা। নিয়মের গন্ডি পেরিয়ে যখন আমরা অন্যরকম জীবন অতিবাহিত করার চেষ্টা করি তখনই বিভিন্ন রোগ এসে আমাদের শরীরে বাসা বাদে। তাই নিজে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করতে হবে। আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই প্রত্যাশাই করছি ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💓💓💓
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আমি ভালোই আছি ,শুধু ওজনটা একটু বেড়ে গিয়েছে ।
ভাইয়া প্রথম দিকে আপনার অসুস্থতার কথা জানতে পেরে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। পুরো পোস্টটি পড়ে যখন জানতে পারলাম সব ঠিকঠাক আছে তখন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। ভাইয়া আপনাকে কি বলবো আমি নিজেই তো ৮৫ কেজি ওজনের মালিক। আর তাই আমিও খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। মুখরোচক খাবার এবং যান্ত্রিক জীবনের কারণে দিনে দিনে ওজনটা বেড়েই চলেছে। তবে এভাবে আর চলতে দেয়া যাবে না তাই সবকিছু কন্ট্রোল করে চলতে হবে। ভাইয়া আপনিও যদি পারেন নিজের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সবকিছু কন্ট্রোল করে চলুন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করছি।
ভাই কি বলেন ৮৫ কেজি । ওরে বাপ রে । আমার তো ৭২ কেজি তেই অবস্থা কাহিল ।
এই লাইনটি পড়ে রীতিমত আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে আমাদের প্রিয় শুভ ভাইয়ের বড় কোন সমস্যা হলো কিনা। পরবর্তীতে বিপি এবং রেনডম ব্লাড সুগার নরমাল দেখে কিছুটা আশ্বস্ত হলাম। এইভেবে ভালো লাগছে যে আপনি একদম ঠিকঠাক আছেন শুধু ওজন টাই বেশি। কিন্তু ভাইয়া আপনার সাময়িক ওই প্রবলেমটা নিয়ে আমিও খানিকটা চিন্তিত। সেটা কি এসিডিটি হতে পারে ? যাইহোক ভাইয়া আপনার নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। আমার মনে হয় আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আরও বেশি ফিট থাকবেন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
হইতে পারে এসিডিটির কারণে এমনটা হয়েছিল, তবে আসলেই আমার ওজনটা বেড়ে গিয়েছে । এইটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
ভাই ব্যস্ততা তো থাকবেই,তাই বলে শরীরের দিকে খেয়াল না রাখলে কেমনে হবে।শরীরের প্রতি আগে যত্ন নিন,তারপর অন্য কিছু।অসুখ হলে নিজেকেই ভোগ করতে হয়।যাই হোক ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ
জীবন যেখানে যেমন আপু । চইলেই তো আর সব কিছু করা যায় না । তবে চেষ্টা করছি ।
ভাই আপনার মত আমারও একই অবস্থা। ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও বাস্তবে কিছুই করতে পারছি না। ডাক্তারের মতো আমারও পরামর্শ রইল তাড়াতাড়ি বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন। শুভকামনা রইল
ভাই রে ভাই, আজকে সকালবেলা উঠে 20 মিনিট লাফালাফি করেই শরীরের অবস্থা একদম কাহিল হয়ে গিয়েছে । মনে হচ্ছিল যেন , শরীরচর্চা আমার জন্য নয়।
আপনার লেখার প্রথম প্যারা পড়ে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ।যাক পুরো লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।আলহামদুলিল্লাহ আপনি সুস্থ আছেন। আর সব সময় আপনার সুস্থতা কামনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে ।আর ভাইয়া অবশ্যই শরীরের যত্ন নিবেন। এবং কায়িক পরিশ্রম মোটামুটি করার চেষ্টা করবেন। তাইলে উচ্চরক্তচাপ কন্ট্রোলে থাকবে। দোয়া রইলো ভাইয়া সর্বশেষে সৃষ্টিকর্তা সব সময় আপনার মঙ্গল করুক।
চেষ্টা করছি ভাই, একটু একটু করে কায়িক পরিশ্রম করার জন্য । তবে অনেকটা এলোমেলো জীবন হয়ে গিয়েছে তো, যার কারণে একটু ঝামেলা হয়ে গিয়েছে ।
ভাই রোগের কোন বয়স নেই যেকোনো বয়সেই আমাদের অসুখ হতে পারে। যদিও আপনার একটু রক্তচাপের সমস্যা আছে কিন্তু প্রতিনিয়ত ওষুধ খাওয়ার কারণে এটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিন্তু আপনার ওজন দেখে আপনার কলিং একটু অবাক হয়েছে। বন্ধুদের সাথে আমাদের মাঝে মধ্যেই মুক্ত ভাবে কথা বলা উচিত এতে আমাদের মন অনেকটা হালকা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশ্যই অবাক হয়েছে । কারণ আমার হঠাৎ করে ওজন প্রচুর বেড়ে গিয়েছে । যার কারণে তিনি একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন এবং আমাকে বলে ফেলল ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ।
উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ।তবে তাতে ওজন হ্রাস পায়।আর আপনার তো ওজন বেড়ে গেছে ভাইয়া।সত্যিই বাইরের খাবার খুবই ক্ষতিকর ,তবে খাওয়ার সময় ভালোই লাগে খেতে।যাইহোক নিজের শরীরের যত্ন নিন।শুভকামনা রইলো।
আসলে একটু এদিক সেদিক হয়ে গিয়েছে আপু জীবনযাত্রার মান । যার কারণে অনেকটাই এলোমেলো লাগে মাঝে মাঝে ।
আসলে ভাই যদি আমাদের শরীর ঠিক না থাকে তাহলে কিন্তু আমরা কোন দিকে ঠিক রাখতে পারবোনা। তাই সবার আগে আমাদেরকে আমাদের নিজেদের খেয়াল রাখতে হবে এবং শরীরের খেয়াল রাখতে হবে। আরেকটি কথা হলো ভাই আসলে যদি আমরা বেশি বসে কাজ করি তাহলে কিন্তু আমাদের ওজন বেড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। দুই থেকে তিন মাস আগে আমার অনেক ওজন বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি ডায়েট এর মাধ্যমে আল্লাহর রহমতে আমার ওজন অনেকটাই কমিয়েছি। এখন যা আছে তা স্বাভাবিক। তো আপনি আপনার শরীরের ওজন কমাবেন এতে অনেক ভালো হবে। তবে একটি কথা ঠিক বলেছেন যে অসুস্থতা আসলে বয়সভেদে আসেনা।
ভালো লাগলো শুনে যে, আপনার ওজনটা আপনি কমাতে পেরেছেন । আমিও চেষ্টা করছি ভাই ।