"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৫৪ || আমার তৈরি করা নকশী ভুট্টা ভাপা পিঠার|| রেসিপি ||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।
☆꧁:: সাথী রান্না ঘরে .::. ꧂☆
꧁:নকশী ভাপা ভুট্টা পিঠার রেসিপি. ꧂☆
বন্ধুরা পবিত্র মাহে রমজানের মোবারকবাদ সকলকে। আশা করছি সকলেই বেশ ভাল আছেন।
পবিত্র মাহে রমজানে সবাই সুস্থ থেকে যেন প্রত্যেকটা রোজা ভালোভাবে দিতে পারি এই দোয়াটাই করি।এই রমজান মাসে আমরা নানা ধরনের ইফতারের আয়োজন করে থাকি। এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি খুবই চমৎকার একটি রেসিপি। অসাধারণ এই রেসিপিটি দেখতে যতটি লোভনীয়, খেতেও ততটা সুস্বাদু। বন্ধুরা
আমার বাংলা ব্লগে প্রতিনিয়তই সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।চলমান প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হচ্ছে শেয়ার করো তোমার নকশী পিঠার রেসিপি।
আমরা কম বেশি বাসায় সকলেই নকশি পিঠা তৈরি করি বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে। যেহেতু রমজান মাসে নানার রকমের ইফতার আমরা তৈরি করি।আর সে কারণেই এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়ে বস্তু জমে উঠেছে।বিশেষ করে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
আর তাই আমার বাংলা ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এত চমৎকার একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।
আমি দুই থেকে তিন দিন ধরে ভাবছিলাম কি ধরনের নকশী পিঠা বানানো যায়। এমন কোন পিঠা বানাতে হবে যেখানে নকশাও থাকবে এবং স্বাস্থ্য সম্মত হবে।
কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর তেলে ভাজা যে সমস্ত জিনিসপত্র আমরা খেয়ে থাকি। তা গ্যাস্ট্রিকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এবং অস্বাস্থ্যকর।
যাইহোক বন্ধুরা আপনারা অনেকেই দেখেছেন দুদিন আগে আমি ভোটটা পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছিলাম।। সেটা ছিল এক পদ্ধতিতে। আর আজ অন্য একটা পদ্ধতি অবলম্বন করে, আবারও নকশি ভাপা ভুট্টা পিঠা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি। আপনারা সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন। চলুন রেসিপিটি দেখার জন্য সাথী রান্নাঘরে চলে যাই।
♥☆꧁:: সাথী রান্না ঘর .::. ꧂☆♥
বন্ধুরা সাথী রান্নাঘরে আপনাদেরকে স্বাগতম। আজ আবার ও চমৎকার একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।লোভনীয় মজাদার ও সুস্বাদু ইউনিক নকশী ভাপা ভুট্টা পিঠার রেসিপি। এই রেসিপিটি করতে আমার অনেক সময় লেগেছে।খেতে এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ঠিক ভুট্টার মতই।আশা করছি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। আসুন জেনে নেই পিঠা রেসিপি তৈরি করতে কি কি উপকরণ লেগেছে।
☆꧁::প্রয়োজনীয় উপকরন .::. ꧂☆
আটা
ধনে পাতা
মরিচ
তেল
লবণ
সস্
- প্রথমে একটা বাটিতে এক কাপ পরিমাণ আটা এবং স্বাদমতো লবণ নিয়ে নেই। এবং পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে আটাগুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে মেখে নেই।
- এবার আটা গুলো ভালোভাবে মধ্যে নিয়ে খুবই চমৎকার একটি ডো তৈরি করি। ডো করার সময় হালকা একটু সয়াবিন তেল দিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর একটি বেলুন এবং ফেরার মধ্যে একটি লেচি নিয়ে ঠিক এরকম লম্বা করে নেই।
- এবার একটি বেলুনের সাহায্যে লেজটির অর্ধেক এভাবে বেলে নিয়ে ঠিক এভাবে মাঝ বরাবর কেটে নেই। এবং একটু নকশা তৈরি করি।
- এবার এবার পিঠাটিকে উল্টিয়ে নিয়ে একটা ছুরি সাহায্যে ঠিক ভুট্টার মত করে নকশা করে নেই।
এরপর নিজের কাটা অংশটাকে পাতার মতো করে ভুট্টার সাথে লাগিয়ে দেই। এবং চমৎকার একটা শেপ নিয়ে আসি যেন ভুট্টার মতো দেখতে লাগে।
- এবার সবগুলো পিঠা বানানো হয়ে গেলে, রাইস কুকারে পানি গরম বসিয়ে দিয়ে পিঠাগুলো ভাপের মধ্যে সিদ্ধ করে নেব।
- পিঠাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে, আস্তে করে নামিয়ে নেব।হালকা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরে,একটি করলা পাতার মধ্যে ডেকোরেশন করব।
*যেহেতু এই পিঠাটার স্বাদ এখন হবে চিতই পিঠার মত। আর সেজন্যই আমরা এটা সস কিংবা ধনেপাতার চাটনি কিংবা নানা ধরনের ভর্তা দিয়ে খেতে পারি মজা করে। খাওয়ার স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমি ধনেপাতার চাটনি বানিয়েছি।এই চাটনি যথেষ্ট মুখরোচ।ধনেপাতা গুলো ভালো করে ধুয়ে কুচিকুচি করে কেটে দুটি রসুনের কোয়া এবং একটি মরিচ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ডারে বেটে নিলাম।এবং লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।
- ছোট ছোট দুটি কলা পাতা কেটে একটিতে সস আর একটিতে চাটনি নিয়ে নিলাম।
প্রস্তুত হয়ে গেল আমার নকশী ভুট্টা ভাপা পিঠা। এটা খেতে অসাধারণ স্বাদের হয়ে থাকে।এবং স্বাস্থ্যসম্মত।আমি চাইলে এই পিঠাটিকে আরো কয়েক ভাববে প্রস্তুত করতে পারতাম। যেমন ধরুন গুড়ের কিংবা জিনিস শিরা বানিয়ে সেখানে চুবিয়ে রেখে রস পিঠা বানাতে পারতাম। আবার তেলে ভেজেও এই পিঠাটি তৈরি করা যায়। যেহেতু আমাদের সকলের প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন @rme দাদা ঝাল পিঠা পছন্দ করেন আর সেজন্যই এই পিঠাটি বানিয়েছি। অল্প উপকরণ দিয়ে এত চমৎকার পিঠা বানানো যায় সেটা আমি বানিয়ে দেখালাম।
এ পর্যায়ে আমি নানা রকমের ডেকোরেশন প্রেজেন্টেশন করছি--
♦বন্ধুরা, অনেক কষ্ট করে এবং অনেক সময় নিয়ে এই রেসিপি পোস্টটি করেছি । ষদি আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তবেই আমার সার্থকতা। তবে যেদিন যখনই সময় পাবো আপনাদের মাঝে এরকম চমৎকার চমৎকার রেসিপি আর কবিতা নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ। সকলেই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।আজকের মত এখানেই যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না। টা,টা,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: প্রতিযোগিতার রেসিপি।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমে আপনাকে জানাই আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার ইউনিক নকশী ভাপা ভুট্টা পিঠার রেসিপি তৈরি করে। আপনার তৈরি ইউনিক রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। আসলে এত সুন্দর ডিজাইনে আগে কখনো পিঠা তৈরি করতে দেখিনি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পিঠার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক ধরেছেন। পিঠেটি খেতে সত্যিই সুস্বাদু এবং মজাদার ছিল। সেই সাথে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভুট্টার নকশি পিঠা হয় সেটা আমার ধারণাতেই ছিল না। আপনি খুবই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করলেন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনার এই ইউনিক রেসিপিটি দেখতে পেলাম। আপনার রেসিপি দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে।
একদম স্বাস্থ্যসম্মত ও মজাদার এই রেসিপিটা এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। ইউনিক করার চেষ্টা করেছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ওয়াও আপু! প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। দুদিন আগে যখন ভুট্টা পিঠা দেখেছিলাম, তখন ই আপনাকে বলেছিলা। যে এটা দেখে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এর পোস্ট। আজ দেখলাম সেই ভুট্টা পিঠাটিকে আরো আকর্ষণীয় করে, আপডেট করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আগের পিঠাটি তেলে ভাজার পর তার শেইপ এবং রঙ টা অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিলো। যেটা ভাপিয়ে নেয়ার কারণে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং আকর্ষণীয় হয়েছে৷ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আরেকটি কথা না বললেই নয় আপু, আপনার পরিবেশন ও আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। 😍😍 খুবই সুন্দর।
আসলে প্রথম ভোটটা পিঠা কি ছিল ঝাল মিষ্টি।আর মিষ্টি দাদা কম পছন্দ করেন।সেজন্যই ওই রেসিপিটা দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি নাই।একদম ঠিক বলেছেন আরও আপডেট করে এরপরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলাম।অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এগুলো দেখতে সত্যিই ভুট্টার মত লাগছে। আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। পিঠাগুলো দেখতে ঠিক ভুট্টার মতই হয়েছে। আমি অনেকবার অনেকক্ষণ করে দেখেছিলাম নিজে নিজেই।
খুবই অসাধারণভাবে পিঠাটি তৈরি করেছো আম্মু, সেই সাথে উপস্থাপনাটিও চমৎকার ছিল।
আমার রেসিপিটি তোমার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
একদম পুরোপুরি ইউনিক একটি রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম। পিঠার উপরে ভুট্টার নকশা তৈরি করেছেন আর সেটা ভাপের উপর দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়েছেন। তাছাড়া কলাপাতার উপরে পরিবেশন করায় দেখতে আরো বেশি লোভনীয় লাগছে।
আমারও খুব ভালো লাগছে, পুরোপুরি একটি ইউনিক রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে।অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আপনি ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। আসলে নকশি ভুট্টা রেসিপি কখনোই তৈরি করা হয়নি এবং দেখা হয়নি। আপনার মাধ্যমে এই নতুন পিঠা রেসিপি দেখতে পেলাম। সত্যি অসাধারণ একটা রেসিপি শেয়ার করলেন।
অনেকদিন পর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে, আমার নিজেরও খুব ভালো লাগছে। আমার পিঠার রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।আর আমি ইউনিক করার চেষ্টা করেছি।
চমৎকার একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার সুন্দর এর রেসিপি দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। একদম ইউনিক ছিল আপনার এই রেসিপি কখনো এমন কাউকে রেসিপি তৈরি করতে দেখি নাই। আকৃতি একদম ভুট্টার মত হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার।
আমার রেসিপি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন, সেজন্য আরও বেশি ভালো লাগছে। যে আমি কাউকে মুগ্ধ করতে পেরেছি।অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
প্রথমে অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। অসাধারণ একটি পিঠার রেসিপি করেছেন আপু। দেখে বেশ দারুন লাগছে খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।পিঠটা অনেক ইউনিক ছিল। আর নতুন একটি পিঠা আপনার মাধ্যমে শিখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু পিঠাটি খেতে সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল কিন্তু এটা তৈরি করা থেকে পোস্ট করা পর্যন্ত অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।