DIY প্রোজেক্ট-ও সৃষ্টিশীলতার গল্প ||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
DIY প্রোজেক্ট-ও সৃষ্টিশীলতার গল্প
বন্ধুরা আজ আমি কঠিন পরিস্থিতির মাঝে সৃষ্টিশীলতার গল্প নিয়ে হাজির হলাম। যা শুনলে সকলের হৃদয় কেঁপে উঠবে। সেদিনটা ছিল এমন একটি দিন, যখন চারপাশের পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ ও অস্থির। পুলিশের গুলির শব্দ, সন্তানহারা মায়ের হৃদয়বিদারক চিৎকার, রাস্তায় কারফিউ, এবং দোকান-পাট সব বন্ধ ছিল। এমনকি ইন্টারনেট সেবাও ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই সবকিছু মিলে পরিস্থিতি ছিল যেন এক নির্মম দুঃস্বপ্নের মতো।
কিন্তু, এই কঠিন সময়ের মাঝেও আমি ক্লে / মাটি দিয়ে কিছু তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। মাটির নরম পরশে, আমি যেন নতুন করে জীবনের আশ্রয় খুঁজে পেলাম। প্রতিটি ছোট ছোট টুকরো মাটি হাতে নিয়ে গড়ে তুলতে শুরু এই ফুল এবং ফুলদানির প্রতিটি টুকরো আমার মনকে শান্তি দিচ্ছিল, আমাকে একটি নতুন আশা এবং বিশ্বাস দিচ্ছিল।
এমন একটি পরিস্থিতিতে, যেখানে সবকিছু অন্ধকার আর হতাশায় ডুবে ছিল, আমি মাটি দিয়ে তৈরি এই ফুলগুলোতে নতুন করে জীবনের আলো দেখতে পেলাম। এই সৃষ্টির মাধ্যমে, আমি বুঝতে পারলাম যে, যতই কষ্ট আর দুঃখ আসুক না কেন, সৃষ্টিশীলতা এবং ভালোবাসা দিয়ে আমরা সবকিছু জয় করতে পারি।
এই গল্পটি শুধু আমার নয়, এই গল্পটি তাদের জন্য যারা প্রতিকূলতার মাঝেও কখনও হার মানেন না। যারা নিজেদের সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে কষ্টকে জয় করতে জানেন। ফুলগুলো যেন প্রমাণ করে, যত অন্ধকারই হোক না কেন, ছোট্ট একটু আলোই পর্যাপ্ত, আমাদের জীবনে নতুন করে রঙ আর
শেষমেষ, মাটির এই ফুলগুলো শুধু শিল্পকর্ম নয়, এটি আমার মানসিক শক্তি ও ধৈর্যের প্রতীক। প্রতিটি ফুল, প্রতিটি পাপড়ি আমার মনের গভীরতা থেকে উঠে আসা সৃষ্টিশীলতার ফলাফল। আর সেই সৃষ্টিশীলতাই আমাকে এই কঠিন সময়ে শান্তি ও সান্ত্বনা প্রদান করেছে।
যখন চারপাশে সবকিছু ভেঙে পড়ছিল, তখন আমি এই ছোট্ট মাটির টুকরো থেকে নতুন করে আশার সন্ধান পেয়েছি। এই ফুলগুলো আমার কাছে প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, যত অন্ধকারই হোক না কেন, সৃষ্টিশীলতা এবং মনোবল দিয়ে আমরা নতুন করে জীবনের আলো খুঁজে নিতে পারি। প্রতিটি সৃষ্টিশীল কার্যকলাপ আমাদের জীবনে নতুন করে রঙ এবং সুখের পরশ এনে দিতে পারে।
এই ফুলগুলোর মাঝে আমি আমার সব যন্ত্রণা, কষ্ট, এবং হতাশা থেকে মুক্তি পেয়েছি। প্রতিটি পাপড়ি, প্রতিটি পাতার মাঝে আমি নতুন করে জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছি। এই ছোট্ট সৃষ্টি আমাকে শিখিয়েছে, কঠিন সময়েও আমরা যদি মনোবল না হারাই, তাহলে সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারি।
DIY প্রোজেক্ট-ও সৃষ্টিশীলতার গল্প ||~~
☆꧁ DIY প্রোজেক্ট- ক্লে দিয়ে ফুল ও ফুলদানি ꧂
- প্লাস্টিকের বোতল
- বিভিন্ন রঙের ক্লে
- কাচি
- স্কেল
প্রথমে প্লাস্টিকের একটি বোতল কেটে নিচের অংশ দিয়ে ফুলদানি তৈরী করে নিলাম। রঙ্গীন কাগজ দিয়ে একটু ডিজাইন করে ও নিলাম।
এবার কমলা রঙের ক্লে দিয়ে গোল গোল করে নিলাম। এবং স্কেল দিয়ে ফুলের সেভ করে নিলাম। এবার ফুলের পাতা বানানোর জন্য সবুজ রঙের কাগজ চার কোনা করে কেটে নিলাম।
এবার পাতা গুলো কেটে নিলাম। আর সবুজ কাগজ দিয়ে ডাল তৈরী করে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিলাম।
এবার পাতা গুলো ডালের সাথে লাগিয়ে নিলাম। মোটামুটি ফুল তৈরীর কাজ শেষ এর দিকে।
এবার ফুলদানির ভিতরে কিছু কাগজ ক্লে এবং মার্বেল দিয়ে সাজিয়ে ফুল গুলো সেট করে নিলাম।
রান্নাঘরে, পড়ার টেবিলে, ডাইইনিং টেবিলে, ড্রেসিং টেবিলে কিংবা সোবার ঘরে, যেখানে খুশি ফুলদানিতে করে, এই সুন্দর তোরাটিকে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। এতে করে অনেক বেশি সুন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়: ডাই প্রজেক্ট
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটা জিনিস তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের জিনিস তৈরি করার জন্য অনেক বেশি দক্ষতা প্রয়োজন হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নেট থেকে যখন বিচ্ছিন্ন ছিলাম। একা একা বাড়িতে এই প্রজেক্টটি করেছিলাম। কারণ ওই সময়টা এত বেশি বিষন্নতার মাঝে ডুবিয়েছিলাম, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। নিজের মাইন্ড টাকে একটু রিফ্রেস করার জন্যই এই প্রজেক্টটি করতে বসেছিলাম। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
কতদিন পরে তোমার পোস্ট পড়ার সুযোগ হল। তোমার শিল্পসত্ত্বা নিয়ে নতুন করে কি আর বলবো। তুমি সৃষ্টিশীল মানুষ। তাই বহির্জগতের কোন মৃত্যু বা ধ্বংসলীলা তোমার সৃষ্টিকে থামাতে পারেনা। সেটাই আবার প্রমাণ করলে। তুমি যে সৃষ্টির আনন্দে মেতে থাকো তা বৃহৎ চেতনায় উন্মোচিত। তার কাছে এই সাময়িক দুঃসময় নেহাতই তুচ্ছ। অসাধারণ বানিয়েছো ক্লে দিয়ে এই ফুলদানি। তোমার সৃষ্টি আরো নতুন দিগন্ত খুলে দিক ধীরে ধীরে। ভালো থেকো সব সময় তোমার সৃষ্টিকে আঁকড়ে ধরে।
একদিকে ইন্টারনেট ছিল না অন্যদিকে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং আমার দুই ছেলে সিয়াম ও শিবু সেই ঢাকায় ছিল আমি বাসায় একা ছটফট করতে ছিলাম। এবং অনুভব করতে লাগলাম আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে প্রায়। তখন নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম আমাকে সুস্থ থাকতে হবে আমার সন্তানদের জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ। বাসায় আগে থেকেই কিছু ক্লে কেনা ছিল।সেগুলো দিয়ে বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট বানিয়ে ফেললাম দু দিনে। আস্তে আস্তে তোমাদের সাথে শেয়ার করে নেব। জীবন মানেই যুদ্ধ। আর আমি শৈশব থেকেই একজন যোদ্ধা।
আপু আপনার শেয়ার করা এই পোস্ট দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক দক্ষতার সাথে সুন্দর এই প্রজেক্ট তৈরি করেছেন। দারুন হয়েছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য প্রিয় আপু।
আপু আজ আপনি ক্লে দিয়ে অনেক সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট তৈরি করেছেন। আপনি অনেক দক্ষতার সাথে এই সুন্দর ডাই প্রজেক্ট তৈরি করেছেন। দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে বিশেষ করে কালার কম্বিনেশন টাও অনেক দারুন হয়েছে।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।