☆সিয়ামের দেয়া উপহার ☆
☆সিয়ামের দেয়া উপহার ☆
꧁ ঈদ মোবারক ꧂
যাক সবার মনে মনে
শুভকামনা সবার তরে
এই শুভক্ষণে,,,,
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা সবাইকে। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। এবং ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন পরিবার প্রিয়জনদের সাথে। সকল গ্লানী ধুয়ে মুছে ঈদ আনন্দে পরিপূর্ণতা পাক, সকলের জীবন। এই প্রত্যাশা শুরু করছি আজকের ব্লগ।
বন্ধুরা, আজ আমি সিয়ামের দেয়া উপহার পাওয়ার অনুভূতি, প্রকাশ করতে যাচ্ছি আপনাদের সাথে। আপনারা অনেকেই জানেন যে সিয়াম আমার জন্মদিন উপলক্ষে একটি স্মার্ট ওয়াচ,
আমাকে গিফট করেছিল। আর এই উপহারটি বসুন্ধরা সিটি থেকে কিনে শিপুর হাতে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আর আমি সিয়ামের হাতে ঘড়িটি পড়বো বলে এতদিন ধরে ঘড়িটি পড়ি নাই। ঈদের পরদিন সিয়াম সেই ঘড়িটা আমাকে পরিয়ে দিচ্ছে। তখন আমি অনেকটাই আবেগে আপ্লুত। সন্তানের দেয়া উপহার সন্তান যখন নিজ হাতে পড়িয়ে দেয়,, তখন সেটা আরও মহিমান্বিত হয়ে ওঠে। এই চমৎকার অনুভূতি শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারবেন যাদের সন্তানরা তাদেরকে গিফট করেছেন।
ও যখন ঘড়ির প্যাকেটটি থেকে ঘড়িটি বের করে আমাকে পরিয়ে দিচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিল ঠিক আমার বাবা আমার হাতে ঘড়ি পরিয়ে দিচ্ছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা ঈদ আসলে বারবার জিজ্ঞেস করত মা তোর কি কি লাগবে বল। আমি তখন বাবার কাছে খুব শান্ত অবস্থায় থাকতাম।
বলতাম বাবা আমার তেমন কিছুই লাগবে না। আগে তোমার জন্য নিয়ে নাও সাদা পায়জামা এবং পাঞ্জাবি।
সাদা পায়জামা পাঞ্জাবিতে আমার বাবাকে খুব সুন্দর লাগতো। সিয়াম শিপুকে দেখলে মাঝে মাঝেই আমার বাবার কথা মনে পড়ে যায়। সিয়াম অনেকটা আমার বাবার মতই।
বন্ধুরা ছবিটি একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন। কত যত্ন সহকারে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই ছবিতে। এই ছবিগুলো যুগের পর যুগ স্মৃতিচারণ করবে। বিশেষ বিশেষ ক্ষণে, বিশেষ বিশেষ দিনে। প্রত্যেকটি মা ও সন্তানের এরকম বন্ধুত্ব সুলভ সম্পর্ক তৈরি হোক এটাই প্রত্যাশা করি। আমার বিশ্বাস এই ছবিটি দেখে অনেকের মন ভরে গেছে। একদম ঠিক ধরেছেন। আমারও মনটা ভরে গিয়েছিল ঠিক সে সময়।
এবার দেখুন আমার হাতে ঘড়িটি কেমন লাগছে। গতকাল সারাদিন রাত অনেক প্যারার মধ্যে থাকলেও অনেক আনন্দে ছিলাম। কারণ সন্তানের দিয়া উপহার তখন আমার শরীরে স্পর্শ করছিল। আর তাই আজকের ছবিগুলো একটি ছবি দুবার করে পোস্ট করলাম।
ভাবছেন এদের সময় আবার প্যারা কিসের। ঈদের পরদিন আমাদের দু বাড়িতে দাওয়াত ছিল। কোন বাড়িতে যাব আর কোন বাড়িতে যাব না সেটা নিয়ে একটা প্যারা ছিল।
আমার বড় বোনের মেয়ে তিথি তার সিজার হয়েছে গতকাল রাতে। আর তাই গতকাল বিকেল থেকে ওকে নিয়ে ক্লিনিকে দৌড়াদৌড়ি করছি।
এরপর আমাদের পাশের বাড়ির এক ভাইয়া গতকাল হঠাৎ করে মারা যান। সুস্থ সুন্দর তরতাজা একটি যুবক যখন চোখের সামনে হঠাৎ করে ইন্তেকাল করে তখন মনের অবস্থাটা কেমন হয় সেটা একবার বুঝে নিয়েন।
যাইহোক সব মিলিয়ে, হ য ব র কেটেছিল কাল। তারপরেও হ্যাংআউট উপস্থিত থাকতে পেরে অনেকটা ভালো লেগেছিল।
বন্ধুরা ছেলের দেয়া উপহার আমার হাতটাকে সমৃদ্ধ করেছে।আমি দারুণভাবে উপভোগ করেছি। আর খুশি হয়েছি অনেক।
দোয়া করি আমার সিয়াম শিপুর মত সন্তান যেন ঘরে ঘরে হয়। সকলেই দোয়া করবেন আমাদের পরিবারের জন্য। আর আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা। ভালো থাকবেন শুভকামনা সব সময়।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সন্তান যখন মাকে খুশি করায় তখন যেন শুধু মাকে খুশি করানো নয় আল্লাহকে খুশি করানো হয়ে যায়। ঠিক তেমনি আজ আপনার সন্তান আপনাকে খুশি করানোর মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করিয়াছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর একটি অনুভূতি, যা যুগ যুগ ধরে থেকে যাবে এই প্লাটফর্মে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু মহান সৃষ্টিকর্তাকে ভালবাসতে গেলে আগে, তাঁর সৃষ্টিকে ভালবাসতে হয়। আর পৃথিবীতে বাবা মায়ের ঊর্ধ্বে অন্য কেউ হতে পারে না। সন্তানের জন্য তার বাবা-মা জান্নাত স্বরূপ।
আর জান্নাতকে খুশি করতে পারলে, অবশ্যই মহান সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করা হয়।
সত্যি আপু সন্তানের হাতে গিফট পাওয়া অনেক আনন্দের। আসলে আপু সবারই ভাগ্যে সন্তানের গিফট হয় না।আর প্রতিটি বাবা মার উচিত সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব সুলভ আচারণ করা। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি আসলে সকল বাবা-মায়েরদের ভাগ্যে সন্তানদের উপহার জোটে না।। সেদিক থেকে বলতে গেলে আমি অনেক ভাগ্যবতী।
প্রতিটা সন্তান যেন এভাবে মায়ের সেবা যত্ন করতে পারে। সিয়াম ভাইয়া বেশ ভালো মনের মানুষ। তিনি শুরু থেকেই বেশ সুন্দরভাবে সবকিছু সামলিয়ে আসছেন। আপনি দুইটা ছেলের মধ্যে নিজের বাবার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পান জেনে ভালো লাগলো। উপহারটি বেশে দারুণ ছিল। আসলে এভাবে হাতে পরিয়ে দেওয়ার মুহূর্তটি অনেক সুন্দর। এভাবে যেন সারা জীবন আগেলে রাখতে পারে সবাইকে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনাদের পরিবারের প্রতি।
ছেলের দেয়া উপহারটি, ছেলের হাতে পড়িয়ে নেয়াটা, আমার কাছে ছিল একটা দারুণ অনুভূতির বিষয়। আর তাই আমার বাংলা ব্লক পরিবারের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি। যেন এই ব্লগের সবাই আমরা বাবা-মাকে ঠিক এমনি করেই ভালবাসতে পারি।
আপনি আজকে আমার জন্য সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে মায়েরা যদি সন্তানের কাছ থেকে কোন উপায় পেয়ে থাকে সেটা তাদের কাছে অনেক ভাই এবং খুবই আনন্দিত হয়ে থাকে। যেমনটি সিয়াম ভাই আপনাকে একটি ঘড়ি গিফট করেছে এবং সেটা সিয়াম ভাইয়ের হাত থেকে পড়ার জন্য আপনি ওয়েট করেছিলেন সঠিক সময়ে সিয়াম ভাই এসে আপনাকে নিজ হাতে ঘড়িটি পরিয়ে দিলে এটা আপনি অনেক খুশি হয়েছেন যেটা আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। ঘড়িটি খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে। আপনার সাথে মাধ্যম জানতে পারলাম সিয়াম ভাই আপনার ছেলে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করার জন্য।
সিয়াম এবং শিপু ওরা দুজনেই আমার সন্তান, আমার ঠিকানা আমার অভিভাবক।আমার কলিজার টুকরা।
আপনি আমার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন জেনে খুশি হলাম।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। পড়ে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। সন্তানের কাছ থেকে কোন গিফট পাওয়া বেশ আনন্দের ব্যাপার। আপনি আপনার সন্তানদের মাঝে আপনার বাবার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পান বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সিয়াম ভাই আপনাকে একটি ঘড়ি উপহার দিয়েছে এবং তার নিজের হাতে পরিয়ে দিয়েছে তা থেকে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এটা ঠিক যে আমি আমার দুই ছেলের মধ্যে দিয়েই আমার বাবার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। ওরা আমার বাবার মতই আমাকে ভালোবাসে। আমার খেয়াল রাখে, আমার যত্ন নেয়।
নিজের সন্তানের দেওয়া উপহার সন্তানের হাতেই পড়তে পেরেছেন, এটা জেনে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সিয়াম ভাইয়া এত দেখছি আপনার হাতে খুব যত্ন সহকারে ঘড়িটা পরিয়ে দিচ্ছে। আর আপনার হাতে কিন্তু ঘড়িটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি আপনাদের পুরো ফ্যামিলির জন্যই অনেক বেশি দোয়া করি। ছেলেদেরকে নিয়ে যেন এরকম ভাবেই হাসি খুশিতে থাকতে পারেন এরকমই কামনা করি। তবে আপনাদের বাড়ির পাশের এক ভাইয়া গতকালকে মারা গিয়েছিল শুনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। বুঝতেই পারছি দিনটা একটু অন্যরকমভাবে কেটেছিল আপনার।
খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। ঈদের মত যখন আনন্দঘন মুহূর্ত চলছে, ঠিক সেই সময় পাশের বাড়ির কেউ মারা গেলে কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে,তা আমরা সকলেই উপলব্ধি করতে পারি।
ছবিগুলো দেখে আসলেই অনেক ভালো লাগলো আপু। আসলে সন্তানের থেকে কোন গিফট পেলে প্রত্যেক মা-বাবারই অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যেহেতু সিয়াম ভাইয়ের হাতেই আপনি তার দেওয়া গিফট টা পরেছেন, তার মানে সেই আনন্দটা আরও অনেক গুণ বেশি হবে। তবে হাতে ঘড়ি পড়ে আপনাকে কিন্তু অনেক ভালো লাগছে আপু। যদিও পোস্টের নিচের কিছু কথা পড়ে অনেকটা কষ্ট লাগলো।