পরিবারের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কয়েকদিন আগে পরিবার নিয়ে পদ্মার পাড়ে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর কোন একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে হালকা কিছু খাওয়া-দাওয়া করবো। প্রথমে পরিকল্পনা করেছিলাম পদ্মার পাড়ে আমরা অল্প কিছু সময় কাটাবো। কিন্তু সেখানে গিয়ে চমৎকার আবহাওয়া দেখে পদ্মার পাড়ে আমরা বেশ কিছুটা সময় কাটালাম। অনেকটা সময় কাটানোর পর তারপর আমরা রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পদ্মারপাড় থেকে রেস্টুরেন্ট বেশ ভালোই দুরত্বে অবস্থিত। যদিও ইঞ্জিন চালিত রিকশায় করে সেখানে যেতে খুব বেশিক্ষণ সময় লাগে না।

IMG_20230625_184552.jpg

আমরা একটি রিক্সায় উঠে সেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এই রেস্টুরেন্টে আমরা এর আগেও খাওয়া দাওয়া করেছি। মূলত এবার সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমার মেয়েকে ছোলা ভাটোরা খাওয়ানোর। মেয়ে বেশ কিছুদিন থেকে বায়না ধরেছিল সে ছোলা বাটোরা খেতে যাবে। যদিও আজকের ট্রিট ছিল আমার স্ত্রীর পক্ষ থেকে। আমরা যখন পদ্মারপাড় থেকে রিকশায় রওনা দিই তখন চিন্তা করেছিলাম একটি সুন্দর রাস্তা আছে সেই রাস্তা দিয়ে রিক্সাওয়ালা আমাদেরকে নিয়ে যাবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর খেয়াল করে দেখলাম রিক্সাওয়ালা আমাদেরকে বিভিন্ন রকম গলি ঘুপচির ভেতর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া রাস্তাটাও ছিল বেশ খারাপ। অথচ সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য সুন্দর একটি রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে এমনিতেই চলাফেরা করতে অনেক ভালো লাগে। এই খারাপ রাস্তায় আনার জন্য আমি রিক্সাওয়ালাকে কিছুটা রাগ করলাম।

IMG_20230625_181734.jpg

যাই হোক যেহেতু সে একবার এই রাস্তায় চলে এসেছে তাই আপাতত আর কিছু করার ছিল না। রওনা দেয়ার ২০ মিনিটের ভেতরে আমরা সেই রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। এই রেস্টুরেন্টটি আমার মেয়ের খুবই পছন্দের। কারণ এই রেস্টুরেন্টের সামনে দুটি দোলনা রাখা আছে। আমার মেয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়েই প্রথমে এই দোলনায় চড়বে। এবারও সে রেস্টুরেন্ট প্রবেশ করেই প্রথমে সেই দোলনায় গিয়ে বসে রইলো। আর এদিকে গিয়ে আমি মেনু কার্ড দেখে খাবারের অর্ডার করলাম। প্রথমে অর্ডার করেছিলাম আমাদের তিনজনের জন্য তিন প্লেট ছোলা বাটোরা। সাথে অর্ডার করলাম একটা চিকেন চাপ আর সাথে লুচি। এই রেস্টুরেন্ট টার সবকিছুই ভালো। শুধু একটা সমস্যা হচ্ছে সেখানে খাবার পরিবেশন করতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। তবে সেদিন অবশ্য বেশ তাড়াতাড়ি তারা খাবার পরিবেশন করেছিলো।

IMG_20230625_182704.jpg

খাবার সামনে আসার সাথেই ছবি তুলে তারপর খাওয়া শুরু করলাম। এদের খাবার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এদের খাবারের স্বাদ বরাবরই বেশ ভালো। প্রথমে ওয়েটার টেবিলে ছোলা বাটোরা পরিবেশন করলো। আমরা তিনজনই ছোলা বাটোরা খেতে শুরু করলাম। তার কিছুক্ষণ পর টেবিলে চিকেন চাপ আর লুচি পরিবেশন করলো। তবে আমার স্ত্রী আর মেয়ে দুজনের কেউই তাদের প্লেটের সব খাবার শেষ করতে পারেনি। আমি অবশ্য সব খাবার বেশ তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছিলাম। চিকেন চাপ থেকে আমার স্ত্রী আর মেয়ে সামান্য একটু খেয়ে ছিলো। বাকিটা আমাকে খেতে হয়েছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমরা বিলমিটিয়ে সেখান থেকে অন্য জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানচর কমলাপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

!upvote 40


This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation) Your post was promoted on Twitter by the account josluds

the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 80%

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@xpilar.witness

We are the hope!

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আপু আপনাদের ট্রিট দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। মেয়ের আবদার পূরন করতে আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং পছন্দের খাবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে মাঝে মাঝে বাহিরে ঘুরতে বা খেতে গেলে ভালোই লাগে। সবার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 55971.81
ETH 2362.70
USDT 1.00
SBD 2.32