বন্ধু ফেরদৌসের সাথে সামরিক বাহিনী জাদুঘর দর্শন ( দ্বিতীয় পর্ব)।
ছোটবেলায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক টিভি সিরিয়ালে এই সমস্ত কামান দেখতে পেতাম। সেখান থেকেই এই ইচ্ছাটা মনে জেগে ছিলো। যাই হোক কামান দেখা শেষ হলে আরো সামনে আগাতে লাগলাম। সেখানে দেখতে পেলাম একটি জায়গায় প্রাচীন বেশ কিছু পিস্তল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পিস্তল গুলো দেখতে দারুন লাগছিলো। এই সমস্ত পিস্তল এর আগে কখনো সামনাসামনি দেখিনি। আরো একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পেলাম একটি ডিজিটাল স্ক্রিনের মাধ্যমে রাজা শশাঙ্ক থেকে শেখ মুজিব পর্যন্ত এই বাংলার মানচিত্র কেমন ছিলো সেটা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জিনিসটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। একটু সামনে দেখতে পেলাম প্রাচীন আমলের যুদ্ধে ব্যবহৃত একটি তলোয়ার। তবে তলোয়ারটি দেখে আমার কাছে কিছুটা ছোট মনে হোলো।
তার একটু পাশে দেখতে পেলাম আরও দুটো পিস্তল একটি শোকেসের ভেতর রাখা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছিলো এই পিস্তল দুটি অনেক আগে যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিলো। তার পাশেই দেখতে পেলাম একটি তীর ধনুক। তবে সেটা সাধারণ তীর ধনুকের মতো নয়। সেই তীর ধনুকটা ছিলো কিছুটা অন্যরকম দেখতে। বর্তমান সময়ে এই ধরনের তীর ধনুক অনেক হলিউডের ফিল্মে ব্যবহার হতে দেখা যায়। তার কিছুটা পাশেই দেখতে পেলাম কিছু অদ্ভুত রকমের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। তার পাশের লেখা থেকে জানতে পারলাম এই মিউজিয়াম তৈরিতে যে সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল। সেগুলোর বেঁচে যাওয়া অংশ থেকে শিল্পিরা এই ভাস্কর্যগুলো তৈরি করেছিলো।
তার থেকে একটু সামনে আগালে একটি শোকেজের ভেতর দেখতে পেলাম ভিন্ন রকমের ছুরি। ছুরি রাখার জন্য এক ধরনের খাপ ছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো এই ছুরিগুলো কোনো বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হতো। বিশেষ ধরনের এই খাপ সহ ছুরিগুলো দেখতে দারুন লাগছিলো। এই বিশেষ ছুরিগুলো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি বিভিন্ন সিনেমা বা সিরিয়ালে ব্যবহার হতে দেখেছি। তার একটু পাশেই দেখলাম পলাশীর অম্র কাননের একটি মডেল তৈরি করে রাখা হয়েছে। এই মডেল একোথায় কি ছিলো সবকিছু সুন্দর করে দেখানো ছিলো। কোথায় ইংরেজদের সেনা ছাউনি ছিলো কোথায় সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যরা অবস্থান করছিলো সব দেখানো ছিলো।
সেখানে প্রাচীন আমলের যুদ্ধে ব্যবহৃত দুটো রাইফেল এর রেপ্লিকা দেখতে পেলাম। সেই রাইফেল দুটো দেখে আমি প্রথমে মনে করেছিলাম সত্যিকারের রাইফেল। পরে তার পাশের বোর্ডে দেখলাম লেখা রয়েছে রেপ্লিকা। সেই রাইফেলের পাশেই একটি শোকেসে দুটো বন্দুক রাখা ছিলো। সেই বন্দুক দুটো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টকে উপহার স্বরূপ দেয়া হয়েছিলো। বন্দুক দুটো ছিলো দারুণ কারুকার্য খচিত। এই সমস্ত জিনিস দেখছিলাম আর এক ধরনের দারুন অনুভূতি মনের ভেতরে কাজ করছিলো। দীর্ঘদিন পরে যখন আপনার কোন একটা ইচ্ছা পূরণ হবে তখন যেমন লাগে আমার ঠিক তেমনি মনে হচ্ছিলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা, আগারগাঁও |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই দীর্ঘদিন ধরে মনের মধ্যে লালিত স্বপ্ন যখন পূরণ হয়,তখন ভীষণ আনন্দ লাগে। যাইহোক আপনি আর ফেরদৌস ভাই, আলাদাভাবে ঘুরাঘুরি করে সবকিছু দেখেছেন,এতে করে খুব ভালো হয়েছে। যার যার পছন্দমতো সবকিছু দেখতে পেরেছেন। আবার আপনি যেহেতু অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন,ফেরদৌস ভাই পাশে থাকলে উনার বিরক্তবোধও হতে পারতো। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের পিস্তল গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার এই পোস্টটি পড়ে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।