বন্ধু ফেরদৌসের সাথে সামরিক বাহিনী জাদুঘর দর্শন (তৃতীয় পর্ব)।
থাক আজকে আর সেসব বিষয়ে কিছু বলবো না। আমরা সেই অংশ প্রবেশ করে দেখতে পেলাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর প্রতিকৃতি তৈরি করে রাখা হয়েছে। শুনতে পাই এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে নাকি সবমিলিয়ে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত যখন নেয়া হয় তখন ব্যাপারটা শুনে আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু যখন দেখতে পেলাম অন্যান্য দেশের সাথে এই প্রকল্পে আমাদের খরচের পরিমান অসম্ভব রকমের বেশি। তখন বিষয়টা আসলেই খারাপ লেগেছিলো। যাইহোক তারপরেও মনে করেছিলাম বাংলাদেশের এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষজন অনেক উপকৃত হবে। বিশেষ করে আবহাওয়ার অগ্রিম সতর্কতা পাওয়ার কারণে আমরা অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ থাকতে পারবো। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি।
স্যাটেলাইটের পরে দেখতে পেলাম ডেমু ট্রেন এর প্রতিকৃতি তৈরি করে রাখা হয়েছে। তারপরে দেখতে পেলাম চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী নৌকা সাম্পানের প্রতিকৃতি। বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের সাথে এই সাম্পান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে দিনে দিনে নৌযান গুলোর আধুনিকায়নের মাধ্যমে একসময় হয়তো সাম্পান আর খুব বেশি দেখা যাবে না। তখন পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেপেলেরা এগুলো দেখে সাম্পান সম্বন্ধে ধারণা নিতে পারবে। তারপর আরো একটি কাঠের নৌকার প্রতিকৃতি দেখতে পেলাম। যেটি প্রাচীন আমলে হয়তো ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যবহার করা হোতো। তারপরে কিছু ব্যাচের মত দেখতে পেয়েছি। তবে এগুলো ঠিক কি কাজের জন্য বা কোথায় ব্যবহার করা হতো সেটা আমি খুব একটা ভালো বুঝতে পারিনি।
তারপর দেখতে পেলাম একটি সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি। এটা এক ধরনের দীর্ঘ পাল্লার কামান। যেটা একটা ট্রাকের উপর স্থাপন করা হয়। একটা সময় ছিলো কামানগুলো অন্য একটি গাড়ির মাধ্যমে টেনে নিয়ে যাওয়া হতো এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। তবে বর্তমান সময়ের যুদ্ধে এই ধরনের কামানের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। যদিও এগুলো বেশ ব্যয়বহুল। তারপরেও এগুলো যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা অনেক সহজ। এই সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি ব্যবহার করতে খুব বেশি জনবলের প্রয়োজন হয় না। তার একটু পাশেই দেখতে পেলাম একটি বাঘের প্রতিকৃতি তৈরি করে রাখা হয়েছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিকৃতি। তবে সেটা দেখে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি। কারণ প্রতিকৃতিটা যিনি তৈরি করেছেন তার দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে আমার কাছে এমনটা মনে হয়েছে।
আমরা সেই অংশে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে নিচে তাকিয়ে দেখতে পেলাম একটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর একটি ছোটো আকারের প্রতিকৃতি তৈরি করে রাখা হয়েছে। সেই প্রতিকৃতিটা মোটামুটি সুন্দর ছিলো। তার একটু পরেই দেখতে পেয়েছিলাম সেখানে একটি প্রাচীন আমলের ব্যবহৃত তলোয়ার এবং কুড়াল রাখা ছিলো। এগুলো সম্ভবত যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হোতো। তলোয়ারটি একটি কারুকার্য খচিত খাপের ভেতরে রাখা ছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো তলোয়ারটা কোন উচ্চপদস্থ লোকজন ব্যবহার করতো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা, আগারগাঁও |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার বন্ধু ফেরদৌসের সাথে সামরিক বাহিনী জাদুঘর ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব। আসলে আপনার এই পোস্টটি পড়ে ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সেখানে আপনারা বেশ দারুন দারুন জিনিস দেখেছিলেন সত্যি অসাধারণ ছিল। তবে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ডেমু ট্রেন । ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কখনো সময় পেলে সামরিক বাহিনীর জাদুঘর থেকে ঘুরে আসবেন। সেখানে আসলেই দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বন্ধুর সাথে সাময়িক বাহিনী জাদুকর দর্শন । আসলে আপনার এই পরিদর্শনের প্রথম পর্বটি আমি দেখেছিলাম এবং দ্বিতীয় পর্বটি দেখেছি আবার আজকে তৃতীয়
পর্বটি দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এই বানান দুটি ঠিক করে নিন।
ভাই আমাদের দেশে এটা নতুন না,যেকোনো প্রকল্পে আমাদের দেশে দ্বিগুণ খরচ। কারণটা আমাদের সবারই জানা। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন ভাই। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এবং ডেমু ট্রেন এর প্রতিকৃতি দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যখন প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতি দেখি তখন খুবই খারাপ লাগে। তবে আমাদের মত সাধারন মানুষের কিই বা করার আছে ? আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।