পরিবার নিয়ে বিমান বাহিনীর মিউজিয়াম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।
তখন আমরা একটি খাবারের দোকানে বসে ফুচকা অর্ডার করলাম। সাথে আমি আমার স্ত্রী ভাগ্নে তাদেরকে বললাম তোমরা আর কিছু খেতে চাইলে অর্ডার করতে পারো। কিন্তু তারা অন্য কোন কিছু খাওয়ার প্রতি আর আগ্রহ দেখালো না। এদিকে মাগরিবের নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে। তখন আমি তাদেরকে সেই দোকানে বসিয়ে নামাজ পড়তে গেলাম। যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী বলল আমার জন্য একটা কফি অর্ডার কর আমার ভাগ্নে আর স্ত্রীর জন্য দুটো কফি অর্ডার করে আমি নামাজ পড়তে চলে গেলাম। যাওয়ার আগে তাদেরকে বলেছিলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তোমরা এখানেই অপেক্ষা করবে। আমি এখানে এসে তারপর তোমাদেরকে নিয়ে বাইরে যাবো। এয়ার ফোর্সের এই মিউজিয়ামের আরো একটা জিনিস আমার কাছে ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে এই পার্কের ভেতরে বা মিউজিয়ামের ভেতরে নামাজ পড়ার জন্য বেশ ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।
যাই হোক আমি নামাজ পড়ে এসে আমার জন্য ও ফুচকা অর্ডার দিলাম। খেয়াল করে দেখলাম আশেপাশের দোকানগুলোতেও ফুচকা সবচাইতে বেশি বিক্রি হচ্ছে। লোকজন এখানে এসে আসলে অন্য কিছু তেমন একটা খায় না। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমার সামনে ফুচকা চলে এলো। ফুচকাটা খেয়ে দেখলাম মোটামুটি মানের তেমন আহামরি কোন স্বাদ না। আর সাথে ড্রিংস হিসেবে অর্ডার করেছিলাম মোজো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে আমরা সেই দোকান থেকে বের হলাম। ততক্ষণে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় মিউজিয়ামের ভিতরে সমস্ত লাইট জ্বালানো হয়েছিলো। যার ফলে চারপাশটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। একবার মনে করলাম যে রাতের আলো ঝলমল পরিবেশে মিউজিয়াম টা দেখতে কেমন লাগে একবার ঘুরে দেখি। পরবর্তীতে সেই চিন্তা বাতিল করে দিলাম। চিন্তা করলাম আমাদের বনশ্রী যেতে অনেক সময় লাগবে। তাছাড়া এই মিউজিয়াম থেকে বের হলেই একটা মেট্রো স্টেশন রয়েছে। চিন্তা করেছিলাম যদি সম্ভব হয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেট্রোতে করে ঘুরে আসবো।
এই পরিকল্পনা করে সেদিনের মত বিমান বাহিনী মিউজিয়াম থেকে বের হয়ে গেলাম। তবে এটাও পরিকল্পনা করে রেখেছি যদি এর পরের বার আবার পরিবার নিয়ে কখনো এখানে আসি তখন সেই নতুন হওয়া বিমানের ভেতরে রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে যাবো। আর ও একটা জিনিস চিন্তা করে দেখলাম এই ধরনের মিউজিয়াম বা পার্কে আসতে হলে এমন সময় আসা উচিত যখন সেখানে লোকসমাগম হয়। না হলে এবার যেমন আমাদের বাচ্চাকাচ্চারা রাইড গুলোতে চড়তে পারেনি এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। কারণ যদি পার্কে অনেক লোক আসতো তাহলে সবগুলোর রাইড চলতো। যাই হোক পরিবারের সকলে পার্কে বা বিমানবাহিনীর মিউজিয়ামে ঘুরতে পেরে বেশ খুশি হয়েছিলো। আসলে একটা পুরুষ মানুষের জন্য দিন শেষে এটাই সবচাইতে বড় প্রাপ্তি যখন সে তার পরিবারের মুখে হাসি দেখতে পায়। (শেষ)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যিই ভাই খুব মূল্যবান কথা বলেছেন। আসলে আমাদের সবার উচিত মাঝেমধ্যে পরিবার নিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করা। যাইহোক আপনারা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। যদিও পার্কের মধ্যে মানুষজন বেশি থাকলে আরো বেশি উপভোগ করতে পারতেন। বিশেষ করে আপনার ভাগ্নে এবং আপনার মেয়ে আরো রাইডে চড়তে পারতো। এসব জায়গায় শুধু ফুচকা খেলেই ভালো। কারণ বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন ফ্রাই এসব আইটেমগুলো একেবারে স্লো আইটেম। তাই বাসি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।