পরিবার নিয়ে বিমান বাহিনীর মিউজিয়াম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা (চতুর্থ পর্ব)।
প্যাডেল বোটে আমরা সর্বোচ্চ ১০ মিনিট চড়তে পারবো। তার জন্য আমাদেরকে ২০০ টাকা দিয়ে চারটি টিকিট কিনতে হয়েছিলো। মাত্র দশ মিনিটের জন্য ২০০ টাকা আমার কাছে কিছুটা মনে বেশি মনে হচ্ছিলো। যাই হোক টিকেট কেটে আমরা প্যাডেল বোটে ওঠার জন্য ঘাটে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর প্যাডেল বোটের দায়িত্বে নিয়োজিত একজন আমাদেরকে একটি বোটে উঠিয়ে দিলো। তবে বোটে ওঠার আগে আমি আমার মেয়ে আর ভাগ্নেকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে নিয়েছিলাম। যদিও আমার মেয়ে আর ভাগ্নে লাইফ জ্যাকেট পরতে চাচ্ছিলো না। কিন্তু আমি সোজা বলে দিয়েছিলাম লাইফ জ্যাকেট না পড়লে প্যাডেল বোটে ওঠা যাবে না। যাইহোক তাদের দু'জনকে লাইফ জ্যাকেট পড়িয়ে আমরা প্যাডেল বোটে করে পুকুরে কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ালাম। তবে আমার কাছে প্যাডেল বোট চালানো বরাবরই কিছুটা কষ্টকর মনে হয়। যার ফলে কিছুক্ষণ চালিয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত ১০ মিনিটে কিছুটা সময় আগেই আমরা ঘাটে চলে এসেছিলাম।
প্যাডেল বোটে ঘোরা শেষ হলে আমরা আবার সামনের দিকে আগাতে লাগলাম। পুকুরঘাট থেকে কিছুটা সামনে আগানোর পরে দেখতে পেলাম ছোট বাচ্চাদের খেলার জন্য একটি জায়গা আলাদা করে তৈরি করা হয়েছে। তবে সেখানে ঢোকার জন্য আবার আলাদা টিকিট নিতে হবে। আমার মেয়ে সেই জায়গাটা দেখে সেখানে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলো। তারপর আমি তার জন্য একটি টিকেট কেটে সেখানে ঢুকিয়ে দিলাম। সাথে গিয়েছিলো আমার স্ত্রী। আমার ভাগ্নে পার্কের এই অংশটাতেও ঢুকতে পারলো না। কারণ সেই জায়গাটি ছিলো শুধু ছোট বাচ্চাদের জন্য। আমার মেয়েকে দেখলাম সেখানে প্রবেশ করে ট্রামপোলিনে গিয়ে লাফাতে লাগলো। তার দেখলাম অন্য রাইডগুলো থেকে ট্রাম্পোলিন এর প্রতি আগ্রহ বেশি ছিলো। ট্রাম্পোলিনে লাফালাফি করে সময়টা সে বেশ ভালই উপভোগ করছিলো।
এদিকে অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও দেখি আমার মেয়ে সেখান থেকে বের হচ্ছে না। এর ভিতর দেখলাম আরো কিছু বাচ্চা সেই ট্রাম্পলিনে গিয়ে উঠলো লাফানোর জন্য। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললাম মেয়েকে ওখান থেকে বের করতে। কারণ এতগুলো বাচ্চা একসাথে লাফালাফি করলে একজন আরেকজনের সাথে ধাক্কা লাগতে পারে। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী মেয়েকে সেখান থেকে বের করে পার্কের সেই অংশটার অন্য জায়গাগুলো ঘুরিয়ে দেখালো। সে অংশ থেকে যতক্ষণে আমার মেয়ে আর স্ত্রী বের হলো ততক্ষণে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। এর ভিতরে আমি আমার ভাগিনা কে নিয়ে গিয়েছিলাম কিছু খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু তাকে যখনই কিছু খেতে বলি সে ঠান্ডা খেতে চায়। তার এমনিতেও ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে। এই কারণে আমি তাকে বললাম তুমি ঠান্ডা ছাড়া যে কোন কিছু খেতে পারবে। তখন সে আমাকে বললো থাক এখন কিছু খাবো না পরে খাবো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাই বোটে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে উঠলে এমনিতে একটু রিস্ক থেকে যায়। কারণ কোন গ্যারান্টিও নেই যে এটার কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না। যাই হোক আপনার মেয়ে বেশ ভালই মজা করেছে। আর এটা ঠিক যে যাদের ঠান্ডার সমস্যা তারা ঠান্ডা জাতীয় খাবার আরো বেশি পছন্দ করে। তাইতো আপনার ভাগ্নে ঠান্ডা খেতে চাইলো। যাই হোক আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই বাচ্চাদের নিয়ে প্যাডেল বোটে বা অন্যান্য যেকোনো বোটে চড়াটা বেশ রিস্ক হয়ে যায়। তবুও অনেক সময় বাচ্চাদের জেদের সামনে কিছুই করার থাকে না। যাইহোক আপনার মেয়ে এবং ভাগ্নেকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে প্যাডেল বোটে চড়েছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আপনার মেয়ে তো বেশ ভালোই উপভোগ করেছে বিভিন্ন রাইডে চড়ে। তবে আপনার ভাগ্নের সুযোগ হলো না সব রাইডে চড়ার, বয়সে একটু বড় ছিলো বলে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।