গোধূলি লগ্নে পদ্মার পাড়ে কাটানো কিছুটা সময়।
আমাদের শহরের ভিতর আমার সবচাইতে পছন্দের জায়গা হচ্ছে পদ্মা নদীর পাড়। অবশ্য শুধু আমার পছন্দের বলে ভুল হবে। বন্ধু ফেরদৌসের কাছেও জায়গাটা অনেক পছন্দের। ফেরদৌস যখন ফরিদপুর থাকে তখন আমরা দুজন মাঝে মাঝে পদ্মার পাড়ে সময় কাটায়। কয়েকদিন আগে যখন দুজন ঘোরাফেরা করছিলাম তখন সন্ধ্যার আগ দিয়ে মনে হলো অনেকদিন হলো পদ্মার পাড়ে যাওয়া হয় না। তখন মাথায় চিন্তা এলো তাহলে একবার গিয়ে ঘুরে আসি। যে চিন্তা সেই কাজ। সাথে সাথেই দুই বন্ধু রওনা দিলাম পদ্মা নদীর উদ্দেশ্যে।
আমরা যেখানটাতে ছিলাম সেখান থেকে পদ্মার পাড় বেশ কাছেই ছিলো। যার ফলে আমরা অল্প সময়ে সেখানে পৌঁছে গেলাম। যখন আমরা নদীর পাড়ে পৌছালাম তখন সূর্য প্রায় অস্ত যাচ্ছে। এই সময়টা এমনিতেই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সেই সময়টা যদি কাটাই নদীর পাড়ে তাহলে ব্যাপারটা আরো উপভোগ্য হয়ে ওঠে। দুই বন্ধু পদ্মার পাড়ে দাঁড়িয়ে নানা বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম। যদিও পদ্মা নদীতে এখনো পানি খুবই কম। তাই ভরা বর্ষার পদ্মার সৌন্দর্য এখনো তৈরি হয়নি। এখন পদ্মার বুক জুড়ে ধুধু চর। শুকনো মৌসুমে প্রমত্তা এই পদ্মা নদী দেখলে আসলেই কেমন যেন লাগে। তখন নদীর অবস্থা দেখে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে বর্ষা মৌসুমে এই নদীটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।
আমরা দুজন নদীর পাড়ে দাড়িয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। সেই কথার ভিতরে উঠে এলো গতবছর পদ্মার পাড়ে তৈরি হওয়া একটি ভাসমান রেস্টুরেন্টের কথা। সেই রেস্টুরেন্টটি আমাদের দুজনের কাছে অনেক পছন্দ হয়েছিল। গত বছর আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম এবার সেই রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যার পরে অনেকটা সময় কাটাবো। কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় এবছর আর সেই ভাসমান রেস্টুরেন্টটি দেখতে পাওয়া যাবে না। গতবছর নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর অবহেলায় অনাদরে অনেকদিন পড়েছিল সেই ভাসমান রেস্টুরেন্টটি। তারপর সেই রেস্টুরেন্টের মালিকপক্ষ রেস্টুরেন্টের জিনিসপত্র খুলে চরের উপরে একটি অস্থায়ী রেস্টুরেন্ট তৈরি করেছে। যার ফলে এ বছর আর সেই ভাসমান রেস্টুরেন্ট সময় কাটানোর কোন সুযোগ নেই।
তবে ভাসমান রেস্টুরেন্ট না থাকলেও এবছর দেখতে পেলাম নতুন আরেকটি রেস্টুরেন্ট তৈরি হচ্ছে ঠিক পদ্মা নদীর পাড়েই। আমরা দুই বন্ধু সেই রেস্টুরেন্টের কাঠামো দেখছিলাম আর চিন্তা করছিলাম। যখন বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদী পানিতে ভরে যাবে। তখন এই রেস্টুরেন্টে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেশ ভালোই লাগবে। এই ধরনের একটি রেস্টুরেন্ট পদ্মার পাড়ে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের কাছে দারুন জনপ্রিয়তা পাবে। যদিও সেই একই জায়গায় বেশ কয়েক বছর আগে একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছিল। কিন্তু সেই রেস্টুরেন্টটি যত্নের অভাবে অতি দ্রুত পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া একটি রেস্টুরেন্ট চালাতে গেলে দক্ষ ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজন। ম্যানেজমেন্ট ছাড়া একটি রেস্টুরেন্ট চালানো রীতিমতো অসম্ভব।
আগের যেই রেস্টুরেন্টটি দিয়েছিল আমাদের শহরের কিছু ছেলেপেলে। যাদের এই ব্যবসায়ের কোন অভিজ্ঞতা আগে ছিল না। যার ফলে যা হবার তাই হয়েছিল। তবে এবার আমরা আশা করছি নতুন এই রেস্টুরেন্টটি অনেকদিন টিকে থাকবে। আর শহরের লোকজনের সময় কাটানোর একটি জায়গায় পরিণত হবে। দুই বন্ধু মিলে পদ্মার পাড়ে দাঁড়িয়ে গল্প করতে করতে হঠাৎ করে আজান শুনতে পেলাম। তারপর কাছের একটি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে দুজনেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | পদ্মার পাড় |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পদ্মার পাড়ে কাটানো সময় গুলো সব সময় অসাধারণ হয় আমিও সময় পেলে বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে পদ্মার পাড়ে গিয়ে সময় অতিবাহিত করি।।
পদ্মার পাড়ে সময় কাটানোর মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে বিকেলের সময়টা। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক কথায় অসাধারণ সময় অতিবাহিত করা যায়।।
আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো।।
গোধূলি লগ্নে পদ্মা নদীর পাড়ের পরিবেশটা নিশ্চয়ই খুবই মনোমুগ্ধকর এবং অপূর্ব সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। পদ্মা নদীর পাড়ে এরকম রেস্টুরেন্টে বসে ভরা বর্ষা মৌসুমের সময় পদ্মা নদীর পরিবেশটা নিঃসন্দেহে দেখতে আরো বেশি মনমুগ্ধকর লাগে। পদ্মা নদীর পাড়ে গোধূলি লগ্নে কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গোধূলি লগ্নে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে ভাইয়া। আমরাও মাঝে মধ্যে বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকি। দুই বন্ধু মিলে অনেক দিন পর বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। নদীর পাড়ে রেস্টুরেন্ট থাকা অবশ্যই দরকার। কারণ খাওয়া দাওয়া করার পাশাপাশি, রেস্টুরেন্টে বসে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করা যায়। নতুন রেস্টুরেন্টের কাজ শেষ হলে আপনাদের জন্য বেশ ভালো হবে। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।