সকালে হাঁটাহাঁটি সেই সাথে ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া।
তবে গত পরশুদিন থেকে শরীরটা একটু ভালো লাগার কারণে আবার হাটাহাটি করতে বাইরে গিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে কি সকালে হাটাহাটি করলে শরীরটা বেশ ভালো লাগে। সেই সাথে মনটাও ভালো থাকে। এই কারণে আমি সকালে হাটাহাটি করতে পছন্দ করি। যাই হোক কয়েকদিন পরে হাঁটতে বের হয়ে বেশ ভালই লাগছিলো। কয়েকদিন বিরতি দিয়ে হাঁটতে বের হলে তখন মনে হয় জোরে দৌড়াতে থাকি। যাতে শরীরটা দ্রুত ফিট হয়ে যায়। কিন্তু আমি জানি হঠাৎ করে কয়েকদিন পর হাঁটতে বের হয়ে শরীরের উপর বেশি চাপ পড়লে তখন সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে। সেজন্য আমি মোটামুটি গতিতে হাঁটার চেষ্টা করছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে এক পর্যায়ে মনে হল আর মাত্র কয়েকদিন পর থেকে আমরা ট্রেনে করে ফরিদপুর থেকে ঢাকা যেতে পারবো। যেহেতু আর অল্প কয়েকদিন বাকি আছে তাই চিন্তা করলাম একবার স্টেশন থেকে খবর নিয়ে যায় যে কি অবস্থা?
হাঁটাহাঁটি শেষের দিকে স্টেশনে পৌঁছে দেখি সেখানে কথা বলার মত কেউ নেই। টিকেট কাউন্টার দেখলাম ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আবার স্টেশন মাস্টারের রুম দেখলাম তালা দেয়া। যার ফলে তথ্য জানার মত কাউকে পেলাম না। সেজন্য কোনো তথ্যও জানতে পারলাম না। আমাদের দেশের বেশিরভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের অবস্থা প্রায় একই রকম। এখানকার লোকজন জমিদারের মতো চাকরি করে। তাদের ভাব দেখে মনে হয় তাদের কোন জবাবদিহির জায়গা নেই। এই জন্য তারা জনগণকে সেবা দেয়ার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পেলেই তারা ফাঁকি দেয়। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে এই রেলস্টেশন। তবে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত যতটুকু জেনেছি তাতে আগে যে ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছিল সেখান থেকে ভাড়া কিছুটা কমানো হয়েছে। তারপরেও ভাড়াটা আমার কাছে কিছুটা বেশি মনে হয়েছে।
কারণ ফরিদপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। সেখানে নন এসি সিটের ভাড়া আড়াইশো টাকা হওয়ার কোন যুক্তি দেখিনা। তাছাড়া আরও একটি জিনিস খেয়াল করে দেখেছি। সেটা হচ্ছে ফরিদপুরের মানুষের জন্য আসন সংখ্যা খুবই সীমিত। দূর থেকে যে ট্রেনগুলো আসবে সেখানে অল্প কিছু সিট ফরিদপুরের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ ফরিদপুরের মানুষের দাবি ছিল ফরিদপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত যেন আলাদা ট্রেন চলাচল করে। কারণ প্রতিদিন ফরিদপুর থেকে ঢাকায় হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। এই অসংখ্য যাত্রীর জন্য অল্প কয়েকটা সিট দিলে আসলে আমাদের কোন উপকার হবে না। আমাদের দেশে সহজে তো কোন কিছু পাওয়া যায় না। এই জন্য হয়তো আমাদের শহরের লোকজনের আন্দোলন করতে হবে। তাছাড়া ফরিদপুরের লোকজনের জন্য আলাদা ট্রেন পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। দেখা যাক এখন এটা নিয়ে ফরিদপুরের মানুষজনের ভেতর কোন জনমত গড়ে ওঠে কিনা। আমি স্টেশনে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে তারপর ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জি ভাইয়া সকালে হাঁটাহাঁটি করলে ব্যায়াম করলে শরীরটা ভালো থাকে। ভাই কষ্ট করে হলেও হাটবেন। শরীরের জন্য খুবই উপকার হবে। তার কারণ আপনার পেশার এর সমস্যা। হাঁটাহাঁটি করলে মন ও দেহ দুটি ভালো থাকে। জ্বী ভাইয়া শীত পড়ে গেছে সকালের দিকে তো কুয়াশা পড়ছে আর সন্ধ্যার দিকে তো বের হওয়া যায় না। অনেক ঠান্ডা। জ্বী ভাইয়া মাঝে বাদ দিয়ে হঠাৎ করে হাঁটাহাঁটি করলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়।হুম ভাইয়া জমিদারের মত চাকরি করে তাদের কোন খোঁজ খবরই পাওয়া যায় না এবং একটা কি তাদের কোন জবাবদিহতা দেওয়ার জায়গা নেই।কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পেলেই ফাঁকি দেয় আপনার কথার সাথে আমি একমত ভাইয়া কিন্তু সরকারী যারা ভাবে কাজ করে তাদের কিন্তু এরকম দেখা যায় না । দেখা গেলেও খুব কম। ফরিদপুরের মানুষের উচিত এটা নিয়ে আন্দোলন করা। যাতে করে ফরিদপুরের জন্য আলাদা ট্রেন পাওয়া যায়।
সকালে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমিও একসময় নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতাম এবং জিমে যেতাম। কিন্তু এখন তেমন কিছুই করা হচ্ছে না। যদিও জিমের কিছু ইন্সট্রুমেন্ট বাসায় কিনে এনেছি, তবে সেভাবে করা হয় না ব্যায়াম। তবে ভাবছি নিয়মিত হাঁটতে হবে আবারও। যাইহোক ট্রেন চালু হয়ে বিশেষ কোনো লাভ হয়নি আপনাদের। তার চেয়ে বাসে যাতায়াত করাই ভালো। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সকালে হাটাহাটি করা খুব ভালো।তবে কম হলেও নিয়মিত করলে ফল পাওয়া যায়। আমি প্রতিদিনই হাঁটি। আমাকে অবশ্য ডাক্তার বলেনি।নিজে থেকেই হাঁটি।আপনি হেঁটে ট্রেনের ব্যাপারে জানতে স্টেশনে গেলেন।কিন্তু কাউকে পেলেন না।আসলে পড়ে যতটুকু বুঝলাম আপনাদের ফরিদপুর বাসীর জন্য সুখকর কিছু হয়নি।দেখা যাক সামনে কি করে এলাকাবাসী। মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
খুলনা থেকে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং বেনাপোল থেকে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস যমুনা সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াত করবে। তবে ভাড়াটা আমার কাছে ঠিকই মনে হয়েছে। আমাদের কুষ্টিয়ার ভাড়া ৩৫০ টাকা। যেটা বাসের থেকে অনেক কম। তবে ফরিদপুর আসন সংখ্যা কম ব্যাপারটা বেশ দুঃখজনক। ইতিমধ্যে অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে ভাই।।
সকাল বেলায় হাঁটাহাঁটি করা সত্যি অনেক উপকারী। তবে সময়ের অভাবে হাঁটাহাঁটি করা হয়না। ভাইয়া আপনি খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সেই স্টেশনে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।কিন্তু কি আর করার সরকারি দপ্তর গুলোতে গেলে হতাশা আরও বেড়ে যায়। তারা তো নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে না। দেখা যাক আন্দোলন করে কোন কাজ হয় কিনা। ট্রেন সার্ভিসটা চালু হলে সত্যি অনেক ভালো হতো।
আসলে ভাইয়া সকালে হাঁটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে আপনি দেখছি সকালে হেটেছেন এবং ঢাকায় যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট নিয়ে বেশি একটু জানাজানি করেছেন ।আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।