জীবনের প্রথম ক্যাম্পিং করার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।
তবে তাবুর ভেতর ঘুমাতে গিয়ে বুঝতে পারলাম এখানে আসলে ঘুমানো সম্ভব না। কারণ তাবুটা লম্বায় ছয় ফুট লিখলেও আসলে সেটা ৬ ফুট লম্বা ছিলো না। আমাদের পায়ের দিকটা তাবুর সাথে লেগে যাচ্ছিলো। আর শীতের রাতে বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা থাকার কারণে তাবুর গায়ে হালকা হালকা পানি জমেছিলো। যার ফলে যখনই আমাদের পা বা শরীরের কোন অংশ তাবুর সাথে লাগছিল তখনই ভেজা ভাবটা অনুভব করতে পারছিলাম। তবে আমরা সাথে করে দুটো কম্বল নিয়ে গিয়েছিলাম। একটা কম্বল নিচে বিছিয়ে ছিলাম। আর একটা গায়ে দিয়েছিলাম। এভাবে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ঘন্টাখানেকের একটা ঘুমও দিয়েছিলাম।
ঘন্টাখানেক পরে যখন আমার ঘুম ভাঙলো তারপর দেখি আর কিছুতেই ঘুম আসছে না। পরবর্তীতে আমি মোবাইল নিয়ে সময় কাটাতে লাগলাম। আর মনে মনে শুধু চিন্তা করছিলাম কখন সকাল হবে? কারণ আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম ফজরের নামাজের আগে আমরা সেখান থেকে চলে যাবো। না হলে সকালবেলায় গ্রামের লোকজন এসে আমাদেরকে নানা রকম কথা জিজ্ঞেস করবে। যাই হোক এভাবে অপেক্ষা করতে করতে একসময় ফজরের আজান
হয়ে গেলো। তখন আমি উঠে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ শেষ করে এসে ফেরদৌস আর রাসেলকে ডেকে উঠালাম। তারপর আমরা দ্রুত সবকিছু গোছগাছ করতে লাগলাম। সবকিছু গোছানোর পরে আমাদের মনে হল ফেরদৌসের মোটরসাইকেল রয়েছে রাফসানদের বাড়ির ভেতরে। আর চাবিও রয়েছে রাফসানের কাছে।
আমরা সব কিছু গোছগাছ করে রাফসানের ঘরে গিয়ে রাফানকে ডাকতে লাগলাম। ডাকাডাকির পডরেও দেখি রাফসানের কোন সাড়া নেই। পরে বেশ কিছুক্ষণ পর দেখলাম রাফসান বাইরে চলে এসেছে। তখন রাফসানের কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে ওকে বিদায় দিয়ে আমরা বাড়ির পথে রওনা দিলাম। এবারের ক্যাম্পিং টা আমরা অভিজ্ঞতা সংগ্রহের চেষ্টা হিসেবে নিয়েছিলাম। ফেরদৌসের সাথে আমি আগেই কথা বলেছিলাম এবার ক্যাম্পিং করতে গিয়ে যে যে সমস্যা ফেস করবো সেটা মাথায় রেখে পরবর্তী ক্যাম্পিংয়ের পরিকল্পনা করা হবে। আমরা ইতিমধ্যে পরবর্তী আরো একটা ক্যাম্পিং এর পরিকল্পনা করে ফেলেছি। সেই ক্যাম্পিং করার জন্য এবার বড় একটা তাবুও কিনে ফেলেছি।
আশা করছি এবারের অভিজ্ঞতা গুলো কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে সফল একটা ক্যাম্পিংয়ের আয়োজন করতে পারবো। আর ইচ্ছা আছে পরবর্তী ক্যাম্পিংয়ে আরো বেশি লোক যুক্ত করার। কারণ লোকজন বেশি না হলে এই ধরনের প্রোগ্রামে মজা হয় না। কারণ বেশ কিছু বন্ধু-বান্ধব একসাথে থাকলে সময় কাটাতে একেবারেই চিন্তা করতে হয় না। সবাই মিলে বসে আড্ডা দিয়ে ঘুরেফিরে বেরিয়ে বিভিন্ন রকম কর্মকান্ডের মাধ্যমে চমৎকারভাবে সময় উপভোগ করা যায। কিন্তু লোক দু তিনজন হলে তখন সময় কাটানো নিয়ে সমস্যা হয়। এবার আমাদের যেটা হয়েছিলো আরকি। আর ঠিক করেছি এর পরেরবার ক্যাম্পিং করব দূরের কোনো নিরাপদ জায়গায়। এভাবে বাড়ির পাশে ক্যাম্পিং করলে ক্যাম্পিংয়ের মূল মজাটাও পাওয়া যায় না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আমার মতে আমাদের দেশের যা পরিস্থিতি,এতে করে বাসা থেকে বেশি দূরে ক্যাম্পিং না করাই ভালো। বাসার কাছাকাছি নিরাপদ জায়গায়, বেশি মানুষ নিয়ে পরবর্তীতে ক্যাম্পিং করলে ভালো হবে। আপনাদের এবারের ক্যাম্পিং শুরু হওয়ার আগেই ভেবেছিলাম, ৩/৪ জন মানুষ নিয়ে ক্যাম্পিং ততোটা জমবে না। আর পরবর্তীতে ক্যাম্পিং এর সময় অবশ্যই বারবিকিউ পার্টি করবেন আগে থেকে প্ল্যান করে। এবারের অভিজ্ঞতা অবশ্যই কাজে লাগবে পরবর্তীতে। যাইহোক ক্যাম্পিং এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।