নতুন টিভি কেনার অভিজ্ঞতা।
একটা সময় ছিল যখন আমি অনেকটা সময় নিয়ে টেলিভিশন দেখতাম। কিন্তু কম্পিউটার কেনার পরে টেলিভিশন দেখার আগ্রহটা চলে গিয়েছিলো। কিন্তু টেলিভিশন না দেখলেও কোন খেলা হলে সেটা কম্পিউটারে হোক বা টেলিভিশনে হোক দেখার চেষ্টা করতাম। এখনো অন্য কোন অনুষ্ঠানে তেমন দেখা হয় না। তবে ক্রিকেট খেলা হলে সেটা দেখার চেষ্টা করি। বিশেষ করে সেটা যদি হয় বাংলাদেশের খেলা। আমার বাসার টেলিভিশনটা বেশ কিছুদিন আগে নষ্ট হয়েছিলো। যেহেতু বাসার কেউই টেলিভিশন দেখে না তাই টেলিভিশন কেনার প্রতিও খুব একটা গরজ ছিল না।
কিন্তু গত কিছুদিন থেকেই আমার মনে হচ্ছিল এটা মোটামুটি সাইজের টেলিভিশন হলে ভালো হতো। তাহলে খেলা দেখে মজা পেতাম। বিশেষ করে সামনে অনেকগুলো বড় বড় টুর্নামেন্ট আসছে। তার ভিতরে এশিয়া কাপ রয়েছে, বিশ্বকাপ রয়েছে। একটা বড় টিভি হলে সেখানে খেলা দেখে অনেক মজা পাওয়া যায়। কম্পিউটার মনিটরের সাইজ খুব একটা বড় নয়। তাই সেখানে খেলা দেখে খুব একটা ভালো লাগে না। এই জন্যই অনেকদিন থেকেই একটা টেলিভিশন কেনার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কিছুতেই বাস্তবায়ন হচ্ছিল না। গত কয়েকদিন থেকে কেন জানি টেলিভিশন কেনার আগ্রহটা আরো বেড়ে গিয়েছিলো। একটা কারণ হচ্ছে যে কম্পিউটারে সব খেলা লাইভ দেখায় না বা দেখার সোর্স খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই কোনো রকম ঝামেলা ছাড়া যেন ক্রিকেট ম্যাচ গুলো দেখতে পারি সেই কারণেই টিভিটা কেনার ইচ্ছা ছিলো।
পরিকল্পনা করার পর থেকেই বিভিন্ন টেলিভিশন নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। প্রথমত আমার যে টেলিভিশনটা পছন্দ হয়েছিল সেটা আমার কাছে দাম অনেকটা বেশি মনে হয়েছিল অন্য টেলিভিশনগুলো থেকে। তাই আমি এমন একটা টেলিভিশন খুঁজছিলাম যেটা মোটামুটি দামের ভিতরে বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেবে। খুঁজতে খুঁজতে শেষ পর্যন্ত xiaomi a2 টিভিটা আমার পছন্দ হয়ে গেলো। সেটা ৪৩ ইঞ্চি একটা ফোরকে টেলিভিশন। টেলিভিশনটা দেখে আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো। আজ সকালে গিয়েছিলাম আমি টেলিভিশনটা দেখতে।দেখে এসে আমার স্ত্রীর সাথে টেলিভিশনটা কেনার ব্যাপারে আলোচনা করলাম। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না যে আজকেই কিনব কিনা। শেষ পর্যন্ত আমার স্ত্রী বলল চলো আমরা গিয়ে একবার টেলিভিশনটা সরাসরি দেখে আসি।
আমি চিন্তা করলাম যেহেতু শোরুমে যাব তাই পকেটে টাকা নিয়েই যায়। যদি পছন্দ হয় তাহলে একবারে টেলিভিশনটা কিনে সাথে করে নিয়ে আসব। আমরা প্রথমে গিয়েছিলাম সনি র্যাংগস শোরুমে। সেখানে আমরা গিয়েছিলাম রাংগসের একটা ৪৩ ইঞ্চি ফোর কে টিভি দেখতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের সাথে কথাবার্তা বলে জানতে পারলাম প্রোডাক্টটি সোল্ড আউট হয়ে গিয়েছে। আমি ফেসবুকের একটা গ্রুপে এই টেলিভিশনটা সম্বন্ধে জানতে পেরেছিলাম। যাইহোক যেহেতু আমরা টেলিভিশনটি দেখতে পারলাম না তখন আমরা সরাসরি চলে গেলাম অন্য আরেকটি শোরুম যেখানে আমি শাওমি টেলিভিশনটি দেখেছিলাম।
সেখানে পৌঁছে আমার ওয়াইফের টেলিভিশনটা বেশ পছন্দ হলো। তারপর আমি শোরুমে ম্যানেজারের কাছ থেকে টেলিভিশনের বিভিন্ন বিষয়গুলো সম্বন্ধে খুঁটিনাটি জেনে নিলাম। তারপর সবকিছু বুঝে নেয়ার পরে আমি টেলিভিশনটি কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলাম। তখন ম্যানেজার আমাকে জিজ্ঞেস করল স্যার টিভিটা কি প্যাকেট করতে বলবো। তখন আমি বললাম হ্যাঁ টিভিটা আমি নিচ্ছি। তারপর আমি টেলিভিশনের দাম পরিশোধ করলাম। অবশ্য তার আগেই আমি সেই শোরুমের এক কর্মচারীর কাছ থেকে শুনে নিয়েছি টেলিভিশন ইনস্টলেশন কি ফ্রি না কি? কিন্তু তারা জানালো টেলিভিশনের ইনস্টলেশনের জন্য একটা চার্জ আছে। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম টেলিভিশনটা যদি আমি কালকে সকালে নিই তাহলে কখন ইনস্টল করে দেবে? তিনি বললেন আপনি যখনই টেলিভিশন নেন টেলিভিশন ইনস্টলেশন করতে রাতে লোক যাবে। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যদি আমি এখনই টেলিভিশন কিনি তাহলে কি আজ রাতেই টেলিভিশন লাগিয়ে দেবে? তিনি বললেন হ্যাঁ।
তখন আর আমি দেরি না করে সাথে সাথে টেলিভিশনটি কিনে ফেললাম। টেলিভিশনটি কেনার পরে যেই লোকটি টেলিভিশনটি ইন্সটল করে দেবে তাকে সাথে করে নিয়ে আমরা বাড়িতে এলাম। যেহেতু এই স্মার্ট টিভিগুলো অনেকটা সেনসিটিভ তাই এগুলোর ইনস্টলেশন এর প্রসেসটাও একটু জটিল। যে লোকটি আমাদের সাথে এসেছিল তিনি টেলিভিশনটি ইন্সটল করে দিয়ে টেলিভিশনের বেশ কিছু ফাংশন আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়ে গেলেন। তারপর তাকে তার পারিশ্রমিক দিয়ে বিদায় জানালাম। এভাবেই আমার দীর্ঘদিনের একটা ইচ্ছা পূরণ হলো। ফোরকে রেজুলেশনের এই টেলিভিশন গুলো দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। এখানে ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট যখন আপনি দেখবেন তখন একটা অন্যরকম অনুভূতি হবে। যাই হোক এখন থেকে বেশ মজা করে ক্রিকেট ম্যাচ গুলো দেখতে পারবো বলে আশা করছি। আর আগামী কয়েক দিন টেলিভিশন ব্যবহার করার পরে আপনাদের কাছে একটা রিভিউ দেবো। যাতে আপনারা কেউ টেলিভিশন কিনতে চাইলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/8) Get profit votes with @tipU :)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া টেলিভিশন হল বিনোদনের অন্যতম প্রধান উৎস। অবসর সময়ে টেলিভিশন দেখার মজাই আলাদা। যাহোক, আপনি খুবই সুন্দর একটি টেলিভিশন ক্রয় করেছেন। আগামী বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলাটি নিঃসন্দেহে আরামের সাথে দেখতে পারবেন। টেলিভিশন ক্রয় করার দারুণ একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ দারুন হলো ভাইয়া আসলেই আপনি ঠিক বলছেন সবকিছু কিন্তু ল্যাপটপে কিংবা কম্পিউটারে দেখা সম্ভব না। তাছাড়া দেখে ও মজা লাগে না কিছু কিছু বিষয় আছে টেলিভিশনের বড় পর্দায়ে দেখলে বেশ ভালোই লাগে। তবে আপনি টিভি টা অনেক ভালো কিনেছেন আমার কিন্তু লোভ লেগে গেছে আপনার টেলিভিশন টা দেখে। আমিও চিন্তা করতেছি নতুন একটা টেলিভিশন কিনব পুরাতন টা গ্রামের বাড়িতে দিয়ে আসবো নতুনটা বাসায় রাখবো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
এত বড় একটা টেলিভিশন কিনলেন আর মিলাদ দিলেন না, তাই কি হয় ভাইয়া। তাড়াতাড়ি মিলাদের ব্যবস্থা করেন।আমরাও একটু খুশি হই। হি হি হি। হুম বড় বড় টুর্নামেন্টগুলো তো বড় টিভিতেই দেখা দরকার। আর বড় টিভিতে দেখতেই বেশ ভালো লাগে। আমি মনে করি আপনি ভালোই করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার টিভির প্রতি। হি হি হি
অবশেষে তাহলে একটা টিভি কিনেই ফেললেন। সত্যি বলতে মনিটর এবং ল্যাপটপ যত বড়ই হোক না কেন টিভিতে খেলা দেখার মাঝে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে সব সময়। টিভির মত কখনোই ল্যাপটপ বা মনিটরে খেলা দেখে আনন্দ পাওয়া যায় না। যাই হোক অনেক ভেবে চিন্তে আপনার ওয়াইফের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশেষে টিভিটা কিনেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই এ ধরনের টিভির ইনস্টলেশন প্রক্রিয়াটা একটু জটিল, তবে চেষ্টা করলে নিজেই পারা যায়। যাই হোক টিভি কেনার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি ই আজকাল টিভি আর আগের মতো দেখা হয়না।তবে বিশ্বকাপ ফুটবল কিংবা ক্রিকেট দেখতে হলে টিভি বেশ দরকার।কারন খেলা সবাই মিলে বড় স্ক্রীনে দেখার মজাই আলাদা।যাক শেষে টিভি কিনে ফেললেন। খুব সুন্দর হয়েছে।এবার খুব আনন্দ নিয়ে খেলা দেখা যাবে।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি অবশেষে টিভি কিনেছেন।এক সময় দেখা যেত এই টিভি দেখার জন্য ভিড় করতাম। আপনার টিভি কেনা দেখে সেই ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। তাই বলা যায় টিভিও বিনোদন জগতের প্রধান উৎস। প্রযুক্তির উন্নতির এক অভাবনীয় সময়ে বসবাস করছি আমরা। স্মার্ট সব গ্যাজেট আমাদের জীবনকে করে দিয়েছে সহজ আর বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতাকে করেছে উপভোগ্য। স্মার্ট টিভিও এমন একটি স্মার্ট গ্যাজেট, যা বর্তমানে ঘরে না থাকলেই যেনো নয়। বর্তমানে স্যামসাং থেকে শুরু করে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটন পর্যন্ত, কমবেশি প্রতিটি ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি রয়েছে বাজারে। একটি প্রবাদ আছে, “Sound is Half the Experience”, অর্থাৎ যেকোনো অভিজ্ঞতার অর্ধেকই নির্ভর করে সাউন্ডের উপর। তাই শুধু দামী স্মার্ট টিভি কেনাটাই যথেষ্ট নয়। দারুণ ভিডিও কোয়ালিটির পাশাপাশি দরকার হবে অসাধারণ অডিও সেটাপের। তাই স্মার্ট টিভি কেনার আগে অডিও সেটাপকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ টিভি কেনার মূহুর্ত টা শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন