দুই বন্ধুর ঘোরাফেরা ও ফুচকা খাওয়ার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


পূর্ববর্তী পর্বের লিংক


আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করার পরও দেখি বৃষ্টি পুরোপুরি থামছে না। তখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো। তখন আমরা চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম বৃষ্টি হয়তো আর পুরোপুরি এখন থামবে না। আমাদেরকে যেতে হলে এই হালকা বৃষ্টি ভেতরেই যেতে হবে। আবার মাথায় এটাও চিন্তা আসছিল যে যদি এখন রওনা দিয়ে জোরে বৃষ্টির ভিতরে পড়ি তখন কি হবে? একটা সময় ছিল যখন আমাদের পকেটে মোবাইল ছিল না। তখন বৃষ্টিতে ভেজা নিয়ে খুব একটা টেনশন করতে হয়নি। কিন্তু মানুষের পকেটে মোবাইল ঢোকার পরে মানুষ বৃষ্টিতে ভিজতে খুবই ভয় পায়। কারণ পানি হচ্ছে মোবাইলের শত্রু। যাই হোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ এমন দোটানায় ভুগলাম। ততক্ষণে দেখলাম বৃষ্টি প্রায় থেমে গিয়েছে।

IMG_20230726_191102.jpg

তারপর আমরা দুই বন্ধু রওনা দিলাম সেই ফুচকার দোকানের উদ্দেশ্যে। ফুচকার দোকানটির অবস্থান অবশ্য ফেরদৌসের বাড়ির কিছুটা কাছাকাছি। যেহেতু বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভিজেছিল তাই ফেরদৌস খুব সাবধানে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলো। দুজনে গল্প করতে করতে ফুচকার দোকানের দিকে যাচ্ছিলাম। তবে আমার মাথায় অন্য চিন্তা খেলা করছিলো। এই ফুচকার দোকানে সন্ধ্যার সময় প্রচুর ভিড় হয়। গিয়ে সেখানে বসার জায়গা পাবো নাকি সেটাই চিন্তা করছিলাম। কিন্তু খুবই অদ্ভুত ব্যাপার দোকানের সামনে পৌঁছে দেখি সেখানে লোকজন একেবারে নেই। আমরা দুজন ছাড়া আর কোন কাস্টমার সেখানে নেই। পরবর্তী চিন্তা করলাম হয়তো বৃষ্টি হওয়ার কারণেই মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেনি। এই কারণেই কাস্টমার নেই। এই সময়ে এই রেস্টুরেন্টে বসার জায়গা পাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়।

IMG_20230726_191106.jpg

যাই হোক আমরা সেখানে বসার পর ফেরদৌস আমাকে জিজ্ঞেস করল কি খাবা? আমি বললাম একটা কিছু হলেই হয়। তখন ফেরদৌস দুজনের জন্য দুটো ভাংচুর অর্ডার করলো। এই দোকানের ভাঙচুরের একটা সমস্যা হচ্ছে এটা পরিমাণে এমন পরিমাণে দেয় যেটা একজনের জন্য বেশি হয়ে যায় আবার দুইজন ভাগ করে খেতে গেলে কম হয়ে যায়। তাই আমরা দুটোই অর্ডার করেছিলাম। যেহেতু খাবারটা আমাদের দুজনেরই বেশ প্রিয় তাই দুজনেই বেশ আরাম করে খেতে লাগলাম। কথায় কথায় ফেরদৌসকে জানালাম আমি কয়দিন আগেও এখানে এসেছিলাম আমার মেয়ে আর ভাতিজিকে সাথে নিয়ে। ওরা এই দোকান থেকে ফুচকা খেতে চেয়েছিল সেজন্য নিয়ে এসেছিলাম।

IMG_20230721_210732.jpg

ফুচকা খাওয়ার পরও দুজনে সেখানে বসে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। এই গল্পের ভেতরে আমাদের পরবর্তী ট্যুর নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। আমরা দীর্ঘদিন থেকে কয়েক বন্ধু মিলে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। গত বছর তো একবার আমরা টাকা জমা পর্যন্ত দিয়েছিলাম। কিন্তু সিলেটে হঠাৎ করে ভয়াবহ বন্যা হওয়ার কারণে পরবর্তীতে আমাদের সেই ট্যুরটা ক্যানসেল হয়ে যায়। এবারও আমরা আবার টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারব কিনা সেটা নিয়েই কথা বলছিলাম। গল্প করা শেষ হলে আমরা দুজন সেখান থেকে দুজনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 last year 

দুই বন্ধুর ঘোরাফেরা ও ফুচকা খাওয়ার অভিজ্ঞতার প্রথম পর্বটি পড়ার সুযোগ হয়েছিল আজ আবার শেষ পর্বটি পড়ার সুযোগ পেলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, যখন থেকে মানুষের পকেটে পকেটে মোবাইলের ব্যবহার শুরু হয়েছে তখন থেকেই মানুষ বৃষ্টিকে প্রচন্ড ভয় পায়। কেননা বৃষ্টিতে ভিজলেই তার প্রিয় মোবাইলটি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাইহোক ভাইয়া, দুই বন্ধু মিলে খুবই লোভনীয় খাবার খেয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আর আপনার ভাঙচুরের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই স্বাদ হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, দুই বন্ধুর ঘোরাফেরা ও ফুচকা খাওয়ার অভিজ্ঞতার শেষ পর্বটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দুই বন্ধু মিলে শেষ পর্যন্ত ফুচকার দোকানে গেলেন।আসলে বৃষ্টি হওয়ার কারনে দোকান ফাঁকা ছিল।এরপর দুজন মিলে ভাঙ্গচুর খেয়েছেন।এই খাবারটা আমার কাছে বেশ নতুন।কখনও শুনিনি কোথাও।এক প্লেট একা খাওয়া খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার।দুজন গল্প করতে করতে খেয়ে নিলেন।এরপর পরবর্তী ঘুরতে যাওয়ার কথা আলোচনা করছিলেন। সিলেটের হাওরে যাবেন।আশাকরি আপনাদের যাওয়া হবে।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

ভাঙচুর কোনদিন খাইনি ভাইয়া। তবে মনে হচ্ছে খেতে অনেক ভালো হবে। মাঝে মাঝে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো এক প্লেট নিলে দুজনের কম হয়ে যায় আবার দুজনের জন্য আলাদাভাবে নিলে বেশি হয়ে যায়। যাইহোক ভাইয়া অবশেষে বৃষ্টি বন্ধ হয়েছিল এবং আপনারা সেই পছন্দের রেস্টুরেন্টে যেতে পেরেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনাদের ট্যুরে যাওয়ার প্লান সাকসেসফুল হবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66492.65
ETH 3309.61
USDT 1.00
SBD 2.72