আমার অবসর যাপন ।। আমার অসহায়ত্ব

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,,

মোটামুটি অনেকেই জানেন আমি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ক্লিনিকে ভর্তি আছি। এই সময়টা যে কতটা কষ্টের এবং কত কি যে সহ্য করে থাকতে হচ্ছে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। সারাদিন রাত একটা রুমে মশারির ভেতরে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে হচ্ছে। ফোন যে ইউজ করব সেটারও খুব একটা উপায় নেই। কারণ বাম হাতে স্যালাইন দেওয়া। আর শুধু ডান হাত দিয়ে সব কাজ ঠিকমতো করা যায় না। রুমে একটা টিভি থাকায় বেশ ভালো হয়েছে। আমার সকালটা টিভির সাথেই কাটে।

IMG20220926093558.jpg

Location

ও হ্যাঁ একটা ভালো খবর হচ্ছে আমি যখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হই ঐ সময় রক্তে আমার প্লেটিলেট ছিল এক লক্ষ আশি হাজার। গতকাল যখন আবার ব্লাড টেস্ট করে রিপোর্টে আমার প্লাটিলেট ২ লক্ষ ৮০ হাজার উঠে যায়। ম্যাক্সিমাম মানুষের কমে যায় সেই দিক থেকে আমার দুই দিনের মাঝে বেড়ে গিয়েছে। আসলে যে পরিমাণ স্যালাইন শরীরের ঢুকেছে আর লিকুইড জাতীয় খাবার পেটে গেছে প্লাটিলেট না বেড়ে কোন উপায় ছিল না হয়তো। এক দিক থেকে বাড়ির মানুষজন একটু হলেও স্বস্তিতে আছে।

IMG20220926092957.jpg
Location

আজকে এই পোস্টটা করছি কারণ সকালের দিকটায় মাথা একদম শ্যাম্পু করে ধোয়ার পরে জ্বরটা হালকা কমেছে এবং শরীর কিছুটা আরাম পাচ্ছে। তাই চুপচাপ বসে ভয়েস টাইপিং করেছি।

যদি এক কথায় বলতে হয় আমার সুস্থ হওয়ার জন্য যা যা করতে হবে তার বিন্দুমাত্র ত্রুটি রাখছে না মা-বাবা আর দিদি। কিন্তু চোখের সামনে যখন দেখি বাবা এই অসুস্থ শরীর নিয়ে পারছে না তার পরেও আমার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে বাবা,, বাইরে থেকে এসেই একদম শরীর ছেড়ে দিয়ে বসে রেস্ট নিচ্ছে তখনই বোঝা যায় তার ভেতরে কতটা প্রবলেম হচ্ছে। প্রতিদিন আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের জল ফেলতে হয়। এমন অবস্থার ভেতরে থাকলে কোন ছেলে মেয়েই হয়তো নিজেকে আটকে রাখতে পারবেনা।

যাই হোক সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আপনাদের আশির্বাদ এবং ভালোবাসা সাথে আছে বলেই হয়তো অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাব আমি। এটা আমার বিশ্বাস।

Sort:  
 2 years ago 

আপনার এরকম একটা অসুস্থতার কথা শুনেই সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো। কিন্তু একটা কথা শুনে বেশ ভালো লাগলো যে আপনার রক্তে প্লেটিলেট অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। আর স্যালাইন এবং খাওয়া দাওয়া সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে করছেন। আসলে পরিবারের একজন যদি অসুস্থ হয় তাহলে অন্যদের সত্যিই ঘুম থাকে না। তেমনি আপনার মা, বাবা, বোন সবাই আপনার জন্য অনেক কিছু করছে। তবে আপনার বাবা নিজেও অসুস্থ হয়ে আপনার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবারো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এটাই কামনা।

 2 years ago 

ভিশন স্ট্রাগল চালিয়ে যেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে এখন আগের থেকে বেশ ভালো আছি। দোয়া করবেন সব সময় আপু।

 2 years ago 

ছোড়দা আপনার এরকম অবস্থা দেখার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলাম না, আমি ভাবছিলাম আপনি হালকা জ্বর ঠান্ডায় অসুস্থ কিন্তু আপনার যে ডেঙ্গু হয়েছে এটা আমার জানা ছিল না। আপনার পোস্ট টি পড়ে হঠাৎ করেই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো আপনি যে কতটা কষ্ট করছে এটা হয়তো একটু হলেও অনুভব করতে পারছি আর সেজন্যই খুব খারাপ লাগছে। ঈশ্বরের কাছে মন থেকে প্রার্থনা করি আপনি যেনো খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে সজীবতার সহিত যুক্ত হতে পারেন। 🙏🙏 আপনার শরীরের একটু উন্নতি হয়েছে শুনে একটু স্বস্তিবোধ করছি। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। 🙏🙏🙏

 2 years ago 

মায়ের উপর বিশ্বাস আছে বড়দি, পুজোর ভেতর নিশ্চয়ই তার ছেলেকে ক্লিনিকে ফেলে রাখবে না। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারবো। শরীর অনেকটা ভালো আছে এখন।

 2 years ago 

বাইরে থেকে এসেই একদম শরীর ছেড়ে দিয়ে বসে রেস্ট নিচ্ছে তখনই বোঝা যায় তার ভেতরে কতটা প্রবলেম হচ্ছে।

ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে কখন যে দু চোখের পাতা ভিজে গেছে বুঝতেই পারিনি। আসলে আমাদের আপন মানুষগুলো আমাদেরকে কতটা ভালোবাসে তা আমরা বুঝতে পারি না। কিন্তু যখন নিজের চোখে সবকিছু ধরা পড়ে তখন নিজেকে আটকে রাখা সত্যিই অনেক কঠিন কাজ। তাইতো আপনিও লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদেন। আসলে আপনার লেখাগুলো পড়ে যখন আমার কান্না চলে এসেছে তখনই বুঝতে পেরেছি আপনার কতটা কষ্ট হয়েছে। প্লাটিলেট বেড়েছে এটা অনেক ভালো কথা। আশা করছি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন ভাইয়া। অনেক অনেক দোয়া রইল।

 2 years ago 

আমার একটা আফসোস খুব থেকে গেল,, বাবার যে সময়টাতে আমার পাশে থাকা দরকার ছিল ঠিক সেই সময়টাতেই আমি সাপোর্ট দিতে পারলাম না। আপনাদের সকলের দোয়ায় সবকিছু যেন আবার আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যায় ,, এমনটাই প্রার্থনা করি সব সময়।

 2 years ago 

ভাই প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করি দোয়া করি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। মানুষের সুস্থতা অনেক বড় একটি নেয়ামত অসুস্থ হলেই বুঝতে পারা যায় সুস্থতা কত প্রয়োজন ।যেটা আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারছেন আমার কখনো ডেঙ্গু হয়নি কোন অভিজ্ঞতাও নেই ইনশাল্লাহ সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ।আর আপনার বাবা-মা দিদির আপ্রাণ চেষ্টা যেটা আপনাকে আরো সুস্থ করে তুলবে। আপনার বাবা অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আপনার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছে যেটা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। আসলে এটাই বাস্তবতা প্রত্যেক বাবা-মা তার সন্তানের জন্য সব কিছুই করতে পারে।

 2 years ago 

আসলেই ভাই পৃথিবীতে একমাত্র মা-বাবাই তার সন্তানের জন্য সবটা ত্যাগ করতে পারে। পৃথিবীতে সাক্ষাৎ ভগবান দর্শন মা-বাবাকে এভাবে কাছে পাওয়া।

 2 years ago 

আপনার ডেঙ্গু হয়েছে শুনে খারাপ লাগছে। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে প্যাটিলেট অনেক কমে যায়। কিন্তু আপনার প্লাটিলেট ২ লক্ষ ৮০ হাজার মানে পর্যাপ্ত আছে। আপনার হাতের ক্যানুলা দেখে খারাপ লাগছে। কারণ বেশ কিছু সময় ধরে ক্যানুলা লাগিয়ে রাখতে হয় এবং এটি খুব বিরক্তিকর। দোয়া করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। আপনার বাবা, মা আর দিদি অনেক কষ্ট করছেন। তাদের জন্যও শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনার ডেঙ্গু হয়েছে আজ তা জানতে পারলাম 🙂। প্লাটিলেট আপনার শরীরে আগের থেকে বেশি আছে। এজন্য টেনশন না করাই ভালো, কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে পরিবার। আশা করি খুব শীঘ্রই সুস্থ্য হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন দাদা। 🌼

 2 years ago 

আমি সব সময় আপনাদের সাথে আছি ভাই। ❤️

 2 years ago 

জি দাদা 🌼🙏

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার ডেংগু, আমিতো পোস্ট না পেলে জানতামই না। অনেক দুঃখিত আসলে না জানার জন্য। আমি ভেবেছি জ্বর, সর্দি। 😥😪 চিন্তা করবেন না, ইনশা আল্লাহ ভাল হয়ে যাবেন, রেস্টেই থাকেন।

 2 years ago 

আহা এমনভাবে দুঃখিত বলবেন না আপু। আমরা তো সবাই একই পরিবারের সদস্য। সবাই সব সময় সবার পাশেই আছি।

 2 years ago 

শুরুর খবরটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো । প্লাটিলেট বাড়তে শুরু করেছে তার মানে আর বিপদের আশঙ্কা নেই। আশা করি দুই-একদিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যাবেন । আসলে বাবা মা যতই অসুস্থ থাকুক না কেন সন্তানদের অসুস্থ দেখলে তারা আর নিজেদের ঠিক রাখতে পারেনা। আপনার বাবার জন্য আমার নিজেরই কষ্ট লাগছে। অসুস্থ শরীর নিয়ে নিজে রেস্ট না করে আপনার পেছনে ছোটাছুটি করছে। আঙ্কেলের শরীর এখন কি রকম?

 2 years ago 

আপু আমার প্লাটিলেট আবার কমতে শুরু করেছে। শরীর হঠাৎ একদম নিস্তেজ হয়ে গেল। জ্বর চলে যাওয়ার পরেই নাকি ডেঙ্গু রোগীদের ভয়টা বেশি থাকে। আমার তো গতকালের রিপোর্ট টা খুব একটা ভালো আসে নাই। স্যালাইন আর দেবে না তাই কেনেলা খুলে দিল। কাল আবার টেস্ট করব। আরো দুই তিন দিন না গেলে কিছু বলা যাচ্ছে না।

আর বাবা! চোখ মুখ দেখছি ফোলা ফোলা। কথাও ভার ভার। প্রেসার এর প্রবলেম হচ্ছে । ধীরে ধীরে চলা ফেরা করছে । কাল বাবার জন্য সিরিয়াল দেওয়া আছে নিউরো মেডিসিন ডাক্তারের। ডাক্তার দেখে কি বলে সেটাই দেখার । 🙏🙏

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68125.63
ETH 3308.80
USDT 1.00
SBD 2.74