আমার জীবনের কিছু প্যারানরমাল অভিজ্ঞতা : ঘটনা ০২
Copyright Free Image Source: PixaBay
স্বপ্ন বস্তুটা কি ? মানুষ স্বপ্ন দেখে কেন ? এটা নিয়ে একাধিক মত প্রচলিত আছে বিজ্ঞানী মহলে । তন্মধ্যে সব চাইতে প্রচলিত মতবাদটি হলো - স্বপ্ন হলো মানুষের অবচেতন মনের কল্পনা । আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের শরীরের যাবতীয় অঙ্গের পেশী শিথিল হয়ে থাকে । দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাদি পর্যন্ত পূর্ণ ক্রিয়াশীল থাকলেও সেগুলো শিথিল থাকে কিছুটা । ব্রেন, হার্ট, লাংস আর কিডনী তাদের কাজ ঠিকঠাক করে গেলেও কাজের চাপ কম থাকায় রেস্টে থাকে কিছুটা তারা ।
সকল অঙ্গের পেশীর শিথিলতার জন্য রক্ত প্রবাহ (blood circulation) এর হার কমে যায় ফলে হার্ট এর ওপর চাপ কমে যায়, হার্ট রেট ড্রপ করে । ঠিক একই কারণের জন্য ফুসফুস কিছুটা কম কাজ করে, রেস্টে থাকে । কিডনি ঠিকই ইউরিন তৈরী এবং রক্তের ছাঁকনির কাজ করে তবে বেশ স্লো গতিতে । এবার আসা যাক ব্রেনের কথায় । ব্রেন আমাদের শরীরের সকল অঙ্গের কাজকে পরিচালনা করে থাকে, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে । সেও কিন্তু এই সময়টাতে রেস্ট নেয় ।
মানবদেহের ব্রেন একটা বিষম বস্তু । রহস্যে মোড়া । যখন আমরা ঘুমিয়ে পড়ি তখন আমাদের গভীর ঘুমে প্রবেশ করার সাথে সাথেই স্বপ্নের জগতে প্রবেশ করে থাকি । ঘুমের মেইন দুটি পার্ট -
১. REM (Rapid Eye Movement) স্লীপ
২. NON-REM (Non-Rapid Eye Movement) স্লীপ
প্রথমটি হলো মানুষের চোখের অক্ষিগোলকের দ্রুত মুভমেন্ট । এই ঘুম হলো গভীর ঘুম । এসময় মানুষের চোখের পাতা আন্দোলিত হতে থাকে এবং অক্ষিগোলক দ্রুত সঞ্চরণশীল থাকে । ঘুমের এই অংশে প্রায় আশি ভাগ স্বপ্ন দেখে থাকি আমরা ।
দ্বিতীয়টি হলো স্থির চক্ষু নিদ্রা । এটি ঘুমের পাতলা স্তর, চোখের পাতা এবং অক্ষিগোলক থাকে একদম স্থির । খুব কমই স্বপ্ন দেখে থাকি আমরা ঘুমের এই স্তরে ।
এখন, আমরা যখন ঘুমের গভীর স্তর REM sleep অংশে প্রবেশ করি তখন আমাদের অবচেতন মন (sub-conscious mind) পুরোপুরি জাগ্রত হয় । আমাদের মনের ৯০% ই হলো আসলে অবচেতন মন, বাকি মাত্র ১০% হলো চেতন মন । মস্তিষ্ক এই ১০% চেতন মনকে নিয়েই সদা ব্যস্ত থাকে । আর অবচেতন মন সুপ্ত অবস্থায় প্রতিদিনের কর্মকান্ডের স্মৃতি রেকর্ড করতে থাকে, মানুষের জীবনের প্রতিটা মুহূর্তের অংশ সেভ থাকে এই অবচেতন মনে । অর্থাৎ, একজন মানুষ শিশু অবস্থায় তার মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর আগে অব্দি প্রতিটা সেকেন্ডের ঘটনাপ্রবাহ মস্তিষ্কের অবচেতন মনে সংরক্ষণ করে থাকে ।
এখন, ব্রেন যদি সব কিছু নিয়ে চলতে যায় তবে তার সাধ্যের বাইরে চলে যায় । তাই, অতি প্রয়োজনীয় স্মৃতির মাত্র ১০% সে চেতন মনে সংরক্ষণ করি । সেটাই আমাদের স্মৃতি বা চেতন মনের স্মৃতি ।
এখন, ঘুমের সময় সহসা ব্রেনের কাজের চাপ কমে যাওয়াতে অবচেতন মনের দ্বার উদ্ঘাটন করে স্মৃতি ঘাঁটতে থাকে । অতীত এবং বর্তমান দিনগুলির স্মৃতি সব, যা কিছু সুপ্ত অবস্থায় অবচেতন মনে রয়েছে, সব । কত না মেটা চাওয়া-পাওয়া, কত দুঃখ, অভিমান, না পূরণ হওয়া কামনা বাসনা, প্রিয়জনের স্মৃতি, সুখের দিনগুলির স্মৃতি । এ গুলো ঘাঁটতে থাকে আর কল্পনায় সেগুলিকে জীবন্ত করে তোলে । আর আমরা স্বপ্ন দেখি । তাই, তো অন্ধ মানুষও স্বপ্ন দেখে । একজন মানুষ এক রাত্রে অনেক স্বপ্ন দেখে, যার মাত্র ২% সে সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে করতে পারে ।
এটাই হলো স্বপ্নের মোটামুটি ব্যাখ্যা । এবার আসা যাক আমার ঘটনায় । আমার এই স্বপ্ন ভিত্তিক ঘটনার অনেক সাক্ষী আছে । অনেকগুলি ঘটনা ঘটেছে । সর্বশেষ সাক্ষী আমার স্ত্রী । এই স্বপ্ন ভিত্তিক ঘটনাগুলির ব্যাখ্যা আমি আজও পাইনি ।
ঘটনা ০২: তখন আমি খুবই ছোট্ট । আমার প্রথম ঘটনা ক্লাস থ্রী তে পড়ার সময়ে । গ্রামে থাকতাম তখন । আমাদের গ্রামে একটি আশ্রম ছিল । গ্রামের হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের কাছে সেই আশ্রমটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেবালয় । রাধা-গোবিন্দের মন্দির ছিল সেখানে । তো, মন্দিরের বিগ্রহের গায়ে অনেক স্বর্ণালঙ্কার থাকা সত্ত্বেও কোনোদিন চুরি-ডাকাতি এসব হয়নি ।
একদিন রাতে ঘুমের সময় শেষরাত্রে আমি এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখতে পেলাম । আমি দাঁড়িয়ে আছি আশ্রম প্রাঙ্গনে । শ্রাবন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী । ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার চারিদিক । টিপ্ টিপ্ করে বৃষ্টি পড়ছে । তার সাথে শোঁ শোঁ করে হাওয়ার তেজ । ব্যাঙ আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার একটানা ডাক শোনা যাচ্ছে । গাছের পাতা বেয়ে টুপ-টুপ করে বৃষ্টির জল ঝরে পড়ছে, স্পষ্ট শুনতে পারছি ।
এমন সময় । গেটের কাছে একটা শোরগোল । পরক্ষনেই মুখ ঢাকা, হাতে রামদা, ভোজালি, মশাল (নব্বইয়ের দশকে মশাল আসবে কোথা থেকে ? তবুও স্বপ্নে তাই দেখেছিলাম )নিয়ে ঢুকে পড়লো একদল ডাকাত । আমাকে পেরিয়ে ডানদিকে নাটমন্দির রেখে হৈ হৈ করে তারা ঢুকে পড়লো মূল মন্দির প্রাঙ্গনে । দরজা ভেঙে ঢুকলো । তারপরে বিগ্রহগুলির শরীর থেকে সকল স্বর্ণালঙ্কার লুঠ করে আবার হা রে .রে ..রে.. করতে করতে নিষ্ক্রান্ত হলো তারা । ঠিক যেন খগেন্দ্রনাথ মিত্রের "বাংলার ডাকাত" বইয়ে লেখা ডাকাতের গল্পের মতো । তখন খুব পড়া হতো এসব বই আমার ।
স্বপ্নের এই অংশটুকু দেখার পর পরই মায়ের হাতের ঠেলায় ঘুম ভেঙে গেলো । দেখলাম বেশ বেলা হয়ে গিয়েছে । আর এর পরই যেটা শুনতে পেলাম যার জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না ।
মা জানালো - "গতকাল রাতে আশ্রমে ডাকাত পড়েছিল । গ্রামের কেউ কিচ্ছুটি টের পায়নি । বাবাজী কে (আশ্রমের গুরু) বেঁধে রেখে বিগ্রহের সব স্বর্ণালঙ্কার লুঠ করেছে । সারা গ্রাম তোলপাড় ।"
এবার আপনারাই বলুন - কীভাবে এটা সম্ভব ?
[নেক্সট প্যারানরমাল ঘটনা ০৩.....]
***বি: দ্রঃ উপরে বর্ণিত ঘটনাটি শতভাগ সত্য । তারপরেও কাউকে আমার ঘটনাটি বিশ্বাস করার জন্য অনুরোধ-উপরোধ বা চাপ প্রয়োগ করছি না ।
প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই এত তথ্যবহুল পোস্ট শেয়ার করার জন্য। স্বপ্ন নিয়ে একসময় আমার অনেক আগ্রহ ছিল তাই বেসিক কিছু জিনিসে পড়ালিখা ছিল। তবে কালক্রমে তার অনেকটাই অবচেতন মনে ঢুকে গিয়েছিল।
আপনার এই অলৌকিক কাহিনির কোন ব্যাখ্যা জানা নেই। আজকের বিজ্ঞান হয়ত ব্যাখ্যা দিতে পারবে ঠিকঠাক অথবা হয়ত মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ কার্যকলাপের মত এর ব্যাখ্যাও অজানা রয়ে গিয়েছে। তবে স্বপ্নের সাথে ভবিষ্যৎ মিলে এরকম অনেককেই দেখেছি। আর কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা একটু বেশি হয়। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আর অবচেতন মনের সাথে এর কোন যোগাযোগ হয়ত থাকতে পারে।
দাদা স্বপ্ন ও অবচেতন মন নিয়ে আপনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন লেখাগুলো পড়তে খুব ভালো লেগেছে। আজকেই প্রথম এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ হলো। ঘুমের মধ্যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বিশ্রাম নেয় এটা জানি কিন্তু আমি স্বপ্ন নিয়ে বিস্তারিত আজই প্রথম শুনলাম।
রাধা গোবিন্দের মন্দির এর স্বর্ণালঙ্কার চুরির সপ্নের ঘটনাটি পরে প্রথমে ভেবেছিলাম বাংলা ডাকাত গল্পটি বেশি পড়ার কারণে আপনার অবচেতন মন থেকেই স্বপ্ন দেখেছেন। পরবর্তীতে যখন জানতে পারলাম ঘটনাটি সেই রাত্রেই ঘটেছে এটা শুনে রীতিমতো আমি অবাক।
দাদা আমিও ভাবছি -- কিভাবে এটা সম্ভব ?
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আমরাতো টুপ করে ঘুমিয়ে যাই। ঘুমের পর শরীরের অঙ্গ গুলো রেস্ট নেয় জানি। কিন্তু এত বিস্তারিত জানা ছিল না। স্বপ্নের বিষয়টিও খুব সুন্দর করে লিখেছেন দাদা। আসলে এমন কোন বিষয় আছে যে তা আপনি জানেন না। আপনার মস্তিষ্ক মনে হয় ৮০% চেতন মন নিয়ে কাজ করে।
আপনার স্বপ্নের বিষয়টি কাউকে বলেছিলেন পরে?
আমারো ওই দশ শতাংশ মোটে চেতন মন । বাকিটা অবচেতন । তবে, আমি আশ্চর্যজনক ভাবে প্রায় প্রতিদিন ১-২ টা স্বপ্ন ঘুম ভাঙার পরে ডিটেইলে মনে করতে পারি । আসলে, আমরা সবাই কম বেশি রাতে ২০-৩০ টা ছোট বড় স্বপ্ন দেখি যার প্রায় কিছুই মনে করতে পারি না ঘুম থেকে ওঠার পর ।
আমিও কালকেও দুইটা পঁচা স্বপ্ন দেখেছি। আমার মনেও আছে। এই জন্য মনটা একটু খারাপ।
দাদা আপনি যেভাবে গল্প গুলো লিখে একজন রিয়েল কবি বা সাহিত্যে মতোই। আর আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি যা অনেক সময় এক বিন্দুও মনে থাকে না। আবার কিছু সময় ফাইভ পার্সেন্ট থেকে ২% শতাংশ পর্যন্ত মনে থাকে। আর মানুষের ঘুম দুটি প্রকার দেখিয়েছেন, এতে আমি একমত। মানুষ যখন গভীর ঘুমে নিমজ্জিত থাকে তখন মানবদেহের প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম নেয়। কিন্তু ব্রেন হৃদস্পন্দন এবং কিডনির রক্তসঞ্চালন এবং হার্টের রক্তসঞ্চালন চলতে থাকে। তবে কাজ করার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সবগুলো শিথিল থাকে। ব্রেণে থাকা স্মৃতি গুলো মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়। আমি যদি আপনার পুরো পোস্টের ব্যাখ্যা করতে যাই পারবো না । তবে আপনি যে মন্দিরের গল্প টা দেখেছেন এবং সেটা সম্পূর্ণ বাস্তব এটা আমি বিশ্বাস করি। কারণ জীবনে অনেক স্বপ্ন দেখেছি, এদিকে স্বপ্ন দেখি ঘুম থেকে উঠে দেখি বাস্তব, যা কাউকে বিশ্বাস করানো যায় না। আমার কিছু কিছু স্বপ্ন আছে যা আমি আজ পর্যন্ত কারো সাথে শেয়ার করিনি। কিন্তু আমি এখন স্বপ্ন দেখেছি ঘুম ভেঙেছে উঠিয়ে দেখি ঠিক ঐ ঘটনায় ঘটেছে। আর আপনি আমাদেরকে এত সুন্দর করে আপনার প্যারানরমাল গল্প 2 ভাগাভাগি করে নিয়েছে খুব দারুণ উপভোগ করলাম। আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম এবং আন্তরিক অভিনন্দন।
তাই তো বলি রাতে স্বপ্ন দেখি আর সকাল হতে না হতেই ভুলে যায় । খুব কমই মনে থাকে। আমাদের মেমরী তে তাহলে সব অবচেতন ঘটনাগুলো বেশি ধারণ করে। ১০% খুবই কম আর এটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি আমরা 😐। আপনার সাথে যেরকম হয়েছে আমার সাথে এরকম হয়েছিল একবার। স্বপ্নে দেখলাম একটি জায়গায় গেলাম তারপর সেখানে দেখা হলো অনেকের সাথে। পরে বাস্তবে দেখলাম আমি সেখানে গিয়েছি। কিন্তু এটা তো আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম! এর ব্যাখ্যা কি আমিও পায়নি 🙂
স্বপ্ন হলো আমাদের মনের অবচেতন ভাবনার বহিঃপ্রকাশ।স্বপ্নগুলি চোখের পাতার মাঝে ঘোরাফেরা করে ,নানান ভাবনাগুলো ধোঁয়াশার মতো সেখানে স্থান খুঁজে পায় সারারাত।মনে হয় আমরা নতুন এক জগতে ইতিহাস রচনা করে চলেছি।আমি ও রাতের স্বপ্ন কিছুটা মনে রাখতে পারি।তবে আমি দেখেছি যেটি নিজের সঙ্গে ঘটতে দেখা যায় সেটি অন্যের জীবনে ঘটে যায়।এটি আমার নিজের দেখা বাস্তবে।আপনার এই স্বপ্নটি আমার পুরোপুরি বিশ্বাস না হলে ও কিছুটা হয়।এমন হয় যে,কোনো না কোনো মানুষের প্রতিদিনকার স্বপ্ন কারো না কারো জীবনে অবশ্যই ঘটে যায় বা সত্য হয়।সেই স্বপ্নই বাস্তবতা এমনটা,আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে দাদা।আপনার এইসব বই পড়তে পড়তে মাথায় সেভ হয়ে গেছে যেটি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখতে পান সেটিই বাস্তবে রূপ নিল।ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার ঘটনা যে শতভাগ সত্য সেটা আমি নিজে উপলদ্ধি করতে পারছি। আপনার ক্ষেত্রে স্বপ্নের এমন ঘটনা আরো ঘটেছে হয়তো । মূল বিষয় হচ্ছে আপনি স্বপ্ন দেখেছেন ঘুম থেকে উঠে জানতে পারলেন সেটা ঘটেছে। আমার ক্ষেত্রে আমি কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে ঠিক সেই স্বপ্নের অবিকল না হলেও সেই ধরনের ঘটনা আমি দেখতে পাই কিংবা জানতে পারি দু একদিনের মধ্যে। জানি না কেন এমন হচ্ছে। আমার বোনের বাড়ী কাঠের কিন্তু ডুপ্লেক্স মতন। ভেতর দিয়ে একটি সিড়ি দোতালায় চলে গেছে। তবে পুরো বাড়ীটি কাঠের তৈরী। আমি ওর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে রাতে স্বপ্ন দেখলাম আমার বোনের মেয়ে সিড়ি থেকে পড়ে মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। মানে একটা বিপদ ঘটতে চলছে। ঠিক সকাল সকাল উঠে দিদিকে বললাম। তার ঠিক ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর অসাবধানতা বশত আমার ভাগ্নীর গলায় এক টুকরো পেপে আটকে যায় যেটা বের করতে গিয়ে রক্ত বের হয়ে যায় ওর গলা থেকে । যদিও সে সুস্থ হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। কিন্তু এই যে বিষয় টি আমার অবাক লাগে। আর এখন তো খারাপ স্বপ্ন দেখলে খুব ভয়ে থাকি। ধন্যবাদ দাদা ঘটনা গুলো শেয়ার করার জন্য। খুব ভাল লাগছে পড়ে। ভাল থাকবেন শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।
উপরের লেখাগুলি পড়ে খুব কঠিন লাগলো তবে এটা জানি যে মানুষের অবচেতন মন স্বপ্ন দেখে। এসব কিছু আমার হাজবেন্ডের কাছ থেকে শুনেছি সেও আপনার মত খুব সুন্দর করে আমাকে বুঝিয়ে দেই আমি যখন কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখে মনটা খারাপ থাকে তখন সে আমাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়। আমাদের অবচেতন মন যেটা চিন্তা করে সেটাই আমরা স্বপ্ন দেখি।
একরাত্রে তো আসলে আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি সকালে উঠে কোনটাই মনে থাকে না দু-একটা ছাড়া। আপনার ঘটনাটি শুনে তাজ্জব হয়ে গেলাম শুনেছি যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা যেটা স্বপ্ন দেখে সেটা বাস্তবে সম্ভব হয় কিন্তু এত তাড়াতাড়ি যে সম্ভব হয় সেটা আজ আপনার থেকে জানলাম।
দাদা স্বপ্ন সম্পর্কে যা লিখেছেন এ তথ্যগুলো আগেই জানা ছিল। তবে অন্ধ মানুষ যে স্বপ্ন দেখে এটা জানতাম না। জন্মান্ধ মানুষরাও কি স্বপ্ন দেখে?? সিগমুন্ড ফ্রয়েড নামে এক ভদ্রলোক সম্ভবত স্বপ্নের উপর সবচাইতে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন. যদিও তার বই কখনো পড়া হয়নি। অবচেতন মনে কি আসলেই মায়ের গর্ভে থাকা স্মৃতি সংরক্ষণ করে? সৃষ্টির আগে মানুষের অস্তিত্ব কোথায় ছিল এ বিষয়টা জানতে খুব ইচ্ছে করে। আপনি যে ঘটনার কথা বললেন আসলেই এর কোন ব্যাখ্যা নেই। এমন ঘটনা অনেক শুনেছি। কয়েকদিন আগে একটা আর্টিকেল এ পড়েছিলাম এমন অনেক ঘটনার কথা যেখানে মৃত্যুর পূর্বেই সেই ব্যক্তি স্বপ্নের মাধ্যমে তার সব যাত্রা দেখতে পেয়েছেন এবং তার পরদিনই সেভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। যাই হোক চমৎকার একটা বিষয় এবার লেখা শুরু করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ