"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ১০
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় জাদুঘর পরিভ্রমণের আমার আজকের এই পর্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন অরণ্যভূমিতে ও বঙ্গোপসাগরে প্রাপ্ত প্রাণীকুলের প্রদর্শনীর শেষ পর্ব । আগামী পর্ব গুলোতে থাকছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিভিন্ন নৌকোর প্রদর্শনী । দেখতে দেখতে ১০ টি পর্ব পার করে ফেললাম এবং সেই সাথে প্রায় শ'দুয়েক ফোটোগ্রাফ শেয়ার করে ফেললাম আপনাদের সাথে ।
তবে কলকাতার জাদুঘরের পঞ্চাশ ভাগের এক ভাগও জিনিস নেই ঢাকা মিউজিয়ামে । ছোট্ট কিন্তু খুবই ছিমছাম জাদুঘর হলো ঢাকার জাদুঘর । জিনিসপত্র খুবই কম থাকলেও খুবই সুন্দর করে গুছিয়ে কাঁচের বক্সে ডিসপ্লে করা হয়েছে । সব মিলিয়ে ঢাকার জাদুঘরকে নিট এন্ড ক্লিন বলা চলে ।
আজকের এপিসোডে যেসব প্রাণীর ফোটোগ্রাফ থাকছে তন্মধ্যে বেশ কিছু প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকির মুখে । মোস্ট এনডেঞ্জার্ড লিস্টে ইতিমধ্যে নাম উঠিয়ে ফেলেছে - বনরুই, সজারু, মেছো বাঘ, ডলফিন এবং তিমি । বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যভূমিতে হাতির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে । অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে হয়তোবা আর হাতির পদচারণা পড়বে না । খুব দ্রুত অরণ্যভূমি ধ্বংসের কারণে হাতি সহ এই সকল প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ।
আর বঙ্গোপসাগরে যথেচ্ছ হারে মাছ ধরা ও জলদূষণের কারণে বিভিন্ন জলজ প্রাণী যেমন ডলফিন, তিমি এসবের সংখ্যা অতি দ্রুত নেমে আসছে । বাংলাদেশ থেকে এখন সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত কিছু প্রাণী যেমন - সিংহ, ময়ূর, নীলগাই, গন্ডার, সোনালী লেজ বানর, শম্বর হরিণ প্রভৃতি ।
আর যে কবে মানুষ সচেতন হবে ?
বনরুই বা Pangolin । সারা গায়ে মাছের আঁশের মত বড় বড় আঁশে ভর্তি পিপীলিকাভূক এই প্রাণী পাওয়া যায় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যে । নির্বিচারে হত্যা আর চীনের কালোবাজারে পাচারের কারণে এদের সংখ্যা আজ দ্রুত কমে গিয়েছে ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
বানর ও লাজুক বানর । দুটি প্রজাতি সম্পূর্ণ আলাদা । লাজুক বানরগুলো আকারে অনেক ছোট, বড় বড় গোলাকৃতির চোখ আর সর্বক্ষণ নিজেদেরকে গাছের পাতার আড়ালে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
সজারু । সারা গায়ে বড় বড় তীক্ষ্ণ কাঁটায় ভর্তি । একটা সময় প্রায় সারা বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যেত । কিন্তু, এখন বাংলাদেশে এরা অতি বিপন্ন এক প্রজাতি ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
উল্লুক । বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যভূমিতে পাওয়া যায় । মহা বিপন্ন এক প্রজাতি এখন ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
মেছো বাঘ । একটা সময় বাংলাদেশের সুন্দরবনে সব চাইতে বেশি সংখ্যায় পাওয়া যেত এদের । এখন কিন্তু ভীষণই কোনঠাসা এরা ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
বেজি । যদিও এখনো এরা বিপন্ন তালিকাভুক্ত নয় তবে খুব শীঘ্রই এই তালিকায় স্থান পেতে চলেছে এরা । মূলত ক্রমশ বনভূমি সংকুচিত হওয়ার ফলে এদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে আসছে ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
ডলফিন বা শুশুক । বাংলাদেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে যথেচ্ছ হারে এদেরকে শিকার করার ফলে প্রায় বিল্পুত হতে বসেছে জলজ স্তন্যপায়ী এই প্রাণী। এছাড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাত্রারিক্ত দূষণের কারণে এরা ভীষণভাবে কোনঠাসা ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
তিমি । বাংলাদেশে একমাত্র পাওয়া যায় বঙ্গোপসাগরে । যথেচ্ছ হারে মৎস শিকার এবং মাত্রারিক্ত জলদূষণের কারণে এরা বঙ্গোপসাগর থেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছে ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
এশীয় হাতি । একসময় প্রচুর হাতি ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, গাজীপুর প্রভৃতি অঞ্চলের অরণ্যভূমিতে । এখন কমতে কমতে গোনা গুনতি পর্যায়ে চলে এসেছে এরা ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ০৪ মার্চ ২০২৩
টাস্ক ১৯৪ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : a77e87d0d0445ec5c82b2bae25658f93df7d90d71b76d4120cbc4db60f5dad95
টাস্ক ১৯৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে কখনো যাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে সেই জাদুঘরের দৃশ্যগুলো ভালোই উপভোগ করছি। এইভাবে যদি সব ছবি আপনি শেয়ার করতে থাকেন তাহলে মনে হয় আর যাওয়া লাগবেনা। তবুও স্বচোখে দেখার মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি আছে । আজকের এপিসোডে বিলুপ্ত প্রায় অনেক প্রজাতির প্রাণী দেখতে পেরে ভালো লাগলো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ঠিকই বলেছেন দাদা, অরণ্যভূমি ধ্বংসের মাধ্যমে হাতি সহ আরো নানা ধরনের প্রাণী আমাদের দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। ঢাকা মিউজিয়ামে সংরক্ষিত প্রতিটি বস্তু এবং প্রাণীর ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে দাদা ।আজকের পর্বে আমার কাছে লাজুক বানরের ফটোগ্রাফিটি অসাধারণ লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মানুষের মাঝে সচেতনতা আর কখনোই আসবেনা দাদা। আসলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ দিনে বদলে যাচ্ছে। তবুও মানুষ নিজেদেরকে বদলে ফেলার চেষ্টা করছে না। সেই সাথে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাণী। সেটা শুধুমাত্র বন জঙ্গল উজার করার কারণেই হচ্ছে। এর আগেও ঢাকা জাদুঘরের অনেক ফটোগ্রাফি দেখেছি দাদা। এবারের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আপনি কিন্তু দারুন ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো দাদা।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ এর আজকের পর্বে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। মেছো বাঘ দেখতে তো অনেক সুন্দর লাগতেছে। প্রানীর ছবি গুলো দেখে আমার ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের দশম পর্ব অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে।। বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ফটোগ্রাফি এবং তার বর্ণনা সাথে বন্য হাতিগুলো।। ঠিকই বলেছেন ঢাকা জাতীয় জাদুঘর ছোট হলেও গোস গাছ এজন্য সৌন্দর্যটা এত বেশি।।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!