বর্তির বিলে একদিন - পর্ব : ০১
প্রত্যেক বছর শীতকালে আমরা বন্ধুরা মিলে "বর্তির বিলে" দল বেঁধে ঘুরতে যাই । এবছর আমার ভাইয়ের বিয়ের জন্য নানান ঝামেলায় জড়িয়ে এখনো যায় হয়নি । তাই, গতকাল হঠাৎই আমরা তিনজন ডিসিশন নিলাম দুপুরের দিকে দু'টি বাইকে করে বর্তির বিলে যাবো । আমি, নিলয় আর সৈকত তিনজনে বাইকে করে বেলা আড়াইটার দিকে রওনা দিলাম বর্তির বিলের উদ্দেশ্যে । গ্রামের মধ্যে দিয়ে মনোরম পরিবেশে বাইকে করে যেতে দারুন লাগছিলো । শীতের মিঠে রোদ্দুর মাথার ওপরে, ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপ্টা চোখে মুখে আর অসংখ্য পাখির কিচিরমিচির শুনতে শুনতে গ্রামের রাস্তায় বাইকে করে যাচ্ছিলাম আমরা তিনজন ।
প্রায় ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট এর বাইক জার্নি শেষ করে অবশেষে আমরা পৌঁছলাম বর্তির বিলে । বর্তির বিল বিশাল বড় । বিলের মাঝখান দিয়ে বেশ চওড়া একটা রাস্তা চলে গিয়েছে । কাঁচা রাস্তা, বর্ষাকালে জলের নিচে চলে যায়, শীত আর গ্রীষ্মে শুকনো খটখটে হয়ে যায় । বিলের এক প্রান্ত থেকে এই রাস্তা ধরে অপর প্রান্তে পৌঁছতে আধা ঘন্টার বেশি লেগে যায় ।
এর আগে স্টিমিটে প্রত্যেক বছর বর্তির বিল ঘুরতে যাওয়ার ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । প্রতি বছর এই বিল নতুন নতুন সাজে সেজে ওঠে । এবছরেও শীতে নতুন সাজে সেজে উঠেছে এই বিল । বিলের ভেতর দিয়ে একটা ছোট্ট খাল বয়ে গিয়েছে তিরতির করে । গত বছরে এই বিলে কচুরিপানায় ভর্তি ছিল । এবছর দেখলাম সব কচুরিপানা তুলে ফেলে খাল সংস্কার করা হয়েছে । খালের বিভিন্ন জায়গায় জেলেরা বেসাতি জাল ফেলেছে মাছ ধরার জন্য । এই খালে অনেক রকমের কুঁচো মাছ পাওয়া যায় - যেমন কুঁচো চিংড়ি, খলসে, পুঁটি, মৌরালা, ল্যাটা, শোল, বান, বেলে প্রভৃতি ।
খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে, দূরে ওই পশ্চিমাকাশে পড়ন্ত বিকেল বেলার সূর্য মুঠি মুঠি আলো ছড়াচ্ছে ।
তারিখ : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : বিকেল ০৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
খালের ধারে সেচের পাইপের মুখ দেখা যাচ্ছে, উঁচু করে তোলা ।
তারিখ : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : বিকেল ০৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
খালের শাখা খাল এটি । একটা নৌকো ডোবানো রয়েছে খালের জলে । নৌকা দীর্ঘদিন ব্যবহার না করলে জলে ডুবিয়ে রাখলে ভালো থাকে ।
তারিখ : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : বিকেল ০৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই, লুকোচুরির খেলা ।
তারিখ : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : বিকেল ০৪ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ, ও রে আমার মন ভুলায় রে। ....
তারিখ : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : বিকেল ০৪ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৪৪০ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 61218dd5180d3a1ae6840c0455145422b26de58b947ee5ac67a8f311a21774bd
টাস্ক ৪৪০ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হে দাদা, আপনার পোস্টে আগে ও বর্তির বিলের কথা জেনেছি।জায়গাটা সত্যি ই খুব চমৎকার। এমন পরিবেশে গেলে মন ভালো হতে বাধ্য।শীতের শুরুতে বর্তির বিল দারুন ভাবে সেজেছে।আপনারা তিনজন খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সুন্দর মূহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দাদা এই বর্তির বিল আপনার পছন্দের জায়গা ,এর আগেও এই বর্তির বিল সম্পর্কে আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক ফটোগ্রাফি দেখেছি। তবে এ বছরও আবার গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে এ ধরনের জায়গায় গেলে মনটা অন্যরকম ভালো লাগে। তবে জায়গাটি মনে হয় অনেক দূরে বাইকে যেতেই অত সময় লেগেছে। আসলে এ ধরনের জায়গায় গেলে আপনি শেষে যেই গানটির একটি লাইন লিখেছেন ওই গানটিই মনে পড়ে যায় ।বেশ ভাল লাগলো বর্তির বিলে কাটানো আপনার মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম, এর আগেও মোট তিনবার পোস্ট করেছি "বর্তির বিল" নিয়ে । জায়গাটা আমার এতো ভালো লাগার কারণ হলো এটা একদম গ্রামের মধ্যে অবস্থিত, আর দূষণমুক্ত নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে সেই ভালো লাগে । আরো একটা কারণ হলো এই বর্তির বিলের খালে প্রচুর পরিমাণে টাটকা ছোট মাছ পাওয়া যায় । আর ক্ষেতের টাটকা সবজি । এবারো কিনে এনেছি অনেক মাছ আর সবজি।
রিপ্লাই পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ।তবে টাটকা মাছ সঙ্গে টাটকা সবজি একদম সেই মজা হবে খেতে।
সত্যি দাদা গ্রামের মেঠো পথ মনের মাঝে প্রশান্তি এনে দেয়। এই সুন্দর পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। এবার অনেকদিন বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। এরপরেও হঠাৎ করে প্লান করে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো দাদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিলের দিকে ঘুরতে যেতে আসলেই খুব ভালো লাগে। দাদা আপনি এতো ব্যস্ততার মধ্যে বাইকে চড়ে ১ ঘন্টা ২৫ মিনিটের জার্নি করে বর্তির বিলে ঘুরতে গিয়েছেন,এটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শীতকালের রোদে দুপুর বেলা বাইকে করে ঘুরতে দারুণ লাগে। গ্রামের মেঠো পথে হাঁটতে খুবই ভালো লাগে আমার। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। আপনারা তিনজন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিবছর আপনি বন্ধুদের সাথে বর্তির বিলে দারুন সময় উপভোগ করেন । গত বছর সেই ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম সেই সময় সবুজ ধানের সমারহ কচুরিপানা এগুলো দেখতে পেয়েছিলাম। এবার ফাঁকা স্পট পরিষ্কার ধানের চারা দেয়া হয়েছে সেগুলো দেখতে পেলাম। যেটা আপনার কাছে খুবই প্রিয়। প্রতি বছর একবার হলেও সেখানে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যান ভালো লাগলো দাদা।
ভালই তো দাদা তিনজন মিলে বাইকে করে বর্তির বিলে ঘুরতে চলে গিয়েছেন । এ ধরনের বিলে ঘুরতে ভালোই লাগে আর শীতের সময় মনে হয় একটু বেশি ভালো লাগে । সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো তুলেছেন । নৌকা ব্যবহার না করে পানির ভিতর ডুবিয়ে রাখলে যে ভালো থাকে সেটা জানা ছিল না । ধানের ক্ষেতগুলো সত্যিই খুব সুন্দর লাগছে ।মুহূর্তগুলো খুব ভালো কাটিয়েছেন সেটা দেখেই বোঝা গেল ।
বাইকে ঘুরতে সেই মজা লাগে ! আর বর্তির বিলে যেতে গেলে অনেকগুলি গ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় । সেই জার্নিটা অসাধারণ । বর্তির বিলে পৌঁছে ঘুরে বেড়াতে আরো ভালো লাগে । সময়টা আসলেই দারুন কেটেছিল । খুব এনজয় করেছি ।
বাইকে ঘুরতে আমারও খুব ভালো লাগে । কিন্তু দুঃখের বিষয় বাইকে চড়তে পারি না । বর্তির বিল নামটাও ভালো লেগেছে । এই বিলের নাম বর্তির বিল কেন হয়েছে দাদা ?
গ্রামের এ দৃশ্যগুলো যে কারো মন ভালো হওয়ার জন্য যথেষ্ট! বর্তি বিল দেখছি শীতের সময়টাতে অন্যরকম সাজে সেজে উঠেছে। পানি প্রায় নেই! আসলে বিলের মাঝ দিয়ে এমন রাস্তায় বাইক চালিয়ে যেতে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে দাদা। আপনারা তিনজন মিলে দারুণ একটি সময় পার করেছেন 🌼
সত্যিই বিলের দিকে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।কচুরিপানা তুলে খাল সংস্কার করে জেলেরা বিভিন্ন জায়গায় জাল পেতে রেখেছে আসলেই এই দৃশ্যগুলো মন মুগ্ধকর । এইখালে অনেক রকমের মাছ পাওয়া যায় জেনে অনেক ভালো লাগলো। গ্রামের মেঠো পথ এরকম সুন্দর পরিবেশের সময় কাটা তে পারলে মনে প্রশান্তি মিলে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দাদা। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।