মাটিতে হাটা কি খুব জরুরী?
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ১০ ই জুন ২০২৪ ইং
পৃথিবীতে প্রায় লক্ষাধিক জীব বসবাস করে থাকে। প্রত্যেক টি জীব তার নিজ গতিতে চলাফেরা করে থাকে।এক জীবের সাথে অন্য জীবের কোন মিল পাওয়া যায় না কখনো। সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকেটি জীব কে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে সৃষ্টি করেছেন। আমরা যদি মানুষের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পারবো, একজন মানুষের সাথে অন্য জন মানুষের কোন মিল পাওয়া যায় না। ঠিক অনুরুপ ভাবে এক জীবের সাথে অন্য জীবের কোন মিল নেই।এক জীবের গতিচলা অন্য জীবের গতি চলার সাথে একদম মিল নেই।
তবে, আমরা যারা মানুষ রয়েছি তারা কিন্তু সকলেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করে চলাচল করি না।কেননা জাতি হিসেবে এক হলেও আমাদের সকলের পথ চলা এক নয়। ঠিক অনুরুপ ভাবে পৃথিবীতে অনেক জীব রয়েছে, বিভিন্ন জীব বিভিন্ন ভাবে চলতে থাকে। কিন্তু আমরা যদি মানুষের একটি সাধারণ দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পারবো, মানুষ সব নিজেকে প্রাকৃতিক মাটি থেকে আলাদা হয়ে বসবাস করতে পছন্দ করে। ইট পাথরের এই সময়ে আমরা যত বেশি উন্নত হচ্ছি তত বেশি মাটি থেকে আমাদের দুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে।
আমরা মানুষ বাদে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রাণীর মাটির সাথে ব্যাপক সম্পর্ক রয়েছে।তারা মাটিতে খায়, মাটিতে ঘুমায় এবং মাটিতেই তাদের বসবাস। কিন্তু মানুষ একমাত্র জীব যারা কি না জুতা পায়ে হাটে, শখের বিছানায় ঘুমায় এবং তারা মাটি কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্য একটি প্রাচীর বেধে বসবাস করছে। প্রকৃতির সাথে মানুষের এই সিমানা মানুষ কে অসুখী করে তুলছে।এর ফলে মানুষ বেঁচে থাকলেও মানুষ তাদের জীবন কে সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারছেন না।
কিন্তু আমরা যদি বিজ্ঞানের দিকে লক্ষ্য করে এই বিষয় টি পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখতে পারবো মাটি কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে পৃথক হ ওয়ার জন্য আমাদের জীবন অনেক টা অশান্তিময় হয়ে পড়ছে।এর ফলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের রোগের মধ্যে ও আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্কার মাটিতে কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে খালি পায়ে হাঁটা চলা করলে আমাদের মনের অস্থিরতা কিছুটা দূর হয়ে যায়। মানুষ চাইলে এই খালি পায়ে হাঁটা চলা করে তাদের মনের অস্থিরতা দূর করতে পারবো।
বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই সব সময় অস্থিরতা অনুভব করি।এই অস্থিরতা অনুভবের মুল কারন হলো আমাদের মাটি থেকে দুরুত্ব তৈরি করা। আসলে মাটি আমাদের মন মস্তিস্ক কে সতেজ করে তোলে। আমরা যদি সব সময় ইট পাথরের নগরের মধ্যে বসবাস করি, তাহলে আমাদের মন মস্তিস্কের মধ্যে কিছু টা অস্থিরতা অনুভব হবে। অনেকেই এই অস্থিরতা থেকে ডিপ্রেশনের মধ্যে চলে যায়।তাই আমাদের উচিত, প্রতিদিন কিছু সময় খালি পায়ে হাঁটা চলা করা।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাটিতে হাটা খুবই ভালো ভাইয়া। কেননা মাটিতে হাটাহাটি করলে শরীরের মধ্যে একটু ভালো লাগে। এছাড়াও ভোরে ডুবল ঘাসের ঝিরঝিরি ভেজা ঘাসের উপরে হাটাও শরীরের জন্য বেশি উপকারী। আর হ্যাঁ, আমরা অনেক সময় একটু অসস্তিতে থাকি আর তা থেকে বাসায় উপায় হচ্ছে মাটিতে হিটাহাটি করা। মাটিতে হাঁটাহাঁটি করার মাধ্যমে মস্তিষ্ক এবং মন সতেজ থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা এখন মাটিতে হাঁটা একদম বাদ দিয়ে দিয়েছি। তাই তো আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অস্থিরতা কাজ করছে সব সময়। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করছি সবাই সচেতন হবে। আমিও অনেক সচেতন হলাম।
ভাই আপনি ঠিক বলেছেন যে খালি পায়ে হাঁটা উচিত। কিন্তু এখন একমাত্র গ্রাম ছাড়া মাটি পাওয়া অসম্ভব। আর এখন খালি পায়ে হাঁটলে মানুষ তো বিষ্ময় এর সহিত তাকাবে।তবে সুস্থ থাকার জন্য খালি পায়ে হাঁটা টা অভ্যাস করা উচিৎ। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমরা সবাই জানি মানুষ মাটির তৈরি। আমরা মাটির তৈরি সেহেতু মাটিতে হাটা আমাদের জন্য কতটা উপকারিতা সেটা যদি আমরা বুঝতাম তাহলে আমরা সবাই দিনের মধ্যে একবার হলেও মাটিতে হেটে বেড়াতাম। মাটিতে হাঁটলে অনেক ধরনের রোগ থেকে মানুষ মুক্তি পায়। বর্তমান সময় দেখা গেছে মানুষ মাটিতে চলাফেরা না করার কারণে মানুষের রোগের মাত্রা বেশি বেড়ে গেছে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেকটা মানুষের মাটিতে হেঁটে চলাফেরা করা উচিত।
আমি কদিন আগেই এই বিষয় টি সম্পর্কে জেনেছি। মাটি আসলে আমাদের ভেতর থেকে অস্থিরতা শুষে নেয়! এবং এটি বিজ্ঞানসম্মত। মাটির কাছাকাছি গেলে, মাটির স্পর্শে আমাদের অস্থিরতা কমে আসে। আপনি বেশ সুন্দর লিখেছেন।
মাটিতে খালি পায়ে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী সেটা অবশ্যই আগে থেকে জানতাম। যখন আপনার লেখাটা দেখলাম খুবই ভালো লাগলো দেখে। ডাক্তারেরা সাজেস্ট করে সকাল বেলায় কুয়াশা ভেসে ঘাসের উপরে হাঁটার জন্য। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তাদেরকে বেশি সাজেস্ট করে থাকেন। আপনার এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাটি আমাদের মস্তিষ্ককে সতেজ করে। মাটি থেকে সরে গিয়ে আমরা ইট পাথরের দালানে বসবাস করি বলেই আমরা বিভিন্ন রোগেও আক্রান্ত হয়ে পড়ি। আমার আম্মু বাসায় থেকে যখন অস্থির হয়ে যায় ঠিক তখনই সন্ধ্যার পর খালিপায়ে মাটিতে হাঁটাহাঁটি করে। মাটিতে হাঁটলে আম্মুর শরীর নাকি খুব ভালো লাগে। আসলে আমাদের চারপাশের রাস্তাঘাট গুলো পাকা থাকার কারণে ওইভাবে মাটিতে হাঁটতেও পারি না। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। আজ আপনি বাস্তব একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সকাল বেলা মাটিতে বা শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকে।আমরা বর্তমান প্রজন্মের যারা রয়েছি তাদের ঘুমই ভাঙে সকাল ১০ টাই।তারা কিভাবে সুস্থ থাকে।আগেকার মানুষের মতো এখনকার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এজন্যই কম।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট করার জন্য অনেক সুন্দর একটি টপিক নির্ধারণ করেছেন ভাই। আমাদের আধুনিক জেনারেশন এখন মাটিতে খালি পায়ে হাঁটতে ভুলেই গেছে। কিছুদিন আগে আমি আমার ছেলেকে সবুজ ঘাসের উপর হাঁটানোর অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সে কোন মতে খালি পা হতে চাচ্ছিলো না। আসলে আমাদের শরীরে মাটির স্পর্শ পাওয়াটা অনেক জরুরী। এতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাচ্চারা যত কাদামাটি নিয়ে খেলাধুলা করবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করার জন্য।