কাঁচা কলা বেগুন দিয়ে রুইমাছ ভুনা||১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox এর জন্য ||
❤️হ্যালো খাদ্যরসিক বন্ধুরা❤️
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনকার মত আজও আমি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কাঁচা কলা ও বেগুন দিয়ে রুই মাছ ভুনা রেসিপি।কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। কাঁচা কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। কাচা কলার খোসাতে আরো বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে।কাঁচা কলা খেতে যদিও সবসময় ভালো লাগেনা। তবুও পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করে আমাদের কাচাকলা খাওয়া উচিত। আমি আজ রুই মাছ দিয়ে কাঁচা কলা ও বেগুনের ভুনা করেছি। আমি কিভাবে কাঁচা কলা ও বেগুন দিয়ে রুইমাছ ভুনা করেছি সেটি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আপনারা চাইলে আমার রেসিপি দেখে শিখে নিতে পারেন।
উপকরণসমূহ
- রুইমাছ
- পেঁয়াজ
- মরিচ
- লবণ
- হলুদ
- জিরা বাটা
- কাঁচা কলা
- বেগুন
ধাপ-১
- রুই মাছের পিস গুলো তে লবণ হলুদ ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
- কাঁচা কলা গুলোকেও লবণ হলুদ মাখিয়ে নিয়েছি ভাজার জন্য।
ধাপ-৩
- বেগুন গুলোতেও ভালোভাবে লবণ হলুদ মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
- এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে রুই মাছ গুলো দিয়েছি ভাজার জন্য।
ধাপ-৫
- মাছের দুইপাশ ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
- এরপরে একই ভাবে বেগুন গুলো ভেছে নিয়েছি।
ধাপ-৭
- কাঁচা কলা গুলো একইভাবে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৮
- এবার কাড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ মরিচ কুচি দিয়েছি।
ধাপ-৯
- পেঁয়াজ গুলো ভাজা হয়ে এলে তাতে লবণ,হলুদ ও জিরা বাটা দিয়েছি।মশলাগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১০
- এবার এর মধ্যে ভেজে রাখা কাঁচা কলা ও বেগুন দিয়েছি।কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে তাতে ঝোল দিয়েছি।
ধাপ-১১
- ঝোল কিছুটা কমে এলে নামিয়ে নিয়েছি।
- এবার বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করেছি।
আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন অবশ্যই।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে। 🌺🌺🌺🌺
<br
আপু কাঁচা কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে এটা জানতাম কিন্তু কাঁচা কলার খোসাতেও যে আয়রন আছে সেটি আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আসলেই আপু আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে মাঝে মাঝে কাঁচা কলা খাওয়া দরকার। রুই মাছ দিয়ে কাঁচা কলার রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছে আপু।
কাচা কলার খোসাতে বেশি আয়রণ থাকে এটা সত্যি। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাঁচা কলা আমার কাছেও খুব একটা ভালো লাগে না তবে কাচা কলা ভর্তা করে খেতে গরম ভাতের সাথে অনেক মজা লাগে। কাঁচা খোলা এবং বেগুন দিয়ে রুই মাছ ভুনা করেছেন আর আপনার এই রেসিপিতে কাঁচা কলা এবং বেগুন আলাদা আলাদা করে ভেজে নিয়েছেন যার কারণে খেতে আরও বেশি সুস্বাদু হবে বলে মনে হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি আমাদেরকে দেখানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবজিগুলো আলাদা করে ভেজে নেওয়াতে খেতে অনেক মজা হয়েছিল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার রেসিপিটি অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। তবে আপনার প্রিয় রুই মাছ যে আমারও খুব প্রিয়। রুই মাছ কমবেশি সবাই পছন্দ করে। এত সুন্দর লোভনীয় একটি রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনিও রুই মাছ খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সবজি হিসেবে কাঁচকলা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে যেকোনোভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে পারি আমি।।
কাঁচকলা দিয়ে রুই মাছের খুব লোভনীয় এবং মজাদার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন রেসিপি'র কালার টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।।
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপনি কাচা করলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কলা মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে কাঁচা কলার সাথে কখনো বেগুন দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি তৈরি ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন আপনি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি ও এই রেসিপি টি প্রথম তৈরি করলাম। খেতে অনেক মজা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। মাছ দিয়ে কাঁচা কলা রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাচা কলার রেসিপি দেখি আপনার খেতে ইচ্ছা হয়েছে জেনে খুশি হলাম আপু। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আমি গতকালকেও এই রেসিপি তৈরি করেছি ।আমার কাছে কাঁচা কলা ও বেগুন দিয়ে রুই মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন। আমি প্রায় সময় এই রেসিপি তৈরি করি। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনারও কাঁচা কলার এই রেসিপিটি পছন্দ জেনে ভালো লাগলো। আমারও খেতে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
রুই মাছের পিসগুলোতে আপনি খুব সুন্দর ভাবে লবণ হলুদ লাগিয়ে নিয়েছেন। মাছ ভাজা অথবা রান্নার পূর্বে এভাবে লবণ আর হলুদ মাখিয়ে নিতে হয় যেন মাছের মধ্যে লবণ ঘাটতি না হয় এবং টেস্ট হয়। আর সিদ্ধ হওয়ার সময় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলে ভালোভাবে সিদ্ধ হয়। তবে ঢাকনা দিয়ে এভাবে ডেকে দিলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় পরবর্তীতে জল গুলো শুকিয়ে আসে এবং রান্নার পূর্ণতা। ছবিগুলো খুব ভালো লেগেছে আপনার রুই মাছের রেসিপি।
আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে দেখার ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
আপু আসলে কাঁচকলা একটি উপকারী সবজি। মাছ দিয়ে কাঁচকলা রান্না করলে অনেক ভালো লাগে, বিশেষ করে ইলিশ মাছ দিয়ে। আপনি বেগুন ও আলু দিয়ে রুই মাছের দারুণ একটা রেসিপি তৈরি করেছে।আপনি দেখছি কাঁচকলা গুলো ভেজে নিয়েছেন। ভেজে নেওয়াতে স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
ঠিক বলেছেন আপু কাচা কলা গুলো ভেজে নেওয়াতে স্বাদটা অনেকটা বেড়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকবেন।