এর শেষ কোথায়??
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আজকে একটু হতাশা নিয়েই পোস্ট লিখতেছি৷ সুস্থতা মানুষের জন্য অনেক বড় একটা নেয়ামত। অসুস্থ থাকলে তখন সুস্থতার মর্ম বোঝা যায়। সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে। আর মন ভালো থাকলে যে কোন কাজে মন বসে।
আমি এর আগের একটা পোস্টে লিখেছিলাম আমার এলার্জি প্রবলেম আর এইটার জন্য ডক্টর দেখাচ্ছি। কিন্তু তখন ঐ ডাক্তার দেখিয়ে আমার কোনো লাভ হয়নি। আমি বুঝতে পারতেছিলাম না আসলে কোন ডাক্তার দেখালে আমার সমস্যার সমাধান হবে। এরই মাঝে আমাদের কমিউনিটির এডমিন হাফিজুল্লাহ ভাই আমাকে পরামর্শ দিয়েছিল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের একটা ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। এজন্য ওই সেম ডাক্তারকে উনি আমার জন্য রিকমেন্ড করেছিলেন। হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের কথা মত ওই ডাক্তারের কাছে আমি চিকিৎসা নিয়েছি দীর্ঘ তিন মাস। ওই ডাক্তারের ব্যবহার আর চিকিৎসাপদ্ধতি আমার প্রথমে ভালই লাগছিল।
ওই ডক্টর আমার চিকিৎসা করেছে তিন মাস৷ তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেকবার ওষুধ দেওয়ার সময় ওষুধ চেঞ্জ করেছেন কারণ যা ওষুধ দিচ্ছিল তাতে আমার কোন কাজ হচ্ছিল না। একদম লাস্ট যেবার ডাক্তারের কাছে গেলাম সেবার ডাক্তার অনেক কনফিডেন্স নিয়ে একটা ওষুধ দিয়েছিল। উনি বলেছিলেন যখন প্রবলেমটা বেশি হবে তখন এটা খেতে। কিন্তু ঐ ওষুধটা খাওয়ার পর আমার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আমি নিশ্চিত ছিলাম আবারও যদি আমি ওই ডাক্তারের কাছে যাই তাহলে ওষুধ আবারো চেঞ্জ করে দেবে। এই তিনমাস ধরে এতবার ওষুধ চেঞ্জ করার ফলে আমি আসলেই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
এজন্য এবার আর ওখানে যায়নি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি খুবই ভালো মানের একটা ডাক্তার দেখাবো। এবার ধানমন্ডি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর হেড অফিসে একজন ডাক্তার বসে উনাকেই দেখালাম। জানিনা কি হবে৷ আমার বিশ্বাস এমনিতেই উঠে গেছে। তারপরও আর একবার চেষ্টা করা এই আর কি। এবার ডক্টর আমার সমস্যা গুলোর কথা শুনে তেমন কোনো ওষুধই লেখেননি। একটা ওষুধ লেখেছে আর একটা টেস্ট দিয়েছিল। ওই টেস্ট করিয়েছি গতকালকেই। আর এক সপ্তাহ পরে আবার ডাক্তার দেখা করতে বলছে ওই রিপোর্ট টা নিয়ে।
আমার সমস্যা খুবই ভয়াবহ পর্যায়ের। অত কিছু ব্যাখ্যা করছিনা তবে আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী। এলার্জি প্রবলেম এমন একটা ঝামেলার যে, কোন ভালো খাবারই খেতে পারিনা । খুবই চিন্তা ভাবনা করে হিসেব-নিকেশ করে খাবার খেতে হয়। আমার এমন এমন কমন কিছু খাবারে এলার্জি আছে যা অনেকেই শুনলে অবাক হয়। আসলে এলার্জি ব্যাপারটা প্রত্যেকের সাথে একরকম আচরণ করে না। একেকজনের একেকরকম খাবারে এলার্জি থাকে।
আমি যখন বাসায় যাই আমার আম্মু আমার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে আমাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ইদানিং আমি আমার পছন্দের খাবারগুলো খেতে পারিনা। সবচেয়ে বাজে একটা ব্যাপার হলো আমার সবচেয়ে ফেভারিট খাবার গুলোতে এলার্জি। আপনাদের কারো এলার্জি প্রবলেম আছে কিনা আর কেউ সমাধান পেয়েছেন কিনা কমেন্ট বক্স অবশ্যই জানাবেন। আর কেউ যদি জেনে থাকেন যে হিজমা (কাপিং) করলে এলার্জির কোন উপকারিতা পাওয়া যায় কিন, তবে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই উল্লেখ করবেন আমি উপকৃত হব। আজ আমি এখানে তাহলে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

দাদা একটা কথা বলে সুস্বাস্থ্যই হলো শরীরের মূল ৷শরীর স্বাস্থ্য যদি ঠিকভাবে না থাকে তাহলে কোনো কিছু ভালো লাগে না ৷ আর তাই আমরা সুস্থ থাকার জন্য অনেক কিছু করি ৷জানি না দিনশেষে কতটুকু সুস্থ থাকতে পারি ৷
তবে দাদা আপনার যে সমস্যা সেটা আসলে জটিল ৷আসলে আমাদের সবার শরীরের কমবেশি আছে ৷তবে সেটা একেক রকম ভাবে দেখা যায় ৷তবে এটা মানতেই হবে যে খাবার সঠিক ভাবে ও হিসাব করে খেতে হবে ৷এখানে কিছু করার নাই ৷
ভাইয়া প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আসলে এলার্জি প্রবলেম খুবই খারাপ একটা রোগ। আর এই এলার্জির জন্য কোন পছন্দের খাবার খাওয়া যায়না। আর পছন্দের খাবার গুলোতে যেন এলার্জি প্রবলেম বেশি হয়। তাই আপনার এলার্জি প্রবলেম শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে হাফিজুল্লাহ ভাই একটা ডাক্তারের কথা আপনাকে বলে দিয়েছিল। সেটা হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। আসলে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি চিকিৎসা অনেক সময় খুবই ভালো কাজ করে। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা একটু বেশি সময় নিতে হয় এবং আপনার যেহেতু বারবার ওষুধ চেঞ্জ করে কোন কাজ হচ্ছিল না। তাই আপনি পপুলার ডায়াগনস্টিক ভালো মানের একটা ডাক্তার দেখিয়েছেন। আশা করি আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন, আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
হিজমা করে কোন উপকারই হবে না ভাইয়া।এটা প্লাসিবো ইফেক্ট এর মত কাজ করে।মানে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু টাইপের। আপনি গুগলে এটা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন পাবেন।তারপরেও একবার করে দেখা যেতে পারে। প্রার্থনা করি আপনি যেন খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এলার্জির মত বিরক্তকর অসুখ আমার মনে হয় না আর আছে। এই এলার্জি জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয়, শান্তিতে ঘুমানো যায় না, নিজের পছন্দের খাবার গুলো খাওয়া যায় না খেলেও এলার্জি বেড়ে যায়, মন মত চলাফেরা করা যায় না। আমাদের বাংলাদেশী এসব ডাক্তারকে বিশ্বাস করা যায় না ভাইয়া। তারা একের পর এক টেস্ট এবং অসুখ ভালো না হলে একের পর এক ওষুধ চেঞ্জ করে কিন্তু তাও বলে না যে অন্য একজন ডাক্তার দেখান ভালো দেখে। ভাইয়া আমার যতটুকু জানা আছে যাদের রক্তে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি তাদের এলার্জি সমস্যাটা যায় না, এই এলার্জি মোটামুটি আমারও আছে কিন্তু বেশি না, কিছু কিছু খাবার খেলে যেমন চিংড়ি মাছ , ইলিশ মাছ, হাঁসের মাংস , হাঁসের ডিম,গরুর মাংস,পুটি মাছ পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়সএগুলো খেলে আমারো মাঝে মাঝে একটু আকটু এলার্জি দেখা দেয়। যাইহোক ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনি এর একটি সলিউশন পাবেন।
খুব ভালো কাজ করেছেন ওই হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে আর না গিয়ে। উনি হয়তো আপনাকে বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে টেস্ট করছিল কোন ওষুধে কাজ হয়। তা না হলে বারবার কেউ ওষুধ চেঞ্জ করে। আপনি প্রথমে মন স্থির করে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়মিত যাতায়াত করুন। এলার্জির সমস্যা পুরোপুরি নির্মূল হয়তো হয় না, কিন্তু ওষুধের মাধ্যমে কন্ট্রোলের রাখা সম্ভব। আর দুশ্চিন্তা করবেন না। টেনশন করলে এলার্জি সমস্যা বাড়ে আমি দেখেছি আমার হাজবেন্ড এর ক্ষেত্রে। এখন যে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন ধৈর্য ধরে ওনার কাছে ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেখুন আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। দোয়া রইল। হিজমা সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই তাই কোন পরামর্শ দিতে পারলাম না।
ভাইয়া আমার নিজের ডাষ্ট এলার্জি আছে,আমার পরিচিত ৩/৪ জনের এই সমস্যাটা আছে। এলোপ্যাথিক ঔষধে সাময়িক সমাধান পাবেন কিন্তুু চিরস্থায়ী সমাধান হোমিওপ্যাথির মধ্যেই পাবেন। আমি আমাদের গ্রামের একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার থেকে ঔষুধ খেয়েছিলাম। আমার আলহামদুলিল্লাহ ৯৫% ভাল হয়ে গেছে। আমি আপনাকে ঔষধের একটি ছবি সেন্ড করে দিবো। কার ক্ষেত্রে কোন ঔষধ কাজ করে সেটা বলা যায় না। তারপরও খেয়ে দেখতে পারেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও শুনেছি হিজামা করলে উপকার পাওয়া যায় যেহেতু এটা একটা ট্রেডিশনাল চিকিৎসা। তবে আমার কেমন যেনো ভয় লাগে আর কোথায় ভালো হবে তাও জানিনা।এই এলার্জীর কষ্টে জীবন শেষ।সবসময় ফুলহাতা ড্রেস পরতে হয় বাইরে তা না হলেই শেষ জীবন।
ঠিক বলেছেন দাদা,সুস্থ জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।অসুস্থ হলে কোনো কাজই করতে মন বসে না ।দাদা আপনি বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন হাফিজুল্লা ভাইয়ার কথা শুনে ।কারন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আপনার এলার্জি ভিতর থেকে সারতে সাহায্য করবে।আমার ও এলার্জি আছে তবে খুবই সামান্য ,আমিও মাঝে মাঝেই হোমিওপ্যাথিক ঔষুধ খাই।এটি খুবই বিরক্তিকর সমস্যা,ভালো ভালো খাবারের স্বাদ গ্রহণ করা যায় না।খুবই চুলকানোর সমস্যা হয়, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা।
ভাইয়া আমি প্রথমেই আপনার সার্বিক সুস্থতা কামনা করছি। আর এলার্জির সমস্যার কথা নতুন করে কিছুই বলার নেই। কেননা আমিও এলার্জির যন্ত্রণায় ভুগতেছি। আমি একটু খেয়াল করে দেখেছি প্রতিবছর এই সময় এলার্জির দাপট কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে ভাই আপনি ডাক্তারের সুপরামর্শ গ্রহণ করেন আশা করি আপনি খুব দ্রুত এলার্জি থেকে রক্ষা পাবেন। কিন্তু এলার্জি প্রতিকার করা সম্ভব নয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এ্যালার্জি খুবই ভয়ানক একটি সমস্যা, কিছুদিন আগে আমার মেয়ের হয়েছিল চুলকাইতে চুলকাইতে রক্ত বের হয়ে যেতো হাত পায়ে, এখনো দাগ রয়েছে। কিছুদিন হোমিওপ্যাথি খাওয়ানোর পর কাজ না হওয়ায় পরে এক স্কিন বিশেষজ্ঞ দেখাই ঔষধ আর লোশন দিয়েছিল ঈশ্বরের কৃপায় এখন অনেক ভালো আছে। ভাইয়া আপনি ডাক্তার যে টেস্ট গুলো দিয়েছে রিপোর্ট ডাক্তার কে দেখান তারপর যা ঔষধ দেয় সেগুলো ঠিকমতো খেলেই আশাকরি ভালো হয়ে যাবেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি যেনো খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।ধন্যবাদ।