খেঁজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পোয়া পিঠা রেসিপি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি শেয়ার করব। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় আজ একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করব। আসলে আমি তেমন পিঠা তৈরি করতে পারি না। কিন্তু এই পোয়া পিঠা আমি মোটামুটি তৈরি করতে পারি। দেখতে তেমন ভালো না হলেও খেতে কিন্তু অনেক মজা লাগে। অনেকে পোয়া পিঠা চিনি দিয়েও তৈরি করে থাকে। কিন্তু আমার কাছে খেঁজুরের গুড়ের তৈরী পোয়া পিঠা খেতে বেশী মজা লাগে। বিভিন্ন স্থানে এই পোয়া পিঠার নাম বিভিন্ন হয়ে থাকে। অনেকে এটাকে তেলে ভাজা পিঠাও বলে থাকে।
তাহলে চলুন খেঁজুরের গুড় দিয়ে পোয়া পিঠার এই রেসিপিটি আমি কিভাবে তৈরি করলাম সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
• চালের গুড়া
• আটা বা ময়দা
• খেঁজুরের গুড়
• লবণ
• পানি
• তেল
প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে দিয়ে দেবো দেড় কাপ চালের গুড়া এবং এক কাপ আটা কিংবা ময়দা। আর সামান্য লবণ। মিষ্টি খাবারের মধ্যে সামান্য পরিমাণে লবণ দিলে মিষ্টির ব্যালেন্সটা ঠিক হয়। সাধারণত চালের গুড়া দিয়েই পোয়া পিঠা তৈরি করা হয়। কিন্তু আটা কিংবা ময়দা দিলে পোয়া পিঠা খেতে নরম হয় এবং অনেকক্ষণ নরম থাকে।
এখন অনেকক্ষণ সময় নিয়ে খুব ভালোভাবে একটি ডো তৈরি করে নিতে হবে। যত সময় নিয়ে এই কাজটি করা হবে পোয়া পিঠাগুলো ততই ফুলকো হবে।
এখন পরিমাণ মতো খেঁজুরের গুড় দিয়ে ডো টিকে বেটারে পরিণত করতে হবে। বেটারটি একদম ঘন হবে না আবার পাতলা ও হবে না।
এরপর একটি কড়াইতে বেশ অনেকখানি তেল দিয়ে ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হয়ে আসলে এক চামচ বেটার তেলের মধ্যে দিয়ে দিবো।
তেলের মধ্যে বেটারটি দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পিঠাগুলো ফুলে উঠবে। তারপর এক পাশ হয়ে গেলে অন্য পাশ উল্টে দিয়ে তেল ঝরিয়ে পিঠাগুলো একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে।
একই নিয়মে আমি অনেকগুলো পিঠা তৈরি করে নিলাম।
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি পোস্ট। পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আর কে কে এই পিঠা খেতে পছন্দ করেন তারাও পিঠা সম্পর্কে মতামত জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনাদের অঞ্চলে এই পিঠাকে বলে পোয়া পিঠা, আর আমাদের এই অঞ্চলে এই পিঠা কে বলে পাকান পিঠা। এই পিঠা খেতে দারুন সুস্বাদু। চিনি, গুড় অথবা খেজুর যেটা দিয়ে তৈরি করবে সেটাই খেতে ভালো লাগে। তবে খেজুরে গুড দিয়ে তৈরি করলে একটু বেশিই ভালো লাগে। তৈরি ধাপ গুলো সুন্দর হবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খেঁজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা যেকোনো পিঠাই অনেক মজা লাগে খেতে।ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খেজুরের গুড় দিয়ে পোয়া পিঠা রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আসলে এই রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। আমি কিছুদিন আগেও তৈরি করেছিলাম। তবে আপনার রেসিপিটা দেখেই যেন সেই রেসিপির কথা মনে পড়ে গেল। তাই খেতে ইচ্ছা করছে।
তাহলে আবার তৈরী করে খেয়ে ফেলুন ভাইয়া।
যদিও আমি পিঠা খেতে তেমন একটা পছন্দ করি না। কিন্তু আজ তো দেখছি আপনি বেশ লোভনীয় একটি পিঠা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা পোয়া পিঠা যেহেতু গুড় দিয়ে করা হয়েছে , তাই বেশী সুস্বাদু হয়েছে বুঝাই যাচ্ছে।
আপনার মতো আমারও পিঠা তেমন পছন্দ না আপু। বানানো হলে এক দুই পিস খাওয়া হয় আরকি।
খেঁজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পোয়া পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। পিঠাগুলো দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পিঠাগুলো দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে, খেতেও অসাধারণ হয়েছিলো আপু। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপু, আমাদের এদিকে এই পোয়া পিঠাকে তেলে ভাজা পিঠা বলে। পিঠার নাম যাই হোক না কেন, স্বাদ নিয়ে হচ্ছে কথা। যেহেতু আপনি খেজুর গুড় ব্যবহার করে এই তেলে ভাজা পিঠা তৈরি করেছেন, তাহলে তা খেতে ভিন্ন ধরনের স্বাদ পাওয়া গেছে বলে মনে করছি। কেননা আমরা বেশিরভাগ সময় চিনি দিয়েই এই পিঠা তৈরি করে থাকি। তবে আপনি খেজুর গুড় ব্যবহার করে এই পোয়া পিঠা তৈরি করেছেন, এবং প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চিনি দিয়ে তৈরী পিঠার একরকম টেস্ট আর খেঁজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পিঠার অন্যরকম টেস্ট। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া, আপনার মন্তব্যটি পড়ে।
এই পোয়া পিঠা অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না। যেটা আপনি খুব সুন্দর করে খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করেছেন। ছোটবেলা অনেক খেয়েছি যেটাকে আমাদের দিকে ভাজা পিঠা বলে। আখের গুড় দিয়ে বেশি তৈরি করা হতো। ভালো লাগলো আমাদের সাথে সুন্দর পোয়া পিঠার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কুষ্টিয়ায় তো এই পিঠা আখের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু সেটা আমার খেতে একদমই ভালো লাগেনা। খেঁজুরের গুড় দিয়ে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন অনেক টেস্ট লাগে।
বাহ্ আপু বেশ চমৎকার তো । আপনি তো দেখছি বেশ সুন্দর করে পোয়া পিঠা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার শেয়ার করা পোয়া পিঠা দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় মনে হচেছ। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পোয়া পিঠা খেতে অনেক মজা হয়েছিল আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ অসাধারণ ভাবে খেঁজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পোয়া পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে খেজুরের গুড় দিয়ে যেকোন পিঠা তৈরি করলেই খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে পাকান পিঠাগুলো যদি দুধ দিয়ে ভেজানো যেত তাহলে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগতো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী,, এই পিঠা দুধ দিয়েও ভেজানো হয়। খেতে কিন্তু অনেক মজা লাগে। আমি অনেক আগে একবার খেয়েছিলাম।
খেঁজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পোয়া পিঠা রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে আমাদের এখানে এই পিঠার নাম তেলের পিঠা। আপনাদের রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে। দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
তেলের পিঠা,পাকন পিঠা,ভাজা পিঠা, পোয়া পিঠা বিভিন্ন নাম এই পিঠার। কিন্তু স্বাদ কিন্তু একই রকমের।