দাম বাড়াচ্ছে? না বলুন

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। আসলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জিনিস নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয় এবং সে অনুযায়ী আপনাদের সাথে বিভিন্ন লেখালেখি শেয়ার করতে বরাবরই আমার খুব বেশি ভালো লাগে। এবং সে কাজটাই আসলে আমি বেশিরভাগ সময় করে থাকি। এবং আপনাদেরও সুন্দর সুন্দর মতামত পাই। যে কারণে লেখালেখি করতে আরো বেশি ভালো লাগে।

সে সাথে সত্যি কথা বলতে আমি অনেকের কমেন্ট পড়ে বুঝতে পারি যে আজকাল অনেক ইউজার গন আসলে এখন পোস্ট পড়ে তবে কমেন্ট করে। কারণ পোস্টের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বেশ সুন্দরভাবে এক্সপ্লেইন করে কিংবা প্রশ্ন করে কিংবা নিজের মতামত শেয়ার করে। যেটা সত্যিই খুব বেশি ভালোলাগার।

সে যাই হোক এখন মূল কথায় আসি। আসলে আজকাল যারা বাজার করছে, তারা হয়তো এই বিষয়টা ভালোভাবেই বুঝতে পারবে। আমি বলছি না যে আমি বাজার করি। অর্থাৎ এই বাজার টাজার আমার দ্বারা হয় না। কিন্তু বাসায় যারা বাজার করে ওরা বাজার থেকে এসে বিভিন্ন কাহিনী বলে। তো সেই কাহিনী থেকেই আসলে একটা কথা আমার মাথায় আসা এবং সেটা নিয়ে লেখালেখি করা।

কয়েক দিন ধরে শুনছি যে বাজারে তরমুজের দাম নাকি অনেক বেশি। এবং একটা কয়েক কেজি তরমুজ নাকি প্রায় এক হাজার কিংবা ১২০০ টাকার মতো পরছে। যেটা শুনে আমি সত্যিই খুব বেশি অবাক হয়েছি। কারণ আমি যতদূর জানি তরমুজ এমন একটা ফল যেটা পচনশীল এবং যেটার দাম অনেকটাই কম।

এবং এটা এমন একটা ফল, যেটা আসলে যারা একটু খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে, ওরা খুব সহজে ইফতার করার মতোন একটি খাবার। কারণ রোজার সময় যারা অনেক বেশি পরিশ্রম করে এবং অনেকটা দিনে এনে দিনে খায় মতোন অবস্থা। তারা আসলে খুব সহজেই খাওয়ার জোগাড় করতে কম সময় লাগবে এবং কিনতেও কম টাকা লাগবে এই ধরনের খাবারগুলোই তারা খুঁজে। কারণ আর্থিক অবস্থার কাছে তারা বন্দি।

কিন্তু তরমুজের যা দাম আমি শুনলাম। তা তো মনে হচ্ছে কোনো মধ্যবিত্ত মানুষ ই এফোর্ট করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে যারা নিম্নবিত্ত রয়েছে তাদের দ্বাড়া তো কখনোই সম্ভব না। এবং এটাও আমি শুনেছি যে, দোকানদাররা যে দামটা নেয় তা সিখি ভাগ ও চাষিরা পায় না। ওরা চাষীদের কাছ থেকে প্রতিটা তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে কিনে নেয়। যেটা শুনে সত্যিই আমি খুব অবাক হয়েছি।

এবং আমার মতে যদি ব্যবসায়ীরা এভাবে অসৎ উপায় অবলম্বন করে। তাহলে অবশ্যই তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব, তাদের জিনিসগুলো না কেনার মাধ্যমে। আমি মনে করি, কয়েকটা দিন কিংবা এক মাস তরমুজ না খেলে মানুষ মরে যাবে না। তাই না?

মানুষ যদি সবাই একত্র হয়ে অন্তত সাতটা দিন তরমুজ কেনা বন্ধ করে দেয়। তাহলেই দেখা যাবে যে ব্যবসায়ীদের সব তরমুজগুলোই পচে নষ্ট হয়ে যাবে। এবং তারা স্বল্প দামে দিতে বাধ্য হবে। খুব সহজেই কিন্তু বাজারটাকে নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব। কিন্তু এমন অনেক মানুষ রয়েছে। যাদের কাছে আসলে একটা তরমুজ ১২০০ টাকা দিয়ে কিনতে কিন্তু খুব একটা সমস্যা হয় না। এবং তাদের জন্যই কিন্তু এই ব্যবসায়ী গুলা এই লুটপাট করতে পারে ।

তাই আমি সকলকে এটাই বলবো যে অন্তত এক সপ্তাহ তরমুজ না কিনে দেখুন। পরবর্তীতে দেখা যাবে যে ব্যবসায়ীরা আসলে হাতে পায়ে ধরে ধরে তাদের জিনিসপত্র গুলো বিক্রি করছে। কারণ আমি মনে করি এসব খারাপ ব্যবসায়ীদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া উচিত।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।