একজন কর্মঠ ভালো মানুষের গল্প।পর্ব -২
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
একজন কর্মঠ ভালো মানুষের গল্প।পর্ব -২ |
---|
প্রথম পর্বের পরে👇
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তাদের বাজারে একটি দোকান দিবেন। রীতিমত ছোটখাটো করে একটি দোকান দিলেন।আর সেটি ছিলো তাদের বাজারে পুরনো থানার সামনে। সেখানে তিনি প্রতিনিয়ত সময় দিতে লাগলেন এবং নানান রঙের ইলেকট্রিকের কাজ কন্ট্রাক্ট নিতে লাগলেন। পুরো এরিয়া জুড়ে খুব ভালো একজন ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। কাজের দক্ষতার কারণে সব জায়গাতে তিনি প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। আর সবার মুখে উনার জয়গান ছিল।
আবার সেই ব্যক্তিটির অনেক হেল্পারও ছিলো।অনেকেই তাদের ছেলে সন্তানকে কাজ শিখতে এ ব্যক্তির দোকানে পাঠাতেন। তবে তিনি এমন একজন ব্যক্তি, যিনি নিজেই বেশি কাজ করতে পছন্দ করতেন। লোক দিয়ে কাজ করানো তেমন একটা পছন্দ করতেন না। যাই হোক অবশেষে তিনি অর্থনৈতিক দিক থেকে কিছুটা স্বাবলম্বী হতে লাগলেন।
হঠাৎ করে তার সাথে তাদের পাশের এলাকার একজনের সাথে পরিচয় হয়।আর পরিচিত হয় একমাত্র ইলেকট্রিকের কাজের সুবাধে। যে ব্যক্তির সাথে পরিচিত হন তিনিও খুব ভালো একজন ইলেকট্রিশিয়ান।কাজ করতে গিয়ে তার সাথে ভালো একটি পরিচিতি লাভ করে।তখন ওই পাশের এলাকার ব্যক্তিটি জিজ্ঞাসা করে বিয়ে করেছে কিনা।
তখন এই ব্যক্তিটি বলল না এখনো বিয়ে করিনি।তখন পাশের এলাকার ওই ব্যক্তিটি বলল। যদি বিয়ে করতে চাও আমার একজন শ্যালিকা আছে বিয়ে করতে পারো। কিন্তু এই ব্যক্তিটি কিভাবে বিয়ে করবে। কারণ তার ফ্যামিলি থেকে এটা সাপোর্ট করবে না। আর তাকে এখনো বিয়ে করানোর কোন ইচ্ছেই নাই। যদিও তার বয়স হতে চলেছে।
যাইহোক পরে একটা সিদ্ধান্ত নেয় ওই পাশের এলাকার ব্যক্তিটি বলে ঠিক আছে কাউকে জানানোর দরকার নেই তুমি বিয়েটা করে ফেলো। পরবর্তীতে সে তার শালীর সাথে এই ব্যক্তিটির বিয়ে করার যত মাধ্যম রয়েছে সবটা নিজের রিক্স নিয়ে বিয়েটা সম্পন্ন করে। এবার শুরু হল ভিন্নরকম সমস্যা একদিক থেকে কাজ অন্য দিক থেকে শ্বশুরবাড়ি বা তার স্ত্রীর দায় দায়িত্ব।সবকিছুই তাকে মেনটেইন করতে হয়।
আবার নিজের ফ্যামিলিতে কিভাবে তার ওয়াইফ কে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে আনবে সেটারও চিন্তায় থাকতেন তিনি।অবশেষে তিনি তার বোনের জামাই মানে তার দুলাভাইকে বিষয়টি খুলে বলেন। তার দুলাভাই ও বোন তার মায়ের সাথে বিষয়টি শেয়ার করেন। সত্যি বলতে তার বোন এবং দুলাভাই খুব ভালো ছিলেন। এত ভালো ছিলেন ওনার ভাষ্যমতে পৃথিবীতে উনার বোন একজন।যদিও অনেকে বলবে সবার বোন সবার জন্য সর্বোচ্চ বা একদম ভালো। কিন্তু তার বোন আসলেই ভিন্ন রকম এবং এ ব্যক্তির তুলনা হয় না।
বাকিটা আগামী পর্বে....... কারণ একজন ভালো মানুষের জীবনের কথোপকথন তো আর অল্পস্বল্প করে শেষ করে দেয়া যায় না। যদিও একজন মানুষের জীবনের ৭০ বছরের কথোপকথন তুলে ধরতে হয়।তাহলে হয়তো লিখে শেষ করা যাবে না। তবুও যতটুকু না লিখলে নয়, সেটাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। যাই হোক পোস্টটি যারা পড়েছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রথম পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
প্রথম পর্ব
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আশা করি আগামীতে ভিন্ন রকম পোষ্ট নিয়ে আবারো আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোষ্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | অনুভূতি |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবসময় সাপোর্টের আওতায় রাখার জন্য ধন্যবাদ।,
সবসময় সাপোর্টের আওতায় রাখার জন্য ধন্যবাদ।।
গত পর্ব পড়ে দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। উনি কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে হয়ত ঠিক করেন নি। যাই হোক আশা করি উনার বোন আর দুলাভাই উনার মা কে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া ধন্যবাদ।
গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
যেহেতু তার বোন আর দুলাভাই অনেক ভালো মানুষ সেহেতু তারা উনার মাকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। এরকম কেউ পাশে থাকলে অনেকটাই স্বাভাবিক ভাবে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব।
জি ভাই একদম ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।।
আপনার গল্পের আজকের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে পরিবারের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে পরিবারের সবাই মিলে আলোচনা করে তা সমাধান করাটাই উত্তম। তার বোন আর দুলাভাই অনেক ভালো মানুষ তাদের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হওয়া যাবে। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।
আগামী পর্ব পাবলিস্ট হয়েছে আশা করি দেখতে পারবে।